নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দিল্লির আশীর্বাদ পেতে যা দিয়েছে হাসিনা

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১০:৫২



‘ভারতকে যা দিয়েছি, সেটি তারা সারাজীবন মনে রাখবে’ উক্তিটি শেখ হাসিনার।


বাংলাদেশ-ভারত যুগ্ম-সীমান্ত নির্দেশাবলি-১৯৭৫ অনুযায়ী, উভয় দেশের শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংবলিত যে কোনো কাজ সম্পন্নের বিষয়ে সুস্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এছাড়া উভয় দেশের প্রয়োজনে শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করার ক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি নেওয়ার বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। ২০১০ সালের পর বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে বিদ্যমান চার হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে তিন হাজার ২৭১ কিলোমিটার এলাকায় ভারত সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করে শূন্য রেখার ১৫০ গজের মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে।

এখন বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে ভারত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিজিবি বাধা দিতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) শেখ হাসিনার আমলের চুক্তিগুলোর রেফারেন্স দিচ্ছে। ‘সীমান্তে শূন্য রেখার ভেতরে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের জন্য ২০১০ সালে শেখ হাসিনা ভারতের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন এবং পরবর্তী সময়ে ভারত ও বাংলাদেশ এ বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারকে সই করে।

শুধুমাত্র ক্ষমতার জন্য হেন কাজ নেই যে তা হাসিনা করেনি। হত্যা খুন ঘুম থেকে শুরু করে দেশ পর্যন্ত বিকিয়ে দিতে একটুও কার্পণ্যবোধ করেনি।
জানতে হলে পড়তে হবে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আওয়ামীলীগ ও হাসিনা বলেছিল ভারতকে ট্রানজিট দিলে যে আয় হবে তাতে বাংলাদেশ সিংগাপুর হয়ে যাবে। আশ্চর্যের বিষয় হলো বাংলাদেশ বাংলদেশই রয়ে গেলো কিন্তু সিংগাপুর আর হলোনা। :(

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:১৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সিংগাপুর হওয়া তো দুরের কথা আম্লিগের একমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ভারতের কাছে ট্রানজিটের মাসুল চাইতে নাকি লজ্জা লাগে। কি আশ্চর্য!

২| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:০৮

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শেখ পরিবারের রাজনীতি শেষ এটাই শেষ কথা। আর কোনদিন তারা রাজনীতিতে পুনর্বাসন হতে পারবে না। একটি দেশের ভূত-ভবিষ্যৎ সব নষ্ট করে দিয়ে গেছে এরা। নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসলে ঋণ পরিশোধের গহীন জঙ্গলে হারিয়ে যাবে। ডিসেম্বর মাসে যদি নির্বাচন হয় ক্ষমতায় বসেই নতুন সরকারকে বিশাল বিশাল লোনের ইন্সটলমেন্ট শোধের জন্য মাঠে নামতে হবে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:২১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: একদম ঠিক কথা বলেছেন। ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে যারাই ক্ষমতায় আসুক বিশাল আকৃতির ইন্সটলমেন্ট পরিশোধ করার জন্য তাদের অবস্থা বেগতিক হয়ে যাবে।

৩| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫০

পবন সরকার বলেছেন: এসব কথা বলা যাবে না আওয়ামীলীগ মাইন্ড করবে

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অলরেডী গোয়েবলস গোস্বা করেছে। :D

৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আপনি সীমান্ত খোলা রাখতে বলছেন?
কেন? গরু চুরি করার জন্য?
সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা বাংলাদেশেরই উচিত ছিল।
এতদিন করা হয়নি কেন?

ভারত সমগ্র সীমান্তে ৩০-৩৫ বছর আগেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে।
অল্প কিছু বাকি ছিল। বাকিটা এখন ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছে। এটা একটা ভালো কাজ করেছে। সোয়াবের কাজ করেছে। এটা বরং বাংলাদেশের বড় ঝামেলা মিটিলো, টাকা বাঁচলো। এখন সীমান্তে আর গরুচোররা ঢুকতে পারবে না।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:০০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যাক অবশেষে বিনোদনের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। গোয়েবলস অনেক আগে মারা গিয়েছে তার কাজটা আপনাকে করতে হচ্ছে; চলতে থাকনা আপনার এই বিনোদন। আমি আপনার ওপর মোটেও গোস্বা করিনি। গোস্বা করলে আপনার এই বিনোদন পাবো কীকরে?

৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: দেশপ্রেম কারে কয় এটাই দেখলাম
গণতন্ত্র বাদ দিয়ে একনাতন্ত্র
তারপর জানো কি দেখলাম?
মানুষ ভোট দিতে পারে না জোড় করে ক্ষমতা
শত শত মানুষ খুন গুম
তো এটা নাকি দেশপ্রেম--------

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: দারুণ কবিতা লিখেছে লিটন ভাই।

৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ১:০৪

ঊণকৌটী বলেছেন: ২০১০ সালের মার্চে দিল্লিতে বিএসএফ ও বিজিবি মহাপরিচালকদের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় তৎকালীন বিএসএফ ডিজি রামন শ্রীবাস্তব জানিয়েছিলেন, স্বরাষ্ট্রসচিবদের বৈঠকে বাংলাদেশ ভারতকে অনুমতি দিয়েছে যাতে সীমান্তের দেড়শো গজের মধ্যেও ভারত কাঁটাতারের বেড়া বসাতে পারবে ভারত। সেই যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর তৎকালীন প্রধান মইনুল ইসলামও। বিএসএফ প্রধানের কথায় তিনি সায় দিয়েছিলেন। এদিকে ভারত আসলে কাঁটাতারকে প্রতিরক্ষা কাঠামো হিসেবে দেখে না। শুধুমাত্র আন্তঃসীমানা অপরাধ ঠেকানোর উপায় হিসেবে কাঁটাতারকে দেখে ভারত। তাতে উভয় দিকেই লাভ মিলবে। তবে বিগত দিনে গরু পাচারকারীদের হয়েও গলা ফাটাতে শোনা গিয়েছে বিজিবিকে। সীমান্ত পার রু পাচার করতে গিয়ে বাংলাদেশি দুষ্কৃতী বিএসএফের গুলি খাওয়ায় প্রতিবাদ জানিয়েছিল বিজিবি। অনুপ্রবেশকারীদের ওপর বিএসএফের গুলি চালানোর প্রতিবাদেও সরব বাংলাদেশ। তারা যেন কার্যত অনুপ্রবেশের পক্ষেই গলা চড়াচ্ছে। এরই মাঝে ২০১০ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি প্রসঙ্গে মুখ খুলে কার্যত নিজেদের 'ভুল' মেনে নিলেন জাহাঙ্গির | তো আপনি চাইছেন সীমান্তে চোরা কারবার চলুক, গরু পাচার হোক|

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ দুপুর ২:৫১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সীমান্তের দেড়শো গজের মধ্যে ভারত কাঁটাতারের বেড়া বসাতে পারবে এই কথাটিকে কেন্দ্র করেই আমি বলেছি হাসিনা ক্ষমতার স্বার্থে সবই করতে পারে। আপনারা ওটাকে প্রতিরক্ষা কাঠামো হিবেবে না দেখলেও আমরা দেখি। আপনারা ওটা ১৫০ গজ দূরে করলে অসুবিধা কোথায়? আমারা চোরাচালানকারীদের উৎসাহ দেইনা। আপনারা গরু আনা বন্ধ করে আমাদেরই লাভ হয়েছে এখন অনেক ফার্ম গড়ে উঠেছে। গরু উৎপাদনে আমরা এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আগে আমাদের আমাদানী শুধুমাত্র ভারতমূখী ছিল এখন বহুমুখী হচ্ছে তাতে হঠাৎকরে কৃত্রিম সংকটা হবেনা।

আমরা চাচ্ছি আপনার আরো কঠোরভাবে ভিসা বন্ধ করে দেন আমাদের জন্য তাতে আমাদেরই পোয়াবারো হবে। যারা সর্দি লাগলেও ভারত যেত চিকিৎসার জন্য এখন তারা যায়না ভবিষ্যতে বড় কোন অসুখের জন্যও হয়তো মানুষ ভারতে যাবেনা। সেক্ষেত্রেও আমাদেরই লাভ।

২০১০ সালের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত চুক্তি কোন 'ভুল চুক্তি' ছিলোনা ওটা ছিল হাসিনার একটা গেম অর্থাৎ ভারত তোমরা যা খুশি নাও কিন্তু আমি বিনাভোটে যখন জয় দাবি করবো তার আগেই তোমরা আমাকে সমর্থন দিবা বলবা ভোট খুবই সুন্দর ও সঠিকপন্থায় হয়েছে। হাসিনার এই উদার দানের কারনেই ভারত সরকার বাংলাদেশে জনগনকে বাদদিয়ে হাসিনাকে বেছে নিয়েছে।

আমি যে লিঙ্কটা দিয়েছি ওটা একটু পড়ে দেখুন হাসিনা দেশের ১২টা বাজিয়ে কীভাবে আপনাদের স্বার্থরক্ষা করেছে।

৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:০০

অরণি বলেছেন: আদানীর বিদ্যুৎ আমদানী করতে প্রতিমাসে ৭০০ কোটি টাকা ক্ষতি! আওয়ামীরা কীভাবে দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করেছে!? হয়তো এখনো তারা গতানুগতিকভাবে বলবে এসব প্রপাগান্ডা বা অন্য কিছু।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৩:১০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এইসব চুক্তিই বলে দেয় হাসিনা দেশের ১২ টা বাজিয়ে কীভাবে ভারতে স্বার্থরক্ষা করেছে।

৮| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: উপুর করে ঢেলে দিয়েছেন আপা তার নব্য শ্বশুর বাড়ীকে - কারন তিনি জানতেন তিনি অচিরেই যাবেন শ্বশুরালয়ে পাকাপাকি ভাবে থাকতে।

১৯ শে জানুয়ারি, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লিঙ্ককে গিয়ে পড়ে দেখেন দেশের ১২টা কীভাবে বাজিয়েছে হাসিনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.