![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আল্লামা কবি ইকবাল রহ. বলেন- চাল চলনে খ্রিস্টান তুমি, হিন্দু তুমি সভ্যতায়। এই তো সে-ই মুসলিম যাকে ইহুদিও দেখে লজ্জা পায়।
السنة تطلق في الأكثر على ما أضيف إلى النبي من قول أو فعل أو تقرير
সুন্নাত বলা হয়, রাসূল সাঃ এর কথা, কাজ ও চুপ থাকাকে। {আনওয়ারুল কাশিফাহ, উলুমুল হাদীস ফি জাওয়ি তাতবীকাতিল মুহাদ্দিসীন, কাওয়ায়েদুত তাহদীস ফি ফুনুনি মুসতালাহিল হাদীস, লিসানুল মুহাদ্দিসীন}
রাসূল সাঃ এর প্রতিটি আমলকে অনুসরণের চেষ্টা করা নবীপ্রেমিকের কাজ। নবীজী সাঃ এর আমল বর্জনের বাহানা খোঁজা নবী বিদ্বেষীদের কাজ। সাহাবায়ে কেরাম রাসূল সাঃ যাই করেছেন, যে কারণেই করেছেন, তা’ই অনুসরণ করার চেষ্টা করেছেন দলিল ও যুক্তি ছাড়া। এ কারণেই রাসূল সাঃ এর মজাক করে বলা আবু হুরায়রা তথা বিড়ালওয়ালা নাম পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন বিখ্যাত সাহাবী আব্দুল্লাহ বিন সাখার রাঃ। সাহাবী আব্দুল্লাহ নামের সাথে জোড়ে নিলেন “জুলবাদাইন” তথা দুই চাদরওয়ালা নাম। আরেকজন জোরে নিলেন জুলইয়াদাইন তথা হাতওয়ালা নাম। যুক্তি খুঁজেননি, কেন বলেছেন রাসূল সাঃ? রাসূল সাঃ বলেছেন এর চেয়ে আর বড় দলিল কি আছে একজন একনিষ্ট ভক্তের কাছে?
এ কারণেই যুক্তিহীনভাবে রাসূল সাঃ কে ভালবেসে এক সাহাবী সারা জীবন খাবারের তালিকায় কদু রাখতে চেষ্টা করেছেন যেহেতু রাসূল সাঃ পছন্দ করতেন। আব্দুল্লাহ বিন ওমর অকারণেই মদীনা থেকে মক্কায় যাওয়ার পথে নির্দিষ্ট স্থানে বসে পড়তেন, যেহেতু রাসূল সাঃ কোন কারণে সেখানে একদিন বসে ছিলেন। হযরত ওমর রাঃ বিনা কারণে ইচ্ছেকৃত মাটিতে বসে গিয়েছিলেন এক স্থানে যেহেতু একদিন রাসূল সাঃ উক্ত স্থানে হোচট খেয়েছিলেন।
এই সবই তীব্র মোহাব্বত ও হৃদয়ের টানের ব্যাপার। নবীজী সাঃ কে হৃদয়ের সবটুকু নিংড়ে ভালবাসার নিদর্শন। রাসূল সাঃ এর অনুসরণ থেকে দূরে থাকতে নোংরা যুক্তি দিয়ে আল্লাহ তাআলার ঘোষণা করা গোটা পৃথিবীর আদর্শ মানব নবীজী সাঃ এর পোশাককে মক্কার কাফেরদের অনুসরণ বলাটা নবীপ্রেমিকরা করবে না। নবীবিদ্বেষীদের বেআদবীর বহিঃপ্রকাশ। আল্লাহ তাআলা আমাদের সহীহ বুঝ দান করুন। আমীন। ছুম্মা আমীন।
(সংগ্রহ)
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৭
গাধা গরু বলেছেন: ভাই সাহেব এমন অনেক লোককেই দেখেছি যারা শুধু মাত্র কুরআন মানে , রাসুলের আদর্শ বা হাদিস কিছুই মানে না। তারা কি মুসলিম?