![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গ্রহে মানুষের মত দেখতে নতুন প্রাণী উদ্ভাবন করা হয়েছে। এলিয়েনদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক উল্লাস।
প্রাণীটির নাম দেওয়া হয়েছে "লাইক"। যে কিনা এলিয়েনদের বিভিন্ন কাজ দেখে এপ্রিশিয়েট করবে এতে তারা কাজে আরও উৎসাহিত হবে বলে গ্রহের বিজ্ঞানীদের ধারনা। এমন কথা জানার পর গ্রহের এলিয়েনরা তাদের কাজগুলো উপস্থাপন করা শুরু করলো আর "লাইক" এসে একের পর এক সব কাজে লাইক দিয়ে বুঝাতে থাকলো কাজগুলো ভালো হয়েছে। এতে এলিয়েনরাও খুশি থাকলো। পরবর্তীতে এলিয়েনদের কাজের বাহিরের জীবনেও লাইকের প্রভাব বিস্তার করা শুরু হল। "লাইক" তখন এলিয়েনদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ইভেন্টে লাইক দিয়ে থাকে। এতে করে একটা জামেলা দেখা গেল যে, এলিয়েনদের মধ্যে কারোর শারীরিক সমস্যা বা কোন ক্ষয়ক্ষতি ব্যাপারেও "লাইক" তার সিস্টেম অনুযায়ী লাইক দিতে থাকলো। এই কারনে এলিয়েনদের মধ্যে এটি নিয়ে দেখা দিল ভীষণ বিরক্তিকর পরিস্থিতি।
তখন এই নিয়ে এলিয়েন বিজ্ঞানীরা চিন্তায় পড়ে গেল। তারপর একটি মিটিং ডাকা হলো। এক তরুণ এলিয়েন বিজ্ঞানী তার আইডিয়ার কথা বললো যে, "এখন আমরা "লাইকের" টাইপের আরও প্রাণী উদ্ভাবন করবো। তবে সেগুলো লাইকের মত হুবহু কাজ করবে না। প্রতিটি প্রাণী থাকবে আলাদা আলাদা অনুভূতি। তারা এলিয়েন কর্মীদের কাজ বা জীবনের ইভেন্ট গুলোতে যেখানে যেমন রিয়েক্টশন দেওয়া দরকার তা দিবে। ধরা যাক, কোন এলিয়েনের সমস্যাজনিত ব্যাপারে এক প্রাণী স্যাড রিয়েক্ট দিবে। এতে করে এলিয়েনটির জন্য সমবেদনা জানানো গেল। আবার কারোর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শনের জন্য থাকবে "লাভ" নামক প্রাণী। আবার কেউ খারাপ কোন কাজ করলে তার জন্য থাকবে "এ্যাংরি" এবং কোন মজাদার কাজের প্রতি থাকবে "হা হা" নামক জোকার প্রাণী।"
তরুণ বিজ্ঞানীর আইডিয়া শুনে অন্য বিজ্ঞানীরা একমত পোষণ করলো। তারপর শুরু হয়ে গেল বিভিন্ন রিয়েক্ট নিয়ে আলাদা আলাদা প্রাণী। যখন সবগুলো প্রাণী উদ্ভাবন করে এলিয়েনদের জানানো হলো, তারা সবাই খুবই আনন্দিত হল কারন এতোদিনে মনের মত করে তারা তাদের কাজের মর্যাদা পাবে এই কথা চিন্তা করে।
সময়টা তাদের ভালোই কাটতে লাগলো। ছেলে এলিয়েন মেয়ে এলিয়েনদের প্রপোজ করতে থাকলো এইসব প্রাণী সহায়তায়।
এক ছেলে এলিয়েন মেয়ে এলিয়েনকে বললো,
" তুমি চাইলে এনে দেব 'লাভ' রিয়েক্ট খুঁজে,
তুমি চাইলে 'স্যাড' আনবো তোমার কষ্ট বুঝে "
এমন রোমান্টিক প্রপোজ পেয়ে অনেক মেয়ে এলিয়েনও প্রেমে সাড়া দিল। তারা সুখে শান্তিতে ইন এ রিলেশনশিপে চলতে থাকলো। জামেলা বাজলো জোকার প্রাণী ওরফে "হা হা" রিয়েক্ট কে নিয়ে। ইন এ রিলেশনশিপে থাকা এলিয়েনদের বিভিন্ন এক্টিভিটিসে কিছু এলিয়েনরা "হা হা" প্রানীটিকে ক্ষেপিয়ে দিল। তখন "হা হা" প্রাণী তাদের কাজে হা হা দিতে থাকলো। এতে ইন এ রিলেশনশিপে থাকা এলিয়েনগুলো তুলুম রেগে গেল আর তারা অপমান বোধ করে ঝাপিয়ে পড়লো যারা "হা হা" প্রাণীকে তাদের প্রতি ক্ষেপিয়ে দিয়েছে সেইসব এলিয়েনদের উপর। এতে গ্রহের এলিয়েনদের মধ্যে সৃষ্টি হল অরাজকতা। তারা একের পর এক জামেলায় জরিয়ে পড়লো। কেউ কাউকে ঠিকভাবে সহ্য করতে পারলো না। সবাই লিপ্ত হলো জগড়া বিবাদে। কিছুদিন পরপরই মারামারি লেগে থাকতো এলিয়েনদের মধ্যে। গ্রহে নেমে এলো ভয়ংকর পরিবেশ। এলিয়েনরা অগ্রসর হল ধ্বংসের পথে।
এমন পরিস্থিতি দেখে গ্রহে উদ্ভাবিত রিয়েক্ট প্রাণীগুলোর মধ্যে একজন বলে উঠলো,
"এতো কোটি পেলিয়েনের হে মুগ্ধতা জননী,
রেখেছো ডিজিটাল করে এলিয়েন করনি "
................................
© লেখা- Sohan Kuasha
০৫/এপ্রিল/২০১৯
©somewhere in net ltd.