![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লিখতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে। রাজনীতি,সাংস্কৃতিক বা ধর্মের ব্যাপারে মতামতের ভিন্নতা থাকা সত্বেও মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে আক্রমনাত্বক বা উষ্কানীমূলক কিছু না লিখে সকলের সহনশীলতার পরিচয়ই লেখার উৎকর্ষ সাধনের একমাত্র হাতিয়ার। যদিও লেখার হাত পাকা না। বাংলা মাতৃভাষা হলেও বানানে হয় অনেক ভুল। তার পরেও চেষ্টা করছি কিছু লেখার। সত্য বলার মতো সাহসী লোকের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এখন দেখি সবাই দু'ধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছে। কেউ আওয়ামী লীগ কেউবা বিএনপি। সঙ্গত কারণেই লেখা হয়ে উঠে আওয়ামী পন্থী অথবা বিএনপি পন্থী। পন্থী নিয়ে লিখতে লিখতে আমরা মূল স্রোতধারা থেকে ছিটকে পড়ছি। কি লিখছি বোঝাই দায়। মনে হয় কোন দলকে গালি দিচ্ছি।
গত মে মাসে এনবিআর দুই ভাগ করে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও রাজস্ব নীতি নামে দুটি স্বতন্ত্র বিভাগ করে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। তা বাতিলের দাবিতে কলম বিরতিসহ নানা কর্মসূচিতে আন্দোলনে নামে অরাজকত সৃষ্টি করে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তাদের আন্দোলনের মধ্যে সরকারের তরফে বলা হয়, অধ্যাদেশ বাস্তবায়নে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। এরপর কাজে যোগ দিলেও আন্দোলনকারীরা এনবিআর চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবিতে অটল থাকেন এবং সংস্থার কার্যালয়ে তাকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করেন এবং তারা আরো আগ্রাসী হয়ে উঠে।
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ ব্যানারে তারা এনবিআরকে বিলুপ্ত করে দুটি আলাদা বিভাগ করার সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন। তারা আরো বলছেন তাদের মতামত উপেক্ষা করে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা আরো এককাঠি এগিয়ে প্রতীকী কাফনের কাপড় পরে প্রতিবাদ করছেন। এখানে কথা হলো তারা কেন সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে? তাদের তো চাকুরীচ্যুত করা হয়নি তাহলে কোন স্বার্থে তাদের এই বিরোধিতা?
গণহারে ক্ষমা প্রার্থনা-----
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ এর প্রথম সারির কয়েক জনকে যখন দুদক চিঠি ধরিয়ে দিলো তাদের অবৈধ সন্পদের তথ্য চেয়ে তখনই তাদের ডাইরিয়া শুরু হলো কেন? যেখানে কাফনের কাপড় পরে প্রস্তুত সেখানে সামান্য সম্পদের তথ্য চাইতেই কেন রণে ভঙ্গ দিলেন? তারা কী তাহলে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন যে দুদকের চিঠি পাওয়া মাত্রই দুহাটু ঠক ঠক করে কাঁপছে? আপামোর জনতা জানে যে এনবিআরের একজন পিয়নও কোটি টাকার মালিক, কমিশনাররা কেউ কেউ শত কোটি থেকে হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। আমরা আগওে দেখেছি মতিউর কীভাবে হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছিল!
মাফ চাইলেই কী মাফ করা সম্ভব-------
তারা যে অনৈতিক আন্দোলন করেছে যার ফলে দেশের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে সেই ক্ষতির দায়ভার কে নেবে? এখন সময় হয়েছে মিডিয়ার ফুটেজ দেখে তাদের আইনের আওতায় আনা। প্রত্যেকের অর্থাৎ এটুজেড সবার আয়ের তথ্য অনুসন্ধান করা, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা, চাকুরি চ্যুত করা এবং আইনের হাতে তুলে দিয়ে বিচারের মাধ্যমে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা। নাহলে ফেসিবাদের দোসরা আবারো সকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তার করবে।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:০০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এটাই মূল কারণ।
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:০৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ছাগল কান্ডে এক মতিউরের হাজার কোটি টাকা সম্পদের খোঁজ পাওয়া গিয়াছিল। ভাবা যায়!
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:১১
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এনবিআরে ১০০% সৎ লোক নেই।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪২
অরণি বলেছেন: তাদের সবাই অর্থাৎ পিয়ন থেকে শীর্ষকর্তা সবাই শত শত কোটি টাকার মালিক। এই টাকা কোথা থেকে আসে? সবারই সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করা উচিত।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ২:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: পিয়ন থেকে শীর্ষকর্তা সবাই সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করা উচিত।
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:০৭
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: এনবিআর এর সকল কর্মকতা কর্মচারী দুনীতিগ্রস্থ । দুনীতিকে তারা আর্টের পর্যায় নিয়ে গেছে । এনবিআরসহ সকল সরকারী কর্মকতা, কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নিকাশের পরেই তাদের চাকরি করতে দেওয়া উচিত ।
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ বিকাল ৪:৪৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আহ যেন আপনি আমার মনের কথাই বলেছেন! তাদের এটুজেড সবাই দুর্ণীতিগ্রস্থ।
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:২১
কামাল১৮ বলেছেন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিলে মনে হয়না বিএনপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
প্রচুর দুর্নীতি হয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ ট্যাক্সপেয়ারই ট্যাক্স সিস্টেম বুঝেন না। ফলে, মাঝখান থেকে উকিলরা এইসব কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে দুর্নীতি করতে সাহায্য করেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জুলাই, ২০২৫ দুপুর ১:৫২
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ঘুষ খাওয়া বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় আন্দোলনে নেমেছিল।