নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শাজামুস জুলকারনাইন রতন

এস েজ রতন

একজন প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, লেখক, বক্তা, প্রশিক্ষক ও উন্নয়নকর্মী এবং মানব কল্যাণে নিজেকে সমর্পণকারী একটি স্বর্গীয় পৃথিবী উপহারে নিবেদিত আত্মা।

এস েজ রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মসজিদেও নামাজের জায়গা দখল করে রাখা হয়, এ কষ্ট রাখি কোথায়?

২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৪৯

শুক্রবার মসজিদে যেতাম আজানের পরপরই। তবে সেসময়ে গেলেও ইমামের কাছাকাছি বসার সুযোগ পাওয়া দুষ্কর হয়। একবার তো একটু বেশি দেরি হওয়াতে রাস্তায় দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে হলো। আমার বাবাকে বললাম- বাবা, এটা কোন কথা? বাবা বললেন- হ্যাঁ এটাই কথা। তুমি পরে গেছো, তুমি জায়গা পাওনি। অন্য কেউও যদি পরে যায় সেও জায়গা পাবে না। তোমাকে আগে যেতে হবে। তবেই তুমি প্রথম কয়েক কাতারের মধ্যে বসতে পারবে। আমি বাবার এই যুক্তি মানতে পারছিলাম না। বললাম- বাবা, এটা শুধু আমার জন্য বলছি না, যে-ই পরে যাক না কেন, সে কি মসজিদের ভেতরে বসার মতো সুবিধা পেতে পারে না? বাবা বললেন- মসজিদের জায়গা আরো বাড়ালে আরো মুসল্লী আসবে। পরে যারা যাবে তারা তারপরও রাস্তায় দাঁড়াবে, নচেৎ বাসায় ফেরত যাবে বা অন্য আরেকটি মসজিদে যেয়ে জায়গা খুঁজবে। তুমি বাবা ফেল করেছো। তোমাকে আগেই যাওয়া উচিৎ ছিল।

বাবা সত্যি বলেছিলেন। বাবার সেই কথা মনে রেখে জুম্মাবারে এখন মসজিদে অনেক আগেই পৌঁছাই। ১২.১৬ টায় আজান হলেও পৌঁছে যাই ১১.৩০ টায়। তারপরও দ্বিতীয় কাতারে বসতে হয়। করোনা আসার পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক কাতার ফাঁকা রেখে নামাজে বসতে বলা হলেও তা আর মানা হচ্ছে না। তবে ডানে বামে এক জায়নামাজ পর্যন্ত ফাঁকা রেখে বসছে সবাই। মোটামুটি সবাই জায়নামাজ নিয়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো- আমি যতই আগে যাই না কেন, আগে থেকেই ইমামের আশপাশে কয়েকটি জায়নামাজ বিছানো থাকে। ফলে সেই জায়গাতে আমি বসতে পারছি না। ইমাম সাহেব আলোচনা করছেন, দেখা গেলো তখন এসে সেই বিছানো জায়নামাজে কেউ এসে বসছেন। অর্থাৎ উনি বা উনারা আগেই জায়গা বুকিং দিয়ে রেখেছেন। হয়তো মসজিদের দায়িত্বে থাকা খাদেমগণই তাদের হয়ে এ কাজ করেছেন। কিন্তু আমি যে আগে গেলাম ইমামের খুব কাছে বসে ওয়াজ শুনবো, নামাজ পড়বো, আমার সে ইচ্ছের কী হবে?

রাজনীতি, অফিস, ব্যবসা –সবস্থানেই তো দখলবাজী, মাস্তানী, বংশশক্তি ইত্যাদি অপকর্ম ও সুবিধা নেবার-দেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এমন একটা ধর্মীয় এবাদৎ প্রতিষ্ঠানেও কী অমন কর্ম করা ঠিক? মনে রাখা উচিৎ আল্লাহ্ পাক হচ্ছেন আলীমুল গাইয়্যিব, উনি মানুষের অন্তরের কথা ও আকুতি শোনেন, জানেন। একদিন সবকিছুর সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিচার উনি করবেন।

***

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৭

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু:খজনক!

মসজিদে তো আর প্রকৃত ইসলামের চর্ছা নেই।
ওহাবী মতবাদ আর স্বার্থবাদী ইয়াজিদি গং নিয়ন্ত্রন নিয়ে তাদের মতো করেই চলে।
সেখানে আল্লাহর ভয় ছাড়া বাকী সব পাবেন।

২| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:৩৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কয়েক দিন পর চাল তেল মসজিদের ভিতর রাখবে নিরাপদে । এতো কথা বলে লাভ নাই।

৩| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:১৫

নজসু বলেছেন:



মসজিদে জায়গা বুকিং আপনার এলাকাগত সমস্যা। আপনার এলাকার লোকজনের হয়তো নীতি ঠিক নেই।
বিষয়টা দুঃখজনক। আর কোন মসজিদে এরকম হয় কিনা জানিনা।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: ক্ষমতাবানরা এই রকম হয়।

এই কারনে আমি মসজিদে নামাজই পড়তে যাই না।

৫| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আগামী সপ্তাহে ইমাম সাহেবকে চা খাবার জন্য ২০০ টাকা দিয়েন, কাজ হবে।

৬| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনার নিজের একটা মসজিদ থাকা উচিত; চাঁদা তোলার চেষ্টা করেন।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি সেখানে জুম্মারদিন কয়েকটি জায়নামজ বিছানো থাকে, মসজিদের তরফ থেকেই। যে কোউ সেখানে বসতে পারে কোনো বাধা নেই। আমি একটু দেড়িতে যাই বসি দ্বিতীয় কাতারে (বেশীরভাগ সময় জায়নামাজ ছাড়াই), যদিও আমি ঐ মসজিদের সভাপতি। আমার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা রাখা হয় না। কারো জন্যই রাখা হয় না। মোতওয়াল্লী আমারও পরে আস, তাই ও নামাজ পড়ে ২য় বা ৩য় তালায়। যদিও মসজিদের সমস্ত কাজ হয় ওর হাতদিয়েই।

৮| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:২১

এস েজ রতন বলেছেন: লেখাটি পড়া ও মতামত প্রদানের জন্য অশেষ ধন্যবাদ সবাইকে। আঁধার টুটে আলোক রেখা জাগুক সকল প্রাণে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.