নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
হাজারো অলি আউলিয়ার পদধূলি সিক্ত বাংলার জমিনে সুন্নী জনতার দ্বীন-ঈমান সংরক্ষণের অগ্রপথিক, মাসলাকে আলা হযরতের মশালধারী, ‘সীমান্ত পীর’ ‘পেশোয়ারী সাহেব’ ‘শাহানশাহে সিরিকোট’ প্রভৃতি অভিধায় বিভূষিত এক মহান ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন হযরত সৈয়্যদ আহমদ শাহ্ সিরিকোটি রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। এ বিশাল কর্মবীর মহাপুরুষের বর্ণাঢ্য জীবনের মাত্র খণ্ডাংশ ব্যয়িত হয়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজধানী শহর ঢাকায়। প্রবীণ পীর ভাইদের শ্রুতি-স্মৃতি ও লেখা থেকে সংকলন করে তা সুপ্রিয় পাঠক/পাঠিকাদের খেদমতে পেশ করছি ঃ
সময় পেশা কর্মস্থল
আনুমানিক ১৮৮৭ খৃঃ থেকে ১৯১২ খৃঃ ব্যবসা/ধর্ম প্রচারক উত্তর আফ্রিকা ।
১৯১২ খৃঃ থেকে ১৯২০ খৃঃ সংসার জীবন/পীরের খেদমত হরিপুর/সিরিকোট, পাকিস্তান।
১৯২০ খৃঃ থেকে ১৯৩৯ খৃঃ ধর্ম প্রচারক/কাদেরিয়া তরীকার পীর, রেঙ্গুন, বার্মা (মায়ানমার)।
১৯৩৯ খৃঃ থেকে ১৯৪৪ খৃঃ সংসার জীবন হরিপুর/সিরিকোট, পাকিস্তান।
১৯৪৪ খৃঃ থেকে ১৯৫৮ খৃঃ ধর্ম প্রচারক/কাদেরিয়া তরীকার পীর চট্টগ্রাম/ঢাকা, বাংলাদেশ।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে যে, বাংলার জমিনে তাঁর মূল কার্যকাল ছিল - ১৯৪৪ খৃঃ থেকে ১৯৫৮ খৃঃ = ১৪ বছর।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধোত্তর বাংলায় তাঁর আগমন ছিল শুধুই বার্মার প্রবাস জীবনের সঙ্গী, চট্টলার বিশিষ্ট ও প্রিয় মুরিদানদের অনুরোধ রক্ষার্থে। এ সময়ে চট্টগ্রামে তাঁর মুরীদান এর সংখ্যা ছিল প্রায় শতাধিক। ১৯৫৪ সালে তা বেড়ে গিয়ে ১ হাযারের কাছাকাছি গিয়ে দাঁড়ায়। তিনি লাহোর থেকে বিমানযোগে ঢাকা আসতেন। চট্টগ্রামের মুরীদানগণ তাঁর জন্য প্লেনের রিটার্ন টিকেট কেটে পাঠিয়ে দিতেন। কখনো তিনি একাই আসতেন। আবার কখনো কখনো চট্টগ্রাম থেকে কেউ গিয়ে তাঁকে আগ বাড়িয়ে নিয়ে আসতেন। তাঁর এদেশে আসার খবর পত্রিকায় ফলাও করে প্রকাশ করা হত। আনন্দের আতিশয্যে চট্টগ্রাম থেকে ২০-৩০ জনের কাফেলা নিয়ে মুরিদানরা রাত সাড়ে ১০ টার ঢাকা মেইল ট্রেনে করে ঢাকা রওয়ানা দিয়ে পরদিন ভোরে ফুলবাড়িয়া ষ্টেশনে নামতেন। আসলে ঢাকা ছিল তাঁর সাময়িক বিরতি ও বিশ্রামের স্থান।
তখন ঢাকা বিমান বন্দর ছিল তেজাগাঁও এ। ওটাই ছিল তখনকার দিনে দেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এখনকার মত উন্নত যাতায়াত ব্যবস্থা ও যানজট তখন ছিল না। ঢাকার জন সংখ্যা ছিল কয়েক লাখ। পায়ে হেঁটে দল বেঁধে সবাই মিলে বিমান বন্দর থেকে হুজুরকে অভ্যর্থনা জানিয়ে কায়েৎটুলি খানকায় নিয়ে আসতেন। যাবার পথ ছিল ফুলবাড়িয়া-নিমতলি থেকে কার্জন হলের পাশের রাস্তা দিয়ে বর্তমান তিন নেতার মাযার হয়ে বাংলা একাডেমী পেরিয়ে সোজা এগিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার। সেখান থেকে আর্ট কলেজ পেরিয়ে শাহবাগ। শাহবাগ থেকে একটা রাস্তা তখন ময়মনসিংহ রোড নামে তেজাগাঁও বিমানবন্দর হয়ে জেলা শহর ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল।
তখনকার দিনে দাদা হুজুর কেবলা হযরত শাহানশাহে সিরিকোটি (রহঃ) অবস্থান করতেন ফুলবাড়িয়া রেল ষ্টেশনের কাছাকাছি নিমতলি এলাকার কায়েৎটুলিতে। বাসার হোল্ডিং নং ছিল ৪৩/২ বি কে গাঙ্গুলী লেন। বাসার পূর্ব দিকে রোড বরাবর হিন্দুদের দেবী মনসার মুর্তি সম্বলিত একটা মন্দির ছিল। লোকে ওটাকে সাপ মন্দির নামে জানতো। এখনো ওই মন্দিরটা কোন রকমে টিকে আছে। ঐ বাসায় থাকতেন দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) এক অতি প্রিয় শিষ্য কাজী হাফেজ আহমেদ সাহেব। তিনি সরকারের পি ডব্লিউ ডি বিভাগে ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের মিরেরসরাই এলাকায়।
কাজী হাফেজ আহমেদ সাহেব শেষ বয়সে মাদ্রাসার টাকা কালেকশন এর গুরু দায়ীত্ব খুবই সুচারুভাবে এবং সুনামের সাথে পালন করেছেন। তাঁর মত হালকা পাতলা একজন মানুষের দৈহিক গঠন দেখে কারো পক্ষে অনুমান করা সম্ভব ছিল না যে, কী অসাধারণ প্রাণ শক্তির আধার ছিলেন এ কর্মবীর মানুষটা। সকাল-সন্ধ্যা তিনি একটা ছোট ব্যাগ হাতে ঢাকা শহরের অলি-গলিতে মাদ্রাসা-মসজিদ-খানকা’র চাঁদা সংগ্রহের জন্য রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মাথায় করে ঘুরে বেড়াতেন। এমনকি তাঁর ইন্তেকালও হয়েছিল মাদ্রাসার জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতে গিয়ে। স্বাধীনতা উত্তরকালে ৭০ দশকের শেষ দিকে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি শহীদ হন। তাঁর বেওয়ারিশ লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রায় তিন চার দিন অযত্নে গড়াগড়ি খাচ্ছিল। পরে মর্গ থেকে তাঁর লাশ সংগ্রহ করে তা মরহুমের নিজ বাড়ি মিরের সরাই এ পাঠানো হয়। আমার পরম শ্রদ্ধেয় পিতা-মাতা ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে তাঁর খুব আন্তরিক সম্পর্ক ছিল। আমার মাকে তিনি বড় বোনের মত ভক্তি করতেন। ১৯৭২ সালে আমার পরম সম্মানিত বাবা-মায়ের সাথে তিনি হজ্ব ও পালন করেন। আঞ্জুমান নিয়ন্ত্রিত ঢাকার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর অসামান্য অবদান আমরা আজ অতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
জনাব কাজি সাহেবের সাথে আরো বেশ কয়েকজন পীর ভাই একসাথে ঐ বাসায় মেসের মত রান্না করে থাকা খাওয়া সারতেন। (পটিয়ার) আবদুল আজিম সাহেব তাঁদের একজন । তিনি ছিলেন কাজী সাহেবের নিকটাত্মীয়। আজিম সাহেব ছোট-খাট ব্যবসা করতেন। তিনি বহু বছর ঐ খানকাহ শরীফের নিঃস্বার্থ খেদমত করে গেছেন। বর্তমানে তিনি খুবই বয়োবৃদ্ধাবস্থায় অবসর জীবন যাপন করছেন। তৎকালীন পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায় খতমে গাউসিয়া-গেয়রাভী শরীফ ও মিলাদ কিয়াম পরিচালনায় তাঁর ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য। আমরা তাঁর সুস্থ্য ও নেক হায়াত বৃদ্ধির জন্য পরম করুণাময়ের মহান দরবারে কায়মনোবাক্যে বিনীত প্রার্থনা করছি।
যাই হোক চট্টগ্রাম থেকেই বেশিরভাগ লোকজন দাদা হুজুর কেবলাকে (রহঃ) সঙ্গ দিতে ঢাকায় আসতেন। তাঁদের মধ্যে হাজি ওয়াজের আলী সওদাগর (রহঃ)(১৯১৫-৮০খৃঃ) , তাঁর ছোট ভাই মরহুম হাজি নজির আহমদ সওদাগর (রহঃ), হাজী আবদুল মজিদ সওদাগর (রহঃ)(১৯১৫-৮২খৃঃ) প্রমূখ অন্যতম । তখনো ঢাকায় তাঁর কোন মুরিদান ছিল না। বাঞ্ছারামপুরের বেশ কয়েক জন ছিলেন, তাঁরা হলেন সর্বজনাব আবু বকর, সৈনিক আবদুস সোবহান এবং আরও অনেকে।
জনাব আবু বকর সাহেব ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের মেধাবী ছাত্র। দাদা হুজুর কেবলা (রহঃ) কে এক নজর দেখেই তিনি এ মহাপুরুষের পদতলে নিজেকে নিবেদন করে পড়ালেখার পাঠ চিরতরে চুকিয়ে দেন। হুজুর কেবলাও (রহঃ) তাঁকে নিরাশ করেননি। নিজ হাতে তাঁকে একজন সুযোগ্য সাগরিদ হিসেবে গড়ে তোলেন। পরে তিনি খিলাফেতের অমূল্য রত্ন লাভে গৌরবান্বিত হয়েছিলেন। বাঞ্ছারামপুরে তাঁর মাযারে প্রতিদিন বহু ভক্তের ভিড় জমে। তাঁকে আমি মামা বলে ডাকতাম। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করতেন।
সৈনিক আবদুস সোবহান বিগত কয়েক বছর আগে সুবেদার মেজর হিসেবে অবসর নিয়েছেন। সৈনিক আবদুস সোবহান সাহেব দায়ীত্ব পালন করতে গিয়ে একবার পাকিস্তানে যান। তখন তিনি দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) গ্রামের বাড়ী সফর করার সৌভাগ্য অর্জন করেন। এ বৃদ্ধ বয়সেও তিনি ঢাকা আঞ্জুমানের সকল কর্মসূচীতে তৎপর রয়েছেন। আল্লাহ্ পাক তাঁর সকল খেদমতকে কবুল করুন এবং তাঁর মত সৎ ও নিঃস্বার্থ কর্মবীরকে সুস্থ্যতার সাথে নেক হায়াত বখশিশ করুন! আমীন!!
এবার ঐ বাড়ীটার কথায় আসা যাক, যেখানে জমানার গাউস দাদা হুজুর কেবলা (রহঃ) আরাম করতেন। পাকা দেয়াল ঘেরা টিনশেড এ বাড়িতে ছিল মোটে ২টা কামরা, একটা বড় আর একটা ছোট। সাথে একফালি বারান্দা। মেঝে ভূমি থেকে প্রায় ৩/৪ ফুট উঁচু। উঠানামা করার জন্য এর নীচে ২/৩ ধাপ পাকা সিড়ি ছিল। তারপাশেই ছিল প্রায় ২০-৩০ হাত লম্বা খোলা আঙিনা। একটা সেকেলে ধরণের কাঁচা পায়খানা আর গোছলখানা ছিল বাড়ির উত্তর প্রান্তে। তাও বেশ উঁচুতে। খাবার ও অযু-গোছলের জন্য সরকারি লাইনের পানি সংগ্রহ করে তা জমিয়ে রাখা হত। পানির কাটতি হলে অনেক সময় ভিস্তী ওয়ালার মশক থেকে পানি কেনা হত। বর্তমানে দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) পবিত্র স্মৃতি মণ্ডিত ঐ কামরাটিকে সংস্কার করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কামরাটিতে দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) ব্যবহৃত একখানা কাঠের পালঙ্ক রাখা হয়েছে। যা দর্শনার্থী ও ভক্তদের জন্য সব সময় উম্মুক্ত।
দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা উপস্থিত সব ভাইয়েরা মিলে মিশে সমাধা করতেন। ঢাকার কর্মজীবী পীর ভাইয়েরা রোজ সকালে দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) সাথে ফজরের নামাজ আদায় করতেন। দাদা হুজুর কেবলা (রহঃ) প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর তাঁর প্রিয় মুরীদানদেরকে পবিত্র কুরআন-হাদীসের আলোকে ওয়াজ-নসীহত করতেন। তারপর কিছুক্ষণ তাসবীহ-তাহলীল পড়ে এশরাকের নামাজ আদায় করতেন। এরপর উপস্থিত ভাইদের পক্ষ থেকে সকালের নাস্তা পরিবেশন করা হত। সবাইকে একসাথে নিয়ে হুজুর কেবলা (রহঃ) নাস্তা গ্রহণ করতেন। একটা বড় থালায় করে হুজুর কেবলাকে (রহঃ) খাবার দেয়া হত। উপস্থিত মুরীদানদেরকে তিনি নিজের পাত থেকে খাবার তুলে দিতেন। এতে তাঁরা সবাই এ কথা মনে করতেন যে, হুজুর কেবলা (রহঃ) তাকেই যেন বেশী পছন্দ করেন। তিনি বলতেন, “বেটা খুব খাও, জ্বী ভরকে খাও”। এরপর সবাই যার যার কাজে চলে যেতেন। আর হুজুর কেবলা (রহঃ) বিশ্রামে যেতেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ অবশ্য দুপুরে এসে যোহরের নামাজে শরিক হতেন। যাবার সময় অনেকেই তাজা ফলমূল আর এটা ওটা হাদিয়া নিয়ে যেতেন। নামাজের পর চলতো দুপুরের খাবার পালা। তবে বেশির ভাগ লোকই মাগরিবের নামাজে শরিক হবার চেষ্টা করতেন। কেউ কেউ আবার এশার নামাজে এসে শরিক হতেন। এশার নামেজের পর রাতের খাবার পরিবেশিত হত। কেউ কেউ দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিজের বাসায় চলে যেতেন। আর বাকিরা ঘরের বারান্দায় কোন মতে রাত পার করে দিতেন।
দাদা হুজুর কেবলাকে (রহঃ) “পেশোয়ারী সাহেব” নামেই তখন সবাই একবাক্যে চিনত। “শাহানশাহে সিরিকোট” নামটি তখনো প্রচলিত হয় নাই। এ বিশেষণটা স্বাধীনতা উত্তর কালে প্রবর্তিত হয়েছে। ৮০ এর দশকে এটা বিপুল ভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে, যা আজো বহাল আছে।
উল্লেখ্য যে, স্বাধীনতা উত্তর কালে ৭০ এর দশকের শেষ দিকে খানকা শরীফের জন্য এ জায়গাটি কিনে দিয়েছেন দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) নৈকট্যপ্রাপ্ত অতি আদরের মুরিদ, চট্টগ্রামের চাঁদগাঁও নিবাসী স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, বিশিষ্ট দানবীর, জনাব আলহাজ আমিনুর রহমান আল কাদেরী (রহঃ) (১৯০৬-৮৩খৃঃ)। জায়গাটি ক্রয় করে তিনি সেটা খানকাহ’র নামে ওয়াকফ করে দেন। আমরা এ মহাপ্রাণ ব্যক্তিটির ঋণ পরম শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ ও স্বীকার করছি। মহান আল্লাহ্ পাক তাঁকে জান্নাতে সুউচ্চ মর্যাদার আসনে আসীন করুন! আমীন!!
আমরা আশা করবো আঞ্জুমান কতৃপক্ষ দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) পুণ্য স্মৃতি ধন্য এ পবিত্র খানকাটির যথাযথ সংরক্ষণ করবেন এবং দর্শনার্থীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির দিকে সুনজর দিবেন। এখানে একটা ছোট পাঠাগার গড়ে তোলা যায় কীনা তাও বিবেচনা করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। কারণ বাংলাদেশে এটাই দাদা হুজুর কেবলার (রহঃ) একমাত্র অক্ষত স্মৃতি চিহ্ন। আল্লাহ্ পাক আমদের সকলকে এ মহান অলি আল্লাহর নেক নযরে রাখুন! আমীন!! সুম্মা আমীন!!!
©somewhere in net ltd.