নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নতুনভাবে নিজের চিন্তার শক্তি আর ভাবনার বিশ্লেষণ করার সামর্থ অর্জনের জায়গা হল ব্লগ। বিচিত্র ভাবনারাশির আলোয় নিজেকে আলোড়িত আর আলোকিত করার উদ্দেশেই আমরা ব্লগে আসি। অবসর সময়টাকে ভালোভাবে কাটানোর জন্য এর চেয়ে মোক্ষম উপায় আর নেই। তদুপরি বিনোদন এখানে উপরি পাওনা

এস এম ইসমাঈল

মুক্তমনা, সকল রকমের সংস্কার মুক্ত, আমি ধর্মভীরু হলেও ধর্মান্ধতা আমাকে কখনো গ্রাস করে নিতে পারেনি।আমি সুস্থ্য চিন্তা আর মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী। আমার শক্তি আমার আবেগ আবার সে আবেগ-ই আমার বিশেষ দুর্বলতা। নেহায়েত সখের বশে এক আধটু কাব্য চর্চা করি, এই আর কি। প্রিয় বিষয় সাহিত্য, ইতিহাস, ধর্ম, সংগীত, দর্শন, দেশ ভ্রমন আর গোয়েন্দা সিরিজের বই পড়া।ভীষণ ভোজন রসিক আমি। জন্ম যদিও চট্টগ্রামে কিন্তু ঢাকা শহরেই লেখা পড়া আর বেড়ে উঠা। আমার জীবনের গল্প তাই আর দশ জনের মতো খুবই সাদামাটা।

এস এম ইসমাঈল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষ কেন শ্রেষ্ট?

১০ ই নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:২২

মহান আল্লাহ পাক জানেন, কিছু অসভ্য মানুষ হবে যারা আল্লাহকে মানবে না। সেজন্য তিনি ভাল মানুষ আর মন্দ মানুষের পরিচয় চিহ্ন উল্লেখ করেছেন। যারা মহান আল্লাহ পাককে অস্বীকার করবে তাদের লক্ষ্য করে তিনি বলেন, ''নিশ্চয় আসমান জমীন সৃষ্টি আর দিবারাত্রির আবর্তনের মধ্যে দৃষ্টিবান মানুষের জন্য নিদর্শন রয়েছে''। ''মানুষকে আল্লাহ্‌ খুব অল্প পরিমান জ্ঞান দিয়েছেন। খুব কম সংখ্যক মানুষই কৃ্তজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে''। মানুষকে দুর্বল ও বোকা বলা হয়েছে।আবার কিছু মানুষকে একবার পশুর ন্যায়, আবার পরবর্তী শব্দেই তাদেরকে পশুর চেয়েও নীচু স্তরের জীব বলা হয়েছে। আল্লাহ্‌ পাক আরও এরশাদ ফরমান, আমি কোন কিছুকেই অযথা সৃষ্টি করি নাই। যুক্তি বিদ্যায় মানুষরূপে গণ্য হবার জন্য দুটি অত্যাবশ্যক গুণের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে একটি হল জীবন আর আপরটা হল বিবেক। Animality + Rationality.পশুদের মাঝে জীবন বা animality থাকলেও বুদ্ধিমত্তা বা Rationlality গুণটা অনুপস্থিত। তাই মানবতাবোধ বা বিবেক বর্জিত মানুষকে সমাজে পশু বা জানোয়ার এর সাথে তুলনা করা হয়। দৈহিক শক্তি নয়, মানুষকে তার বুদ্ধিমত্তার জন্য অন্য সব জীব জন্তুর উপরে শ্রেষ্টত্ব দেয়া হয়েছে।

নিজের সৃজন নৈপূণ্যের কথা উল্লেখ করে আল্লাহ্‌ রাব্বুল ইজ্জত ঘোষণা করেন তুমি আমার সৃষ্টির দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখো, তোমার দৃষ্টি বার বার ব্যর্থ হয়েই ফিরে আসবে, কিন্তু তোমরা তাতে কোন খুঁত খুঁজে পাবে না।আল্লাহ্‌তায়ালা বার বার করে বলেছেন, তোমরা কী দেখতে পাও না, তোমরা কী বুজতে পার না? তোমাদের মাঝে কেউ কি আছ উপদেশ গ্রহণকারী? নাস্তিকদের উদ্দেশ্যে আল্লাহ্‌ সূরা আর রাহমানে বলেছেন, হে মানব ও জীন সম্প্রদায়! তোমাদের যদি সাধ্য থাকে তবে আমার গড়া জগত থেকে বেরিয়ে অন্যত্র চলে যাও। কিন্তু তোমরা তা করতে অক্ষম, যেখানেই তোমরা যাও না কেন, সেখানেই পাবে আমার রাজত্ব।

প্রত্যেকে তার তিল পরিমান ভাল কাজের পুরস্কার পাবে, ঠিক একই ভাবে প্রত্যেক এর তিল পরিমান মন্দ কাজের ফল তাকে বুঝিয়ে দেয়া হবে। সেদিন কারো প্রতি বিন্দু পরিমাণ অন্যায় বা অবিচার করা হবে না। মহান আল্লাহ্‌ পাক অতি সুক্ষ্ণ বিচারক।
মানুষকে বলা হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহ্‌ পাক দেখতে কেমন? তিনি কী কী উপাদানে তৈরী? এসব বিষয় নিয়ে একদম চিন্তা ভাবনা করবে না। কারন এ বিষয়ে তোমাদের সম্যক জ্ঞান না থাকার কারনে তোমরা খুব সহজেই বিভ্রান্তির শিকার হয়ে পড়বে। তার চেয়ে তোমরা বরং তাঁর বিভিন্ন গুণ বাচক নাম আর তাঁর অসামান্য সৃষ্টি কৌশল বিবেচনায় এনে তাঁর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব অনুধাবন করার চেষ্টা করো।
এবার আসুন সৃষ্টির খুঁত নিয়ে আলোচনা করা যাক। আল্লাহ্‌ পাক প্রতিটা জিনিষকে জোড়ায় জোড়ায় তৈরী করেছেন। যেমন মানুষের চোখ, কাং, হাত, পা কিডনি ইত্যাদি। এতে একটা অঙ্গে কোন সমস্যা দেখা দিলে, তার সঙ্গের অন্য অঙ্গটা দিয়ে কাজ চালাতে পারে। বোধ হয়, স্কুল জীবনে একটা কথা পড়েছিলাম। অমঙ্গলকে উড়াইয়া দিবার চেষ্টা করিও না, মঙ্গল সমেত উড়িয়া যাইবে। খুঁত আছে বলেই কিন্তু নিখুঁত জিনিষের এত দাম ও কদর। কালো আছে বলেই আলোর এতটা মূল্যায়ন করা হচ্ছে। আল্লাহ্‌ পাক চান আমরা যারা সুস্থ্য ও সবল ব্যক্তি আছি তারা যেন সমাজে যারা অসুস্থ্য, বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী লোক আছেন তাঁদের দেখে শোকর করতে শিখি, মানবতাবোধে উজ্জবীত হয়ে তাঁদের প্রতি সহানুভতিশীল হতে পারি। পোকা-মাকড়, কীট পতঙ্গ এসব কিছু সৃষ্টি করা হয়েছে প্রকৃ্তির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য। মানুষ যাতে নিরবছিন্ন সুখের কবলে নিজেদেরকে নিবেদন করে আল্লাহ্‌র রহমত ও স্মরণ থেকে বিমূখ হয়ে না যায়, সেজন্য।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.