নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহেল ঢাকা বাংলাদেশ

মাহবুব সোহেল

আমি অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ এবং আমার সম্পকর্ে বলার মত কিছু নাই ।

মাহবুব সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রামীন ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন না করিয়া ধমকের সুর 

২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ৮:৫৫

সম্পদ ছিনিয়ে নিতে চাইলে আমাদের ক্ষমতা দেখবেন 

Click This Link



উনাদের কথা শুনলে মনে হয় উনারা ভারত অথবা পাকিস্তানের নাগরিক । কার সম্পদ কে ছিনিয়ে নিবে ? গ্রামীন ব্যাংকের সব সম্পদতো জনগনের তথা বাংলাদেশ সরকারের আর নিয়ন্ত্রন করতেছে বাংলাদেশ ব্যাংক । যদি অন্য কোন ব্যাংক গ্রামীন ব্যাংকের সম্পদ ছিনিয়ে নিতে চায় তখন বলা যাইতে পারে আমাদের সম্পদ ছিনতাই করে নিতে চাইলে আমাদের ক্ষমতা দেখবেন । আপনাদের কি বহিঃবিশ্বের কোন আন্ডারগ্রাউন্ড পাটর্ির সাথে যোগাযোগ আছে ? কোন দেশের সরকারতো নাক গলাতে আসবে না । আমেরিকার চেয়ে শক্তিশালী কারা আপনাদের পিছে আছে? আমার জানতে ইচ্ছা হয় ।  আপনেদের কেন মনে হয়, সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা বাদ দিয়া ছিনতাই ব্যবসা শুরু করলো ?

যে কোন ব্যাংকের টাকা লুটপাট করে খেতে হলে বাহিরের কেউ পারবে না । পারলে একমাত্র সেই ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদই পারতে পারে । সেই ব্যাংকের কোন কর্মকতর্া কর্মচারীর সেই ক্ষমতা নাই । ব্যাংকের বর্তমান পরিচালনা পরিষদে অবশ্যই কোন সরকারী লোক নেই তাহলে টাকা ছিনতাই করে খেতে চায় কারা আর বদনামের ভাগি হবে সরকার । পাবলিককে আগে গ্রামীণ ব্যাংকের মেমোরেন্ডাম অব এসোসিয়েশন আর অডর্িনেন্স (memorandum of association of Grameen bank & Grameen Bank Ordinance) পড়ে শুনান তারপর না হয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেন । এটা কি মগের মুল্লুক পাবলিককে যা খুশী বুঝিয়ে সরকারের ভোট ব্যাংকের মধ্যে আঘাত আনবেন ।



"আমাদের সম্পদ রক্ষার জন্য আমরা হাজারে-হাজারে, লাখে-লাখে ঢাকা আসব । দেশের সব নারীকে ডাকব, আমাদের পরিবারের সদস্যদের ডাকব । সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা জমায়েত হব ।" - মনে হলো যেন হেফাজতে ইসলাম উইমেন এডিশন সরকারকে ধামকী দিতেছে । সরকার থাকবে নাকি তাদেরকে পলায়ন করতে হবে বলে দিলে ভাল হয় । কারণ হেফাজতে ইসলাম আগেই বলে দিয়েছিল যে ১৩ দফা না মানলে সরকার পতন করেই তারা ঘরে ফিরবে । তারপর কি হয়েছিলো জানেন ? হেফাজতে ইসলামের একজন সিনিয়র নেতাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যাওয়ার পর বলে জামাতের কথা শুনে ভুল করেছি । আপনারা যে লাখে লাখে নারী সমাজ নিয়ে ঢাকা আসবেন টাকা পয়সা কোথা থেকে আসবে ? কারা কারা সহায়তা করবে ? কারা এবার জামাতকে দ্বায়ীত্ব না দিয়ে নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ বিরোধীদল ভেবে বাশী মুখে নিয়ে রেফারী সেজে রাজনীতির খেলা পরিচালনা করতে সরাসরি মাঠে নেমে গেলেন । সরকারের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার সাথে সব ঘটনার কোন না কোন লিংক থাকে । এই ঘটনাটিও ব্যতিক্রম মনে হয় না । ৪০০/৫০০ গুমের ঘটনা ঘটবার প্রথমিক ইঙ্গিত মনে হইতে পারে । গতবার সংখ্যা আধিক্যের কারনে জনসাধারনের কোমল অনুভুতিতে ব্যপারটি স্থায়ীভাবে প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয় নাই । দেশের মধ্যে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করা অবশ্যই অন্যায় । দেশটা আমাদের সকলের । আমাদের সাধারন জনগনের ভোগান্তি হয় এমন কোন কিছূতেই পাবলিক সাড়া দিবে না । আর যেই ৮৫ লক্ষ মহিলা এনে ঢাকা অচল করার পায়তারা চলছে তাদের মধ্যে বিএনপি জামায়েত হেফাজত ইসলাম ছাড়া আওয়ামীলীগের কেউ নাই । তারা অবশ্যই দেশের অমঙ্গল চাইতে আপনাদের সহযোগীতা করবে না । বাকী থাকলো ৫০ লক্ষ । তারা সকলে মিলে ঢাকায় আসলেও হেফাজতে ইসলামের মত এত বড় সমাবেশ হবে না । হেফাজতে ইসলাম ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনা এবং একটি আদর্শ নিয়ে দেশের বৃহত্তর গোষ্ঠির প্রত্যক্ষ সমর্থন নিয়ে এসেছিলো । যার মধ্যে কিছু সাধারন জনগনের সমর্থনও ছিলো । কিন্তু দাবীগুলি প্রতিষ্ঠিত করতে পারে নাই । সেই একই পন্থায় গোষ্ঠির ব্যক্তিগত দাবী পুরন সম্ভব না । তাহলে আপনাদের সরকার পতনের আন্দোলন ততটা জোড়াল হবে বলে মনে হয় না । তাছাড়া রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়া কোন দেশে কোন দিন কোন সরকারের পতন হয় নাই । 

একটি গনতান্ত্রীক সরকারের বিরুদ্ধে এমন ধামকী প্রদর্শন নিজেদেরকে প্রধান শ্রেষ্ঠ বিরোধীদল না ভাবলে ক্রিয়েট হতে পারে না । ধমকের সুরটি মনে হলো যেন তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী ছাড়াই সরকার পতনের ধামকী দিতেছে ।  উনাদের ভাবখানা এমন যে শুধু নিবর্াচন হলেই হয় আর সিটি কর্পরেশনের মত রেজাল্ট, সেই দলটি জিতে যাবে তারপর আমাদের ব্যাংক আবার আমাদের হাতে । কারা এত উপকার করবে ? বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া একটা টাকার মালিক অন্য কাউকে বানানো সম্ভব না । অন্য কারো মালিকানা অন্তরভুক্ত করতে হলে এসইসি(Securities and Exchange Commission)-এর মাধ্যমেই অগ্রসর হতে হবে । 

                    এত দিন এমন ধামকী না দিয়ে সরকারের শেষ সময়ে এসে আপনাদের আগ্রহ বেড়ে গেল কিংবা হঠাৎ করে যেন ধামকীর প্রয়োজন অনুভব করলেন । ক্রেষ্ট উপহার পাবার আগেতো কোন সংবাদ সম্মেলন করার প্রয়োজন ছিলো না আর সরকারকে ধমক দিয়া ভয় দেখানোর কথা কারো চিন্তার মধ্যেও ছিলো না ।

                ধমকী ধামকী কখনো সমস্যা হইতে উত্তরনের উপকারে লাগে না কিন্তু রাজনীতিতে অনেক উপকারে লাগে । সাধারনত অন্য কোন ক্ষেত্রে ধমকীর প্রয়োগ করতে চাইলে উপকারের চাইতে অপকারের সম্মুখিন হওয়ার সম্ভাবনা বেশী থাকে ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১০:০৩

আহলান বলেছেন: গ্রামীণ ব্যংক নিয়ে সরকার বাড়াবাড়িই করছে।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:৩৩

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:
আপনি নিশ্চয়ই সোনালী ব্যাংক , জনতা ব্যাংক , আগ্রণী ব্যাংক , বেসিক ব্যাংকের অর্থ কেলাংকারি কথা কিছু জানেন না


সুপ্রিম হওয়া দরকার সেবা গ্রামীন ব্যাংকের - ভেবে ছিলাম তো ২০০৬ সালের পরে এইটা প্রায় আরো ১০ থেকে ২০ টা দেশ ছড়াবে - কিন্তু কই ? ব্রাক তো এগিয়ে যাচ্ছে ভাগ্যিস ব্রাক বেসরকারি -- নাইলে এইডারে ধরতোওও ---


আওমীলীগ বিএনপি করেন ঠিক আছে কিন্তু যা কিছু ভালো তার সাথে থাকুন - অন্যায়কে অন্যায় বলে নিজের অবস্থান সঠিক করবেন আশা করি

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৩

মাহবুব সোহেল বলেছেন: আপনার উপদেশের জন্য ধন্যবাদ । আসলে আমি ব্যাংকের অর্থ কেলেংকারী সম্পকর্ে আলোচনা করি নাই । আমি আলোচনায় এনেছি সরকারের প্রতি গ্রামীন ব্যাংকের ধমকী ধামকী আর দেশের মধ্যে বিশৃংখলা সৃষ্টির পায়তারা এবং উপলক্ষ বিহীন ক্রেষ্ট উপহার পাওয়ার পর জমাত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দ্যোগে লক্ষ লক্ষ মহিলাদেরকে ঢাকায় নিয়া আসিয়া হেফাজতে ইসলামের ন্যয় অগনতান্ত্রিক সমাবেশের প্রতি গ্রামীন ব্যাংকের আগ্রহের গতি মন্থর করাই আমার লেখার মূল লক্ষ ছিলো । বিএনপির আওয়ামীলীগ বিরোধী অবস্থানের বহিঃপ্রকাশ গ্রামীন ব্যাংকের দ্বারা প্রকাশিত হওয়াকেই আমি অপরাধ মনে করি । যেখানে সবর্োচ্চ আদালতের দিক নির্দেশনার মাধ্যমে সব কিছু নির্ধারিত হইতেছে সেখানে ন্যয় অন্যায় বিবেচনা করার ধৃষ্টতা আমার না থাকবারই কথা ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.