![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
আপনি কি শত্রুর পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কি আপনার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শত্রুর পক্ষে কাজ করছেন? আপনি কীভাবে বুজবেন যে আপনি শত্রুর পক্ষে কাজ করছেন? যখন শত্রু আপনার প্রশংসা করছে তখন বুঝতে হবে আপনি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শত্রুর পক্ষে কাজ করছেন। আপনার স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়েছেন।
যাইহোক আসল কথায় আসি---
গত ৭ জুলাই রাজনৈতিক জামায়াত করা কী পাপ না দেশবিরোধী এবং ৬ জুলাই পাকিস্তান কেন বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে শিরোনামে দুটি পোস্ট দিয়েছিলাম অনেকেই পরোক্ষভাবে এবং কেউ প্রত্যক্ষ নির্লজ্জভাবে আমাকে জামায়াত শিবির তকমা দিয়েছে বা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অথচ আমার গোষ্টিতে কেউ কখনো জামায়াত শিবির করেছে বলে আমার জানা নেই। কিন্তু ফেসিবাদের নব্য দোসররা আমাকে পাকিস্তানে যেতে বলে যেটা গত ১৫/১৬ বছরজুড়ে তারা করে এসেছে।
গত ১৫/১৬ বছর আম্লিগ ও তাদের গুন্ডাবাহিনীর বিরুদ্ধে, ভারতের একচেটিয়া আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কথা বললেই তারা জামায়াত শিবির, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি, জঙ্গী ইত্যাদি তকমা দিতো এবং কথায় কথায় পাকিস্তানে চলে যেতে বলতো। এখন আবারো কেউ কেউ পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। এগুলো কিসের লক্ষণ? অথচ তারা ইউনিয়নের মেম্বার থেকে শুরু করে স্বয়ং প্রধান মন্ত্রী পর্যন্ত বিনা ভিসায় ভারতে অবস্থান করছে। একটা সরকারে সকলেই পালিয়ে যাওয়া ইতিহাসে প্রথম এবং মনে এটাই শেষ।
ভারত যে হেজেমনি প্রতিষ্ঠায় সফল এসব লক্ষণই তার প্রমান। এখান থেকেই বোঝা যায় ভারতীয় হেজেমনি কীভাবে কাজ করছে।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যুদ্ধ অপরাধী নেই বা জামায়াতের কেউ যুদ্ধ অপরাধ করেনি এই কথা আমি একবারো বলিনাই। আমার কথা হলো যুদ্ধ অপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলসামস, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি এনিয়ে তো ৫৫ বছর চলে গেলো আরো ৫৫ বছর কি আমরা এই নিয়েই গুতাগুতি করবো? ভারত এই সুযোগটাই নিচ্ছে। এই গুতাগুতি যতদিন থাকবে ততদিন ভারত তার আধিপত্য বজায়ে রাখতে পারবে। ভারত মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে বলে কী শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে করদ রাজ্য হয়ে সেই ঋণের মূল্য চোকাতে হবে? দেশীয় দালাল শ্রেণি তো তাই ভাবে!
২| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৫৯
কাঁউটাল বলেছেন: @সৈয়দ কুতুব, বাংলাদেশে তাইলে ভারতীয় দালাল নাই? ভারতীয় দালালরা বাংলাদেশে কিছু করে নাই?
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগের ম্যাক্সিমামই ভারতীয় দালাল।
৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
রবিন_২০২০ বলেছেন: বাস্তবতাকে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
কিন্তু এই ব্লগের আওয়ামী ইতরগুলো এটার মর্ম বুঝবেনা। এক্ষুনি হাজির হবে আপনাকে জা / শি কিংবা রাজাকার প্রমান করার জন্য। ওদের কাছে দেশের চাইতে দল বড় , দলের চাইতে বড়ো শেখের গুষ্টি। আর সবার চাইতে বড়ো ভারতের স্বার্থ।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আম্লিগের কাছে দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে হাসিনার গোষ্টি বড় এবং সবথেকে বেশি বড় ভারতের স্বার্থ।
৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৬
কাঁউটাল বলেছেন: ভঁড়ৎীয় দালালদের সবচেয়ে বড় লিটমাস্ট টেস্ট হল, এরা এখনও পাকিস্তানকে বাংলাদেশের শত্রু হিসাবে প্রচার করে। অথচ পাকিস্তান এখন ভারতের শত্রু, বাংলাদেশের না। বাংলাদেশের কোন ক্ষতি করার সক্ষমতা বা ইচ্ছা - কোনটাই পাকিস্তানের নাই।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: শতভাগ সত্য কথা।
৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮
কাঁউটাল বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে হাউয়ামী কুত্তারা বাংলাদেশকে ভঁড়ৎের করদরাজ্যে পরিণত করেছিল।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: তাদের একমাত্র লক্ষ করদ রাজ্য করা।
৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:২১
কাঁউটাল বলেছেন: সৈয়দ কু্তুবের আচরণে ভ্ঁড়ৎের দালালি প্রকাশ পেয়েছে। আপনি যখনই ভারতীয় হেজিমনির কথা বলবেন। ভঁড়ৎের ল্যাসপেন্সাররা ৫০ বছরের পুরাতন "রাজাকার" কাসুন্দি নিয়ে নৃত্যকলা আরম্ভ করবে।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যুদ্ধ অপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলসামস, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি এনিয়ে তো ৫৫ বছর চলে গেলো আরো ৫৫ বছর কি আমরা এই নিয়েই গুতাগুতি করবো?
৭| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৩৯
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সামান্য কিছুদিন ভাদা-দের ঘেউ ঘেউ বন্ধ ছিল এখন আবারো সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরা কোন কালেই বাংলাদেশের মঙ্গল চাহেনি এখনো চায়না। এদের কাছে দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে শেখের গুষ্টি বড় সবচয়ে বড় দাদাদের স্বার্থ।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: হুম তাদের কাছে দেশের চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে শেখের গুষ্টি বড় সবচয়ে বড় দাদাদের স্বার্থ।
৮| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৩
কাঁউটাল বলেছেন: লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। হাল ছাড়া যাবে না।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:২৮
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এক দালাল আমাকে পাকিস্তান পাঠাতে চায়।
৯| ০৯ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: যুদ্ধ অপরাধী নেই বা জামায়াতের কেউ যুদ্ধ অপরাধ করেনি এই কথা আমি একবারো বলিনাই। আমার কথা হলো যুদ্ধ অপরাধী, রাজাকার, আলবদর, আলসামস, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি এনিয়ে তো ৫৫ বছর চলে গেলো আরো ৫৫ বছর কি আমরা এই নিয়েই গুতাগুতি করবো? ভারত এই সুযোগটাই নিচ্ছে। এই গুতাগুতি যতদিন থাকবে ততদিন ভারত তার আধিপত্য বজায়ে রাখতে পারবে। ভারত মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করেছে বলে কী শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে করদ রাজ্য হয়ে সেই ঋণের মূল্য চোকাতে হবে? দেশীয় দালাল শ্রেণি তো তাই ভাবে!
ভারতীয় দালালের সংখ্যা অনেক এটা সত্যি। তবে ভারতের দোহাই দিয়ে জামাত/শিবিরের অপরাধ কম করে দেখা যাবেনা।
আমাদের দরকার দেশপ্রেমিক যারা বাংলাদেশের সার্থ নিয়ে ভাববে, কাজ করবে, ভারত বা পাকিস্তান কারুর দালালী করবেনা।
জামাত/শিবির প্রিতীর পেছনে পাকি প্রেম থাকে হৃদয়ের গহীনে।
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৩
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: গত ১৫/১৬ বছরে কেন আম্লিগ জামাত/শিবিরের বিচার করে স্বমূলে বিনাশ করলোনা? নাকি সেই জামাত শিবির জামাত শিবির করে আরো ৫৫ বছর কাটানোর অলিক স্বপ্নে বিভোর ছিল তারা?
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জুলাই, ২০২৫ সকাল ১১:৫১
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমার পরিবারে জামায়াতে ইসলামীর বহু বড় বড় নেতার সাথে আত্মীয়তা রয়েছে। নিজামী এবং মুজাহিদ—দুজনেই একসময় আমার চাচাতো বোনের বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন। আমি নিজে গিয়েছি তারেক মনোয়ারের ছেলের বাড়িতে। এত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও, আমার পরিবার জামায়াতকে সবসময়ই একটি দেশদ্রোহী দল বলে মনে করে।
আমার এক নিকটাত্মীয় ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা। ব্লগার ‘সোনাগাজী’ সম্ভবত এই নামটি সেই অঞ্চল থেকেই নিয়েছেন। আমাদেরও ঐ এলাকায় আত্মীয়স্বজন আছেন। সেই সূত্রে আমি একজন যুদ্ধাপরাধীর মুখে নিজ কণ্ঠে তাঁর অপরাধের বর্ণনা শুনেছি। আজও আফসোস হয়, যদি তখন রেকর্ডিং করতে পারতাম, তাহলে হয়তো আজ তার সাক্ষাৎকার ইউটিউবে বা সামুতে তুলে ধরতে পারতাম।
সোনাগাজী কুঠিরহাটের সাবেক চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক সম্পর্কে স্থানীয়রা একবাক্যে বলে—"উনি রাজাকার।" তাঁর মুখ থেকেই শুনেছি কীভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের পেরেক ঠুকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন চালানো হতো। এই ব্যক্তি তার এলাকায় জামায়াত-শিবির ক্যাডার তৈরি করেছেন। এরশাদের আমলে তিনি চেয়ারম্যান হন। ১৯৭১ সালে পরাজয়ের পর হিলটেক্স নামে এক স্থানে আত্মগোপনে যান, আর ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে ঘর থেকে বেরিয়ে ফের এলাকায় ফিরে আসেন এবং আরব দেশে যান। সেখান থেকে ফিরে পলিটিক্স শুরু করেন ।
এই মানুষগুলো শুধু ইতিহাস বিকৃতি করেনি, তারা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে বিষাক্ত করেছে। তারা ধর্মের নামে রাজনীতি করেছে, অথচ তাদের দলেই ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের সবচেয়ে করুণ দলিল।
‘আল-বদর’, ‘আল-শামস’ এসব শব্দ ভারতীয় হেজেমনি নয়, বরং এগুলোর জন্ম ও পরিচিতি পাকিস্তানের পৃষ্ঠপোষকতায়। এই নামগুলো দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী মিলিশিয়াদের সংগঠনের পরিচয় হিসেবে। জামায়াত এবং তাদের সশস্ত্র শাখাগুলো ইতিহাসে সেসব নামেই পরিচিত।