![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণার মধ্য দিয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও সংগ্রামের বিনিময়ে পেয়েছি বাংলাদেশ।আমরা অসাধ্যকে নাগালের মধ্যে এনে বিজয় অর্জন করতে পারি। যে বিজয় আমাদের সকল দু:খ-কষ্ট ভুলিয়ে দিয়ে এক মোহনায় মিলিত করবে। যেদিন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে সোনার ছেলেরা কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছিলো। সেদিন দেশের চলমান গভীর সংকটের কথা, হরতালের কথা, অবরোধের কথা ভুলে গিয়ে রাজপথে নেমে এসেছিলো আবাল, বৃদ্ধ, বণিতা। সকলের মুখে ছিলো- বাংলাদেশ-বাংলাদেশ-বাংলাদেশ। পরের দিন বিজয় মিছিলের ঘোষণার কারণে ২০ দলীয় জোটের লাগাতর হরতাল ও অবরোধ শিথিল করেছিল।
৭ দিন পরই ২৬ মার্চ ৪৫তম মহান স্বাধীনতা দিবস। আমরা এই দিবসে একটি শ্রেষ্ঠ উপহার পেতে চাই। চাই একটি বিজয়। ভারতকে বদ করতেই হবে। ওরা একাত্তরে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলো, কিন্তু গত ৪৫টি বছর ওরা আমাদের শুধু শাসন আর শোষণ করতে চায়।
আজও আমরা ফারাক্কার ন্যায্য হিস্যা পাইনি। টিপাই মুখের বাঁধ গোটা সিলেটকেই জলশূন্য করে ফেলেছে। তারাকাটায় ফেলানীর লাশ যেন ঝুলন্ত বাংলাদেশ। ওরা করিডোর ন্যায় আর আমাদের যুবসমাজকে ধ্বংস করার জন্য হাজার হাজার পেন্সিডিল পাঠায়। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না। আমাদের বিবেক যেন কোথায় গিয়ে থমকে গেছে। বাঁশের কেল্লার তিতুমীর, মাওলানা ভাসানীর খামোশ শব্দগুলো ডিকশনারী থেকে মনে উঠে গেছে। তাই তো প্রতিবাদের ভাষাও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আকাশ সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে আমাদের তরুণ সমাজ ও ঘরে বধুদেরকে নিয়ে যাচ্ছে ভ্রান্ত জগতে। এখন কেউ কারও শাসন মানে না, কারও প্রতি কারও কোন শ্রদ্ধা নেই, নেই ভালবাসা। সবকিছু মাকাল হয়ে গেছে। স্টার জলসা, জি টিভি, জি বাংলা, জি সিনেমা, সনিসহ শতাধিক ভারতীয় চ্যানেল আমাদেরকে নিয়ে যাচ্ছে অন্ধকারে তাঁরপরও আমরা নিরব, নিথর। দেশের চলমান সংকটেও ওদের ভূমিকা রয়েছে সবচেয়ে বেশী। ওরা আমাদেরকে শাসন করবে, শোষণ করবে কিন্তু আমাদের উন্নয়নে, উৎপাদনে কোন ভূমিকা রাখবে না। ওদের সাথে এতো প্রেম কেন? প্রতিশোধ নেওয়ার একটি দুর্লভ সুযোগ এসেছে ক্রিকেট যুদ্ধে। সেই সুযোগটা আমরা কেন কাজে লাগাবো না। আমরা চাই আমাদের সোনার ছেলেরা একটি ঐতিহাসিক বিজয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মাঠে লাল-সবুজের পতাকা পত পত করে উড়াবে আর বন্ধু বেশে চিরশত্রু অনন্ত ক্রিকেট দুনিয়ায় একদিনের জন্য হলেও মাথানিচু করে মাঠ ত্যাগ করবে। যা দেখবে গোটা বিশ্ব। এই দিনটি বারবার ফিরে আসবে না। কয়েক ঘণ্টা পরেই ১৯ মার্চ বাংলাদেশ সময় সকাল ৯.৩০ মিনিটে অস্ট্রেলিয়ার মেলবনে শুরু হবে সেই মহেন্দ্র ক্ষণ। জ্বলে ওঠো বাংলাদেশ, জেগে ওঠো বাংলাদেশ। বাঘের গর্জনে কাঁপিয়ে দাও বাংলাদেশ আরা বাংলাদেশের সকল ধর্মের ও বর্ণের সকল মানুষের প্রতি একটিই প্রার্থনা আসুন আমরা যে যাঁর ধর্ম নিয়ে আছি সে তাঁর ধর্ম নিয়েই কেউ মসজিদে, কেউ মন্দিরে, কেউ গীর্জায়, কেউ প্যাগোডোনায় প্রার্থনা করি আর একবার বলি তোমরা জিতে যাও। তোমাদের এই জয় আমাদের ৪৫ বছরের রক্তক্ষরণের কিছুটা হলেও কমবে। শুভ কামনা রইলো তোমাদের জন্য। ১৬ কোটি মানুষের পক্ষ থেকে শুভ কামনা আর আমাদের হৃদয়ের সবটুকু ভালবাসা নিয়ে মাঠে গিয়ে দেখিয়ে দাও।
©somewhere in net ltd.