![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ভারত বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া সীমান্ত মানে রক্ত উপত্যকা -বললেও অত্যক্তি হবে না।দেশ ভাগের পর থেকেই এই সীমান্ত অপরাধীদের আখরায় পরিণত হয়েছে। সন্ধা হলেই এখানে ব্যস্ততা বাড়তে থাকে।সেই সংগে বাড়ে বিজিবি-বিএসএফ এর ব্যস্ততা।
আমি ফুলবাড়ি-কুচবিহার সীমান্তের কথা বলছি।অন্যান্য সীমান্তের চিত্রও যে এক বলা বাহুল্য।ফুলবাড়ী, যার অনতি দুর অনন্তপুরে বিজিবি নিষ্ঠুর ভাবে খুন করে ফেলানিকে।সেসময় গোটা দুনিয়া ফেলানির প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করে।এমনকি ভারত সরকার ও এই ঘটনা তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তির শাস্তি প্রদান ও সীমান্তের হত্যা বন্ধের প্রতিশ্রুতি দেয়।পরের ঘটনা আপনারা জানেন।ফেলানি ন্যায় বিচার পায়নি,সীমান্তে হত্যাও বন্ধ হয়নি।ফেলানির এই করুন মৃত্যু কেবলই একটি সীমান্তের সাধারণ ঘটনায় পরিণতি পেয়েছে।
ইন্ডিয়া যে যুক্তিতে অমিয় ঘোষকে রেহাই দিয়েছে, সেই চোরাকারবারি কিন্তু বন্ধ হ্য়নি। চোরাকারবারদের অনেকে আবার পুলিশের সোর্স এর বেদম প্রহারে হ্য় মারা যায় নতুবা সারা জীবনের জন্য অচল হয়ে যায়। ফুলবাড়ি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ অবৈধ ভাবে দিল্লীতে গেছে, কাজের সন্ধানে।তারা বছরভর সেখানে থাকে।ফেলানীর বাবাও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন।নিরপরাধ ফেলানির জন্য তার বাবাও দায় এড়াতে পারেন না।
অনেকের মতো আমার ও প্রশ্ন ছিল, বিজিবি কি ভারতীয়কে মারতে পারে না।নিজের অভিঙ্গতা দিয়ে আমি সে প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি। অপরাধে যুক্ত সহযোগী হলেও তারা সহজে দেশের ভিতর হতে বাংলাদেশে আসে না।তাই বিজিবি তাদের টিকিটিও খুঁজে পায় না।
আমারা না শোধরালে সীমান্তে রক্ত ঝরবেই।এ বিষয়ে আমি রাজিবপুরের বালিয়ামারী সীমান্তের এক পরিবারের কথা উল্লেখ করছি,২০০৯ সালে সেই পরিবারের এক ছেলেকে মেঘালয় সীমান্ত বাহিনী মেরে ফেলে। তার পূর্ব দুই পুরুষ ও একই ভাবে নিহত হয়েছেন,যা তাকে কিছুই শেখাতে পারেনি।
©somewhere in net ltd.