নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রকে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে কথাটি বলেছিলেন অত্যাধুনিক সিংগাপুরের উন্নয়নের কারিগর লি কুয়ান। ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরের প্রধান মন্ত্রি হন এবং ১৯৬৩ সালে মালয়েশিয়ার সঙ্গে যোগ দেয় সিঙ্গাপুর। কিন্তু আদর্শগত কারণে সেই মিলন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। ১৯৬৫ সালে স্বাধীন হয় দেশটি। অর্থাৎ ১৯৬৫ সাল থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ২৫ বছরে বিস্ময়করভাবে সিঙ্গাপুরকে বদলে দেন। অপরাধ ও দারিদ্র্যপীড়িত বন্দর-শহর থেকে সিঙ্গাপুরকে এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করেন।
আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি ১৯৭১ সালে অর্থাৎ গত ৫৩ বছরে আমাদের অবস্থা কেন বেহাল দশা? শুধু আমরা না ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের এমন অবস্থা কেন? এর অন্যতম কারণ হলো সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতি জাতীয়তাবাদ। এদুটিই অন্যয়নের জন্য প্রধান অন্তরাল। লি কুয়ান নতুন করে উদ্যোগ নেন সিঙ্গাপুরের সংস্কারে জন্য। উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন তিনি। বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ঐক্য বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে তিনি সরকারী আবাসনে জনসংখ্যার অনুপাতে ফ্ল্যাট ও এ্যাপার্টমেন্ট বরাদ্দ দিতেন, স্কুলেও ছাত্রছাত্রী ভর্তিহতো জনসংখ্যার অনুপাতে এবং বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে একদিন অন্যদের ধর্মীয় পোশাক পড়ে আসতে হলো। এতে করে সবাই সবাইকে বুঝতে পারতো এবং জানতে পারতো ফলে তাদের মধ্যে একতা, ঐক্য ও সম্পৃতি গড়ে উঠতো।
এরপর একই সংগে তিনি সিঙ্গাপুরকে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ রাষ্ট্রে পরিণত করতে উদ্যোগী হন। চুইংগাম ও দেয়াললিখন নিষিদ্ধ করা হয়। বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে তিনি নগর রাষ্ট্রটিকে সবুজায়ন করেন। অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিয়ে দেশ থেকে দুর্নীতির অভিশাপ মুক্ত করেন।
তিনি বলেন, আমরা অর্থনৈতিক অগ্রগতি করতে পারতাম না, যদি না আমরা মানুষের খুব ব্যক্তিগত বিষয়গুলোতে নাক না গলাতাম- কে আপনার প্রতিবেশি, আপনি কীভাবে জীবনযাপন করেন, আপনি যেসব শব্দ করেন, আপনি কীভাবে থুতু ফেলেন কিংবা আপনি কোন ভাষা ব্যবহার করেন। আমরা নির্ধারণ করি কোনটা সঠিক। এজন্যই লি কুয়ান বলেছিলেন উন্নয়নের জন্য রাষ্ট্রকে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হবে।
পরিশেষে এটাই বলা যায় যে, সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতি জাতীয়তাবাদ না রুখতে পারলে আমাদের উন্নয়ন অধরাই থেকে যাবে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:০২
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ জনগনের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে ফলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:১১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: মুসলিম হিন্দু খ্রিষ্টান বৌদ্ধ ও অন্যান্য জাতিগোষ্টি নিয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমতা ও ঐক্যের বিকল্প নেই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সমতা ও ঐক্যের বিকল্প নেই। সহমত
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশে জনগণের কথা চিন্তা করে এমন রাজনৈতিক দল একটিও নাই। যারা এবার আওয়ামী লীগকে খেদানোর মেইন ফোর্স তারা এই কাজ করেছে নিজেদের নেতাদের ঝুলানোর প্রতিশোধ নিতে। আবার হাম্বালীগের নেতাদের ঝুলানো হলে তাদের কচিকাঁচারা শুরু করবে ১০/১৫ বছর ধরে নতুন প্লান। এরপর একসময় জুলাই অভ্যুত্থানের মতো কোন কিছু আবার ঘটাইবে। ইহারা পরস্পরকে নিধনের রাজনীতি করে। জনগণ এদের কাছে গোণার বাইরে।
আমরা এদের নিয়োগ দিয়ে সংসদে পাঠাই আর তারা আমাদের টাকা লুটপাটের জন্য বেশি খচর ব্যয়ে বিল বানায়।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:৫৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি একটা কথায় বুঝিনা আমরা কেন সাম্প্রদায়িক হবো? সাম্প্রদায়িকতা ও কট্টরপন্থা না থাকলে এবং রাজনীতিকরা ভালো হলে আমরাও সিংগাপুর হতে পারতাম।
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:০০
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
আপনার লেখাগুলো সং গ্রহ করে রাখুন, বই আকারে বের করলে, লিলিপুটে পলিটিক্যাল সায়েন্সে পিএইচডি'তে টেক্ষট হিসেবে সুনাম পাবে।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লিলিপুটে পলিটিক্যাল সায়েন্সে আপনাকে পিএইচডি দেওয়ার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্ট।
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:১১
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
লি কুয়ানের কি পড়েছেন আপনি? কোন ভাষায়?
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হিব্রুভাষায় পড়েছি যেটা গুগল দিয়ে অনুবাদ করা; ভাবছিলাম আপনার কাছে সাহায্য নিবো ট্রান্সলেট করার জন্য কিন্তু তা হয়ে উঠেনি।
৬| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: এরকম পোষ্টে মন্তব্য করতে ভয় পাই। ক্ষমা করবেন। ক্ষমা প্রার্থী।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ক্ষমা করার কিছু নেই। ধন্যবাদ
৭| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৭
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মাঝে ( বেহাল অবস্হা ) ভারতকে কেন টেনেছেন? কারণ, ভারত নিয়ে আপনার সঠিক ধারণা নেই।
লি কুয়ানের সমস্যা ছিলো: সিংগাপুরের লোকজন ছিলো চোর-ডাকাত ও মাফিয়া।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারতের লোক এখনো কয়েকজন মিলে একসংগে উলঙ্গ হয়ে রাস্তায় হাগে তাই ভারতকে টেনেছি।
বাংলাদেশেও আম্লিগের লোকজনও ছিলো চোর-ডাকাত ও মাফিয়া। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ২৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার বিদেশে পাচার হয়েছে। বর্তমান বাজারদরে (প্রতি ডলারের দাম ১২০ টাকা) এর পরিমাণ ২৮ লাখ কোটি টাকা। এই হিসাবে প্রতিবছর গড়ে ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
লি কুয়ানের নাম নেয়া ঠিক হয়নি, আপনি উনার সম্পর্কে, উনার বই সম্পর্কে কিছু জানে বলে মনে হয় না; আপনার লেখা তা বলে না।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লি কুয়ানকে নিয়ে এখানে আপনি একটু লিখুন তাহলে আমারো জানা হলো সেই সংগে আরো অনেকেই জানতে পারবে।
৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫
অরণি বলেছেন: লি কুয়ান ছিলেন অত্যন্ত কঠোর শাসক কিন্তু দেশের জন্য ছিলেন একেবারে নিবেদিত।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শতভাগ সত্য কথা।
১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২০
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন যে, মুসলিম হিন্দু খ্রিষ্টান বৌদ্ধ ও অন্যান্য জাতিগোষ্টি নিয়ে একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমতা ও ঐক্যের বিকল্প নেই।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে সমতা ও ঐক্যের বিকল্প নেই।
১১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:১৫
কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মীয় সমস্যার চেয়ে বড় সমস্যা স্বাধীনতার পক্ষ বিপক্ষ সমস্য।যেটা জাতিকে দুই ভাগ করে রেখেছে।১৪ দল স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি।তাদের শাসনে ভুল থাকতে পারে সেটা অনেক বড় বিতর্ক।বর্তমানের শাসনতো আরো বড় ভুল।অনেকটা হিরক রাজার দেশ।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৫৭
রাসেল বলেছেন: সাম্প্রদায়িক সংঘাত ও অতিজাতীয়তাবাদ এর লক্ষ্য জনসাধারণকে ধোঁকা দেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত লাভ।