নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সফেদ ক্যানভাস

আমরা আমাদের মধ্যকার আদর্শিক দ্বন্দ্ব গুলোকে মিটিয়ে ফেলতে পারিনা বরং একটু যুক্তিসংগত, একটু মসৃণ করতে পারি মাত্র। আর সে লক্ষেই হোক পথ চলা.....

সফেদ ক্যানভাস › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামী লীগের চেতনা ব্যবসা ও ডিজিটাল জয় বাংলা মেশিন

০৬ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৫৩

আওয়ামী লীগের চেতনা ব্যবসা নতুন কিছু নয়। বলা যায় চেতনা ব্যবসার জোরেই আওয়ামী লীগ টিকে আছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, স্বাধীনতার চেতনা, বঙ্গবন্ধুর তথাকথিত চেতনা, মুজিব কোটের চেতনা, ডিজিটাল লীগের চেতনা, জয়বাংলার চেতনা, ধর্মনিরোপেক্ষর চেতনা, স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির চেতনা। কি নেই সেখানে..?
বাংলাদেশে এসব চেতনার আওয়ামী লীগই একমাত্র ফেরিওয়ালা। সবাই তাদের কাছ থেখে চেতনা শিখে যেতে হবে তা না হলে যে সবাইকে যে এ কে খন্দকারের পরিণতি ভোগ তরতে হবে তা সহজেই অনুমেয়ো।
এ দেশে আওয়ামী লীগের এই চেতনা ব্যবসা যেদিন শেষ হয়ে যাবে আওয়ামী লীগও সেদিন শেষ। এ কারণেই সম্ভবত প্রয়াত সাংবাদিক এ বি এম মুসা বলেছিলেন, আওমী লীগ এমন একটি যন্ত্রের নাম যার এক দিক থেকে 'রাজাকার' ঢুকিয়ে দিলে অন্য দিক দিয়ে 'মুক্তিযোদ্ধা' হয়ে বের হয়। আবার যদি 'মুক্তিযোদ্ধা' ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাহলে 'রাজাকার' হয়ে বের হয়। ইহাকেই বলে ডিজিটাল জয়বাংলা মেশিন। আবার আওয়ামী লীগকে দেখা মাত্র 'তুই চোর' বলে স্লোগান দেয়ার কথা বলে বেচারা মৃত্যুর আগে আওয়ামী লীগতো বটেই স্বয়ং শেখ হাসিনার(প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মানি না তাই হাসিনা বললাম) যেভাবে তোপের মুখে পড়েছিল তাতে মরে গিয়ে একরকম বেচেই গেছে। তা না হলে ডিজিটাল যন্ত্রের রোশানলে পড়ে আবার দেখা যেত রাজাকারের তকমা নিয়ে মরতে হতো।

তবে ইদানিং দেখলাম আওমী লীগের নেতা-কর্মীরা চেতনা ব্যবসার সাথে নতুন করে শুরু করেছে স্লোগান ব্যবসা। আমি যানি যে প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের নিজেস্ব স্লোগান থাকে। বাংলাদেশে যেমন- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রধান স্লোগান- বাংলাদেশ জিন্দা বাদ। এছাড়া জামায়াতসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর স্লোগান হচ্ছে- নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার ইত্যাদি। একইভাবে আওয়ামী লীগের স্লোগান জানতাম- ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গ বন্ধু’।

কিন্ত সে দিন দেখলাম আওয়ামী লীগের গাড়ল মার্কা এক হাইব্রিড মন্ত্রী নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান- যিনি বাইতুল মোকাররম মসজিদে কুরআন বিরোধী বক্তব্য দিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জুতার বাড়ি খেয়ে সেই যে বাইতুল মোকাররম ছাড়লেন। এর পর ভুলেও আর কোনো দিন ওদিকে পা বাড়ান নি। তিনি সেদিন প্রেসক্লাবে এক সমন্বয় পরিষদের মিটিং এসে স্লোগান দিচ্ছেন- 'দুনিয়ার মজদুর এক হও'। আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর মুখে এ স্লোগান শুনেতো আমার পাশে বসা এক সিনিয়র সাংবাদিক রীতিমত মুখ চেপে ধরে আসা শুরু করলেন। বললেন এটি আবার আওয়ামী লীগের স্লোগান হলো কবে থেকে ভাই.??
আমি যত দুর জানি স্লোগানটি এসেছে মার্কসবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস রচিত-কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোর শেষ লাইন "দুনিয়ার মজদুর এক হও" (Workers of all land unite) থেকে। লন্ডনের হাইগেট সেমিটারিতে এখনও তার সমাধির ফলকে এ লাইনটি লেখা রয়েছে।

অর্থাৎ বলা যায় মার্কসবাদ তথা সমাজতান্ত্রীক তথা বামপন্থী আদর্শের উপর ভিত্তি করে গঠিত পৃথিবীর সমস্ত রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনগুলোর প্রধান স্লোগান হলো-"দুনিয়ার মজদুর এক হও" (Workers of all land unite)। যদিও সমাজতন্ত্র পরবর্তীতে বিভিন্ন পরিবর্তীত অবস্থার খাপ খাওয়াতে না পেরে একটি ব্যর্থ, পঙ্গু ও প্যারালাইস্ট মতমাদ হিসেবে নিজেরে জন্মভুমিতেই আত্নহত্যা করেছে। অথচ আওয়ামী লীগের এই বিশাল বিপ্লবি নেতা দিন দুপুরে ডাকতির ন্যায় সেই স্লোগানও এখন নিজেদের বলে চালিয়ে যাচ্ছে। যে কি না এই স্লোগানের ইতিহাস কি সেটাও জানে না। আসলে চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি।
অপরদিকে বামপন্থী কমিউনিস্টদের সাথে আওয়ামী লীগের এত দহরম-মহরম সম্পর্ক। অথচ আমি বামপন্থিদের মনের ভুরেও কোনো দিন জয় বাংলার সাথে জয় বঙ্গবন্ধু বলতে শুনিনি। সেখানে আওয়ামী লীগের কি নির্লজ্জতা.......!!! এই পোস্টের ধারে কাছেও কোনো আওয়ামী লীগ আসবেন না।


বিঃ দ্রঃ আওয়ামী লীগ ও পাগলা কুত্তা থেকে ৫০০ হাত দুরে থাকুন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.