নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ময়ূর আঁখি,বাসনা জাগে তোমায় প্রাণ ভরিয়া দেখি,nতুমি আমার নয়নে জ্যোতি,এই হৃদয় ছুপিলাম তোমার প্রতি !
দশ বছর আগে আমি প্রথম ভোটার হয়েছিলাম কিন্ত আমার মা জননীর শরীর অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে থাকার কারনে সেবার আর ভোট
দিতে পারিনি ।আর ২০১৪ সালে গ্রামের বাড়ি থাকায় ঢাকার ভোটার হওয়ায় দিতে পারিনী । তবে এবার বেশ কয়েকদিন থেকে ভোট নিয়ে নানান ধরনের কল্পনা একে রেখেছিলাম । আশা করেছিলাম যাইহোক দেশের আমি একজন নাগরিক হিসেবে দেশ উন্নয়ন কারী মনয়োন বা নির্বাচিত করার মত কাজে আমিও অংশ নিতে পারচ্ছি ।
দেখতে ৩০ তারিখ সকাল এসে গেল । ৩০ শে ডিসেম্বর ২০১৮ তখন বাজে সকাল ৯,৩০মি: আমাদের পাশের বাসার এক দিদি আর দাদা ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছেন আমাকেও বললেন যাবে কি না আমি বললাম যাবো কিন্তু একটু লেট । আমি সকালের নাস্টা শেষ করলাম তখন বাজে সকাল ১০,১০মি: বাজে,দেখলাম তারা দুজন ভোট কেন্দ্র থেকে ফিরে এসেছে আমি তাদের কাছে ভোট কেন্দ্রের খবর জিজ্ঞেস করাতে দিদি বললো আমি দিয়েছি আর দাদা বললো আমার সিরিয়াল পাওয়া যায়নি । আমি বললাম কেন ? উনি বললেন নেটওয়া্র্ক বিজি ।পরে আবার যাবো তখন আমি বললাম তাহলে দাদা আবার যাওয়ার সময় তখন আমাকেও সঙ্গে নিয়েন ।
১২,২০মি: বাজে আমারা যখন ভোট কেন্দ্রে যেয়ে উপস্থিত,অনেকক্ষন ঘুরাুঘুরি করার পর আমার এবং সে দাদার সিলিপ মিলল । আমারা লাইনে দাড়ানোর জন্য যাচ্ছিলাম,এমন সময় কখনো দেখছি বলে মনে হলোনা এরকম কয়েকটি অপরিচিত মুখ মহিলা মধ্য বয়ছের তারাও লাইনে দাড়িয়ে আছেন সংখ্যায় প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ জন হবে। সে দাদা চলে গেলেন পুরুষের লাইনে আর আমি সেই নারীদের পিছনে দাড়ালাম ।
কিছুক্ষন পরে তিন চারজন পুরুষ মিলে হাতে ১০টাকা দামের বন রুটি আর কলা নিয়ে এসে সেই মহিলাদের হাতে দিতে শুরু করলেন ।
আমাকে অবশ্য দিতে চেয়ে ছিলেন কিন্তু আমি নেইনি। একপর্জায় সেই নারী ভোটারদের সাথে কথা হলো । তাদের আমি জিজ্ঞেস করলাম
আপনাদের বাসা কোথায় তারা বললো আমাদের বাসা করাইল বস্তিতে,আমি বললাম এত দূর থেকে আপনেরা ভোট দিতে অংশ গ্রহণ করছেন শুনে ভালো লাগল । করাইল বস্তি আমাদের এলাকা থেকে রিক্সায় প্রায় ৫০টাকা ভাড়া লাগে । সকাল থেকে এপযন্ত তারা আরো এই ভোট কেন্দ্রে আসার আগে আরো দুটি ভোট কেন্দ্রে যেয়ে এসেছেন । আমি বললাম আপনেরা তাহলে এটুকো বলার পর একজন নারী ভোটার বললেন মারে বেশি কিছু কওন যাইবো না তয় আমরা নিজেদের জান বাঁচানোর জন্য এ কাজ করছি আজ । আমারা না আসতে চাইলে আমাদের মৃত্যুর ভয় দেখিয়েছে । এরপর অনেকক্ষন দাড়িয়ে থেকে যখন খুব বিরক্ত বোধ করছিলাম তখন দেখলাম চোখ মুখ অন্ধকার করে আমার সে দাদা আমার দিকে হেটে আসছেন আমি বললাম দাদা আপনার ভোট হয়েগেছে ? দাদা বললেন হ্যা আমার ভোট হয়ে গেছে তবে আমি ভোট দেইনি।আর তোমারো দাড়িয়ে থেকে ভোট দেয়া লাগবেনা তোমার ভোটও আমার ভোটের মত অটোমেটিক
মেশিংয়ে হয়ে যাবে । আরো অনেক কিছু ছিল কিন্ত লেখতে ভালো লাগছে না ভোট নামে এমন একটা পরিকল্পিত নোংড়া ঘটনা নিয়ে ।
আমি হয়ত আর কখনো ভোট দিতে আমার নাগরিক দায়িত্ব প্রয়োগ করতে যাবোনা। তবে আমার কথা হল আমি যদি চুরি করে ধরাই খেয়ে যাই তাহলে সে চুরি না করাই ভালো আর যদি চুরি করেই ফেলি সে ক্ষেত্রে আমার মুখে আর বড় বড় কথা কিন্ত মানায় না ।আগে শুনেছিলাম এরাশাদের স্বৈরাচারীর কথা লোক মুখে আর এবার কিছু জালিয়াতি দেখলাম নতুন প্রজন্মে এসে । আর এসব দেখে মনে হল তখনকার স্বৈরাচারি এর তুলনায় হয়ত অনেক কমই ছিল।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সূচরিতা সেন বলেছেন: দাদা বিশ্ব জগৎ এবং আমাদের মত অসহায়দের দেখার মত আমাদের সকলের ওপরে একজন বসে আছেন তিনি সব দেখছেন আশা করি তিনি এর বিচার কার্য নিশ্চয় করবেন ।
২| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ৩০ ডিসেম্বরের কমন দেশচিত্র।
০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২১
সূচরিতা সেন বলেছেন: আমার কাছে চির অমর স্মৃত্বি বন্ধণ হয়ে থাকবে দাদা।
৩| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
এটার সমাধনও হবে; তবে, বাংগালীরা প্রতিবারই ভুল সমাধান বের করেন।
৪| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫১
কালীদাস বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ। এই বনরুটি, কলা দিয়ে "ভুটারদের" আপ্যায়ণ অতি উত্তম মেহমানদারির নিশানা। জাঝাকাল্লাহ!! যারা লাইনে রুটি কলা বিতরণ করেছেন, ইনশাল্লাহ জান্নাতে তারা ফলবান কলাগাছ এবং হালাল বেকারি পাবেন। জাঝাকাল্লাহ।
৫| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: থার্টিফার্স্ট নাইটে আমি যে বার্বিকিউ পার্টি করলাম না,
জাতি কি আমাকে মেনে নেবে ??
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দু:খজনক এ বাস্তবতা নির্বাচণী প্রতিটি কেন্দ্রে!!!
আমি নিজে অনলাইনে ঘন্টা খানেক ক্যাপসা প্রাকটিস শেষে
মোবাইলে ১৫ বার এসএমএস পাঠিয়ে শেষ লাইনে গিয়ে দেখী একই কিসসা!
পরিচিত মূখ গুলো আলগোছে সরে যায়! কমিউনিস্ট পার্টির এক ছোট ভাইকে বল্লাম- বলল দাদা
ল্যাপটপ নিয়া আসছি কিন্তু নেট নাই!
আইডি কার্ড দিয়া ভোট দিতে দেবে না।
আর চেনা দলান্ধ মূখগুলোর কর্ম ব্যস্তা দেখে -চলে এলাম অফিসে আঙুল কে কলংকিত না করেই!
স্বাধীনতার চেতনার দোহাই দিয়ে এমন স্বাধীনতা হরণের ইতিহাস কলংকিত হয়েই থাকবে।