নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
১৯১৪ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে মুসলমান শাসকদের অদূরদর্শিতা এবং ব্রিটিশদের ষড়যন্ত্রের কারণে তুরস্কে মুসলিম খিলাফত ভেঙ্গে যায়। ব্রিটিশ বাহিনী ১৯১৭ সালে ইরাক, সিনাই উপত্যকা, ফিলিস্তিন ও পবিত্র জেরুজালেম দখল করে নেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুর্কি অটোমান সাম্রাজ্যের পতনের পর প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিন সহ বেশিরভাগ আরব এলাকা চলে যায় ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের দখলে। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর তৎকালীন ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী আর্থার জেমস বালফোর ইহুদীবাদীদেরকে লেখা এক পত্রে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে একটি ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ঘোষণা করেন। কিন্তু ব্রিটিশরা চাইনি ইহুদীদের ইউরোপে জায়গা দিয়ে জঞ্জাল সৃষ্টি করতে। কারণ তারা জানতো ইহুদীরা ঐতিহ্যগতভাবেই কূটকৌশলী। ইহুদীদের জন্য আলাদা একটি রাষ্ট্রের চিন্তা শুরু হলে পৃথিবীর কোন দেশ তাদের ভূখণ্ডে ইহুদীদের বসাতে রাজী হয়নি। তাই শেষ পর্যন্ত বেলফোর ঘোষণা অনুযায়ী ফিলিস্তিন এলাকায় ইহুদিদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রে গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ইহুদীদের আলাদা রাষ্ট্রের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হওয়ার পর বিপুল সংখ্যক ইহুদি ইউরোপ থেকে ফিলিস্তিনে এসে বসতি স্থাপন করতে শুরু করে।
দুর্বল শক্তির কারণে প্রথম পর্যায় থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের মুসলমান রাষ্ট্র সমূহ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের গমনকে বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়। ইহুদীরা ফিলিস্তিন আসা শুরু করলে ১৯০৫ থেকে ১৯১৪ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা কয়েক হাজারে উন্নীত হয়। কিন্তু ১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০ হাজারে উন্নীত হয়। এরপর শুরু হয় বিশ্ব ইহুদীদের একত্রিত করার কাজ। মুসলমানদের নিয়ন্ত্রণ, তাদের শক্তি খর্ব, তাদের মাঝে অনৈক্য স্থাপন ও মুসলমানদের দমনের উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে প্রকাশ্যে ইহুদী অভিবাসীদের ধরে এনে ফিলিস্তিনে জড়ো করার কাজ শুরু করা হয়। ফলে ১৯১৯ থেকে ১৯২৩ সাল নাগাদ ফিলিস্তিনে ইহুদীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৩৫ হাজারে পৌঁছে যায়। ধীরে ধীরে ইসরাইল ইহুদীদের জন্য নিরপরাধ ও স্বাধীন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠার ফলে সেখানে ইহুদীর সংখ্যা দ্রুতই বৃদ্ধি পেতে থাকে। ১৯৩১ সালে ইহুদীদের সংখ্যা প্রায় ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজারে পৌঁছায় এবং ১৯৪৮ সালে সেখানে ইহুদীদের সংখ্যা ৬ লাখে উন্নীত হয়। ১৯১৮ সালে ব্রিটেনের সহযোগিতায় ইসরাইলের গুপ্ত ইহুদী বাহিনী "হাগানাহ" গঠিত হয়। এ বাহিনী ইহুদীবাদীদের অবৈধ রাষ্ট্র তৈরির কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে থাকে। প্রথম পর্যায়ে ফিলিস্তিনী জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদীবাদীদের সহায়তা করা হাগানাহ বাহিনীর দায়িত্ব হলেও পরবর্তীকালে তারা সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী বাহিনীতে পরিণত হয়। ফিলিস্তিনী জনগণের বাড়িঘর ও ক্ষেতখামার দখল করে তাদেরকে ফিলিস্তিন থেকে বিতাড়িত করা এবং বাজার ও রাস্তাঘাটসহ জনসমাবেশ স্থলে বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ফিলিস্তিনীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করা ছিল হাগানাহ বাহিনীর প্রধান কাজ।
মুসলমানদের প্রথম কিবলা বায়তুল মোকাদ্দাসকে কেন্দ্র করে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি একটি স্বাধীন ও একচ্ছত্র মুসলমানদের এলাকা হলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনী ভূখণ্ডকে দ্বিখণ্ডিত করা সংক্রান্ত ১৮১ নম্বর প্রস্তাব গৃহীত হয়। জাতিসংঘ ইহুদীদের ক্রীড়নকে পরিণত হয়ে মার্কিন ও ব্রিটেনের চক্রান্তকে সফল করার উদ্দেশ্যে সমগ্র মুসলিম বিশ্বের বিরোধিতাকে তোয়াক্কা না করে ফিলিস্তিনকে দ্বিখণ্ডিত করার প্রস্তাব পাশ করে। এই প্রস্তাব অনুসারে জাতিসংঘ মুসলমানদের প্রাণের মাতৃভূমির মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনীদের প্রদান করে এবং বাকি ৫৫ শতাংশ ভূমি জোর করে ইহুদীবাদীদের হাতে ছেড়ে দেয়। এভাবে ফিলিস্তিনের ভূমিকে জোর পূর্বক দখল করে গঠন করা হয় নতুন ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইল। ১৯৪৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল ছোট রাষ্ট্রগুলোকে চাপ দিতে থাকে জাতিসংঘে ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাইলের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য। মার্কিনদের প্রবল চাপ ও মুসলমানদের দুর্বলতার সুযোগে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরায়েলকে জাতিসংঘ ব্রিটেন থেকে স্বাধীনতা প্রদান করে। স্বাধীনতা লাভ করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের সাহায্যে ইসরাইল অস্ত্র-শস্ত্র ও শক্তিতে পরাক্রমশালী হয়ে উঠে। যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ভূমি দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল সেই ফিলিস্তিনকে পরাধীন করে ফিলিস্তিনের বাকি ভূমিগুলোকেও দখলের পায়তারা করতে থাকে ইসরাইল। বিনা অপরাধে, বিনা উস্কানিতে ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষদের উপর হত্যাযজ্ঞ চালানো শুরু করে ইসরাইল। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলো মার্কিনীদের সেবা দাসে পরিণত হওয়ায় তারা ফিলিস্তিন সমস্যা নিয়ে খুব বেশী আন্দোলন মুখর হতে ব্যর্থ হয়।
অধিকাংশ মুসলিম দেশ ইসরাইলকে অপছন্দ করলেও অনেক মুসলিম রাষ্ট্র ইসরাইলকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতিও দেয়। ইসরাইলকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্রটি ছিল মিশর। ফিলিস্তিনি ভূমি জোর করে দখল করে ইসরাইল রাষ্ট্র গঠন করার পর থেকে ফিলিস্তিনিরা তাদের অধিকার আদায়ের চেষ্টা করে চলেছে। ১৯৬৪ সালে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনের সক্রিয় সংগঠন PLO প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বে দীর্ঘদিন স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে ফিলিস্তিনিরা। ইয়াসির আরাফাতের ইন্তেকালের পরও এখনো স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়ে চলেছে স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনীরা।
আমেরিকার মদদে ইসরাইল এতটাই শক্তিশালী যে, সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে ইসরাইলের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। ১৯৬৭ সালে ৬ দিনের যুদ্ধে সিনাই মরুভূমির পাশাপাশি সিরিয়ার গোলান মালভূমি, জর্দান নদীর পশ্চিম তীর, গাজা উপত্যকা এবং জেরুজালেমের পূর্ব অংশসহ অবশিষ্ট সকল ফিলিস্তিনী ভূখন্ড ইসরাইল দখল করে নেয়। ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেম জর্দানের নিয়ন্ত্রণে এবং গাজা উপত্যকা মিশরের অধীনে ছিল। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের ফলে জাতিসংঘের প্রস্তাবে মাত্র ৪৫ শতাংশ ফিলিস্তিনী ভূখন্ড নিয়ে যে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হওয়ার কথা ছিল, সে সম্ভাবনাটুকুও বিলীন হয়ে যায়।
বিশ্বের সকল ইহুদির ইসরায়েলের নাগরিকত্ব পাবার অধিকার আছে। তাই যেকোন ইহুদীই সে যে দেশের নাগরিক হউক না কেন তারা জানে যে অন্য কোন দেশ তাদের জায়গা দিক বা না দিক তারা ইসরায়েলের কাছে জায়গা পাবে, নাগরিকত্ব পাবে, ইসরায়েলে তাদের সকল অধিকার আছে। সেজন্য তারা ইসরায়েলের উন্নয়নে যেকোন ভাবে অর্থ সহযোগিতা করে থাকেন। ছবিতে যে কোম্পানি গুলো দেখছেন তারা হয়তো ইসরায়েলের নাও হতে পারে কিন্তু এগুলোর মালিকানা ইহুদিবাদী মানুষ। সে কারণে প্রত্যক্ষ ভাবে এসব কোম্পানির মালিকানা ইসরায়েলের না হলেও পরোক্ষ ভাবে এগুলো সবই ইসরায়েলের কোম্পানি। কারণ এসব কোম্পানির মালিকগণ ইসরায়েলের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
সারকথ হলো : প্যালেষ্টাইনীদের দূরদর্শিতার অভাবে মারাক্তক ভুল ছিল ৪৫ শতাংশ জমি নিয়ে স্বাধীনতা ঘোষনা না করা। তবে এতোদিন যা যা ঘটছে প্যালেষ্টাইনীদের সাথে তার পরিনাম হলো এই সাম্প্রতিক হামলা। নৃসংস এ হামলা ছাড়া আর কোন পথই খোলা রাখেনি ইসলাইল। (যদিও নৃশংসতা কখনই মঙ্গল বয়ে আনেনা) তারপরও প্যালেষ্টাইনে শান্তি ফিরে আসুক। প্যালেষ্টাইন ও ইসলাইল উভয়পক্ষই নিজ নিজ স্বার্থে শান্তির প্রক্রিয়া নিয়ে এক টেবিলে বসুক। যতদ্রুত বসবে ততই মঙ্গল।
১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পশ্চিমারা এই কারণেই জঞ্জাল ঝেটিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে দিয়েছে।
২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৩
কামাল১৮ বলেছেন: মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে পিছিয়ে ছিলো পশ্চিমাদের থেকে।জাতিয়তাবাদ ও রাষ্ট্র চিন্তার উদ্ভব সামন্তবাদ পতনের অন্যতম কারণ।সাম্রাজ্য ছিলো সামন্ত বাদের ফসল।পুঁজিবাদ আনে জাতিয়তাবাদ তৈরি হয় রাষ্ট্র। পতন হয় সাম্রাজ্যের।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মুসলিমরা জ্ঞান বিজ্ঞানে অনেক পিছিয়ে।
৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ফিলিস্তিন আর ইসরাইলের সামরিক ক্ষমতার ব্যবধান হল আকাশ আর পাতাল। এটার কারণেই ইসরাইলিরা এক সময় হয়তো পুরো ফিলিস্তিন দখল করে নিবে। আর আরব বিশ্ব সহ ধনী দেশগুলি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ইসরাইলকে সহযোগিতা করে যাবে। যার গায়ে জোর বেশী সেই জয়ী হবে। নৈতিকতা আর মানবতার কথা মাঝে মাঝে বলতে হয় তাই তারা বলে থাকে। এই সুরে তাল মিলিয়ে কিছু লোক বলার চেষ্টা করছে আর কত মার খাবি। অনেক মার তো খেয়েছিস। এখন হার মেনে নিয়ে ইসরাইলিদের বশ্যতা মেনে নে। ওদের গায়ে জোর বেশী, তোদের জায়গা দখল করলেও ওদের কথাই সঠিক। কেন বোকামি করছিস। আরও মার খেতে না চাইলে ভদ্র হয়ে যা। ইহাই উন্নত বিশ্বের মানবতা। ব্লগেও এই ধরণের মানবতার অনুসারী অনেক আছে।
ফিলিস্তিন সমস্যার মূল অপরাধী হল আরব বিশ্ব। এরা এক হলে ইসরাইল বা অ্যামেরিকা কিছুই করতে পারতো না।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইসরাইল গাজার ঘনবসতি এলাকায় বিমান হামলার আগে ১০ মিনিট আগে স্থানীয় বেতারে নোটিস পাঠায় লোকজন সরে যাওয়ার জন্য, এমনকি বিল্ডিং সুপারভাইজারকে পর্যন্ত ফোন করা হয়। এরপরও সাবধানতার জন্য যে বিল্ডিয়ে মিসাইল বা বোমা মারবে সেটাতে আঘাতের ৪-৫ মিনিট আগে একটি ফ্লেয়ার মারা হয়, যাতে আগে সবাই সাবধান হয়ে সরে যায়। যে কারনে এই বিশাল বোমা ফেলার পরও প্রাণহানি খুবই সামান্য। ২০১০ থেকে এরকমই দেখছি। এটাই হলো ইসরাইলের মানবতা-----হাকা বৈশাখী
নিচে রাজীব দা বলেছেন, ইসলামে আদর্শ বলে যে কিছু হয় না তাই হামাস প্রমান করেছে। চোরের মতো ইসরায়েলে ঝটিকা আক্রমন, মহিলা সৈন্য বন্দী ও ধর্ষন, যা আধুনিক যদ্ধনীতির বিপরীতে অবস্থান।
৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: ইসলামে আদর্শ বলে যে কিছু হয় না তাই হামাস প্রমান করেছে। চোরের মতো ইসরায়েলে ঝটিকা আক্রমন, মহিলা সৈন্য বন্দী ও ধর্ষন, যা আধুনিক যদ্ধনীতির বিপরীতে অবস্থান।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ইসরাইল ফিলিস্থিনিদের ভুমি দখল করলো, তাদের উচ্ছেদ করলো, প্রতিদিন পাখির মতো গুলি করে মারছে এবং এখন লক্ষ লক্ষ আবাসিক ভবন ধ্বংস করছে-মাটির সংগে মিশে দিচ্ছে এবই যুদ্ধনীতির মধ্যে পড়ে তাই না?
৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আসলে সমস্যাটা হচ্ছে এই মূহুর্তে বিশ্বের ন্যায় অন্যায় মানবিকতাবাদ জঙ্গিবাদ প্রভৃতি শব্দগুলো মার্কিন ও তার মিত্রদের দেওয়া সন্ধ্যায় সংজ্ঞায়িত করতে হবে। ওদের দেখানো পথের বিরোধিতা করলেই বিপদ।
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মার্কিনীরা আফগানিস্থান ও ইরাক আক্রমনের পূর্বে (শুধুমাত্র ইসরাইল ফিলিস্থিনি সমস্যা ছাড়া) পৃথিবীতে এতো অস্থিরতা ছিলনা। এখন মনে হচ্ছে সবকিছুই ওদের মতো করে সংজ্ঞায়িত করতে হবে।
৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬
মহানব্যক্তি বলেছেন: ফিলিস্তানিদের উচিৎ অন্য দেশে হয় হিজরত করা। এটা ইসলাম সম্মত
১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এসব কোন কথা না।
৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: ”এখন কে ধরিবে হাল, কে তুলিবে পাল, কে দেখাবে পথ” ------- এমন কেউ নেই যে এই সময়ে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থেকে এই জটিল অবস্থার সমাধান করবে।
২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মধ্যপ্রাচ্যের শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা ও নারী পিপাসু এরা কোনদিন ঐক্য গড়তে পারবেনা পক্ষান্তরে ইহুদী খ্রিষ্টানরা ঐক্য হয়েছে ইদানীং হিন্দুরা সেই ঐক্যে তেল ঢালছে।
৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪১
বাউন্ডেলে বলেছেন: দুনিয়ার বেশিরভাগ বুদ্ধিজীবি মাথানষ্ট অবস্থায় আছে । স্বাধীনতাকামীরা সবসময়ই সব এলাকাতেই সন্ত্রাসী জঙ্গী। এটা গতানুগতিক ভাষা। প্রায় ১০০ বছরব্যাপি স্বাধীনতা যুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা নানা অজুহাতে পক্ষভারী করার কুটনীতি অব্যাহত রেখেছে। কখনো আরাবীয়,কখনো ধর্মীয়,কখনো ভাষাগত, কখনো মানবিক, কখনো ঐতিহাসিক। সেটেলার এবং স্থানীয়দের এই দ্বন্দে গত ১০০ বছরে বহু নিরাপরাধ নারী-শিশু মারা গেছে । পশ্চিমাদের পুশ করা এই সমস্যা তাদের দীর্ঘ পরিকল্পনার অংশ। বর্তমানে তা বিঁষফোড়ায় রুপ নিয়েছে । তারাও ওৎপ্রোতভাবে জড়িয়ে পড়েছে। মার্কিন আধিপত্যবাদকে বাধা দিতে গিয়ে রাশিয়া ইউক্রেনে গনহত্যার দায় এড়াতে পারে না। অনুরুপ ইসরাইলের অবস্থাও । তবে আপাত দৃষ্টিতে ঘটনাগুলোর জের ভালো পরিনতির দিকে যাচ্ছে না। এটা স্পষ্ট।
২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আদৌ এটার কোন সমাধান দেখা যাচ্ছেনা।
৯| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৭
বাউন্ডেলে বলেছেন: ৬০ হাজার মিলিশিয়া ভু-গর্ভে প্লাস হয়েছে। ইসরাইলীদের স্বপ্ন ভঙ্গের সময় হয়তো এসে গেছে।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হয়তো সেটাই ওদের নিয়তী।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১২
অরণি বলেছেন: Jewish refugees arrive in Palestine with a banner proclaiming : "The Germans destroyed our families and homes - don't you destroy our hopes" অথচ এই ইহুদীরাই আজকে বড় নিপীড়কের ভুমিকায় অবতীর্ন হয়েছে; উৎখাত করছে ফিলিস্থিনিদেরকে তাদের পৈতৃক ভিটেমাটি থেকে!!