নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মলমূত্র নিপাত যাক, বাংলাদেশ মুক্তি পাক।

পাঠেই পরিচয় !

ব্লগার আইম

লেখার চেষ্টা করছি............................

ব্লগার আইম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুন্সিগঞ্জ লঞ্চডুবি অতঃপর আমরা শোকাহত ।।

১৩ ই মার্চ, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৩৬



void(1); স্বপ্নের শহর রাজধানী ঢাকায় তারা আর ফিরতে পারলেন না। এই মর্মান্তিক দূর্ঘটনায় আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। তাদের সবার রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।



void(1); গত দুদিন ঢাকা থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় সাধারণ অনেক মানুষ আটকা পড়েছিল দেশের বিভিন্ন স্থানে। তাই অনেকের কর্মস্থলে ফেরা এবং জরুরী প্রয়োজনের কারনে গভীর রাতে লঞ্চে চড়ে ঢাকায় ফেরার তাড়া ছিল। কিন্তু মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার উত্তরচর মসুরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে সোমবার গভীর রাতে ঢাকাগামী এমভি শরিয়তপুর-১ লঞ্চটি প্রায় তিন শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায় আর এতে অনেকের স্বপ্নের সলিল সমাধি ঘটে। কোস্টগার্ড, দমকলবাহিনী এবং পুলিশের যৌথ প্রচেষ্টায় মেঘনা নদী থেকে দুপুর ২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অন্তত ৩২টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।



বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক ও ডুবে যাওয়া লঞ্চ উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের কমান্ডার ফজলুর রহমান কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে । ইতোমধ্যে কমিটি তদন্ত কাজ শুরু করেছে।নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও নৌ অধিদফতর থেকে পৃথক তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।



দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া যাত্রী দুলাল দেওয়ান সাংবাদিকদের জানান, "এমভি শরিয়তপুর-১ নামের দ্বিতল লঞ্চটি শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে একটি তেলবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।লঞ্চের আড়াইশর মতো যাত্রীর অধিকাংশই দুর্ঘটনার সময় ঘুমিয়ে ছিলেন। দুর্ঘটনার পর চাঁদপুর থেকে ঢাকাগামী এমভি মিতালী নামের আরেকটি লঞ্চের সহায়তায় ২৫-৩০ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।" উল্লেখ্য, তিনি বেঁচে গেলেও তার পরিবারের ৮ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ছিল।



মেঘনায় এমভি শরীয়তপুর-১ লঞ্চ ডুবিতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে শোক প্রকাশ করতে গিয়ে মাননীয় স্পিকার বলেন, ‘লঞ্চডুবিতে বেশকিছু মানুষ নিহত হয়েছেন। অনেকেই আহত হয়েছেন। সংসদ নিহতদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছে। শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা প্রকাশ করছে।’



নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপরে দুর্ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ত্রিশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তবে একই পরিবারের একাধিক ব্যাক্তি মারা গিয়ে থাকলে পঁয়তাল্লিশ হাজার টাকা করে পাবে।” এছাড়া লঞ্চডুবিতে প্রতিটি লাশ দাফনের জন্য ৩ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।



বাংলানিউজ২৪ঃ মেঘনায় লঞ্চডুবি : ৩২ লাশ উদ্ধার



বিডিনিউজ২৪ঃ মুন্সীগঞ্জে লঞ্চডুবি, ৩১ লাশ উদ্ধার



বিবিসি বাংলাঃ প্রায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে মুন্সিগঞ্জে লঞ্চডুবি





লঞ্চ উদ্ধারকাজ ৬ ঘণ্টার জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বরিশাল থেকে রওয়ানা দেওয়া উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা এলে অপর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমসহ যৌথভাবে আবার উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে। তবে হামজা ঘটনাস্থলে পৌঁছুতে অন্তত ৬ ঘণ্টা লাগবে বলে বিকেল সাড়ে ৩টায় জানান উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তমের কমান্ডার ফজলুর রহমান।



প্রসঙ্গত, প্রতিবারই এইরকম অব্যবস্থাপনা নজরে পড়ে। যতবারই লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে, ততবারই আগে রুস্তমকে ঘটনাস্থলে উদ্ধারকাজের জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হামজার সহযোগিতা ছাড়া কোনো উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয় না। ঘটনা ঘটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হামজা পাঠানোর ব্যবস্থা না নেওয়ায় উদ্ধার কাজে দেরি হয় এবং হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যায়। রুস্তমের উদ্ধার ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৬০ মেট্রিক টন। ডুবে যাওয়া লঞ্চটির ওজন অন্তত ২০০ টন। রুস্তম ও হামজার সম্মিলিত উদ্ধার ক্ষমতা ১২০ টনের মতো। এছাড়া এমভি শরীয়তপুরের মতো লঞ্চগুলোর ওজন প্রায় দেড়শ’ টন।



...........................



মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১২ রাত ৮:১৮

সময়ের গল্প বলেছেন: বাকশালীরা বাংলার জনগনকে পরিকল্পিত ভাবে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করছে যাতে তারা বাংলা বসন্তের কারিগর হতে না পারে। এরা বাংলাদেশের জনগনকে ভয় পায়, যার উদাহরন গত ৩ দিন অামরা দেখতে পাচ্ছি ।

হঠাও বাকশাল বাচাও দেশ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.