নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কক্ষমানব

সেলিম মোঃ রুম্মান

আমি একজন নিরাপদ ব্লগার

সেলিম মোঃ রুম্মান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাবধান! ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না, প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবেই......

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

এই যে,

আপনাকে বলছি,

একটু শুনবেন?

৮০ ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরেও ৯ তলা ভবনের কংক্রিটের ভার বুকে নিয়ে কারা বেঁচে আছে?

কে দিল জন্ম এই ধ্বংসস্তুপের ভেতরে চাপা পড়েও - কয়েকজন নবজাতকের ?

কারা বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকতে স্বেচ্ছায় কাঠ কাটার করাত দিয়ে নিজের হাত কেটে বলার মত সাহস রাখে ?

কারা ভেতরে আটকে থেকে কলমে লিখেছে, “মা, দোআ কর... যদি আর না ফিরি”, কারা চার্জ ফুরিয়ে যাওয়া মোবাইলে বলার চেষ্টা করেছে বারংবার , “আমার সন্তানটাকে দেখে রেখো, ওর ভালো’র জন্যেইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখানে আসা!”

কে সে ? কংক্রিটচাপায় আটকে থেকেও বেঁচে থাকার শেষ লড়াই করে গেছে?

কারা নিদারুণ মরে যেতে যেতে আমাদের বেঁচে থাকা সুবিধাবাদিদের বিবেকে লাথি মেরে গেছে?

হাড়ভাঙ্গা খাটুনি আর আধাপেটা খাওয়ার পরেও কে দিয়েছে তাদের এত প্রাণশক্তি?



বলতে পারেন,

এই মানুষগুলোই কী দিনের পর দিন অমানুষিক সস্তা শ্রম দিয়ে সব কিছু সহ্য করে গার্মেন্টস্ মালিকদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে দিনে দিনে?

এরাই কী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরবে রোবটের মত শুধু চাকুরী বাঁচাতে মালিকপক্ষের লাটিপেটা খেতে খেতে ঢুকেছিল ওইদিন সকালে সেই মৃত্যুউপত্যাকায়?



অথবা,

নিজের বোনকে লাশ হয়ে ঝুলে থাকতে দেখেও কোন ছেলেটি উদ্ধার করে বের করে এনেছে ৮ জন জীবন্ত মানুষ?

কোন স্বার্থ নিয়ে ওই রাতেই গণজাগরণমঞ্চে রক্ত দিতে ছুটে গিয়েছিল হাজার হাজার তরুণ?

কিসের আসায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অশিক্ষিত-আধাশিক্ষিত অথবা ছাত্র অথবা গড়পরতা মানুষ ঢুকে ঢুকে বের করে আনছিল লাশ অথবা জীবন্ত কাউকে ?

কারা যোগাড় করেছিল ছোট ছোট অক্সিজেনের ক্যান, খাবার, টর্চ ?

কোন লোভে ফায়ার ব্রিগেডের কম বেতনের কর্মচারীটি দূর্গতদের উদ্ধার করতে করতে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল?

কিসের আসায় সেনাবাহিনীর এক সদস্য আহত হয়েও ফিরে যেতে চাইছিল বারবার সেই মৃত্যু গহ্বরে - “আমি কথা দিয়ে এসেছি ভেতরে আটকে থাকা কয়েকজনকে, আমাকে যেতেই হবে” এই আকুতি করে ?

চিকিৎসাবিদ্যায় পড়তে আসা কোন তরুণ অথবা তরুণী এই মানবিক বিপর্যয়ে মুমূর্ষ রোগীকে বাঁচাতে হয়ে উঠেছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডাক্তার ?



কী বলবেন ?

ভোটের জন্য?

সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য ?

রাজনৈতিক সুবিধায় আঙ্গুলফুলে কলাগাছ হওয়ার জন্য?



“না”

এই বিপুল প্রাণশক্তির কাছে

এই নজিরবিহীন মানবিকতার

এই সাহসের কাছে

এই বিবেকের কাছে

এসবই তুচ্ছ! তুচ্ছাতিতুচ্ছ !!



সাবধান, রাজনীতিবিদগণ

সাবধান, অধিক মুনাফালোভী শিল্পপতিগণ

সাবধান, দলকানা সুশীল সমাজ

সাবধান, ধান্দাবাজ কর্পোরেট মিডিয়া



মনে রাখবেন,

................ মানুষের বিপদে

.........................মানুষের পাশে

................................... শেষ পর্যন্ত দাঁড়ায়

................................................. মানুষ !



একবারও কী ভেবে দেখেছেন

ধ্বংসস্তুপের ভেতরে জন্ম নেওয়া নবজাতকেরা কোন বার্তা দিয়ে গেল?

একটু শোনার চেষ্টা করুন,

মিথ্যাচারিতা রাখুন,

একটু নেমে আসুন মানুষের কাতারে

তাহলেই শুনতে পাবেন,

সাভারের মৃত্যুপুরীতে

অধরচন্দ্র বিদ্যালয়ের প্রতিটি প্রকোষ্ঠে

সারাবাংলাদেশের মানুষের বুকের ভেতরে

কারো শেষ নিঃশ্বাসে ভারী হয়ে আসা গুমোট বাতাসে ভেসে আসছে সেই পুরনো কথা :

“তোমাকে বধিবে যে, গোকূলে বাড়িছে সে !!!!! ”

.............“তোমাকে বধিবে যে, গোকূলে বাড়িছে সে !!!!! ”

..............................“তোমাকে বধিবে যে, গোকূলে বাড়িছে সে !!!!! ”

.........................................“তোমাকে বধিবে যে, গোকূলে বাড়িছে সে !!!!! ”



সাবধান!

ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না

প্রকৃতি প্রতিশোধ নেবেই......







আশরাফ শিশির -এর স্ট্যাটাস থেকে সংগৃহীত ।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

রোহান খান বলেছেন: ১০০% নেবেই ইতিহাস বলে তাই।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৫

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: সাহসি সত্য
ধন্যবাদ

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:০৮

ম.মাসুম বলেছেন: হু! ইতিহাস..................................ইতিহাসে দোহাই আর কতো..........কাল
চলবে..........................??????

আমরা ইতিহাস হতে চাইনা.............

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:১২

স্বপ্নতরী (রাজু) বলেছেন: আমার চোখে এখন নোনা জল।

সকলের অনুভুতিতে শ্রদ্ধা রেখে আজ একটা কথা বলতে চাই; নানা পাটেকার এর একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে "ইক মাচ্চর আদমীকো হিজড়া বানা দেতা হ্যায়!" (একটি মশা মানুষকে হিজড়া বানিয়ে দিতে পারে)।

সাভারের রানা প্লাজা আমাদের দেশের পুরা সিস্টেমকে হিজড়া বানিয়ে দিয়ে গেলো।

একটি মাত্র ইমারত, আর তাতেই জাতীর হাহাকার পড়ে গেছে - কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই এই নির্মম পরিস্থিতি!...

একটু ওয়াইড এ্যাঙ্গেলে দেখুন - "ভুমিকম্পে ঢাকায় ১০০ টি বাড়ী ধ্বসে পড়েছে"। কয়দিন লাগবে সে ভবনগুলোতে উদ্ধার কাজ চালাতে?

কয়টা প্রতিষ্ঠানকে হাইকোর্ট বলবে "বিরতীহীন অক্সিজেন সরবরাহ করতে"। কে কার জন্য হেক্স ব্লেড নিয়ে দৌড়াবে?

আমরা অনেক বলি - কিন্তু সত্যিকারে কিছু করি কি?

সামান্য কয়টা টাকা খেয়ে রাজউক এর কোন কর্মকর্তা আমার জন্য মরন ফাঁদ তৈরির অনুমোদন দিচ্ছে। আচ্ছা অসৎ সে টাকায় সুখ কি সে কিনতে পারবে? হাজার মানুষের আর্তনাদ বিধাতা কি শুনবে না? পৃথিবী তার বিচার না করুক - মহান সৃষ্টিকর্তা কি অসৎ সেইসব লোকদের ছেড়ে দেবেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.