নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু আনলে পুড়িয়া গেল/অমিয় সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।

সুখের লাগিয়া এ ঘর বাঁধিনু আনলে পুড়িয়া গেল/ অমিয় সাগরে সিনান করিতে সকলি গরল ভেল।

সবুজসবুজ

না মিটিতে আশা ভাঙিল খেলা

সবুজসবুজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রবীন্দ্রনাথ আমাদেরও

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫





রবি ঠাকুরের হাত ধরে আমার চলা শুরু ছোটোবেলা থেকেই। আমার বাবা শিক্ষক ছিলেন হয়তো সেই জন্যেই হয়তো রবীন্দ্রনাথ আমার জীবনে অন্যদের তুলনায় একটু আগেই এসেছিলেন।



তখন রবীন্দ্রনাথ যে রূপে এসেছিলেন তা তার বৃদ্ধ বয়সের । তাই হয়তো সেখানে একটু প্রশ্রয়ের অবকাশ ছিল। কারণ বাড়িতে বাবা-মা বকাবকি করলে আশ্রয়ের জায়গা ছিল ঠাকমা ঠাকুর্দা-দাদু –দিদিমা। এখন মনে হয় রবীন্দ্রনাথ তেমন রূপেই এসেছিলেন।



বড় হলাম। পরিণত হলাম। প্রেমে পড়লাম। মুখ ফুটে বলতে পারিনি ভালোবাসার কথা। ভয় পেয়েছিলাম ?



মোটেই না। আসলে “আমি তোমাকে ভালোবাসি।"-এই কথাগুলো কেমন যেন হাবলার মতো লাগে। আর ভালোবাসার উপমা দিতে যাওয়া- আমি তোমাকে আকাশ জোড়া ভালোবাসি।ইত্যাদি ইত্যাদি ”-এই কথাগুলো ভোঁদড় ভোঁদড় লাগে। হাস্যকর লাগে। সুতরাং তাকে বলতে পারিনি।





অথচ বুঝতে পারছি না সে কি আমাকে চায় ? এমনও তো হতে পারে সে আমার বলার জন্যেই অপেক্ষা করে আছে। হয়তো আমি জানালাম না বলেই পথ আর এগুলোই না।



সমস্যা আরো একটু ছিল। তাকে গিফট দিই বা গ্রিটিংস দিই , দিতে হবে সকলের সামনেই। অথচ তার বাড়ি যথেষ্ট সংরক্ষণশীল।



সকলের সামনেই নিজের হাতে তৈরী করা গ্রিটিংস তাকে দিলাম বুক ফুলিয়ে। কি লেখা ছিল তাতে ?



“আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও।

আপনাকে এই লুকিয়ে-রাখা ধুলার ঢাকা ধুইয়ে দাও॥

যে জন আমার জড়িয়ে আছে ঘুমের জালে

আজ এই সকালে ধীরে ধীরে তার কপালে

এই অরুণ-আলোর সোনার-কাঠি ছুঁইয়ে দাও।

বিশ্বহৃদয়-হতে-ধাওয়া আলোয়-পাগল প্রভাত-হাওয়া,

সেই হাওয়াতে হৃদয় আমার নুইয়ে দাও॥”





যথারীতি প্রেম পরীক্ষায় পাশ করে গেলাম। ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ছিলেন।





রবীন্দ্রনাথ বিশ্বভারতীর কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন। আমার মনে হয়েছিল রবীন্দ্রনাথ যেন কাঁদছিলেন- “কি সর্বনাশ আমার যন্ত্র আমাকে মানছে না।”

তখন থেকে আমার একটা জিনিস আমার বেশ মনে ধরেছিল ট্রেনে ভিখারিরা রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে ভিক্ষা করত। ( এখনো করে)। রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে নিজেও মজা পেতেন। তার আশঙ্কা ছিল তাঁর চরণ সমাজের সবস্তরে পড়লো না বলে। সমাজের নিম্নবর্গীয়রা তাঁকে আপন করে নিয়েছে দেখে মনে হয় যথেষ্ট স্বস্তি পেতেন।



সেদিন আমার এক বন্ধু বললো-দেখেছিস রবীন্দ্রনাথ গেঞ্জি জাঙ্গিয়ার অ্যাড দিচ্ছেন ?

বললাম-কোথায় ?

বন্ধু জানালো- টিভি দেখিস না নাকি ? খুলে দেখিস।

আমার বন্ধু রবীন্দ্রনাথের বড় ভক্ত। রবীন্দ্রসঙ্গীতের অন্য কোনো ব্যবহার দেখে হয়তো মন খারাপে এই কথা বলেছে।

বাড়ি ফিরে টিভির অ্যাডগুলো দেখলাম। দেখলাম গেঞ্জি জাঙ্গিয়ার অ্যাডে রবীন্দ্রনাথের "যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে”-গানটা ব্যবহার করা হয়েছে। বন্ধুর মন খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।





অচিন্ত্যকে সামুর ব্লগাররা অনেকেই চেনেন। গান পাগল-সুর পাগল। দেখলাম রবীন্দ্রনাথের “এসো শ্যামলসুন্দর ”--গানটা ও গিটার বাজিয়ে দারুণ গেয়েছে। প্রায় ৫০-৬০ বার গানটা শুনেও আমার আশ মেটেনি। রাতে বিছানায় শুয়ে বউ পর্যন্ত রেগে গেল-সারাদিন কম্পিউটার মোবাইল নিয়ে আছো। বিছানায় শুয়েও হাতে মোবাইল, কানে হেডফোন..........



ডট ডট দিলাম। কারণ কথা এখানেই থেমে থাকেনি। ;);););)



অচিন্ত্যর সঙ্গে গলা মিলিয়ে গান গাইতে আমার মন চাইলো। অচিন্ত্যর গানটা ডাউনলোড করে ওর ভেতরে মেঘের ডাক ঢোকালাম। গানটা শুনতে শুনতে আমার মনে যেন মেঘে ডাক শুনতে পাচ্ছিলাম তাই। অচিন্ত্যের সঙ্গে গলা মিলিয়ে গলা খুলে গাইলাম। এই গানটা কোন রাগের উপর তাও আমার জানা নেই। জানতেও চাই না। কিন্তু অচিন্ত্যর গিটার যেন আমার মনে আলাপ জুড়ে দিল। সবটা করতে ঘন্টা খানেক লেগেছিল। কিন্তু সবটাই ব্যাকরণ বহির্ভূত। যা যা করতে ইচ্ছে হয়েছে তাই করেছি। অনেকে অনেক গালমন্দ করতে পারেন। কিচ্ছু মনে করাতে পারবেন না

কারন- “তোরা যে যা বলিস ভাই ”-আমার রবি ঠাকুর চাই।

তবে গানটা শুনে দেখতে পারেন। নিচে লিঙ্ক দিলাম



অডিও লিংক

Click This Link





*********************************************************************************************************************************************************



দেখুন এখান থেকেও আপনার মনের মত কিছু পেলেও পেতে পারেন



১।একটু একটু অন্যরকম ডাউনলোড: পর্ব ০১ : গানপাগলদের জন্য : নজরুলগীতি (Mp3 ) শুনুন বর্ণানুক্রমিক ভাবে পরপর (Part-১ )



২।একটু অন্যরকম ডাউনলোড : পর্ব ০২ : গানপাগলদের জন্য : নজরুলগীতি (Mp3 ) শুনুন বর্ণানুক্রমিক ভাবে পরপর (Part-২ )



৩।একটু একটু অন্যরকম ডাউনলোড ডাউনলোড : পর্ব ০৩ : গানপাগলদের জন্য : “ ছুপকে ছুপকে রাত দিন আসু বাহানা ইয়াদ হে।” – গজলটি শুনুন বিভিন্ন বিখ্যাত শিল্পীর গলায় বিভিন্ন স্টাইলে।





৪।গানপাগলদের জন্য ****** লোকগীতি স্পেশাল******* হিন্দিগানের কথা-সুর-ভাবের সঙ্গে মিলিয়ে বাংলা লোকগীতি শুনুন।



***************************************************

***************************************************





***************************************************

***************************************************

সবাই ভালো থাকবেন।



রাগে থাকুন, X( রাগিয়ে রাখুন। :P



রঙে থাকুন, B-) রাঙিয়ে রাখুন। ;)

***************************************************

আমাকে সর্বক্ষণের জন্যে পাবেন এখানে http://www.techspate.com



ফেসবুকে আমার ঠিকানায় যেতে এখানে ক্লিক করুন

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৬

বলাক০৪ বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ চির জীবনের সঙ্গী। গানে, কবিতায়ই বেশি।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৬

সবুজসবুজ বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। ভালো থাকবেন।

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

ডানামনি বলেছেন: জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে রবীন্দ্রনাথ চলেন একসাথে।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৭

সবুজসবুজ বলেছেন: আপনার সাথে একমত।

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০৯

ধূসর পানিপোকা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথ আমাদের সূর্য যে সবসময় আলো দিয়ে যায়।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:০৮

সবুজসবুজ বলেছেন: সত্যিই তাই।

৪| ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৭

অচিন্ত্য বলেছেন: ডিয়ার সবুজ সবুজ। আপনার লেখাটি পড়ে অসম্ভব আপ্লুত হলাম। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমারও অনেক ছোটবেলা থেকে একটু একটু করে আপন হয়েছেন।

আপনার সংযুক্তি আমার গাওয়াকে অলংকৃতই করল।

কথা হবে।
ভাল থাকুন।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১০

সবুজসবুজ বলেছেন: আপনার সাথে আমার সবটাই মিল।


"আপনার সংযুক্তি আমার গাওয়াকে অলংকৃতই করল।"

কি যে বলেন , আপনি অনবদ্যই গেয়েছেন।

৫| ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

শ্রাবণ জল বলেছেন: আমি তো অচিন্ত্য ভাই'র সিঙ্গেল ভয়েসের টা শুনিনি। আপনার দেয়াটাই ডাউনলোড করেছিলাম। :)
ভাল লেগেছে।

২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:১০

সবুজসবুজ বলেছেন: ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।


সবটাই অচিন্ত্যর কৃতিত্ব।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.