নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

fb.com/sohagsokal

সোহাগ সকাল

বুকের ভিত্রে কিছু সামুদ্রিক পাতিহাঁস ডানা ঝাঁপটায়া ছাট পারতাছে

সোহাগ সকাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুগল্প সমগ্র - ২

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২১

এক



হা করে আকাশের কোন এক তারার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি। বল্টু হঠাৎ কোত্থেকে এসে আমার পিঠ চাপড়ে বলে,

"কিরে ভুদাই! আকাশে কী তোর নানীরে দেখা যায়? এইভাবে কী দেখিস?"

আমি তারাদের দিকে তাকিয়ে থেকেই বল্টুকে লক্ষ্য করে বললাম,

"ছ্যাকা খাইলে বুঝবি দোস্ত।"

বল্টু শব্দ করে হাসতে হাসতে বললো,

"তুই আসলেই একটা ভুদাই।"

আমি বল্টুর কথায় কান না দিয়ে তারাদের দিকে আনমনা ভাব নিয়ে তাকিয়ে থাকি।

দু'বছর পর একদিন বল্টুকে দেখা গেল হা করে রাতের তারা দেখছে। আমি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বল্টুর পাশে গিয়ে বললাম,

"কিরে দোস্ত! আকাশে কী তোর নানীরে দ্যাখা যায়?"

বল্টু কান্না মেশানো কন্ঠে বললো,

"দোস্ত! মেয়েরা এত্ত খারাপ ক্যান রে? আজকে বুঝতে পারতেছি, আমিও তোর মতই একটা ভুদাই।"

আমি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে ধুপ করে বল্টুর পাশে বসে পড়লাম। তারপর বললাম,

"আয় দোস্ত! দুই ভুদাই মিলে তারা দেখি।"

___________________________________________________



দুই



রাত দুপুর। পিচঢালা রাস্তাটাও কেমন যেন ঘুমিয়ে পড়েছে। আমি হেলেদুলে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটছি। মাঝে মাঝে রাস্তায় পড়ে থাকা ইট-পাথরের টুকরো গুলো ফুটবলের মতো লাথি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছি। হঠাৎ কালো রঙের একটা জীপ এসে আমার থেকে কিছুটা সামনে ব্রেক কষলো। জীপের হেডলাইটের আলো এসে আমার চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। আমি ডান হাতটা আড়াআড়ি ভাবে চোখের সামনে ধরে হেডলাইটের আলো থেকে চোখ দুটোকে বাচানোর চেষ্টা করছি। কিছুক্ষণ পর বললাম,



- এই আপনারা কে? কী চান?

- আব্বে চালা কী চাই বুঝিস না? কথা না বাড়িয়ে সোজা গাড়ীতে উঠে আয়।



আমি বুঝে গেলাম এগুলো সব রুম্পার বাবার ভাড়াটে গুন্ডা। রুম্পাকে গত কয়েকদিন যাবত ঘরে বন্দি করে রেখেছে ওর বাবা। আর আমি ওর বাবাকে আজ সন্ধ্যায় চিৎকার করে বলে এসেছি, "আমার রুম্পাকে আমি আগামিকাল সূর্য ডোবার আগে আপনার এই রাজপ্রাসাদ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবো। এ আমার প্রেমের কসম।"



আমি গুন্ডাদেরকে লক্ষ্য করে বললাম, - অ্যাই শুয়োরের বাচ্চার দল! এমন ছ্যাঁচা ছেঁচবো না, একজন আরেকজনকে আলুভর্তা ভেবে খাওয়া শুরু করবি।



গুন্ডাদের মধ্যে থেকে কুকড়ানো চুল আর মোটা মোচের অধিকারী একজন বলে উঠলো,

- হাহ হাহ হা হা! চালায় বলেকী! এই যা তো, মালটাকে শেষ করে দিয়ে আয়।



গাড়ী থেকে জ্যাকেট পড়া দুইজন নেমে হাতে রামদা নিয়ে আমার দিকে দৌড়ে আসলো। আমি লাফ দিয়ে দুজনের বুকে লাথি মারলাম। দুজন উড়ে গিয়ে গাড়ীর সামনের গ্লাস ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে গেল। তারপর অনেক্ষণ মারামারি চললো। চারিদিকে খালি গুন্ডাদেরকে উড়তে দেখা গেল। মাটিতে পড়ার টাইম দিলাম কই? সবাইকে কুপোকাত করা শেষে হাতে একটা রামদা নিয়ে মোচ ওয়ালা লোকটার বুকের ওপর পা রাখলাম। রামদা উঁচিয়ে কোপ দেব এমন সময় পেছন থেকে কেও একজন আমার মাথায় আঘাত করলো।



আমি যখন বোধশক্তি ফিরে পেলাম, তখন আমাকে গুন্ডাদের আস্তানায় বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমাকে যেখানে বেঁধে রাখা হয়েছে তার নিচে ফুটন্ত গরম পানি টকবক করছে। রুম্পার বাবা কয়েকঢোক ব্ল্যাক লেভেল গিলে আমাকে বললো, "বামন হয়ে চাঁদের দিকে হাত বাড়াতে নেই!"



আমি রুম্পাকে মনে করলাম। একহাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ বয়ে গেল আমার শরীরে। আমি আমার বাঁধন ছিড়ে এক লাফে রুম্পার বাবার সামনে গিয়ে পড়লাম। তারপর শুরু হলো আখেরী যুদ্ধ। একটু পরপরই আশেপাশে যেভাবে আগুনের বিস্ফোরন ঘটছে তাতে মনে হচ্ছে- ক্ষেপণাস্ত্র। গুলির আওয়াজ- ধিঞ্চু ধিঞ্চু। গুন্ডারা শত গুলি করেও আমার একটা পশম পর্যন্ত উঠাতে পারলো না। আর আমি এক গুলিতেই তিন চারটা করে শয়তান মারছি। রুম্পার বাবার সার্বক্ষনিক চামচার জায়গা মতো একটা লাথি মারলাম, রকেটের মতো উপরে উঠে গেল। তারপর ফ্যানের পাখা ধরে ঝুলতে থাকলো। অনেক্ষণ মারামারি চলার পর সব গুন্ডা কুপোকাত হলো। বেচে থাকলো শুধু রুম্পার বাবা। রুম্পার বাবা আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লো। এমন সময় কোত্থেকে এসে আমার সামনে দাড়ালো মিথিলা। মিথিলা হচ্ছে সাইড নাইকা। আমাকে এতদিন চুপিচুপি ভালবাসতো। তবে কোনদিন ভালবাসার কথা প্রকাশ করেনি। মিথিলার পেটে এসে গুলি লাগলো। মিথিলা আ আ আ করতে করতে মরে গেল। আমি হাতে একটা রামদা তুলে নিলাম। তারপর এক লাফে রুম্পার বাবার বুকের ওপর গিয়ে দাড়ালাম। তারপর শয়তানটাকে খতম করার ঠিক আগ মূহুর্তে পুলিশ বাহিনী হাজির। পুলিশ অফিসার বললো, "আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না!"



অতঃপর রুম্পাদের রাজপ্রাসাদ থেকে রুম্পাকে মুক্ত করে নিয়ে আসলাম। আর চমৎকার একটা গান হয়ে গেল,



আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে… ইয়াহ!





মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

শূন্য পথিক বলেছেন: চরম! :D :D

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় শূন্য পথিক।। :)

শুভ কামনা।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

রাইভী বলেছেন: :D

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

সোহাগ সকাল বলেছেন: :)

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন: এটা সম্ভবত ফেবু'তেও পড়েছিলাম , তাই না ? তখনও মজা পেয়েছিলাম , এখনও পেলাম ...... +

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৪

সোহাগ সকাল বলেছেন: হা ফেবুতেও দিয়েছিলাম।
ধন্যবাদ রাজকন্যা।
ভালো থাকবেন।

৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৬

তোমার গল্পের মৃত রাজকন্যা বলেছেন: হুম !

তাহলে মেমরি এখনও ধোঁকা দিচ্ছে না!! :)


ভালো থাকুন :)

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

সোহাগ সকাল বলেছেন: :)

৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

সবুজ মহান বলেছেন: +

২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোহাগ সকাল বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয় সবুজ।

ভালো থাকবেন।

শুভ কামনা।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.