![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শোয়াইব জিবরান
গল্প বুঝতে চাও- চরিত্রের পেছনে ধাওয়া কর- বলেছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। চরিত্রের পেছনে শুরু করলাম ধাওয়া। নবকুমার যখন কাঠ সংগ্রহের জন্য নৌকা থেকে নামল তার পিছু নিলাম। বনে গিয়ে নবকুমার কাঠ কাটছে আর আমি দূর থেকে দেখছি। তারপর পথ হারাল। সে হাটছে হাটছে তো হাটছেই। তার সাথে হাটতে হাটতে আমার পা ধরে গেলো। তাকে কী করে বলি- রাস্তা তো এইদিকে। সে তো কাগজের পাতায় আর আমি উবু হয়ে পড়ছি। হঠাৎ এক কাপালিকের মেয়ে এসে বলল- পথিক তুমি পথ হারাইয়াছ? চমকে উঠে নবকুমার সাথে আমিও। তারপর নবকুমার কে ছেড়ে আমি তরুণীর পেছনে ধাওয়া করতে থাকি। সে কি উত্তেজনা। কিন্তু সে আমাকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যায়। নবকুমার কেও। একসময় তারা জলে ডুবে মরে গেল। আমি মারা পড়িনি। ভাগ্যিস বিছানায় ছিলাম।
তারপর আরো একদিন যশোবতীর পিছু নিলাম। তার বিয়ে হল এক অন্তর্জলীতে আনা বুড়োর সাথে। আমার সেকি দুঃখ। আমাকে উদ্ধার করতে চ-াল এলো। কিন্তু খুব একটা লাভ হল না। বুড়োর সাথে সেও ডুবে মরল। ভাগ্যিস সে রাতে আমি বাসায় ছিলাম, যখন পূর্ণিমার চাঁদ লাল।
আরও একদিন পিছু নেই এক কাছিমওয়ালার। সে পূর্ণিমার রাতে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের চরে কাছিমদের ধরে ধরে উল্টে রাখে। মাঝ রাতে যখন কুয়াশায় রহস্যময় চরাচর এক আলখেল্লাা পরা দরবেশ আকাশ ফুড়ে এসে তাদের ছেড়ে দেন। বাব্বা কী যে ভয় পেয়েছিলাম।
একরাতে মাহবুব মোরশেদের গল্পে দেখি একলোক হেব্বি প্রেম করে যাচ্ছে। ওকে নিয়ে তাকে নিয়ে ডেটিং করে যাচ্ছে। বেশ উত্তেজনা বোধ করতে থাকি। বর্ণনাটিও বেশ চটি চটি। কিন্তু মাহবুব তো রসময় নয় আমার ছোট ভাই। এক সময় লোকটি অসংখ্য প্রেম করতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে। সে কার কাছে পরামর্শ নেবে বুঝতে পারে না। আমি ভাবি আমাকে জিজ্ঞেস করছে না কেন ? ওমা শেষে দেখি ও তার বউকেই জিজ্ঞাসা করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। আমার উত্তেজনা একদমই পানি হয়ে যায়। যাহ্ লোকটি তাহলে বিবাহিত!
আরও একরাতে নেটে দেখি মাসুদ খানের মা তার ছেলেকে হারাচ্ছেন আবার ফিরে পাচ্ছেন। মায়ের পিছু নেই। ওমা তিনি ত্রিরাস্তায় মাথায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে দেখি মহাশূণ্যে ছেলের সন্ধানে চলেছেন। আমি উড়তে উড়তে তার পিছু নিতে থাকি। ওমা তিনি দেখি ভুল শিশুকে নিজের হারিয়ে যাওয়া সন্তান মনে করে মহাশূন্যের খড়ের গাদা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এসব নিখিল ভুল বুঝাবোঝির মাসুদ খানের বিষয় আমি তাকে বলতে পারছি না। আমাকেও তো পৃথিবীতে ফিরতে হবে।
কান্ত সন্ধ্যায় পৃথিবীতে ফিরে আসি। কান্তিতে আমার শরীর অবশ হয়ে আসে। আর দ্যাখ পায়ে রক্ত আর মহাশুন্যের কাদাবালি লেগে আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩১
মামুন রশিদ বলেছেন: হাহাহা, খুব মজা পেলাম শোয়াইব ভাই! আপনার লেখার হিউমার অন্যরকম, খুব ভালো লাগে ।
গল্প নিয়ে আগ্রহ আছে । তাই এই বিষয়ে আরো কিছু পোস্ট আশা করছি ।
শুভ কামনা!