নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের পুজারী

শাকিল আহমেদ ইবনে আলী

(facebook.com/skilalis) (facebook.com/skilali2) (facebook.com/skilali1) (twitter.com/skilalis) (plus.google.com/+skilalis) (youtube.com/c/skilalis)

শাকিল আহমেদ ইবনে আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম আজম আবু হানিফা রহ. অমিয় বানী

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪৮

ইমাম আবু হানিফা রহ.

১. ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন , কোন মাসালায় যদি রসূলুল্লাহ (স: )এর হাদীস( (সহীহ হতে হবে কুরআন বা অন্য কেন হাদীসের বিপরীত হবে না )পাওয়া যায় তাহলে তো আমরা সানন্দে তা গ্রহণ করে নেই । আর যদি কোন মাসালার ক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম থেকে একাধিক মত পাওয়া যায় তাহলে আমরা সেগুলোর মধ্য হতে একটি মত গ্রহণ করি । তাঁদের মত গুলোকে সম্পূর্ণ এরিয়ে যাই না । তবে তাবেঈনদের [ ইমাম আবু হানীফা রহ. এর সমসাময়িক উলামাদের] একাধিক মত পাওয়া যায় তা হলে সে ক্ষেত্রে আমরা আমাদের মত ব্যক্ত করি ।

২.ইমাম আবু হানিফা রহ: বলেন, কুরআন হাদীস ও সাহাবায়ে কেরাম রা. এর ইজমা'র বিপরীত কোন ব্যক্তির জন্য নিজের মত পেশ করার বৈধতা নেই ।হাঁ ,যেসব মাসআলার ব্যাপারে সাহাবায়ে কেরামের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে সেক্ষেত্রে আমরা তাঁদের উক্তিগুলোর মধ্য হতে সেই উক্তিটিই গ্রহণ করি যা কুরআন হাদীসের অধিক নিকটতর। আর এটাই ইজতেহাদের ক্ষেত্র ।

৩.ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন যদি দীনের ক্ষেত্রে সংকীর্ণতার ভয় না হতো তাহলে আমি কখনও ফতোয়া দিতাম না । যেসব বিষয়ের কারণে জাহান্নামে যাওয়ার আশংকা হতে পারে সেগুলোর মাঝে সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো "ফতোয়া"।

৪.ইমাম আবু হানীফা রহ. বলেন, যখন থেকে আমার বুঝ এসেছে , কখনও আমি আল্লাহ তাআলার উপর দুঃসাহসীকতা দেখাইনি । [ অর্থাৎ মাসআলা বলে আল্লাহ তাআলা ও তার রসুলের দিকে নেসবত করিনি ।]

৫.ইমাম আবু হানিফা রহ. যদি কোন মাসআলায় আটকে যেতেন এবং সমাধান না পেতেন তখন তিনি তাঁর ছাত্রদেরকে বলতেন ,"এটা আমার কোন গুনাহের কারণে হয়েছে ।" অতপর ইস্তেগফার শুরু করে দিতেন । আর অধিকাংশ সময় অযু করে দাঁড়িয়ে দু'রাকাত তাওবার নামায পড়ে দিতেন ।এতে মাসালার সমাধান হয়ে যেত ।তখন তিনি বলতেন ,এটা এক প্রকারের সুসংবাদ । আমি আশাবাদী হতাম যে আমার তাওবা কবুল করা হবে এবং মাসআলা বুঝে এসে যাবে । বিখ্যাত বুযুর্গ ফুযাইল ইবনে আয়ায রহ. যখন ইমাম আবু হানিফা রহ. এর এই আমলের ব্যাপারে জানতে পারলেন তখন কাঁদতে আরম্ভ করলেন এবং বললেন ," আল্লাহ তাআলা আবু হানিফার রহ. এর উপর রহম করুন " তার গোনাহ অনেক কম ।[ তাই নিজের গোনাহ ও দুর্বলতা তিনি অনুভব করতে পারতেন ] কিন্তু অন্যদের তো এই অনুভুতিটুকু হয় না । কারণ তার গোনাহ তাকে পরিবেষ্টন করে রেখেছে ।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:১৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খায়রান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.