নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
মানুষ বঙ্গবন্ধুর ওপর এতোই ত্যক্তবিরক্ত যে আজকাল অনেকেই অনেক কথা বলছে বা বলার সাহস পাচ্ছে। এর জন্য আম্লিগ ও হাসিনাই দায়ী। যেমন- বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্কুল (হাজারের কাছাকাছি), বঙ্গবন্ধু বন্দর, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু টাকা, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়াম, বঙ্গবন্ধু রোড, বঙ্গবন্ধু ধান, বঙ্গবন্ধু সেতু, বঙ্গবন্ধু কালভার্ট, বঙ্গবন্ধু হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু জাহাজ, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ জাহাজ, বঙ্গবন্ধু মেরিটাইম কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু ফ্লাইওভার ইত্যাদী ইত্যাদী ইত্যাদী ইত্যাদী। এছাড়াও তাদের পরিবারের নামে কয়েকশত প্রতিষ্ঠান।
তারপর কিছু দালাল শ্রেণি বঙ্গবন্ধুর নামে কয়েক হাজার বই লিখেছে যেগুলো একেবারেই অখাদ্য লেখা। এইসব অখাদ্য বই লিখে আখের গুছিয়ে। আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন অবস্থা সৃষ্টি করেছিল যে বঙ্গবন্ধু ছাড়া পুরো পৃথিবীতে আর কোন নেতা নেই বঙ্গবন্ধুই একমাত্র বিশ্বসেরা নেতা। অর্থাৎ আমরা যদি মুসলিম না হতাম তাহলে বঙ্গবন্ধুকে এতো দিনে ভগবান না হয় ইশ্বর বানিয়ে ফেলতো। এসব কর্মকান্ডই মানুষের মনে তিক্ততার সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ অত্যান্ত ক্ষুব্ধ এসব কর্মকান্ডে। যারফলে অনেকেই অনেক কথা বলছে।
আম্লিগ জাতিকে বিভক্ত করেছিল; মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি। তাদের মতের বিরদ্ধে গেলে বা তাদের স্বার্থে আঘাত লাগলেই তারা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, রাজাকার, আলবদর, আলশামস ইত্যাদি ট্যাগ লাগাতো। তারা মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ধারী পরিচয় দিত এবং যে যতবড় চেতনাবাজ ছিল সে তত বড় দেশের ক্ষতি করেছে, লুটপাট করেছে চেতনাকে সামনে রেখে। চেতনা ছিল তাদের অপকর্ম ঢাকার হাতিয়া।
তবে একটা কথা সত্য কিছু কিছু বিষয়ে জাতিকে অবশ্যই এক হতে হবে সেখানে বিরোধিতা করার কোন সুযোগ নেই। বঙ্গবন্ধুকে চিরভাস্বর রাখার জন্য তার নামে কোন বড় একটি প্রতিষ্ঠান রেখে বাকি সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং হাসিনা মাসিনার নাম মুছে ফেলতে হবে তাহলে হয়তো মানুষের মনের ক্ষোভ কমবে এবং বঙ্গবন্ধু চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জ্বী ভাই আপনার মতো আমিও তাই মনে করি। আম্লিগ বঙ্গবন্ধুকে সবচেয়ে বেশি ছোট করেছে।
২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৫
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপনার সাথে একমত। সুন্দর লিখেছেন। এগুলো বেশীর ভাগ বাঙালীর মনের কথা
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমিও তো আপনার মতো একজন বাঙালী। আমরা দেশের প্রকৃত অবস্থা বুঝি কিন্তু ওরা ক্ষমতার বলয়ে থেকে জনগনকে বুঝতে পারেনি।
৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
অরণি বলেছেন: আওয়ামীলীগ বঙ্গবন্ধুরে নিচে নামিয়েছে। তারা সবসময় বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু বঙ্গবন্ধু ছাড়া কিছু্ই বলতোনা। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে সবই নাকি বঙ্গবন্ধু স্বপ্নে দেখেছিলেন-এটা বোন কথা হলো? তাহলে হাসিনার পতনটাও বঙ্গবন্ধু স্বপ্নে দিখেছেলেন?
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মনে হয় হাসিনার পতনও বঙ্গবন্ধু স্বপ্নে দিখেছেলেন। তাহলে ওদের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না; তাই না?
৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫০
অরণি বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নেও তো ওদের সমস্যা দেখছি। বঙ্গবন্ধু যেটা স্বপ্নে দেখেছেন সেটা নিয়ে তাদের ক্ষোভ থাকার কথানা। কিন্তু এখানেও তাদের সমস্যা!
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: স্বার্থের বেলায় ওরা স্বপ্ন টপ্ন মানেনা।
৫| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৫৫
পুরানমানব বলেছেন: ৭২ -৭৫ আমার চাইতে আপনার ভালো জানার কথা জনাব। তারপরও এই স্বৈরাচারকে নিয়ে আপনার এহেন লেখায় আমি মর্মাহত হইলাম। স্বৈরাচারকে স্বৈরাচার বলা শিখুন অথচ আপনি আবার প্রতিষ্ঠান তৈরী করতে বলিতেছেন।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ঐ সময়টা ছিল বাংলাদেশের জন্য ভয়াবহ যেটা ভোলার মত নয়। স্বাধীনতায় তার অবদান ছিল সেটাও অস্বীকার করা যায়না।
৬| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মুজিব গণতন্ত্রের কথা বলে বাকশাল কায়েম করেছিল ঠিক তেমনি গণহত্যাকারী হাসিনাও গণতন্ত্রের কথা বলে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিল। মুজিব এখন দেবতা হয়ে গেছে।
১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মুজিব তো প্রথমে দেশের স্বাধীনতাই চায়নি তিনি চেয়েছিলেন স্বায়ত্বশাসন যার শাসনভার থাকবে মুজিবে হাতে।
৭| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
আজব লিংকন বলেছেন: বঙ্গবন্ধুকে চিরভাস্বর রাখার জন্য তার নামে কোন বড় একটি প্রতিষ্ঠান রেখে বাকি সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম এবং হাসিনা হাসিনার নাম মুছে ফেলতে হবে। তাহলে হয়তো মানুষের মনের ক্ষোভ কমবে এবং বঙ্গবন্ধু চিরঅম্লান হয়ে থাকবে।
সহমত।
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৮| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১১:৫১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: বঙ্গবন্ধুর প্রতি মানুষের যে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা ছিল, শেখ হাসিনা ও তার দল তা সমূলে বিনষ্ট করেছে। তাকে নিয়ে এত বেশি মাতামাতি করা হচ্ছিল যে তা কোনো স্কেলেই মাপে ধরা পড়তো না, ফলে মানুষের মনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি ভালোবাসার বদলে অভক্তির জন্ম হচ্ছিল।
আপনি লাস্ট প্যারায় যা বলেছেন, তা ঐতিহাসিক। সর্বান্তকরণে সমর্থন করি। শুধু বঙ্গবন্ধুই না, এদেশের সকল স্মরণীয় ব্যক্তির জন্যই এটা প্রযোজ্য হওয়া উচিত।
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একটা বিষয় হয়তো নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে নেতা যত বেশি চেতনার কথা বলে মুখে ফেনা তুলেছে সে তত বড় দূর্ণীতিবাজ ছিল। সেই সংগে আমিও সহমত পোষন করি আপনার কথার "শুধু বঙ্গবন্ধুই না, এদেশের সকল স্মরণীয় ব্যক্তির জন্যই এটা প্রযোজ্য হওয়া উচিত।"
৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তিনি সেই মানুষটি যাকে এখনো তাঁর বিরোধীরা বাঘের চেয়েও বেশী ভয় পায়।
ইহাই বাস্তবতা।
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাঁর উত্তরসূরীরা তাকে নিচে নামিয়েছে।
১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৯
রাজীব বলেছেন: জীবনের প্রথম চাকরীটা সরকারীই হতে হবে এমন কেন? আমি অনেককে দেখেছি যার ৩ বা ৪ নাম্বার চাকরী হচ্ছে সরকারী চাকরী। এর আগে তারা অন্য চাকরী করতো।
আগরতলায় পুজা হয়েছে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি পূজা করেছেন তো?
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
জুল ভার্ন বলেছেন: বংগবন্ধু নিঃসন্দেহে সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের, অথচ আওয়ামী লীগ, স্পেলালী হাসিনা তাকে আওয়ামী লীগের বংগবন্ধু বানিয়েছে এবং আমজনতার বংগবন্ধুকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তবে বংগবন্ধু আর দশটা মানুষের মতোই একজন, মহামানব নয়।