নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহেল ঢাকা বাংলাদেশ

মাহবুব সোহেল

আমি অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ এবং আমার সম্পকর্ে বলার মত কিছু নাই ।

মাহবুব সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

আওয়ামীলীগের জরুরী ভিত্তিতে একটি অনলাইন ছাত্র সংগঠন গঠন করা উচিৎ

২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:২০

আওয়ামীলীগের জরুরী ভিত্তিতে একটি অনলাইন ছাত্র সংগঠন দাড় করানো উচিৎ । নইলে আর পারা যাচ্ছে না । কারন শিবিরের পোলাপাইনেরা যেভাবে অনলাইন ষ্ট্যাটাস মাইরা মাইরা বেড়াইতেছে তাতে করে সত্যটা যাচাইয়ের সুযোগ থাকছে না । প্রতি দিন হাজারে হাজারে পোষ্ট ওরা ছবি সহ অনলাইন করতেছে । পাল্টা পোষ্ট দেওয়ার মত আওয়ামীলীগের একটা ছাত্রও চোঁখে পড়ে না । সম্ভবত সবাই চান্দাবাজীতে ব্যস্ত । কে পারবে নগদ টাকার পিছে না গিয়ে একটা ল্যাপটপ নিয়া সাড়া দিন বসে থাকতে । এদিক সেদিক থেকে খালি টেকা আর টেকা আইতাছে আর এদিক দিয়া দলের বদনাম গাইয়া গাইয়া ছাগুর বাচ্চারা বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে তাদের মিথ্যা প্রচার নিয়া হাজির হইতাছে । এমন কি অনলাইনে জনে জনের কাছেও হাজির হইতেছে । তারা যেভাবে অগ্রসর হচ্ছে তাতে করে আগামী সংসদ নিবর্াচনে মাঠ পর্যায়ে তাদের কোন ক্যাম্পেইন করতে হবে না । তাদের গতি এতই দ্রুত যে একটা পোষ্ট মারলে এক ঘন্টায় ২,০০০/২,৫০০ লাইক কমেন্ট পড়ে যায় । আমরা একটা পোষ্ট করলে ২/৩ দিন পার হওয়ার পরে ৪/৫ টা লাইক কমেন্ট পাই । এই সামান্য পরিসংক্ষান হইতে বুঝিয়া লওয়া যায় ডিজিটাল বানাইলো কারা আর ডিজিটাল হইয়া গেল কারা । অরাজনৈতিক অনেককে দেখেছি তাদের প্রতিবাদ করতে, পাল্টা পোষ্ট দিতে কিন্তু তাদের সাথে কুলাইয়া উঠতে পারে না । কোথায় হাজারে হাজারে শিবিরের ছাত্র ছাত্রী আর কোথায় অরাজনৈতিক ৫০/৬০ জন আওয়ামী প্রেমিক । অরাজনৈতিক কেউ প্রতিবাদী পোষ্ট দিলে গুরুত্ব কম থাকে এবং তারা সকলে মিলে ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যে পোষ্টটি রিপোর্ট করে হাওয়া করে দেয় নয়তো পোষ্ট দাতার প্রফাইলটি চীর জীবনের মত ব্লক করে দেয় । তাহলে দলীয়ভাবে এর প্রতিবাদ কেউ কি করবে না । যারা প্রতিবাদী পোষ্ট করে তাদের প্রায় প্রত্যেকের থেকেই জেনেছি কেউই আওয়ামীলীগ করে না । শুনেছি গনজাগরনের মঞ্চের সাথে জড়িত ছিলো । কেউ কেউ আছেও । যার বিয়া তার খবর নাই পাড়াপড়শী কয়দিন অঘর্ূমা করবে । এক সময় তাদের ঘুম পাবেই । এরা ঘুমাবার আগেই যদি আওয়ামীলীগ একটি অনলাইন ছাত্র সংগঠন দাড়া করাইতে না পারে তবে মে য় র নিবর্াচন আরেকবার হইয়া যাইতে পারে । ওরা যে এত দ্রুত ডিজিটাল হইয়া গেল তারও একটা কারণ আছে । ওদের পোষ্ট বা কমেন্ট লক্ষ্য করলে বুঝা যায় যে ওরা স্মার্টর্ৃফোন মোবাইলের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা অনলাইন থাকে । মোবাইলে কল আসলে যেমন রিং বাজে ঠিক তেমনি ওদের মধ্য থেকে কেউ একটা পোষ্ট মারলে সাথে সাথে সবার মোবাইলে রিং বেজে উঠে । সবাই তখন তৎপর হয়ে উঠে । আর ছাত্রলীগ কি করতেছে ? চান্দাবাজী আর নিজেদের মধ্যে মারামারি করিয়া পত্রিকার পাতায় পাতায় নিজেদের ষ্ট্যাটাস উজ্জল করিয়া ধরিতেছে আর সেই সব ষ্ট্যাটাস ছবি সহ শিবিরের ছাত্র ছাত্রীরা দেশবাসীর সামনে মূল্যবান পোষ্ট আকারে তুলিয়া ধরিয়া আওয়ামীলীগের বদনাম করিয়া যাইতেছে যাতে কিনা কেউ আর আওয়ামীলীগকে ভোট না দেয় । তাদের ষ্ট্যাটাসগুলি না পড়িলে কেউ বুঝতে পারবে না শিবির ডিজিটালী কত অগ্রসর হইয়া গিয়াছে । আওয়ামীলীগ এখনও যদি অনলাইনে তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করে তবে চরম মূল্য প্রদানের জন্য প্রস্তুত থাকিতে হইবে । তাদের বেশীর ভাগ ছাত্রী সংগঠনের কর্মীরাই এই কাজে ব্যাস্ত । বাশেরকেল্লা, তিতুমিরের কেল্লা এবং এই জাতীয় আরও অনেক পেইজ আছে যার মাধ্যমে আলতো করে আওয়ামীলীগকে আস্তে আস্তে ল্যাংটা করতেছে । তাদের পোষ্টে আওয়ামীলীগের নাম বিকৃত করে খারাপ ভাষায় লেখে আর ছাত্রলীগকে লেখে তারা কুত্তালীগ নামে । কোন দিন কোন ভাবে কোন একটা ছাত্রলীগের কারো চোঁখে তাদের পোষ্ট করা এমন ষ্ট্যাটাস পড়েছে বলে মনে হয় নাই । পড়লে বুঝতে পারতাম । ভদ্র ভাষায় কিছু না বললেও অকথ্য ভাষায় দূই চারটা গালিতো অবশ্যই দিত । আবার ছাত্রলীগের চোঁখে পড়ে নাই বিশ্বাস করতেও কষ্ট হয় । তবে কি দলের প্রতি ছাত্রলীগের টান কমে গেল ? টান কমার কারনও আছে অনেক তবে এই মুহুতর্ে সেই বিতর্কে যাবো না । যা হওয়ার হইছে । একটা নতুন অনলাইন ছাত্র সংগঠন আওয়ামীলীগের জন্য অত্যন্ত জরুরী । এখনও যদি নতুনদের সকলকে লেপটপ হাতে দিয়া বসাইয়া দেয়া যায় তবে শিবিরের মিথ্যাচারের প্রভাব নিবর্াচনের উপর বিস্তার করা হইতে কিছুটা হইলেও রক্ষা হইতে পারে । 

প্রসংগত ঃ নতুন আওয়ামী অনলাইন ছাত্র সংগঠন জাতীয় নামের প্রয়োজন আছে; কারন নাম ছাড়া বেনামে পোষ্ট দিলে গুরুত্ব কম থাকে এবং তারা(শিবির) সকলে মিলে ৩০/৪০ মিনিটের মধ্যে পোষ্টটি রিপোর্ট করে হাওয়া করে দেয় নয়তো পোষ্ট দাতার প্রফাইলটি চীর জীবনের মত ব্লক করে দেয় । আওয়ামীলীগ জাতীয় সংগঠনের নাম ব্যাবহার করিলে সেই পোষ্ট মুছিবার পূর্বে তারা হাজার বার চিন্তা করিবে এবং অনলাইনে এত বেপরোয়া হইতে সাহস পাইত না ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৩ ভোর ৬:২৪

খেয়া ঘাট বলেছেন: এই সামান্য পরিসংক্ষান হইতে বুঝিয়া লওয়া যায় ডিজিটাল বানাইলো কারা আর ডিজিটাল হইয়া গেল কারা - হাহাশে।

২| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:১২

মেদভেদ বলেছেন: খবরে প্রকাশ, ডিজিটাল-লীগের প্রপাগান্ডা কর্মীদের জন্য ১০,০০০ ল্যাপটপ কেনার জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের (প্রতিটি ৪০,০০০ টাকা দরে, ৪০,০০০X১০,০০০= ৪,০০০০০০০০ টাকার ১০%, ৪০,০০০০০০ টাকা)১০% ডিজিটাল কমিশন খাইছে আমিলীগের জৈনক ১০% মন্ত্রী. :D :D :D :D

৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:২৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: আম্লীঘের সবাই ঘুষ খায় আর চুরি করে বলে অনেকে বলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.