নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মুক্ত খাঁচায় শিকল পরা পাখি।

"প্রিয়জন চলে গেলে মানুষই ব্যথিত হয়, আকাশ নির্বিকার, আকাশ কখনও নয়। তোমরা মানুষ, তাই সহজেই দুঃখ পাও, হে ঈশ্বর, আমাকে আকাশ করে দাও।"

মাসুদ হাসান_২৯

ছোটবেলায় অনেক বড় বড় স্বপ্ন দেখতাম।কিন্তু সময়ের গতির সাথে সাথে স্বপ্নের পরিধিও ততই তার সীমানা সংকুচিত করেছে।সংকোচনের মাত্রা লালিত স্বপ্নকে এতোটাই ক্ষুদ্র করেছে যে সব স্বপ্নগুলো আজ ছোট্ট একটি বৃত্তের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে গেছে।যে বৃত্তের পরিধি আর কেন্দ্র আলাদা করা সম্ভব নয়। https://twitter.com/smmasudhasan

মাসুদ হাসান_২৯ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবনার সমষ্টি

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:৪৫

মাঝে মাঝে মনের অনেক চিন্তার বহিঃপ্রকাশ অনেকভাবেই করি।একসময় অন্য ভাবনা বা ঘটনার আগমনে পুরানো সেই ভাবনা আর স্মৃতিগুলো অন্ধকারেই হারিয়ে যায়।তাই সব ভাবনার প্রকাশগুলো একসাথে নিবন্ধিত রাখলাম ডায়েরির একটি পাতা হিসেবে।



ফেব্রুয়ারী ৫-২০১১:



চলো আজ স্বপ্নের সিড়ি ভেঙ্গে স্বপ্নের চূড়ায় উঠি,

নতুনকে নয়, অতীতকে আবার দেখবো বলে ।

চলো সেই স্ব্প্নে আমরা হারিয়ে যাই,

কিছু পেতে নয়, অতীত ভুলগুলোকে শুধরে নিতে।



ফেব্রুয়ারী ১০-২০১১ :



আনন্দঘন কোনো আয়োজনে,আবার হারিয়ে যেতে চাই।

সকল বেদনাকে চূর্ণ করে ।।

বন্ধুত্ত্বের মাঝে খুঁজে নিতে চাই,

কোনো এক অজানা সুখের অধ্যায় ।



ফেব্রুয়ারী ২৫-২০১১ :



মাঝে মাঝে অনেক ছোট ছোট কথা মনকে ভীষণভাবে আঘাত করে।



ফেব্রুয়ারী ২৫-২০১১ :



কিছু কথা কখনো বলা হয় না আর কিছু কথা বলেও কখনো বোঝানো যায় না।



এপ্রিল ২৩-১০১১ :



মৌনতা কি সমাপ্তি?

মৌনতা হয়ত কারো অপারগতা।

মৌনতা কি ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ?

হয়ত মৌনতা কারো লালিত কষ্ট।



এপ্রিল ২৭-১০১১ :





দুঃখগুলোকে ভস্মীভূত করেছি।

আনন্দের দিয়া জ্বলছে আজ এ প্রাণে

কে যেন বাশিঁ বাজায় মনের জানালায়,

আমি শুনে যাই সে সুর।

সুরের মূর্ছনায় ভেসে যাই আমি

আনন্দের ঝরণা যেন বহে আজ।



মে ২৪-২০১১ :





শূন্যতার মাঝে প্রাপ্তিকে খূঁজি

প্রাপ্তিকে যে আমি হারিয়েছি।



মে ২৫-২০১১ :



মৃদু সমীরণ,মেঘলা আকাশ।দূর আকাশের মাঝে ঝাপসা আলোর ছটা।আমি চেয়ে রই আকাশের পানে।ভাল লাগার এই তো সময়।



মে ২৮-২০১১ :



ভোরে প্রথম আলোয় বাংলার রুপ দেখেছি আজ।দেখেছি পাখির নীড় থেকে উড়ে আকাশে চলা।সবুজের সমারোহ আর মেঘলা শীতল অনুভূতি।



জুন ২০-২০১১:



এ এমন আলো যে আলো আলো ছড়াতে পারে না কিন্তু মনের আঙিনা ঠিকই আলোকিত করতে পারে।এমন কিছু অনুভূতি থাকে যা পঞ্চইন্দ্রিয় অনুভব করতে পারে না কিন্তু মনের ইন্দ্রিয়কে ঠিকই নাড়া দিতে পারে।



জুন ২১-২০১১ :



জীবনের এ সময় একদিন থেমে যাবে।লক্ষ্যে প্যেছানোর এ প্রতিযোগীতায় হয়ত জয়ী হব অথবা পথিমধ্যে সময় থেমে যাবে।তবুও হেঁটে যাই জীবনকে ভালবেসে,জীবনকে জয়ী করার প্রত্যয়ে।



জুন ২৯-২০১১ :



জীবনের সূচনা অনেক সহজ কিন্তু সমাপ্তি ?সে তো অনেক কঠিন। সেই কঠিনকে সহজ করতে জীবনকে বিস্তৃত করাই আমাদের কাজ।



জুন ৩০-২০১১ :



মন্দলাগাকে কেন্দ্র করে ভাল লাগার বৃত্তে আবর্তিত হচ্ছি।



জুলাই ৩১-২০১১ :



রাতের এ নীরবতার মাঝে দূরের এক অজানা শব্দও যেন অনেক চেনা মনে হয়।তিমির রাতের এ আঁধারের মাঝে জানালা দিয়ে চুপসে পরা হালকা আলোর ছটাকেও মনে হয় যেন আলোর মিছিল।না পাওয়া এ জীবনের মাঝে পাওয়ার ছোট্ট আশাটুকুকেও জীবনের অনেক বড় পাওয়া বলে মনে হয়।



অক্টোবর ১২-২০১১ :



আমার মাঝে আমারে খুঁজি।

বুঝিতে নাহি পাই।

অনেকে এসে আমারে বোঝায়্।

আমি কি আসলে তাই?



অক্টোবর ২২-২০১১ :



রুদ্ধ দ্বারে শত আঘাতেও তখন কপাট খোলনি ।

আজ মুক্ত হস্তে যা দিচ্ছ তা তো আমার পাওনা নয়,

আমার প্রাপ্তি।



নভেম্বর ১২-২০১১ :



পিপড়েরা দল বেধে অনেক দূরের পথ পাড়ি দেয় । এমন নয় যে তারা পথে কোন প্রতিবন্ধকতার সম্মুক্ষিণ হয় না আর এতে তারা বিচ্ছিন্ন হয় না ।কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পর তারা ঠিকই সবাই আবার তাদের পূর্বের অবস্থানে ফিরে আসে এবং দল বেধে তাদের গন্তব্যে পৌছায়...



নভেম্বর ১৭-২০১১ :



রেখেছিলো যে আপন তরে,যতন করে

ভাঙ্গিবে বলে অপর জনে ।

তাহা আজ ভাঙ্গিল নিজ হাতে



নভেম্বর ১৯-২০১১ :



মাঝে মাঝে চোখের অশ্রুজল না বলা আনন্দ প্রকাশ করে,

আবার কিছু হাসি নীরব দুঃখ বহন করে.



নভেম্বর ২৫-২০১১ :



আমার মাঝে আজ নেই যে আমি

আমি যে আজ অন্য আমি ।



ডিসেম্বর ২: ২০১১ :



আকাশে ঘুড়ি উড়ছে।রং বেরংয়ের ঘুড়ি,

লাল,নীল,হলুদ,বেগুনি।

ক্ষণিক পর সবই হারিয়ে গেল-

দিগন্তের শেষ সীমানায়।

শুধু পড়ে রইল হাতের মাঝে নাটাই খানি ।



ডিসেম্বর ১২:-২০১১ :



চেনা পথও আজ অচেনা ,

খোলা দরজা খোলা থেকেও রুদ্ধ।

তবুও হেঁটে চলি আবার চিনবো বলে,

আবার প্রবেশ করবো নব আঙ্গিকে।



ডিসেম্বর ২০:-২০১১ :



আমায় তুমি ভুল বুঝলে কারণ

তুমি নিজেকে অপরাধী ভাবতে রাজি নও ।

আমি সেই ভুল ভাঙ্গাবো না কারণ

তোমাকে অপরাধী রুপে দেখতে রাজি নই ।



ডিসেম্বর ২৪:-২০১১ :



জীবনের জমে থাকা সকল সুখ,

সকল দুঃখ এ উষ্ণতা লেগেছে ।

সব সুখ উড়ে গেল উষ্ণতায়,

দুঃখ সব পড়ে রইল মনের আঙ্গিনায় ।



ডিসেম্বর ২৬-২০১১ :



অনেক সময় পাড়ি দিয়েছি,অনেক সময় আরও পাড়ি দিতে হবে।ফেলে আসা সময়ে অনেক স্মৃতি জমেছিল।ইচ্ছে ছিল সেই স্মৃতিকে সঙ্গী করে বাকি পথ পাড়ি দিব।তা আর হলো না ।কিছু স্মৃতিকে ফেলে আসা পথের ধূলোয় মিশিয়ে দিয়ে যেতে হলো....



ডিসেম্বর ২৮-২০১১ :



চোখ বন্ধ করে না দেখে থাকা যায় কিন্তু হৃদয় এর অনুভূতিগুলোক অনুভব না করে থাকা যায় না



জানুয়ারী ১৪-২০১২ :



স্মৃতির পাতাগুলো ম্লান হয়ে গেছে।ঘুণে ধরেছে পাতাগুলোয়।তবুও ম্লান হয়ে যাওয়া স্মৃতির মাঝেও কিছু স্মৃতি অম্লান হয়ে আছে।সেই স্মৃতিগুলোকে ভাবনার নতুন আকাশে সরিয়ে ঘুণে ধরা স্মৃতির পাতাগুলোকে ছুড়ে ফেলে দিলাম…



জানুয়ারী ১৬-২০১২ :



আলো আর আঁধার একে অপরের শত্রু হতে পারে কিন্তু তাদের দুবেলার ক্ষণিকের মিলনটাই পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্ত



জানুয়ারী ১৭-২০১২ :



যাকে তুমি এক দিনের জন্য হলেও বন্ধু ভেবেছিলে তাকে আজীবন বন্ধু হিসেবেই ভেবো।হতে পারে সে তোমাকে বন্ধু ভাবে না।তাই বলে তাকে শত্রু ভেবে কখনো কষ্ট দিয়ো না।



জানুয়ারী ২০-২০১২ :



দিশেহারা ব্যকুল চিত্ত,

সন্ন্যাসীর ন্যায় ছন্নছাড়া ।



জানুয়ারী ২৮ -২০১২ :



বেদোনার নীল স্রোতধারা সমুদ্রে গিয়ে মিশেছে,কিন্তু বিশাল এই সমুদ্রের কাছে ক্ষীণ এই স্রোতধারার কোন মূল্যই যে নাই ।



জানুয়ারী ২৮-২০১২ :



যে গন্তব্যে যাব বলে এতদিন পথ খুঁজেছি,আজ আমি সেই পথে হাঁটছি।কিন্তু এই পথ আমার খুঁজে নেওয়া কোন পথ নয়।তাতে কি?অন্যের দেখিয়ে দেয়া পথ ধরে যদি আমি আমার গন্তব্যে পৌছতে পারি।



জানুয়ারী ৩০ -২০১২ :



যে আমারে চিনে তার কাছে আমি অনেক কিছু,

যে আমারে চিনে না তার কাছে আমি কিছুই না



ফেব্রুয়ারী ১ -২০১২ :



মানুষের মনের সকল ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দেয়া উচিত নয়।কারণ ইচ্ছাকৃত এই ইচ্ছাই বাস্তবে অনিচ্ছাকৃত অনেক ভুলের কারণ।যা আগে বহুবার করছি।সব ক্ষেত্রে এবং সকল পরিস্থিতিতে ইচ্ছার বহিঃপ্রকাশ সবার কাছে সমান মূল্যায়ন পায় না।



ফেব্রুয়ারী ১৬-২০১২ :



মানুষকে যতই বোঝান হোক না কেন সে ঠিকই ঐ কথার বিপরীতে তার পক্ষের কোন না কোন যুক্তি দ্বার করে ফেলে।হোক সেটা শুদ্ধ বা ভুল ।



ফেব্রুয়ারী ২৩-২০১২ :



বহুদিন পর ভোরবেলা আযানের ধ্বণি শুনতে পাচ্ছি।আবছা আলোয় ধীরে ধীরে প্রকৃতির জেগে ওঠা দেখছি।দূর থেকে ভেসে আসা আযানের শব্দ শুনতে অনেক ভালো লাগছে।অবেলায় ডাকতে থাকা কাকের যে কর্কশ ধ্বণি আমাদের বিরক্তির কারণ,ভোরে সেই ধ্বণিই যেন ভোরবেলাকে পূর্ণতা দান করেছে…



মার্চ ২৫ -২০১২ :



আধাঁরে প্রদীপ জ্বেলে হয়ত তোমাকে খুঁজিনি ।খোঁজা হয়নি কোন উজ্জ্বল দিবালোকে।তবে আমি তোমায় যেভাবে খুঁজি



আর কেও হয়ত এভাবে খুঁজে না।সবাই পাওয়ার জন্য খুঁজে ।আর আমি খুঁজি-



শুধু তোমার সুখটুকু দেখব বলে।আমার প্রাপ্য হয়ত এতটুকুই।



এপ্রিল ৫-২০১২ :



আমার ভাল লাগা সবটুকু সময় আজ তোমায় দিলাম।বিনিময়ে তোমার কষ্টের সবটুকু আমায় দিও।কষ্টগুলোক সুখ করে দিতে না পারি অন্তত ফেরত দিব না



এপ্রিল ৭-২০১২ :



এক পশলা বৃষ্টির যেমন করে প্রকৃতির সব তপ্ততা আর জমে থাকা ধূলো মুছে নিয়ে গেল তেমনি করে যদি হঠাৎ করে যদি কোথাও থেকে উড়ে আসা সামান্যটুকু সুখ মনের উপর আচ্ছাদিত কষ্টের আস্তরণকে মুছে দিয়ে যেত !!!



এপ্রিল ৮-২০১২ :



কাছের মানুষগুলোর যখন আরও কাছে আসে তখন খুব ছোট ছোট ভুলগুলো কেন জানি খারাপ লাগার অনেক বড় কারণ হয়ে দাড়ায়।পূর্বের আর পরের অবস্থানের অমিলই হয়ত এর কারণ।



এপ্রিল ১৩-২০১২ :



অনেক নতুন নতুন বিষয় শিখছি।এমন নয় যে ব্যাপারগুলো আদেৌ নতুন।জীবনে চলার পথে বহুবার ঘটেছে এমন।কিন্তু প্রতিবারই নতুন করে নতুন কিছু বুঝতে সক্ষম হচ্ছি।যা প্রথম ক্ষেত্রেই বোঝা উচিত ছিল।আসলে আমি সব কিছু একটু দেরিতেই বুঝি।প্রথম থেকেই বুঝতে পারার ক্ষমতা মানুষকে অনেক বিপদ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।।



এপ্রিল ১৫-২০১২ :



কবিতার প্রথম পঙ্কতিতে তোমায় নিয়ে লিখব ভেবেছিলাম,

কিন্তু তোমায় সেখানে স্থান দিতে পারিনি ।

শেষ প্রান্তে এসেও তোমায় নিয়ে কিছু লিখা হল না।

কথা দিলাম কোন একদিন তোমায় নিয়ে ,

শুধু তোমায় নিয়ে সম্পূর্ণ একটি কবিতা লিখব।



এপ্রিল ১৮ -২০১২ :



মনের এমন কিছু ভাবনা খাকে যার বহিঃপ্রকাশ করা অনেক ক্ষেত্রে কঠিন হয়ে পরে কিন্তু এই কারণে কেউ তাকে ভুল বুঝলে তখন তার কি আর করার খাকে ?



এপ্রিল ২১-২০১২ :



অরণ্যের মাঝে ছায়া ঘেরা সরু পথে,

চলার প্রতি পদে পদে-

ঝরে পরা শুকনো পাতাগুলো

পদতলে মর্মর ধ্বণি তুলছে ।

যেন তার শেষ অস্তিত্ত্বের কথা জানান দিচ্ছে।

আমার বিশ্বাস তোমার জীবনের সাথে

জড়িয়ে থাকা দুজনার স্মৃতিগুলো আমায়-

কখনোই মর্মর ধ্বণি শুনিয়ে নিঃশেষ হয়ে যাবে না।



এপ্রিল ২৫-২০১২ ;



তোমার চোখের নির্মল চাহনি,

ললাট কোণে উৎফুল্লতার মৃদু হাসি-

আর বিদায় লগনের শেষ বাক্য

"ভালো থেকো তুমি,আবার এসো"

শুধু সময়টুকুই বড় অল্প ছিল।



মে ১-২০১২ :



আবেগ আর অনুভূতি থাকে হৃদয় জুড়ে-

ঘৃণার পাশে ভালোবাসা একি ঘরে থাকে।

জীবনের সাথে ভুলগুলো থাকে মালা গেঁথে,

ভুলগুলোই সাজায় জীবন আগামীর পথে।



মে ৬-২০১২ :



মানুষের ফেলে আসা সময়টা যেন একটা বই।মাঝে মাঝে দমকা হাওয়ায কোন এক পৃষ্টা আমাদের চোখের সামনে নিয়ে আসে আর তা আমাদের হয় মনে করিয়ে দেয় কোন সুখের স্মৃতি অথবা দু:খের ।



মে ১০-২০১২ :



সাগরের বালির বুকে একটি নাম লিখেছিলাম।মুহূর্তেই মত্ত ঢেউ নামখানি তার আপন বক্ষে ছিনিয়ে নিয়ে গেল ।তারপর থেকেই সমুদ্রের প্রতিটি উত্তাল ঢেউয়ের গর্জনে হারিয়ে যাওয়া সেই নামখানি শুনতে পাই।



মে ১৩-২০১২ :



জীবনের এতটুকু সময়ে তোমায় খুব বেশী কিছু দিতে পারিনি ঠিকই কিন্তু তোমার মনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চাওয়াগুলো পূরণ করে তোমার মুখে যে হাসি ফোটাতে পেরেছি তাই জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি মনে হয়।যেভাবে আমায় তুমি না দেখে ভালবেসেছিলে তোমায় যেন তার চেয়ে ভালবাসা দিয়ে যেতে পারি এই আমি চাই।আমার জীবনের সবচেয়ে বেশী ভালবাসার মানুষ তুমি মা।



মে ২৭-২০১২ :



ধূলো জমা ডায়েরী খানি আজও পড়ে আছে।শুধু তার মাঝে লিখা কথাগুলো আপন চরিত্র হারিয়েছে।



মে ৩১ -২০১২ :



একি পথের পথিক দুজন।

ভিন্ন পথে,ভিন্ন লক্ষে।

যাত্রা শেষে একই পথে

ফিরব আপন নীড়ে।

ব্যস্ত জীবনের কিছুটা সময়

তবুও রেখো আমার তরে।



জুন ৪-২০১২ :



মেঘের পালকিতে করে ভাসব।

ধরণী যেখানে অন্ধকারে ঢাকা,

সেখানে একফালি চাঁদ থাকবে

মায়াবী আলোর আনন্দ বার্তা নিয়ে।



জুন ১৩-২০১২ :



আঁধারে কেটে গেল বহু সময় ।

লোকে বলে,"জ্বালো না কেন দিয়া ?"

তবে আসে নাক কেও জ্বালাইতে !

অপেক্ষার প্রহর গুনি,আস না কেন তুমি ?

তুমিহীনা আর কেবা জ্বালাইবে প্রাণের দিয়া ?



জুলাই ১২ -২০১২ :



ভাল লাগার সবটুকু সময় এক নিমিষেই উড়ে গেল।হাজারও আশা ভংঙ্গের পরও তবুও মানুষ আশা করে।কেন যে মানুষ আশা করে ?হয়ত ক্ষুদ্র আশা ভঙ্গের পরও বৃহৎ কোন প্রত্যাশায়।হতে পারে আমি তাদের কাছে ঢের বেশী কিছু চেয়েছি যা আমার চাওয়া কখনই উচিত হয়নি।



অক্টোবর ১৭-২০১২ :



রাতের ঐ গুমট আঁধারে বাতাসের অভিমানের নিশ্চুপ জেগে থাকা আর নিঃশ্বাসের ভারী শব্দের হয়ত একই রুপ ছিল।সময়ের সাথে সাথে আঁধার রাত শেষে আলোর মুখ দেখেছে,বাতাস ও তার অভিমান ভেঙ্গে আপন প্রবাহে প্রবাহিত হচ্ছে।শুধু বদলায়নি ভারী নিঃশ্বাসের কারণগুলো।



নভেম্ব ১৪-২০১২ :



চোখের আলোয় উদ্ভাসিত কিছু স্বপ্ন,

মনের পিঞ্জরে বাঁধা কিছু প্রশ্ন।

স্বপ্ন জাল বুনে আর প্রশ্ন জাল ছিড়ে।

তবু্ও স্বপ্ন অনুভূতি জাগায় মনেতে।

সন্ধ্যার আলোয় বিলীন হওয়া স্বপ্নগুলো,

ভুল করে আবার জড়াবো মায়ার চাদরে।



নভেম্বর ২৪-২০১২ :



নীরবতা বোঝেনা যেবা,

সরব কি বুঝিবে হায়।

কুঞ্জনে কুঞ্জিল আজি,

তবু বোঝেনা এ হৃদয়।



নভেম্বর ২৬-২০১২ :



মাথার শিয়রে চাঁদ,

তবু কেন অন্ধকার?

আমি চাঁদকে কাছে পেতে চেয়েছি,

তাই বলে আলোহীন এই চাঁদ !!!



তবে চাঁদ তুমি দূরেই থাকো,

তবু্ও আলো দিয়ে যাও।

আমি সেই আলোয় মুগ্ধ হই

চাঁদের আলোয় আর একটি

জোছনা রাতের গল্প লিখি।









( কষ্ট করে পড়ে আপনার মাথা গরম করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী )

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ ভোর ৬:৪৫

মুশাসি বলেছেন: আপনি কি নিয়মিত ডাইরী লিখেন?

এগুলো কি ডাইরীতে লিখে রাখাছিলো নাকি ফেবুর স্ট্যাটাসগুলো একত্রিত করলেন?

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩২

মাসুদ হাসান_২৯ বলেছেন: ডায়েরি লিখি তবে নিয়মিত না।বিশেষ বিশেষ সময়।

এগুলো সবই ফেবু থেকে দেয়া,কিছু ডায়েরি থেকে ফেবুতে দিয়েছিলাম।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৪৯

মুহাম্মদ ফজলুল হক বলেছেন: ভাইয়া, আপনার ষুদ্র ক্ষুদ্র ভাবনার সমষ্টি পড়লাম। বেশ ভালো লাগলো। চালিয়ে যান যান। B-) B-)

রুদ্ধ দ্বারে শত আঘাতেও তখন কপাট খোলনি ।
আজ মুক্ত হস্তে যা দিচ্ছ তা তো আমার পাওনা নয়,
আমার প্রাপ্তি।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:২৩

মাসুদ হাসান_২৯ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। :) :)
ভাগ্যিস আজাইরা এ লিখা পড়ে আপনার মাথা গরম হয়নাই সেজন্য নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাছি। =p~ =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.