নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোয়েবের লেখা

wallpaper_joker_1280.jpg

সোয়েব সালেহীন

আল্লামা কবি ইকবাল রহ. বলেন- চাল চলনে খ্রিস্টান তুমি, হিন্দু তুমি সভ্যতায়। এই তো সে-ই মুসলিম যাকে ইহুদিও দেখে লজ্জা পায়।

সোয়েব সালেহীন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শরি'আতের দৃষ্টিতে দাড়ি ,দাড়ি রাখার ফায়দা সমূহ ,দাড়ি না রাখার ক্ষতি সমূহ (সুপ্রমানসহ)

০২ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১২

শরি'আতের দৃষ্টিতে পুরুষদের জন্য দাড়ি রাখা ওয়াজিব । দাড়ি মুন্ডানো বা কেটে ছেটে নিজের হাতের এক মুষ্টির (চার আঙ্গুল) কম করা হারাম ।-কবীরা গুনাহ ও গুনাহে জারিয়া । আর মোচ এতটুকু ছোট করা সুন্নাত যাতে উপরের ঠোঁটের কিনারা ছাফ থাকে । বড় বড় মোচ রাখা অমুস্লিমদের তরিকা এবং মোচ একেবারে মুণ্ডানো নিষেধ ।



(কিফায়াতুল মুফতী ,৯:১৬৬/আমিয়াতুল লুম'আত ১:২১২/আদ-দুররুল মুখতার,৫:২৮৮)



___________________________________________________________________



দাড়ি রাখার ফায়দা সমূহঃ









১। দাড়ি রাখা শি' আরে ইসলাম অর্থাৎ এর দ্বারা মুসলমানদের জাতীয় নিদর্শনের পরিচয় পাওয়া যায় এবং শরী'আতের হুকুম পূর্ণ হয় ।



২। আল্লাহ তা'আলার খিলকাত শিষ্ট বৈশিষ্টকে ঠিক রাখা হয়, পবিত্র কোরআনে যার নির্দেশ দেয়া হয়েছে । (সুরাহ নিসা আয়াত -১১৯)।







৩। মহিলাদের সামঞ্জসতা থেকে বাঁচা যায় ।







৪।চোখের দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখে ।







৫।ইমাম ও মুআযযিন হওয়ার যোগ্যতা বিদ্যমান থাকে ।







৬। মুসলমানদের সম্মান ও সালাম পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয়।







৭। চেহারার মধ্যে নূর চমকাতে থাকে ও চেহারার সৌন্দয বৃদ্ধি পেতে থাকে।







৮।অনেক গুনাহের কাজ হতে বিরত থাকা সহজ হয়ে যায় । কারন দাড়িওয়ালা মানুষকে শয়তান সহজে অন্যায় কাজে লিপ্ত করাতে পারে না। দাড়ির কারনে সে মানুষ অবৈধ কাজে অংশ গ্রহন করতেও লজ্জা বোধ হয় ।







৯।সেভ করার অনর্থক সময় ও অর্থের অপচয় বন্ধ হয় ।







১০।ওয়াজিব আদায়কারী হিসেবে দ্বীনদার-পরহেযগার এ জাতীয় সম্মানিত উপাধিতে ভূষিত হওয়া যায় ।







১১। একজন মুমিন হিসেবে সহজে পরিচিতি পাওয়া যায় । নতুবা মুমিন -কাফির পার্থক্য করা খুবই মুশকিল হয়ে যায় ।







১২।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অন্তর মুবারাক খুশি করা হয় ।







১৩।গুনাহে জারিয়া হতে মুক্তি পাওয়া যায়।







১৪। পুরুষের সৌন্দয হচ্ছে দাড়ি ।কারন পুরুষ জাতি তো সিংহের ন্যায় বাহাদুর ।আর সিংহের মুখের শোভা হল দাড়ি ।







১৫.রাস্তা ঘাটে বা অপরিচিত স্থানে মারা গেলে মুসলমান হিসেবে তার গোসল ওকাফন-দাফনের নসীব হয় ।







১৬। কবরে মুনকার-নকীরের সওয়াল -জওয়াব সহজ হয় ।







১৭। এর দ্বারা হাশরের ময়দানে উম্মাত বলে চেনা সহজ হবে এবং হযরত রাসুলে কারিম (সাঃ) এর সুপারিশ লাভের ওয়াসিলা হবে।















দাড়ি না রাখার ক্ষতি সমূহঃ







১। দাড়ি মুন্ডালে বা এক মুষ্টি থেকে ছোট করলে শি'আরে ইসলাম তথা মুসলমানদের জাতীয় নিদর্শন এবং শরী'আতের হুকুম তরক করা হয়।







২। আল্লাহ তা'আলার খিলকাত শিষ্ট বৈশিষ্টকে নষ্ট করা হয়।







৩। পুরুষ জাতি মহিলাদের সাদৃশ হয়ে যায় ,যা শরী'আতে হারাম ।







৪। চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে থাকে ।







৫।সুরাহ -কিরাআত সহীহ থাকলেও তার আযান ,ইকামাত ও ইমামতির যোগ্যতা থাকেনা ।







৬। মুসলমানদের সম্মান ও সালাম পাওয়ার যোগ্য হয় না ।











৭। চেহারার নূর চলে যায় ও প্রকৃত সৌন্দয নষ্ট হয়ে যায় ।এ কারনে পারস্যের দাড়িবিহীন দূতকে নবী (সাঃ) দেখে চেহারা ফিরিয়ে নিয়ে বলেছিলেন যে, তোমার চেহারা এত বিশ্রী বানাতে কে বলেছে? তাছাড়া দাড়ি মুণ্ডালে অল্প দিনেই তার দাড়ি পেকে সাদা হয়ে যায় । যার ফলে তখন দাড়ি রাখতে ইছছা করলেও লজ্জার দরুন তা করা মুস্কিল হয় ।







৮।বিভিন্ন ধরনের গুনাহ থেকে বাঁচা কঠিন হয়ে যায় এবং সহজে বিভিন্ন গুনাহের মধ্যে জড়িয়ে পড়তে পারে ।







১০।তার শরাফত বা বুজুর্গী নষ্ট হয়ে যায় এবং মানুষ তাকে ফাসিক, পাপী ও নাফরমান ইত্যাদি বলে স্মরন করে থাকে।







১১।ঐ মানুষ মুমিন ,নাকি কাফির?তা বোঝা যায় না এবং তার হক আদায় করা যায় না ।







১২।রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর অন্তর মুবারাকে আঘাত দেয়া হয়।







১৩।অনান্য গুনাহ একবার করলে একবারই গুনাহ লিখা হয়।কিন্তু দাড়ি না রাখলে সর্বদা গুনাহ লেখা হতে থাকে ।







১৪।পুরুষের সৌন্দয বিকৃতি ঘটে এবং তার গাম্ভীর্যতা শেষ হয়ে যায় ।







১৫।দারীবিহীন লোক রাস্তা ঘাটে মারা গেলে তার গোসল ,কাফন-দাফন নিয়ে দারুন সমস্যা সৃষ্টি হয় ।তাকে শ্মশানে নেয়া হবে? নাকি গোরস্থানে নেয়া হবে? তা-ও নির্ণয় করা মুশকিল হয়ে যায় ।







১৬।কবরে মুনকার-নকীরের সওয়াল -জওয়াব কঠিন হয়ে যাবে ।







১৭।হাশরের ময়দানে উম্মাত বলে দাবী করা এবং হযরত রাসুলে কারিম (সাঃ) এর উম্মত হিসেবে পরিচয় দিয়ে শাফা'আতের আশা করাও মুশকিল হবে ।







সুপ্রমানসমূহ: (১) সুরাহ নিসা আয়াত-১১৯ (২) বুখারী শরীফ, ২:৮৭৫ (৩) কিফায়াতুল মুফতি, ৯:১৬১-১৬৬ (৪)তিরমিজী শরীফ, ২:১০৫ (৫) আহসানুল ফাতাওয়া, ২:২৮৭ (৬)আযীযুল ফাতাওয়া, ১: ২০২ (৭) জাওয়াহিরুল ফিকহ,২:৪১৭(৮)ফাতাওয়া রহীমিয়া, ৬:২৩৬ (৯) কিফায়াতুল মুফতি,৯:৪১৩

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা মে, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৯

আমার দেশ বাংলাদেশ বলেছেন: ভালো লিখেছেন। জাজাকাল্লাহ খায়ের।

০৩ রা মে, ২০১৪ ভোর ৬:৫১

সোয়েব সালেহীন বলেছেন: জাযাকাল্লাহ খায়ের

২| ০৩ রা মে, ২০১৪ সকাল ৯:০৩

যুবায়ের খান বলেছেন: যে সমস্ত গুনাহ ২৪ ঘন্টা কন্টিনিউ অব্যাহত থাকে দাড়ি মুণ্ডানো তার অন্যতম।

০৩ রা মে, ২০১৪ বিকাল ৪:২০

সোয়েব সালেহীন বলেছেন: হমম

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.