নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
রাহনুমায়ে শরীয়ত ও ত্বরীকত মুরশিদ-এ বরহক, আওলাদে রাসূল,গাউসে যমান হযরাতুল আল্লামা আলহাজ্ব হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ (রহমাতুল্লাহি আলাইহি) এর শৈশবের অলৌকিক পথচলা :
যেখানে দুই সমুদ্রের মিলনস্থল, সেখানেইই তো অতি মূল্যবান মণি-মুক্তার জন্ম উৎস। নবীবংশের মাসওয়ানী স্রোতধারা অধিকন্তু খাজা চৌহরভীর মাওয়াহেবে লাদুন্নিয়ার মহাস্রবণের সমন্বয় যেখানে সাধিত হয়েছে, সেখানে গাউসে যামান তৈয়্যব শাহ্ (রাএর মত মাতৃগর্ভের ওলীর জন্মই স্বাভাবিক।
এর সাক্ষী পাওয়া যায় তাঁর শৈশবের অলৌকিক আচরণে। জন্মের পর থেকে এরূপ অসংখ্য আচরণের মধ্যে অন্যতম হল :
এক.
ছয়-সাত মাসের শিশু তৈয়্যব শাহকে প্রচলিত ঐতিহ্য অনুসারে শিরনী খাওয়ানোর জন্য এসেছিলেন খলীফায়ে শাহ জিলান খাজা আবদুর রহমান চৌহরভী (রা। তিনি স্বাভাবিক নিয়মে বাচ্চার মুখে শিরনী বা ক্ষির তুলে না দিয়ে বললেন, “তৈয়্যব তুম নেহী খাতে তো হাম ভী নেহী খায়েঙ্গে”। সঙ্গে সঙ্গে মার্দাজাত ওলী শিশু তৈয়্যব শাহ্ (রা উত্তপ্ত শিরনীর বাটিতে হাত ঢুকিয়ে নিজে নিজে খাওয়া শুরু করে দিলেন। এ ঘটনা দেখে হতচকিত হয়ে যান উপস্থিত সকলে। যদিও বুঝতে বাকি ছিলনা, এ শিশু অন্য শিশুদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা এবং অলৌকিক যোগ্যতা সম্পন্ন।
দুই.
দু’বছর বয়সে আম্মাজানের কোলে ছটফট করছিলেন খাজা চৌহরভী (রা’র দরবারে। চৌহরভী (রা বললেন, “তৈয়্যব তুম বড়া হো গেয়া, দুধ মত পিও”। সাথে সাথে দুগ্ধ পোষ্য শিশু তৈয়্যব শান্ত হয়ে গেলেন এবং সেদিন থেকে আর কোন দিন নিজে দুধ পানের জন্য বিরক্ত করা তো দূরের কথা বরং আম্মাজান চেষ্টা করেও দুধ পান করাতে পারেননি। তিনি বলতেন, “বাজি নে মানা কিয়া, দুধ নেহী পিউঙ্গা।”
তিন.
চার-পাঁচ বছরের শিশু তৈয়্যব তাঁর আব্বা শাহেন শাহে সিরিকোটিকে বললেন, “বাজ্বী! নামায মে আপ আল্লাহ্ কো দেখতে হ্যাঁয়, মুঝেহ ভী দেখনা হ্যায়” এ ছোট্ট বাচ্চার উপলব্ধিতে আল্লাহ্ শোকরিয়া আদায় করে দু’হাত তুলে মুনাজাত করলেন হযরত সিরিকোটি (রা।
শৈশবে এ ধরনের অসংখ্য ঘটনা তাঁর জন্মগত বেলায়তের সাক্ষী হয়ে আছে, যা এ সংক্ষিপ্ত পরিসরে বর্ণনা দেওয়া সম্ভব নয়। হযরত সিরিকোটি (রা তাঁর এ সাহেবজাদা সম্পর্কে সব সময় বলতেন, “তৈয়্যব মাদারজাত ওলী হ্যায়, উসকা মকান বহু উচা হ্যায়।” আরো বলতেন, “একমাত্র গর্ভধারিনী আম্মাজানই তাঁর আধ্যাতিক অবস্থা সম্পর্কে ভাল জানেন।”
©somewhere in net ltd.