![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(facebook.com/skilalis) (facebook.com/skilali2) (facebook.com/skilali1) (twitter.com/skilalis) (plus.google.com/+skilalis) (youtube.com/c/skilalis)
১৬.ইমাম আবু হানিফা রহ. বলেন যে ব্যক্তি তে তার ইলম হারাম বিষয় ও বস্তু থেকে বাধা না দেয় সে ধ্বংসের মধ্যে রয়েছে ।
১৭.এক ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা রহ. কে জিজ্ঞেস করল , দ্বীনের জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে কোন বিষয়টি অধিক সাহায্যকারী ? তিনি বললেন, 'একাগ্রতা অবলম্বন করা ।' সে আবার প্রশ্ন করল,একাগ্রতা হাসিল হবে কিভাবে ? তিনি বললেন,মেলামেশা ও অপ্রয়োজনীয় বিষয় কমিয়ে দেওয়ার দ্বারা ।সে আবার বলল, এটা কিভাবে কম হবে ? তিনি বললেন, যে বস্তু যতটুকু প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি নিবে না ।
১৮.ফরজ নামায আদায়ের পর কতক লোক ইমাম সাহেবকে মাসআলা জিজ্ঞেস করল । ইমাম সাহেব সেগুলোর উত্তর দিলেন । তখন এক ব্যক্তি অভিযোগের স্বরে প্রশ্ন করে বসল, বুযুর্গগণ কি এই সময়ে ' উত্তম কথা' ছাড়া অতিরিক্ত কোন কথা বলতে নিষেধ করতেন না ? ইমাম সাহেব বললেন, ' হালাল-হারামের বিধান বর্ণনা করে দেওয়ার চাইতে উত্তম কথা আর কি হতে পারে ? আমরা মহান আল্লাহর অবাধ্যতা হতে তাঁর নিকট আশ্রয় কামনা করি আর মানুষকেও তা থেকে বাঁচাই ।
১৯.এক ব্যক্তি অপর এক ব্যক্তির সুপারিশ নিয়ে এসে বলল ,আপনি আমাকে ইলম শিখিয়ে দিন।ইমাম সাহেব বললেন , এভাবে ইলম অর্জন করা যায়না । আল্লাহ তাআলা উলামায়ে কেরামের কাছ থেকে অঙ্গীকার নিয়ে নিয়েছেন যে, তাঁরা যেন মানুষের কাছে ইলম বর্ণনা করে এবং তা না লুকায় । অতঃপর বল্লেন, আলেম একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইলম শিক্ষা দেয়। তারা বিশেষ রহস্যজ্ঞানী হয় না ।
২০. ইমাম সাহেব তার এক শিষ্যকে বললেন, আমি যখন চলন্ত অবস্থায় হাঁটতে থাক অথবা মানুষের সাথে কথা বলতে থাকি কিংবা সওয়ার অবস্থায় থাকি বা বিশ্রাম নেই এই সময়গুলোতে আমার কাছ থেকে দ্বীনের কথা [মাসআলা-মাসায়েল ] জিজ্ঞেস করবে না । কারণ এই সময়গুলোতে মানুষের চিন্তা বিক্ষিপ্ত থাকে ।
©somewhere in net ltd.