নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সফেদ ক্যানভাস

আমরা আমাদের মধ্যকার আদর্শিক দ্বন্দ্ব গুলোকে মিটিয়ে ফেলতে পারিনা বরং একটু যুক্তিসংগত, একটু মসৃণ করতে পারি মাত্র। আর সে লক্ষেই হোক পথ চলা.....

সফেদ ক্যানভাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

চরমোনাই হুজুরের বাহাদুরি ও প্রার্থীদের ইজ্জত হরণ প্রসঙ্গে...

০৩ রা মে, ২০১৫ রাত ২:৩৩



সম্প্রতি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চরমোনাই হুজুরের প্রার্থীদের ইজ্জত হরণ (জামানত হারানো) প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে "বাহাদুরি" শব্দটা ব্যবহারের পেছনে যথেষ্ঠ কারণ আছে। তবে সে বিষয়ে পরে আসছি। আমার পরম সৌভাগ্য হয়েছে স্ব-শরীরে তার অনেক ওয়াজ মাহফিল "পরিদর্শন" করার। "পরিদর্শন" বললাম এই জন্য যে সত্য কথা বলতে লজ্জা নেই। আমার মাহফিলে যাওয়ার উদ্দেশ্য যতটা না তার ওয়াজ শোনা। তার চেয়ে ভক্তোদের উপস্থিতির পরিমাণ এবং এষ্কে পাগল হয়ে গাছে বা ছামিয়ানার বাঁশ বেয়ে উপরে ওঠার দৃশ্য দেখার প্রতিই মূলত ঝোঁকছিলো বেশি। যা হোক আসল কথায় আসি। বলছিলাম হুজুরের বাহাদুরির কথা। ঢাকাতে তার বিভিন্ন মাহফিলে যে পরিমাণ ভক্তকে আমি উপস্থিত হতে দেখেছি তার প্রেক্ষিতে বলছি। তার ৫ ভাগের এক ভাগ ভক্তও যদি হুজুরের সমর্থীত প্রার্থীকে ভোট দিতেন তাহলে অন্তত তার এ বয়সে ইজ্জত হারাতে হতো না। ইজ্জত হারানো বলছি এ কারণে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে তার সমর্থীত প্রার্থী যে পরিমাণ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছে তাকে আর যাই বলি ইজ্জত থাকা বলে না। তাহলে তার ভক্তদের ভোট গেল কোথায়..? খুব জটিল প্রশ্ন। তবে সে বিষয়ে আরেকদিন না আলোচনা করবো।



এখন আসি সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে।

বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে জানতে পারলাম সদ্য সমাপ্ত ৩ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চরমনায় হুজুর তার ব্যপক জনপ্রিয়তা যাচাই করতে ভোটে নেমে পড়েন। এ জন্য ব্যপক জনপ্রিয় ও দ্বীনদার প্রার্থীও দিয়েছিলেন। কিন্তু দুঃখের বিষয় তার সব প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। বেসরকারি ফলাফলে জানতে পারলাম ঢাকা সিটি উত্তরে হুজুর মনোনিত প্রার্থী(সম্মিলিত নগর উন্নয়ন আন্দোলনের ব্যানারে) শেখ মো. ফজলে বারী মাসউদ (কমলা লেবু প্রতিকে) পেয়েছেন ১,৮৫০ ভোট। ঢাকা সিটি দক্ষিণে হুজুর মনোনিত প্রার্থী আব্দুর রহমান (ফ্লাস্ক প্রতীকে ) পেয়েছেন ১৪,৭৮৪ ভোট। এ দিকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হুজুর মনোনিত প্রার্থী টেবিল ঘড়ি প্রতীকে ওয়ায়েজ হোসেন ভূঁইয়া ৯,৬৬৮ ভোট পেয়েছেন। অর্থৎ ঢাকা ও চট্টগ্রাম মিলে তারা মোট ভোট পেয়েছেন- ২৬৩০২ ভোট।

অবশ্য শেষ দিকে অবস্থা বেগতিক দেখে বিএনপি-জমায়াত জোট সমর্থীত প্রার্থদের দেখাদেখি তারাও সব কটি সিটিতে নির্বাচন বয়কটের ঘোষনা দেন। যদিও তিনি এবং তার দল দেশ ধ্বংশ হয়ে গেলেও বিএনপি-জামায়াত জোট যেদিকে হাটে তার ধারে কাছে হাটাকেও তার ফতোয়ায় তিনি যায়েজ মনে করেন না। তবে এবার মনে নয় ফতোয়া একটু ঘুরিয়ে যায়েজ করা হয়েছে(হুজুরের গরুতে ফসল খাওয়ার ফতোয়ার মত)।

এই যখন অবস্থা তখন নির্বাচনের মাধ্যমে পীর ছাহেব হুজুরের ইজ্জত হরণ হয়েছে বললে কি তার ফতোয়া অনুযায়ী না যায়েজ গণ্য করা হবে..??

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.