নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।
এক পরম প্রিয় অতিথি আমাদের ঘরে আসার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। সে অতিথিকে নিয়ে অনেক কবিতা হতে পারে, হতে পারে বিশদ বর্ণনা। এবাদতের উৎসবের মাস পবিত্র রমজান। মহান আল্লাহ্ রব্বুল আ’লামীনকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আর শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। পুরো রমজানে যেন তাঁর এবাদতে মশগুল থাকতে পারি। সংযম করতে পারি নিজেদেরকে সকল পাপাচার, অনাচার, অনৈতিকতা ও অপরাধ থেকে। এই সংযমই যেন উদার করে তোলে আমাদের। মানবিক হতে, নৈতিকতার ঝান্ডা হতে সহায়তা করে আমাদের।
আজ ২৯ শাবান। সন্ধ্যায় রমজানের চাঁদ আকাশে উদিত হলেই আগামীকাল থেকে পবিত্র মাহে রমজান। সবসময় প্রার্থনা করুন মহান পরওয়ারদেগারের কাছে যেন পরম আকাঙ্ক্ষার এই মাসকে কাছে পেয়ে তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হয়। রহমত, মাগফেরাত আর দোজখের আজাব থেকে নাজাত এই তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয় রমজানকে। আমাদের প্রাপ্তি, উপার্জন, লক্ষ্য অর্জন, সবকিছুতেই প্রয়োজন রহমতের ছোঁয়া। না হলে দু’হাত ভরে সবকিছু পেয়েও কষ্টানুভব থেকে মুক্ত থাকা মুশকিল।
রহমত আর বরকত এই দু’টিই মহান আল্লাহ্’র কাছ থেকে আমাদের পেতে হবে। ধরা যাক, আপনার মাসিক উপার্জন দশ হাজার টাকা। এই টাকার মধ্যেই সংসারের সকল খরচ বহন করতে হয়। রহমত থাকলে এই টাকার মধ্যেই আপনি মাস পার করে দিতে পারবেন সুখে শান্তিতেই। রহমতের কারণে যে সহযোগিতাগুলো আল্লাহ্’র কাছ থেকে পাওয়া যায় তা হলো- যেকোন কিছু কিনে বা সেবা গ্রহণ করে তৃপ্তি পাওয়া, মনে প্রশান্তি অনুভব করা। বাসায় ফেরার পথে বাজার থেকে এককেজি পটল কিনলেন। রহমত থাকার কারণে তা ফ্রেশ, তাজা ও ওষুধ প্রয়োগহীন অবস্থায় বা কোনভাবে সরাসরি ক্ষেত থেকে বা এমন একজনের কাছ থেকে খুচরো কিনেছেন যেখানে কোন রকম ভেজাল থাকার সম্ভাবনা নেই।
ফলে আপনি মনে মনে প্রশান্তি পেলেন। এভাবে সবকিছুর ক্ষেত্রেই ভাবুন। এটা হলো আল্লাহ্’র রহমত। এই সাথে মিশে আছে বরকতের বিষয়টি। একটু আলাদা করে এইভাবে বর্ণনা করা যায়- ঐ পটলগুলো দিয়ে যখন তরকারি রান্না করা হলো, তা খেতে সুস্বাদু হলো এবং অল্পতেই অনেকজনের বা কয়েকদিনর খাবারের ব্যবস্থা হলো। আপনার সংরক্ষণের সচেতনতার জন্য তা নষ্ট হলো না। বরকতের কারণে চোখের দেখাতে এর পরিমাণ বৃদ্ধি না পেলেও কার্যক্ষেত্রে প্রাপ্তির পরিধি বেড়ে যায়। মনে রাখতে হবে আমাদের মেধা, চিন্তা, পরিকল্পনা, সচেতনতা সবকিছুরই নিয়ন্তা ঐ মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’লা।
তাই তো এমনও দেখা যায়- লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেও রহমত না থাকার কারণে কেউ কেউ সারাক্ষণ অস্থিরতায় থাকেন, যন্ত্রণায় থাকেন, ঝামেলায় দিনাতিপাত করেন এবং বরকতের অনুপস্থিতির কারণে এতো অর্থ থাকা সত্ত্বেও খরচ বাদে কিছু পরিমাণ অর্থও নিজের হাতে বা ব্যাংকে জমা রাখতে পারেন না। ছোট্ট একটি উদাহরণ টেনে আপনাদের মনের কোণে নাড়া দেবার জন্য রহমত ও বরকতের বিষয়টি তুলে ধরলাম। যারা এই রহমত ও বরকতের বিষয়টিকে কোন গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে যান এবং সকল কিছুর জন্য শুধু নিজের পরিশ্রম আর সাধনাকেই উপজীব্য ভাবেন, তাদেরকে ভাবনার গভীরে প্রবেশের জন্য এই লেখা। মহান আল্লাহ্ সকলকে নেক উপলব্ধির শক্তি দান করুন। আমিন।
২| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৪
দূর পাহাড়ে বলেছেন: মাহে রমজান এল বছর ঘুরে
মুমিন মুসলমানের দ্বারে দ্বারে
৩| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: এই মাসে সবার পাপ আল্লাহ ক্ষমা করে দিক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৩১
আবু আফিয়া বলেছেন: এই রমজানে আমাদের সকল পাপগুলো মুছে যাক এবং আল্লাহ রহমতের চাঁদরে আবৃত রাখুন আমাদের।