নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন না স্মৃতি কোনটি নেবে বন্ধু.........

জন্মভূমি

জ্ঞানের কোন স্বত্ব থাকা উচিত নয় তাই আমার ব্লগের সকল লেখক স্বত্ব মানবতার জন্য । আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি এবং যারা সুন্দর স্বপ্ন দেখেতে পছন্দ করে তাদের ভালবাসি। মানুষ মূলত একা................... রাজার মত একা.................. আজ আমার প্রিয় দু'লাইন সবার জন্য লিখছি স্বপ্ন না স্মৃতি কোনটি নেবে বন্ধু------ দু'টিই কিন্তু সমানদূর...স্বপ্নের নেই কোন সীমানা...

জন্মভূমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আপনার দান করা এক (১) ব্যাগ রক্ত বাঁচাতে পারে চার(৪) জন মুর্মূষ রোগীর জীবন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:১৮

রক্ত দিন জীবন বাঁচান

আপনার দান করা এক (১) ব্যাগ রক্ত বাঁচাতে পারে চার(৪) জন মুমূর্ষ রোগীর জীবন।

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রতি বছরে রক্তের প্রয়োজন মাত্র ৪ লক্ষ ব্যাগ আর সিলেটে ১২-১৪ হাজার ব্যাগ। এই রক্তের বড় অংশ আসে পেশাদার রক্ত বিক্রেতার কাছ থেকে যা গ্রহণ করে আপনার মা/বাব/ভাই/বোন অথবা কোন আত্মীয়-স্বজন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে থাকেন। কিন্তু আজও আমরা মাত্র ১২-১৪ হাজার ব্যাগের চাহিদা পূরণ করতে পারছিনা।যে জাতি ভাষার জন্য রক্ত দিতে পারে সে জাতির মানুষ রক্তের জন্য মারা যেতে পারে না । আমাদের সচেতনতাই পারে জাতিকে এই কলংক থেকে মুক্তি দিতে।

কেন রক্ত দিবেন/ রক্ত দানে আপনার উপকারীতা কি :

১. রক্ত দান স্বাস্থের জন্য উপকারী।কারণ রক্ত দান করার সাথে সাথে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত “বোন ম্যারো” নতুন কনিকা তৈরীর জন্য উদ্দীপ্তত হয়।রক্ত দানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্ত কনিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে।

আর বছরে ৩বার রক্ত দান কারীর শরীওে লৌহিত কনিকা গুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়।

২. রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে।

৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীে বড় কোন রোগ আছে কি না।

যেমন:(ক)হেপাটাইটিস-বি (খ) হেপাটাইটিস-সি (গ)সিফিলিস (ঘ)এইচ. আই. ভি.(এইডস ) ইত্যাদি।

৪. ইংল্যেন্ড(লন্ডনে) মেডিক্যাল পরিসংখ্যানে দেখা গেছে,নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্ত দানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন।

৫. নিয়মিত রক্ত দানকারী হৃদরোগ রোগ ও হার্ট এ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম ।

৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্ত দান কওে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ এত বড় দান যা আর কোন ভাবেই সম্ভব নয় ।

৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পূণের বা সওয়াবের কাজ।(ক)পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২নং আয়াতে আছে “একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।”(খ) মহানবী (সা.)এর যুগে একজন পতিতা মহিলা ১টি কুকুরকে পানি পান করানোর জন্য তাকে বেহেশতী ঘোষনা করেছেন।

সুতরাং রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচালে এর চেয়ে কম সওয়াব হবে কি?

রক্তদানের যোগ্যতা কি:

১. ১৮-৬০বছর বয়সী সকল সুস্থ মানুষ রক্ত দান করতে পারেন।

২. ৪৫কেজির বেশি ওজনের সকল মানুষই রক্ত দান করতে পারেন।

৩. যিনি গত ৪ মাসের মধ্যে রক্তদান করেননি তিনি রক্ত দান করতে পারেন।

রক্তদান কখন করা যায়:

১. রক্তদান ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে কোন সময় করা যায়।

২. ভরাপেঠে খাওয়ার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পরে রক্ত দেয়া ভাল।

৩. খালিপেঠে না দিয়ে হালকা খাবার খেয়ে রক্ত দেয়া ভাল।

৪. রোজা মাসে দিনের বেলাও রক্ত দান করা যায়।

রক্ত নিতে যা আনতে হয়:

১. যদি আপনার (রোগীর)রক্তের কার্ড থাকে তবে তা সাথে আনতে হবে।

২. “রক্ত লাগবে ”এ কথা ডাক্তার বলে থাকলে লিখিত আনতে হবে।

৩. রোগীর রক্ত সাথে আনতে হবে (সিরিনজ/বোতলে করে)।

৪. কার্ড না থাকলে সার্ভিস চার্জ এর জন্য টাকা আনতে হবে।





সুতরাং নিজেকে সুস্থ রাখার জন্য নিয়মিত রক্ত দান অতন্ত্য জরুরী



যারা আমার এই লেখা ধৈর্য ধরে পড়েছেন তাদের সবাইকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ









মন্তব্য ২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১:৫৯

গরম কফি বলেছেন: ভাই আপনার প্রতি ধন্যবাদ নয় অফুরন্ত ভালবাসা।
আমি নিজে নিয়মিত রক্ত দেই সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছি:
আমি শারিরীক ও মানসিক ভাবে লাভবান হয়েছি।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ২:২৫

জন্মভূমি বলেছেন: ভাই আপনার প্রতি ধন্যবাদ ও রক্তিম ভালবাসা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.