নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন পথে চলার এক অচেনা পথিক আমি। হাটি হাটি পা পা করে অনেক দূর পৌছে গেছি। মাঝে মাঝে পিছনে ফিরে তাকাই কিছু সুখ কিছু দু:খ আর স্মরনীয় কিছু ছোট ছোট মুহুর্ত মনের জানালায় উকি দেয়। আমরা বেচেথাকি শুধুমাত্র বিভিন্ন লক্ষ পুরোণের জন্য।

সোহানখুলনা

জোনাকির আলো

সোহানখুলনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাসায় বসে নিজে নিজে মেডিটেশন করার পদ্ধতি কি?

২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:৫৬

সুতির আরামদায়ক যে কোন পোষাকই মেডিটেশনের জন্য উপযোগী। পরিষ্কার পাজামা-পাঞ্জাবী পরে করতে পারেন মেডিটেশন। ট্রাউজার বা ট্রাক স্যুটও চলবে। যেকোনো ঢিলেঢালা পোষাক পরতে পারেন। শরীরে যেকোন অলংকার না রাখাই ভালো। মেডিটেশন করার পদ্ধতি– মেডিটেশন বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তবে সহজ হল ব্রিদিং মেডিটেশন। দিনে যদি আপনি ২ থেকে ৩ বার ১০-১৫ মিনিট সময় বার করতে পারেন তা হলেই ব্রিদিং মেডিটেশন করা সম্ভব। সাধারনত মেডিটেশন করতে হয় পদ্মাসন, সুখাসন, অর্ধপদ্মাসন, স্বস্তিকা আসনে বসে। দুই হাত থাকবে দু’ধারে, ধ্যান মুদ্রায়। কোমর, কাঁধ, মাথা একটি সরল রেখায় থাকবে। শিথিল করে রাখতে হবে কাঁধ। এই ভঙ্গিতে বসে কিছুক্ষন অন্য সব চিন্তা দূরে সরিয়ে মনকে কেন্দ্রীভূত করুন। দুর্বল, অসুস্থ শরীর মেডিটেশনের জন্য উপযোগী নয়। তাই সুস্থ হতে হবে আগে। বাদ দিতে হবে অতিরিক্ত ভোজন। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ঘুম পরিহার করতে হবে।  - একটি শান্ত জায়গা খুঁজে নিন যেখানে আপনি আরামে বসতে পারেবেন।  - দুই পা একটির উপর আরেকটি তুলে ক্রুস করে বসুন। তবে পিঠ ও শিরদাঁড়া সোজা রেখে আপনি যে কোন পজিশনে বসতে পারেন। আসলে পিঠ সোজা করে না বসলে ঘুম পেয়ে যাওয়ার প্রবনতা দেখা যায়।  - দু চোখ আধা বন্ধ করে নিজের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোনিবেশ করুন।  - স্বাভাবিক ভাবে নিশ্বাস নিন। নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করবেন না।  - বোঝার চেষ্টা করুন কিভাবে হাওয়া নাকের ভিতর দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে যাচ্ছে। কি ভাবে ফুসফুসে হাওয়া ভরছে আর আপনার বুক উঠা নামা করছে।  - একই ভাবে যখন শ্বাস ছাড়ছেন সেই ব্যাপারটাও অনুভব করার চেষ্টা করুন। কিভাবে হাওয়া আপনার নাকের ভেতর দিয়ে আবার আপনার শরীরের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে , এটা বোঝাও মেডিটেশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।  - শ্বাস-প্রশ্বাসের এই প্রক্রিয়া ছাড়া আর কোন কিছুর উপরই মনোযোগ দেবেন না। আপনার চারপাশের পরিবেশে কি হচ্ছে তা বিন্দু মাত্র ভাবার চেষ্টা করবেন না। মনে রাখুন- সারাদিনের কাজের চাপের কারনে আপনার মনে হতেই পারে যে মেডিটেশন আপনাকে আরও ব্যস্ত করে তুলেছে। তবে বাস্তব চিত্রটা একটু অন্যরকম। মেডিটেশন আসলে ভাবনার প্রতি আমাদের সচেতনতা বাড়ায়। মেডিটেশন করার সময় যতবার আপনার মন অন্যদিকে যাবে ততবার শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোনিবেশ করবেন। যত দিন যাবে দেখবেন যে আপনার মন সংযোগ বাড়বে এবং আপনি আরও বেশি মানসিক প্রশান্তি অনুভব করবেন।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:০৮

নতুন বলেছেন: কোয়ান্টাম ম্যাথড ছাড়া মেডিটেসন হবে?

২| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১:৫৬

সোহানখুলনা বলেছেন: হা কিন্তু কোয়ান্টাম ম্যাথড অনুযায়ি মেডিটেসন করলে ভাল হবে ।

৩| ২৪ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ২:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

ভালো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.