নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাস্তবতা নিয়ে কথা বলতে চাই।

সৈয়দ মশিউর রহমান

লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।

সৈয়দ মশিউর রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজনৈতিক জামায়াত করা কী পাপ না দেশবিরোধী?

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৫


(চুলকানী থাকলে এড়িয়ে চলুন / ট্যাগ লাগানোর আগে ভাবুন)

তকালীন সময়ে অর্থাৎ প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানিদের পরজিত হওয়া ও ১৯১৮ সালে জার্মানির রাজতন্ত্রের বিলোপ ইহুদিদের ষড়যন্ত্রের ফলেই সংঘটিত হয়েছিল বলে হিটলার বিশ্বাস করতেন। তাছাড়াও হিটলার ছেলেবেলায় ভিয়েনার একটি আর্ট স্কুলে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইহুদি শিক্ষার্থীদের জন্য বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছিলেন বলেই ইহুদিদের প্রতি এক ধরণের বিতৃষ্ণার জন্ম হয়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে হিটলারের নেতৃত্বাধীনে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত নাৎসি জার্মানি ও তার সহযোগীরা জার্মান অধিকৃত ইউরোপজুড়ে প্রায় ষাট লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করেছিলেন। যা হোলোকাস্ট নামে পরিচিত।

হোলোকাস্ট শব্দটি গ্রীক শব্দ। শতাব্দী ধরে হোলোকাস্ট সাধারণ ইংরেজি শব্দ ছিল যার অর্থ "আগুনের মাধ্যমে ধ্বংস বা বলিদান" বা রূপকভাবে "গণহত্যা"। ১৯৫০-এর দশকে হোলোকাস্ট একটি বিশেষ শব্দ হয়ে ওঠে এবং ইংরেজি ও অন্যান্য অনেক ভাষায় ইহুদিদের নাৎসি নির্মূল বর্ণনা করার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত সাধারণ শব্দ। অর্থাৎ ইহুদিদের ধ্বংসের জন্য ডিফল্ট শব্দ হয়ে ওঠে বা একচেটিয়াভাবে ইহুদি নিধনকে বোঝায়।

সুকৌশলে ইহুদিরা এটা করতে পেরেছিল সেই সংগে জার্মানদের মনে তারা প্রথিত করতে পেরেছে যে, ইহুদি নিধন অপরাধের কারণে জার্মানি তথা জার্মানদের পৃথিবী ধ্বংস পূর্বমূহুর্ত পর্যন্ত এর মাশুল দিতে হবে অর্থাৎ ইহুদিদের সকল অপকর্মের পক্ষে সাফাই গাইতে হবে, প্রশ্নহীনভাবে তাদেরকে আর্থিক, রাজনৈতিক, মনস্তাত্ত্বিক, আঞ্চলিক সাপোর্ট দিতে হবে, তাদের সকল অন্যায়কে সমর্থন করতে হবে এবং এর পক্ষে বিবৃতি দিতে হবে। ইহুদি বিদ্বেষ আইন প্রনয়ন করতে হবে অর্থাৎ ইহুদিরা হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল এবং এই হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠার সুফল এখন ইসরাইল পাচ্ছে।

ঠিক এমনি ভাবে---------
ভারত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশে একটা হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠা করেছিল। ভারতের হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র ছিল পাকিস্তান বিদ্বেষ, রাজাকার, আলবদর, আলসামস ইত্যাদি শব্দাবলিকে গালিতে রুপান্তর করা, আম্লিগ বা ভারতের বিরুদ্ধে থাকলেই স্বাধিনতার বিপক্ষের শক্তি বলা; পাকিস্তানে চলে যেতে বলা। জামায়াতে ইসলামী করা অন্যায় এবং দেশবিরোধী তকমা দেওয়া।


পনারা জানেন কী? ভারতের ডানপন্থী দলগুলোর মূল এজেন্ডাই হলো সংখ্যালঘুদের নানাভাবে কটুক্তি করা সেটা প্রধানমন্ত্রী, মূখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রী, জাতীয় পর্যায়ের থেকে আঞ্চলিক পর্যায়ের সব নেতারই প্রথম ও প্রধান কর্ম। পক্ষান্তরে কেউই বলতে পারবেনা যে জামায়াতের কোন জাতীয় নেতা রাজনৈতিক মঞ্চে সংখ্যালঘুদের কটুক্তি করে বক্তৃতা করেছে। তারপরও ভারতীয় হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠায় জামায়াত করা পাপ, অন্যায় ও দেশবিরোধী বলে প্রচারনা চালানো হয়।

লুনতো যদি জামায়াত ক্ষমতায় আসে (যেটা আপাতত সম্ভব নয়) তাহলে কী বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে পারবে (?) নাকি সেটা আদৌ সম্ভব?

ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার শোচনীয় পরাজয় ঘটেছিল তারপর কী উভয় দেশ বাকযুদ্ধে লিপ্ত ছিল? না তারা উভয়ই এখন ভালো মিত্র, ভালো বাণিজ্যিক অংশীদার ভিয়েতনাম ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১৩৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানী করেছে যা ৫ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ। আরো বহু উদাহরণ আছে যেখানে যুদ্ধে ইতিহাস নিয়ে কেউ ৫৫ বছর ধরে বাকযুদ্ধে লিপ্ত নেই।

শুধু আমরাই আছি কারণ ভারত পূর্ণমাত্রায় আম্লিগের মাধ্যমে হেজেমনি (Hegemony) প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিল।অর্থাৎ রাজনৈতিক জামায়াত করা পাপ, দেশবিরোধী কর্ম!

মন্তব্য ৫২ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৫২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:১৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ব্লগারের অনেকেই আছেন যে জামায়াত মানেই দেশ বিরোধী কর্মকান্ড, রাজাকার, আলবদর, আল সামস এবং দেশের স্বার্থ নিয়ে ভারতের বিপক্ষে কিছুই বলা যাবেনা তাহলেও তিনি রাজাকার, আলবদর ইত্যাদি ইত্যাদি সেই সংগে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি আরো কত কী!!

এই রকম লেখা আরো বেশি প্রয়োজন। যাতে মানুষের ভুল ভাংগে ভারতের হেজেমনি হ্রাস পায়।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২৮

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তারা আরো বলে যে, জামায়াত ক্ষমতায় এলে (যদিও তা আদৌ সম্ভব নয়) দেশ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেবে, কি হাস্যকর কথা! এরকম প্রচারণা যত বেশি হবে ভারতে স্বার্থ তত রক্ষিত হবে।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: একাত্তরে জামায়াত পাকিস্তানের পক্ষে ছিল এটা ইতিহাস। কিন্তু ২৬ মার্চ যখন জনগণ সরাসরি অস্ত্র হাতে নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করলো, তখনও যারা পাকিস্তানকে সমর্থন করেছিল, তারা আর রাজনীতি করেনি, তারা অপরাধ করেছে। এটাই সত্য এবং একে অস্বীকার করার মানে হচ্ছে শহীদদের রক্তের অবমাননা। জামায়াত কেবল তাত্ত্বিকভাবে বিভক্তির পক্ষে ছিল না, বরং ১৯৭১ সালে তারা সরাসরি রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসের মতো সহযোগী বাহিনী তৈরি করে হানাদারদের পক্ষে গণহত্যায় অংশ নেয়। সব কিছু ভারত-বিরোধিতা বা "ভারতীয় আধিপত্য" বলে চালিয়ে দিলে চলবে না।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি তাদের অপকর্মকে বৈধ্যতা দিচ্ছেনা; আমার মূল ফোকাস হলো ৫৫ বছর তো হলো এই নিয়ে মাড়ামাড়ি কামড়াকামড়ি আর কত? সম্পর্ক স্বাভাবিক করা উন্নতির মূলচাবিকাঠির একটি। সম্পর্ক স্বাভাবিক হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা কমবে। যত পাকিস্তান ভীতি বজায়ে রাখতে পারবে তত ভারত আধিপত্য ধরে রাখতে পারবে।

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: পূর্ব তিমুর স্বাধীনতার পক্ষে বিপক্ষে উভয়ই ছিল কিন্তু ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বাধীনতা লাভের পর সবাই এখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে সেখানে আমাদের মতো জুজুর ভয় নেই। পক্ষের শক্তি বিপক্ষের শক্তি নেই সবাই এখন এক হয়েছে।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমাদের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নিয়ে কামড়কামড়ি করতে করতে ৫৫ বছর পার হয়ে গেলে এখনো ঐক্যমত্যে পৌঁছিতে পারলাম না।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪০

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নিয়ে বিভক্তি করতে পারলে আম্লিগ তথা ভারতের লাভ ষোলআনা।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি নিয়ে বিভক্তি জিইয়ে রাখতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, শাহবাগ ইত্যাদির সৃষ্টি যাতে ভারতের হেজেমনি বজায়ে থাকে।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪১

পবন সরকার বলেছেন: হিন্দুদের পক্ষে বললে বিজেপি আর মুসলিমের পক্ষে বললে জামাত। জামাত মানুষ হত্যার বিপক্ষে বললেও সন্ত্রাসী সংগঠন আর বিজেপি মানুষ হত্যা করলেও শান্তিকামি।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হুম বিজেপি মানুষ হত্যা করলেও শান্তিকামি!!!

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫০

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



১৯৭১ সালে, আপনাদের পরিবার কাহাদের পক্ষে ছিলো: মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে, নাকি রাজকার বাহিনীর পক্ষে?

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৮

ওমর খাইয়াম বলেছেন:




লেখক বলেছেন: অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে।

-১৯৭১ সালে আপনার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিলো; এখন আপনি কোন পক্ষে আছেন?

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন কোন পক্ষ নেই, পক্ষের কোন সুযোগও নেই। বাংলাদেশের সবাই একপক্ষ সেটা হলো দেশের উন্নয়ন, শিক্ষা, দারিদ্র বিমোচন ইত্যাদি নিয়ে সবাই একসংগে কাজ করা।

৮| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৫৯

অরণি বলেছেন: প্রথম ছবিটাতে কী বোঝাচ্ছে?

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ছবিটা ডাকটিকিতে ছাপা হয়েছি। যুদ্ধরত সৈনিকে পিঠে ছুরি মারছে এক ইহুদি।

৯| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



আপনি এখন কোন পক্ষে নেই?
যেকোন ইডিয়ট আপনার পোষ্ট পড়লে বুঝতে পারবে যে, আপনি ১৯৭১ সালের রাজারকারের পক্ষের দল "জামায়াতের পক্ষে" কথা বলছেন!

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: না আমি জামায়াতের পক্ষে বলছিনা তাদের বিজ্ঞাপন করাও আমার কাজ না। আমি চেষ্টা করছি কীভাবে ভারত আমাদের ওপর হেজেমনি প্রতিষ্ঠা করেছিল এবং তাদের দোসররা এখনো সেই চেষ্টা করে চলছে।

১০| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৪

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



আপনার মতে, আজকে (২০২৫ সালে ) রাজাকর ও আলবদরদের কি নামে ডকার দরকার?

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাদেরকে আধিপত্য কায়েমকারীদের দোসর বা অন্যকিছু বলা যেতে পারে।

১১| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯

আমি নই বলেছেন: ৭১ এ জামাতের ভুমিকার জন্য জামাতকে ক্ষমা করা কঠিন, তাদের উচিৎ তাদের অপরাধ স্বীকার করে জাতীর কাছে ক্ষমা চাওয়া।

দেশের স্বার্থ থাকলে পাকিস্তানের সাথে বন্ধুত্বপুর্ন সম্পর্কে খারাপ কিছু দেখিনা। যদি মুক্তিযুদ্ধের কারনে পাকিস্থানের সাথে সম্পর্ক রাখা শহীদদের সাথে বেইমানি হয়, তাহলে কমনওয়েল্থ এ থাকা বা ইংল্যান্ডের সাথে সম্পর্ক রাখাওতো ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের শহীদদের সাথে বেইমানি।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:২৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমারো মতে তাদের ক্ষমা চাওয়া উচিত যাতে ভারতের হেজেমনি প্রতিষ্ঠা করার পথ বন্ধ হয়ে যায়।

১২| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৩৭

ওমর খাইয়াম বলেছেন:




ভারত হেজেমনি সৃষ্টি করার ফলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের এই অবস্হা, নাকি এই ২ দেশে মিলিটারী ক্যু হওয়ার কারণে এই অবস্হা্?

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: মিলিটারী ক্যুর জন্য পাকিস্তান শেষ আর ভারতীয় হেজেমনির কুশিলবদের কারণে বাংলাদেশ শেষ।

১৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৮

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ভারতীয় হেজেমনির মূল কুশিলব আওয়ামীলীগের কারণে দেশ ২৫/৩০ বছর পিছিয়ে গেছে।

০৭ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হাসিনাই ছিল ভারতের হেজেমনি প্রতিষ্ঠার মূল কুশিলব; হাসিনাসে সেইভাবেই ভারত তখন প্রস্তুত করেছিল।

১৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

ওমর খাইয়াম বলেছেন:



লেখক বলেছেন: মিলিটারী ক্যুর জন্য পাকিস্তান শেষ আর ভারতীয় হেজেমনির কুশিলবদের কারণে বাংলাদেশ শেষ।

-আপনি স্বীকার করল্বন যে, মিলিটারী ক্যু পাকিস্তানকে ফেইল দেশে পরিণত করেছে; বাংলাদেশের মিলিটারী ক্যুগুলো দেশের ক্ষতি করেনি?

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশে মিলিটারী ক্যুগুলোর চেয়েও বেশি ক্ষতি করে আম্লিগ; তারা দেশকে করদ রাজ্য করেছিল।

১৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:২৩

আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: পাকিস্তান ফেইল রাস্ট্র এটাও পাকিস্তান বিরোধীদের একটা হেজিমনী । পাকিস্তান পারমানবিক শক্তি সম্পন্ন একটি শক্তিশালী দেশ যাকে দেখে ভারতের মতো দেশ ভয়ে কাঁপে ...! লেখকের মতামত সঠিক, স্বাধীনতার ৫৫ বছর পর স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ বিতর্ক দেশকে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে- একথা যারা অস্বীকার করে তাদেরকে দেশের স্বার্থরোধী উজবুক ছাড়া আর কি নামে অভিহিত করা যেতে পারে ..!

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ৯:৫৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ করতে করতে ৫৫ বছর শেষ; এইভাবেই ভারত হেজেমনি প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে আম্লিগের মাধ্যমে।

১৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৮:৩২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলছেন, আমার মূল ফোকাস হলো ৫৫ বছর তো হলো এই নিয়ে মাড়ামাড়ি কামড়াকামড়ি আর কত? সম্পর্ক স্বাভাবিক করা উন্নতির মূলচাবিকাঠির একটি।
সম্পর্ক ভালো করতে হলে তো সেটা জামাতের পক্ষ থেকেই করতে হবে। জামাত পাকিস্তানের পক্ষে যে অবস্থান নিয়েছিল ১৯৭১ সালে তারা সেখান থেকে এখনো এক চুলও নড়েনি। বরং যারা মূলধারা রাজনীতির সাথে জামাতের রাজনীতিকে মার্জ করার জন্য চেষ্টা করেছে তাদেরকে দলের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বহিষ্কার করা হয়েছে।
আপনি কোন পক্ষেই নয় বলে আবার ৭১ প্রশ্নে আওয়ামী লীগের বিপক্ষে বলছেন আবার জামাতের পক্ষে বলছেন! আপনি যদি জামাতের রাজনীতির সাথে যুক্ত হয়ে থাকেন তাহলে জামাতকে রিফর্ম এর কথা বললে আপনাকে বহিষ্কার করা হবে।
আপনি কি রাজাকার, আল বদর, আলশামস এই শব্দগুলিকে গালি মনে করেন না! আপনি মনে না করলেও এ শব্দগুলি গালিই, সেটা জামাতের লোকেরাও স্বীকার করে! দেখবেন তাদেরকে এই শব্দগুলি বললে তারা এটা নিতে পারেনা! জামাতের মিজানুর রহমান আজহারী বলেছেন রাজাকার শব্দটি এক সময় গালি ছিল, এখন নাকি সেটা অ্যাওয়ার্ড হয়ে গেছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:১৩

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: অবৈধ আম্লিগ সরকার জামাতের বিচার করে ফাঁসি দিয়েছে শেখ মাফ করে দিয়েছে; এগুলো আম্লিগই করেছে তারপরও কী জামাত জাতে উঠে নি? নাকি আরো ৫৫ বছর রাজাকার, আল বদর, আলশামস নিয়ে কেটে যাবে?

১৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ৯:২২

নিমো বলেছেন: কৌতুকটা ভালো হয়েছে। আরও বেশি বেশি দিয়েন। এতে ব্লগের লুকিয়ে থাকা জা-শির কুকুরগুলোকে চিনতে পারব।

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:১৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ব্লগে যেমন জাশি কুকুর আছে তেমনি ব্লগে ভাদা কুকুর আছে। জাশিরা ভাদাকে চিনবে আবার ভাদারা জাশিকে চিনবে। এই ভাবেই আরো ৫৫ বছর চলতে থাক। ইহাই হলো ভারতীয় হেজেমনি।

১৮| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৪৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:



চোর মোনাইর পীর সাহেবের দল ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দলের সাথে একই প্লাটফর্মে এসেছেন। কথাটা কি সত্যি?

জামায়াত কি বাংলাদেশকে আফগানিস্তান করার পক্ষে?

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:১৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চর্ম নাই এর কথা জানিনা। জামাত কোন দিন ক্ষমতায় আসবে দেশও আফগান হবেনা।

১৯| ০৭ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:৫০

অপু তানভীর বলেছেন: পিনাকী গং এই ন্যারেটিভ খুব করে প্রতিষ্ঠা করার চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধকে তারা পুরোটাই ভারতের ষড়যন্ত্র বলে চালিয়ে দিচ্ছে।

বর্তমান জামাতের সাথে স্বাভাবিক সম্পর্ক তৈরি হতে পারে তবে আগে বর্তমান জামাতের সবাইকে মেনে নিতে হবে যে গোআজম রাজাকার ছিল, সাইদি, নিজামি, মুজাহিত এরা বাংলাদেশ বিরোধী ছিল। এটা বর্তমান জামাত মানে?

গোআজম মুজাহিদ নিজামি এরা পাকিস্তানপন্থী অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ বিরোধী। এই কথা আপনি মানেন তো?

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বিএনপি ও জাতীয় পার্টির কথা নাহয় বাদ দিলাম তাহলে এতোদিন কেন অবৈধ হাসিনা সরকার জোড় করে ক্ষমতায় থেকেও তাদের বিচার করলোনা কেন? নাকি আরো ৫৫ বছর এনিয়ে কাটাতে হবে?

২০| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১:০০

জিকোব্লগ বলেছেন:






১৯৭৪ সালের ২২-২৪ শে ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত ও.আই.সি.
সম্মেলনে বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধিত্বকারী দলের প্রধান হিসেবে
সেক মুজিব [তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী] পাকিস্থান সফর শেষে ঢাকায় ফিরে এলে
প্রখ্যাত ভারতীয় সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার তার একটি সাক্ষাতকার নেন।
পাকিস্তান বাংলাদেশে যে গণহত্যা আর ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছিল এবং যে উদাহরণ
তিনি এর আগেরবার দিয়েছিলেন তা স্মরণ করাবার জন্য কুলদীপ নায়ার যখন
তার কথায় বাধা দিলেন, তখন তিনি বললেন, “আমি সে সব কিছু ভুলে যেতে চাই।
আমি চাই আমার জনগণও সে সব কিছু ভুলে যাক। আমাদেরকে সব কিছু আবার
নতুন করে শুরু করতে হবে”।

২৭ জুন, ১৯৭৪ সালে পাকিস্থানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভূট্টো ৯৩
সদস্য বিশিষ্ট সরকারি প্রতিনিধি দল নিয়ে ঢাকায় এক রাষ্ট্রীয় সফরে আসে।

লোকালয়-জনপদে, নদীর পাড়ে জলে-জঙ্গলে, মাঠে-ঘাটে মানুষের শেয়াল কুকুরে
খাওয়া হাড়গোড় পড়ে ছিল। হরহামেশাই দেখা মিলতো শ্বাপদে টেনেহিঁচড়ে খাওয়া
খন্ড-বিখন্ড, ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ, খোঁজ মিলতো বধ্যভূমি কিংবা গণকবরের!

ঠিক এমন পরিস্থিতিতে, সাকুল্যে মুক্তিযুদ্ধের মাত্র আড়াই বছর পর বাংলাদেশের
বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক নেতা জুলফিকার
আলী ভূট্টো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহল থেকে আমন্ত্রণে বাংলাদেশে রাষ্ট্রীয় সফরে আসেন।

তার গাড়িতে ওড়ানো হয় বাঙালির রক্ত, শহীদদের আত্মাহুতি আর মা-বোনের
সম্ভ্রমের দামে কেনা স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা!
বিমান বন্দরে তাকে দেয়া হয় লাল গালিচা সংবর্ধনা! ২১বার তোপধ্বনি দেয়ার মাধ্যমে “
গার্ড অফ অনার” দিয়ে বুকে তাকে বুকে জড়িয়ে ধরে চুমোয় চুমোয় ভালবাসার আর্দ্রতা
আর উষ্ণতায় ভরিয়ে দেন বাংলাদেশের কিংবদন্তী নেতা সেক মুজিব।

- আপনার দরকার সেক মুজিব কুত্তা সেনাদের আবার ক্ষমতায় আনা, এর আগে ভূট্টোকে
চুমা দিয়েছিলো , এবার সব কিছু ভুলে জামায়াত কে চুমা দিবে নি।

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগে রাজাকার ইনপুট দিলে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায়------সাকাচৌ

২১| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ ভোর ৬:২৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

জামাত এখন ৫০% ক্ষমতায় আছে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৩৭

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন যদি শতভাগও থাকে তারপর জামাত কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবেনা।

২২| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:৪২

কাঁউটাল বলেছেন: মৌদুদিবাদ আর ইসলাম - এক না। জামাতকে আগে এইটা বুঝতে হবে। নাইলে জামাত সারাজীবন মাইরের উপরে থাকবে।

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৫

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: বাংলাদেশের বাস্তবতায় তাদের রাজনীতি করতে হবে নচেৎ বুমেরাং হয়ে যাবে।

২৩| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৫৯

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


উত্তর দেওয়ার জন্যে ধন্যবাদ।

চোর মোনাইর পীর সাহেবের দল বাংলাদেশকে আফগানিস্তান করার পক্ষে।

এই সম্পর্কে জামায়াতের মতামত কি? পক্ষে না বিপক্ষে?

০৮ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আমি তো জামাতে সদস্যও না তাই তাদের ভিতরের কথা বলতে পারবোনা।

২৪| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১০:০৮

অপু তানভীর বলেছেন: আওয়ামীলীগ বিচার করুক না করুক সেটার সাথে তো জামাতের অপকর্ম জায়েজ হয়ে যায় না। আপনি আমার সোজা প্রশ্নের জবাব দিলেন না।
গোআজম মুজাহিদ নিজামি এরা পাকিস্তানপন্থী অর্থ্যাৎ বাংলাদেশ বিরোধী। এই কথা আপনি মানেন তো?

০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সবাই মানে আমি কেন মানবোনা? না মানার কোন কারণ নেই?

২৫| ০৮ ই জুলাই, ২০২৫ রাত ১১:০৭

নিমো বলেছেন: আহারে!পাকিস্তানের হেজিমনির কুকুর এসেছে অন্য হেজিমনির আলাপ করতে।

০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আপনি ব্লগীয় নীতিমালা ২খ বার বার ভংগ করছেন; ইহা ব্যক্তি আক্রমন। আবারো এরকম মন্তব্যে রিপোর্ট করতে বাধ্য হবো।

২৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন ভারত খারাপ। পাকিস্তান ভালো?
নাকি অন্য কিছু বলতে চান?? সষ্ট করে বলুন।

০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৪৬

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: ভারত অবশ্যই খারাপ। পাকিস্তানও ভালো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.