![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।
ধর্ম হচ্ছে মানুষের বিশ্বাস, ভালোবাসা আর আবেগের সবচেয়ে বড় জায়গা। সব ধর্মের মুল শিক্ষা হল স্রষ্টার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ, সৎভাবে চলা, কারো ক্ষতি না চাওয়া, কাউকেও দুঃখ না দেয়া, ইত্যাদ, ইত্যাদি। তাছাড়া কারো একান্ত ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত না দেয়াটাও কিন্তু শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে।
কিন্তু আজকাল ব্লগে বা ফেসবুকে আমরা এসব কী দেখছি?? সবার স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে পূঁজি করে অনেকে অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাস, ধর্মগ্রন্থ, ধর্ম প্রচারককে কটাক্ষ করে বিভিন্ন রকম পোষ্ট দিচ্ছেন। এতে উনারা কি আনন্দ পাচ্ছেন তা আমাদের বুঝে আসেনা। আমার মনে হয়, এর কারন হল, নিজেকে মহাজ্ঞানী আর আলট্রা মডার্ণ প্রমাণ করা, নিজ দেশে কোন কারনে বসবাস করা দুরূহ হয়ে গেলেও কিন্তু তারা এ কাজটা খুবই বিশ্বস্ততা আর মনোযোগ দিয়ে করেন। আর নিজেকে নাস্তিক প্রমাণ করে ইউরোপ-আমেরিকায় খুব সহজে এসাইলাম লাভের স্বস্তা ও ঘৃণ্য পন্থা অবলম্বন করেন।
আর একটা দল আছেন, তাঁরা কিন্তু একটা সুনিদির্ষ্ট এজেণ্ডা নিয়ে এগোন। আমেরিকার পলিটিক্যাল চাইল্ড সউদী আরব, ইহুদি/খৃষ্টানদের উস্কানি আর ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে টাকার লোভে এরা ইসলামের নবী-সাহাবী আর কুরআনকে নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তিকর পোষ্ট দেন। আর এ দেশের সহজ সরল মানুষগুলোকে ধর্মের ব্যাপারে উদাসীন আর সন্দেহে ফেলে দেন। একজন লোক নাস্তিক হতেই পারেন। সেটা কোন বড় বিষয় নয়। কিন্তু তিনি যখন অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করে কোন পোষ্ট দেন। তখন সেটা কিন্তু অন্যায় বা অপরাধের পর্যায়ে গিয়ে পড়ে। আর এটা করে ঐ ব্যক্তি তার কালিমাযুক্ত মনের নিচুতা, চিন্তার দৈন্য, মুর্খতা আর অশিষ্টতার পরিচয় দেন। কারন অন্যের ধর্মীয় বিশ্বাসকে আঘাত করা কখনও কোন সুস্থ মানুষের কাজ হতে পারে না।নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাসের চর্চা করা সব মানুষের মৌলিক অধিকার।এটা মানুষের মৌলিক অধিকার খর্ব করে।
বাক স্বাধীনতার মানে এটা নয় যে আপনি যা ইচ্ছা তা-ই বলবেন। অন্যের ধর্ম বিশ্বাসকে আঘাত করবেন। তাঁর ধর্মকে খাটো করবেন। যে কেউ-ই নাস্তিক বা কোন ধর্মে অবিশ্বাসী হতে পারেন। সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু অতি আধুনিকতার নামে ইহুদী বা নাসারাদের মত ইসলাম ধর্মের নামে অপপ্রচার বা বিভ্রান্তি ছড়াবার অধিকার কারো নেই। কিন্তু দুঃখের বিষয় আজকাল ইসলামকে নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ পোষ্ট দেয়াটা একরকম ফ্যাশন বা হিরোইযম হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া সত্যিকার ইতিহাস না জেনে আন্দাজি মন্তব্য করাটা ও কিন্তু কম দোষের নয়। তাই কোন পোষ্ট দেয়ার আগে নিজের ভাষাকে সংযত রাখুন। অন্যের বিশ্বাস কে শ্রদ্ধা করতে শিখুন। সবাইকে ধন্যবাদ।
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আপনার জানাটা যথার্থ। আসলে কোন ধর্মেই কাউকেও গালি দিতে বা হিংসা করা বা কাউকেও হত্যার অনুমতি দেয় না। বিপত্তিটা তখনই ঘটে যখন মানুষ ধর্মের মনগড়া ব্যাখ্যা দেয়।
আমার ব্লগে এসে পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।
১৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২
এস এম ইসমাঈল বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা জনাব সনেট কবি।
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ২:০৬
আরোগ্য বলেছেন: ভলো বলেছেন। অন্য ধর্মেরটা জানিনা তবে ইসলাম অন্য ধর্মকে গালি দিতে নিষেধ করে।