নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্যের পুজারী

শাকিল আহমেদ ইবনে আলী

(facebook.com/skilalis) (facebook.com/skilali2) (facebook.com/skilali1) (twitter.com/skilalis) (plus.google.com/+skilalis) (youtube.com/c/skilalis)

শাকিল আহমেদ ইবনে আলী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইমাম আজম আবু হানিফা রহ. অমিয় বানী

০১ লা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৩০

ইমাম আবু হানিফা রহ.

৬.ইমাম আবু হানিফা রহ. পথ ধরে হেঁটে যাচ্ছিলেন । ভুলক্রমে একটি শিশুর পায়ে তার পা লেগে গেল । তিনি তা দেখতে পাননি । ওই শিশু বলে উঠল, হে শায়েখ ! আপনি কি কেয়ামত দিবসের বদলাকে ভয় পান না ? এ কথা শুনে ইমাম সাহেব হুশ হারিয়ে ফেল্লেন । যখন হুশ ফিরে পেলেন তখন তাকে বলা হল, এই একটি কথার এমন প্রভাব ? তিনি বললেন , আমি আশংকা করছি যে, এ কথা আল্লাহ তাআলার পক্ষ হতে তার অন্তরে ঢেলে দেওয়া হয়েছে ।
৭.ইমাম আবু হানিফা (রা.) -এর বিরুদ্ধাচারী এক ব্যাক্তি একবার তর্ক করতে গিয়ে ইমাম সাহেব কে লক্ষ্য করে বলল , হে বিদআতী ! হে বে-দ্বীন ! ইমাম সাহেব তাকে বললেন , ' আল্লাহ তাআলা তোমাকে ক্ষমা করুন । আল্লাহ তাআলা জানেন, তুমি ভুল বলেছ । মহান আল্লাহর পরিচয় পাওয়ার পর এখন আর কারও পরোয়া করি না । হ্যাঁ, সে মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা পার্থনা করি এবং তার শাস্তিকে ভয় পাই । ' তখন ওই ব্যক্তি বলল ,আমাকে ক্ষমা করে দিন । তখন ইমাম সাহেব বললেন , কোন অজ্ঞ লোক আমার ব্যাপারে কোন কথা বলেছে তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি । কিন্তু যে আলেম আমার ব্যাপারে এমন কথা বলেছে যা আমার মধ্যে নেই । তাহলে ব্যাপারটি জটিল হয়ে দাড়ায় । কারণ ইলামায়ে কেরামের গীবতের প্রভাব পরেও বাকি থাকে ।
৮.ইমাম আবু হানিফা রহ. এর সামনে যদি কোন ব্যক্তি অপর কোন ব্যক্তির উক্তি বর্ণনা করত [যে ইমাম সাহেবদের সমালোচনামূলক কোন কথা বলোছে ] তখন তিনি তাকে থামিয়ে দিতেন এবং বলতেন, মানুষের অপছন্দনীয় কথাগুলো বর্ণনা করা ছেড়ে দাও। যে আমাদের ব্যাপারে কোন ভুল কথা বলেছে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করুন। আর যে আমাদের ব্যাপারে কোন ভাল কখা বলেছে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি রহম করুন। [মানুষের উক্তি বর্ণনার পরিবর্তে ] আল্লাহ তাআলার দীনের জ্ঞান অর্জন কর। মানুষের কথা বাদ দাও। মানুষকে তাদের অবস্থার উপর ছেড়ে দাও। হতে পারে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে তোমাদের মুখাপেক্ষী বানিয়ে দিবেন।
৯.ইমাম আবু হানীফা রহ. কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে প্রখ্যাত তাবেঈ আলকামা (রহ.) শ্রেষ্ঠ নাকি আসওয়াদ রহ. শ্রেষ্ঠ ? উত্তরে ইমাম সাহেব বল্লেন, আল্লাহর সপথ ।আমি তো নিজেকে এর যোগ্য মনে করিনা যে আমি আমি তাঁদের নাম আমার মুখে আনব ।আমি তাঁদের একজনকে অপরজনের উপর কিভাবে প্রাধান্য দিতে পারি ?
১০.ইমাম সাহেবকে বলা হলো যে, মানুষ তো আপনার ব্যাপারে কথা বলে । [অর্থাৎ আপনার প্রশংসামূলক কথা বলে ] কিন্তু আপনি তো সেগুলোর উপর কোন কিছু বলেন না । তখন তিনি বললেন ,"এটা মহান আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যকে চান নিজের অনুগ্রহ দ্বারা ভূষিত করেন ।"

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.