নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কক্ষমানব

সেলিম মোঃ রুম্মান

আমি একজন নিরাপদ ব্লগার

সেলিম মোঃ রুম্মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন সেনার চোখের জল ও মনের অনুভূতি

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩০





ধসে পড়া ভবনে আটকে পড়াদের

উদ্ধার কাজ চলছে। এর মধ্যেই

কপাল কুচকে, চোখ-নাক লাল

করে এদিক-ওদিক তাকাচ্ছেন এক

সেনা কর্মকর্তা। প্রথমে মনে হল

তিনি বিরক্ত। এরপর মনে হল কাজের চাপে ও

পরিশ্রমে চেহারা এমন হয়েছে।

কিন্তু কিছুক্ষণ

তাকিয়ে বোঝা গেল

প্রাণপণে কান্না চেপে আছেন

তিনি। যেদিকেই তাকাচ্ছেন মানুষের

কান্না, আর্তনাদ, আহাজারি,

দৃষ্টি বাঁচানোর কোনো সুযোগই

পাচ্ছেন না যেন তিনি।

মায়াচোখে প্রতিটি মানুষের

আহাজারি দেখছেন, সেই সঙ্গে কেঁপে উঠছে তার ঠোঁট,

নাকের ডগা আরো লাল হচ্ছে।

চোখে অশ্রুর ছোঁয়া লুকানোর

চেষ্টাও স্পষ্ট বোঝা যায়। চোখের সামনে সাহায্যপ্রার্থী

-মানুষ, কিন্তু বাঁচাতে পারছেন

না একসঙ্গে সবাইকে- এই কষ্টেই

যেন আরও ক্ষয় হচ্ছেন তিনি। “আপনি একজন আর্মি কর্মকর্তা,

আপনিও কাঁদছেন!” জবাবে নিরুত্তর তিনি।

অনুভূতি প্রকাশে যেন তার বাধা।

কিছুক্ষণ নীরব থেকে বলেন, “

‘আর্মিরা কি মানুষ না?’ ” এই কর্মকর্তাই শুধু নন।

সাভারে ধসে পড়া ভবন

রানা প্লাজায় উদ্ধার

কাজে ব্যস্ত অনেক সেনাসদস্যকেই

এভাবে কষ্ট লুকাতে দেখা গেছে।

নিজেদের দায়িত্ব পালনে ব্যস্ততার

পাশাপাশি সবটুকু মায়াই যেন

ঢেলে দিচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্তদের

প্রতি। আপনজনের খোঁজে আসা স্বজনদের

সঙ্গে তাদের ব্যবহারেও

ঝরছে মিষ্টতা।

সান্ত্বনা দিচ্ছেন মুখেও। এই

ব্যস্ততায়ও নারীদের

নিরাপত্তায় দিচ্ছেন বিশেষ মনোযোগ। ক্ষতিগ্রস্ত স্বজনদের

ধসে পড়া ভবন থেকে দূরে সরানোর

চেষ্টা করছেন

সেনাসদস্যরা কোমল ভাষায়। ‘বাচ্চাটারে দূরে নিয়া যানতো’ বছর দশেক বয়সের একটি শিশু

ধসে পড়া ভবনের পাশের

ভবনে খেলার উপযোগী কিছু

খোঁজাখুঁজি করছিল। নিরাপত্তার

কারণে এক সেনাসদস্য

তাকে বারবার সরে যেতে বললেও শিশুটি তার নিজের কাজেই

মনোযোগী। সেনাসদস্যটি আর

ধৈর্য্য রাখতে পারলেন না,

এদিকে শিশু বলে তাকে ধমকাতেও

যেন পারছিলেন না। তাই অন্য

একজন সদস্যকে বললেন, “বাচ্চাটারে দূরে নিয়ে যানতো। বলে নিজেই হাত

ধরে শিশুটিকে দূরে নিয়ে যান

তিনি। “ওনাকে একটু সান্ত্বনা দিন” ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি ও মানুষের

আহাজারিতে যেন কিছুটা বাকরুদ্ধ

দেখা গেল অন্য এক

সেনা কর্মকর্তাকে। কাজের

মধ্যেই সবার দিকে লক্ষ্য

রাখছিলেন তিনি। মাটিতে বসে হাউমাউ

কান্না করছেন এক তরুণী বধূ

স্বামীকে হারিয়ে।



-সংগৃহীত

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৩৪

আহলান বলেছেন: ........ সন্তান মোর মা‘র ...

২| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

তাসনুভা সাখাওয়াত বীথি বলেছেন: :(

৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: যে যে স্থানেই থাকুক সবার ভিতর কিন্তু একটা মন আছে

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

সেলিম মোঃ রুম্মান বলেছেন: সহমত

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:০১

অনেকের মধ্যে একজন বলেছেন: বৃষ্টি ভেজা সকাল ১১ বলেছেন: যে যে স্থানেই থাকুক সবার ভিতর কিন্তু একটা মন আছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.