নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সোহেল ঢাকা বাংলাদেশ

মাহবুব সোহেল

আমি অত্যন্ত সাধারন একজন মানুষ এবং আমার সম্পকর্ে বলার মত কিছু নাই ।

মাহবুব সোহেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

গনতন্ত্র বিপর্যস্ত হওয়ার পূবর্াভাস, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের অরাজনৈতিক বিশ্লেষণ

০৯ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪২

গণতন্ত্র বিপর্যস্ত হলে দায়ী হবেন হাসিনা: বি. চৌধুরী

            

             কি ভাবে কেন গনতন্ত্র বিপর্যস্ত হবে, বিষয়টি ক্রান্তীয় । খোলা মেলা ধারনার প্রয়োজন ছিলো । সকলের সুবিধার্থে কারনটা উল্ল্যেখ করলে মন্তব্যটির গুরুত্ব হয়তোবা বাড়িয়া যাইতে পারিত । যদি ধরে নেই তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে নিবর্াচন না দেওয়ার কারনে, তবে বলতে হয় গত তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে অনেক সিনিয়র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গ্রেফতার হওয়া থেকে বাঁচিবার জন্য, নিজেদেরকে শ্রেষ্ঠ প্রমান করার জন্য পদর্ার অন্তরালে থেকে রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে জনাব, অনিবর্াচিতদের চোঁখ খুলে দিয়ে  দূর্ঃনীতির  সংজ্ঞা পরিবর্তনের মাধ্যমে যে সকল নতুন ধারা উপ-ধারা এবং ক্লজ সমূহ অঙ্গীভূত করা  হইয়াছিলো  তাতে করে দেশের উন্নয়নের জন্য সরকার বা সরকারের দ্বায়ীত্ব প্রাপ্ত কেউ যদি, যে কোন দ্বিতীয় বা তৃত্বীয় পক্ষের সাথে কোন প্রকার নৈতিক চুক্তি করে তবেই সেখানে দূঃনর্ীতির আশ্রয় লওয়া হইয়াছে এবং চুক্তি সম্পাদনকারী পক্ষ দূর্ঃনীতিবাজে পরিনত হইবে । এই ভয়ে একটি সরকার পাঁচটি বৎসর দেশের উন্নয়ন না করিয়া হাত পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারে না । সরকারকে এগিয়ে যেতেই হবে । এমন ভীতির কারনে বর্তমান সরকারের সময়ে এমন বড় বড় চুক্তি সম্পাদনের পর প্রত্যেকটা চুক্তির বিপরীতে আলাদা ইন্ডেমনিটি বিল পাস করিতে হইয়াছে । অনিবর্াচিত সরকারের কেউ বিবেচনা না করিয়া রাজনীতিবিদদের দূঃনর্ীতি খোঁজার  দিকে মনোনিবেস করিয়া ভবিষ্যতে নিজেদের বাকী জীবন আরাম আয়েসে বিদেশে থাকার বন্দোবস্ত করিয়া দেশের বারটা বাজাইয়া গনতন্ত্রকে বৃদ্ধাংগুলি পর্্রদশন করিতে দ্বিধাবোধ করে না । সকল অপরাধে অপরাধী শুধু মাত্র রাজনীতিবিদগনকেই হইতে হয় । গরীব জনগনের দূঃর্ভোগ বহুলাংশে বাড়িয়া যায় । এমন তত্বাবধায়ক সরকার কে চাইবে ?অতীতের ভুল হইতে আমাদের শিক্ষা লইতে হয় । সাংবিধানিক এই পরিবতর্নের লভ্যাংশ বিরোধীদল আজ না পেলেও আগামীতে পাইতে পারে । এমন ঘটনা যারা ঘটিয়েছিলো আজ দেশে বসবাস করার মত অনুকুল পরিবেশ তাদের জন্য নাই । তারা কেউ দেশে নাই ।

                  দয়াকরে ভুলে যাবেন না যে, আপনি কোন একদিন এই বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন । মুন্সীগঞ্জ জেলার লোক হিসাবে আপনার নিকট হইতে আমরা আরও বেশী সচেতন ও বিজ্ঞ রাজনৈতিক বক্তব্য আশা করতে পারি কি না । আপনার কথার গুরুত্ব আর আপনার নিজের গুরুত্ব কত কমাবেন । বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবক্ষয়ের শুরুটাই হয়েছিলো আপনার হাত ধরে । বঙ্গভবন পদমর্যাদা হইতে প্রক্ষেপনের পর দলটি তিন টুকরা করে ছাড়লেন । যার ফলে সাধারণ নেতাকমর্ীরা হতাশায় ভুগতে শুরু করলো । যার কারণে দলের বাকী লোকদের উপর দলের স্বত্বাধিকারীদের আস্থা না থাকায় তাহারা গনতন্ত্রের প্রতি শ্রুদ্ধাশীল থাকিতে না পারার কারণেই সুস্থ্য ধারার রাজনীতিকে নিপাতিত করা শুরু করে এবং মনে প্রানে রাজনীতিকে সংহার করার প্রয়াশ তাদের মনে উজ্জিবত হতে থাকলো । সেই থেকেই আমাদের দেশে রাজনৈতিক অবক্ষয়ের শুরু । তাহারা কোন দিন ভাবে নাই এত বড় একটা দলে এমন (১ঃ৩) ধ্বস নামিতে পারে । এমনই প্রতিকুল পরিস্থিতিতে হয়তোবা অনিচ্ছা স্বত্বেও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের তোয়াক্কা না করিয়া তারা জঙ্গী সংগঠন তৈরী করে, বিরোধী দলের উপর গ্রেনেড হামলা করে নেত্রীত্ব শুন্য করে অথবা নিজেদের লোককে প্রধান উপদেষ্টার বানিয়ে যেন তেন ভাবে পুনরায় ক্ষমতায় বসতে চেয়েছিলো । যার ফলে রাজনৈতিক অবক্ষয়ের ধারাবাহীকতা তাদেরকে রক্ষা করিয়া যাইতে হইয়াছিলো এবং কা'দের কারনে করিতে হইয়াছিলো একটু গভির ভাবে চিন্তা করিলে অনেক কিছুই চোঁখের সামনে ভাসিয়া আসিতে পারে । সেই ধারা অব্যাহত থাকার কারনেই পরবতর্িতে একটি গনতান্ত্রিক সরকার পরিবর্তনের সময়কালে দেশের গনতন্ত্র বিপর্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকিতে পারে এবং পুনরায় গনতন্ত্র বিপর্যস্ত করিতে হইলে বিরোধী দল, তাদের সরিক দল, তাদের সরিক না হইয়াও তাদের সুরে সুর মিলানো দলগুলিকেই মূখ্য ভুমিকা পালন করিতে হইবে । ক্ষমতা হস্তান্তরের পরে পরেই বিদায়ী সরকারী দলের কারনে দেশে গনতন্ত্র বিপর্যস্ত হওয়ার দায় বা সম্ভাবনা কোন বিবেচনায় উত্থাপিত হইতে পারে না । বিদায়ী সরকারী দলের সম্পৃক্ততার অভিযোগ অমূলক নয় কি !!! জানিনা আপনার বিবেচনায় কেন এত বিয়োগান্তক সূর । কোন জোট বা দলে অন্তর্ভুক্ত না হইয়া সকল রাজনৈতিক দলের নিকট নিজের অবস্থান ঘোলা ঘোলা করিয়া তুলিয়া ধরার মাধ্যমে কখনো নিজেদের বিকল্পিত করা যায় না, বিতর্কীত করা যায় । সকল রাজনৈতিক দল কোন বিকল্পিত এবং বিতর্কিত দল বা গোষ্ঠী হইতে নিজেদরকে নিরাপদ দূরত্বে রাখিবে । কারন বিকল্পের মনে কি আছে বলাতো যায় না । একদিন সরকারী দলটি ভাল ছিলো, নির্বচনের পূবর্ে সরকারী দলের সাথে এক মঞ্চে বসে সংহতি প্রকাশ করেছিলেন । সুযোগ সুবিধার অপ্রতুলতার কারনে(যেখানে ছাত্রলীগ যুবলীগের নিজেদেরই অভাব পূরণ হয় না) সেই সরকারী দল আজ খারাপ হইয়া গিয়াছে । কাল আবার যদি কেউ সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে রেললাইনের উপড় দিয়ে মহাখালী টু এফডিসি লোকাল দৌড় দেওয়াইতে পারে সেদিন অবশ্যই আবার এই সরকারী দলটি ভাল হয়ে যাবে । তবে একথা সত্য বাঁশ কোন দিন একটা কঞ্চীকে বড় হতে দিবে না, সাথে সাথে সাড়া জীবন রাখবে, সভা সমাবেশে পায়ের নীচে বসতে দিবে কিন্তু আর কোন দিন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির মাতবরি করতে দিবে না । দেশের প্রতি ভালবাসার বিন্দুমাত্র প্রকাশ মাঝে মাঝে দেখতে পাইনা । গত ৮ বৎসরে "বিকল্প ধারা"-র এমন কোন বক্তব্যের প্রমান কেউ দেখাতে পারবে না ।  আমাদের ধরনা বি. চৌধুরী সাহেব রাজনীতি করেন দেশকে ভালবেসে । নিবর্াচনে খরচ করা টাকা ফেরত পাওয়ার রাজনীতি বি. চৌধুরী সাহেব করেন না । আমাদের পর্যবেক্ষন অন্তত তাই বলে । তবে কেন এই সৎ রাজনীতিবিদ একরূপতার জাতীয়তা ভুলে জাতীয়তাবাদীর অনুকংপা অনুবেদনে ব্যস্ত ।

                বঙ্গভবন পদমর্যাদা হইতে প্রক্ষেপনের পরে একজন সিনিঅর রাজনীতিবিদ হিসাবে দেশের সর্বোচ্য সন্মানিত পদমর্যাদা প্রাপ্ত ব্যাক্তিত্বর সন্মান পুনঃরুদ্ধারে আপনার কি কিছুই করার ছিলো না । অবশ্যই লড়াই করা উচিৎ ছিলো ?পৃথিবীর অনেক দেশের সংসদীয় গনতন্ত্রের প্রচলন আছে এবংসেইসব দেশের সংসদে এমন রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্টের বিল উত্থাপনের মত ঘটনা ঘটিয়া থাকে । সেটাতো অপমানজনক কিছু ছিলো না । আপনিতো দলের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করিয়া বিকল্প পথ বাছিয়া লইয়াছিলেন । দল সেদিন আপনার ভাবমূতর্ির কথা কতটুক বিবেচনা করিয়াছিলো ? বাংলাদেশের জন্য ইম্পিচমেন্টের ঘটনা প্রথম হইতে পারে । বলতে বাধ্য হলাম যে, গনতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ প্রদর্শন করে আপনাকে সেই ইম্পিচমেন্টের মুখোমুখী হওয়া উচিৎ ছিলো । উক্ত ইম্পিচমেন্টে বিরোধী দলের মতামত প্রকাশের সুযোগ ছিলো এবং তাদের ভোট প্রদানের অধিকার ছিলো । সংসদে আপনার দলের এমন অনেক সংসদ সদস্য ছিলেন যারা আপনার ইসূ্যতে দলকে বিভক্তির দ্বার প্রান্তে ঠেলে দিতে পিছপা হত না । ফলাফল যাই হোক আপনার ইম্পিচমেন্ট বিল সংসদে উত্থাপিত হওয়া একান্তই জরুরী ছিল । হারানো সন্মান ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশী ছিলো । কিন্তু আপনি স্বিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইম্পিচমেন্টর বিলটির মুখোমুখী না হয়ে সবর্োচ্চ সন্মানিত পদটি আপোষে ছেড়ে দিবার । যার ফলে ইম্পিচমেন্টের বিলটি গনতান্ত্রিক সংসদে উত্থাপিত হয় নাই । সেই সময়কার সৃষ্ট রাজনৈতিক সঙ্কটময় পরিস্থিকে রাজনৈতিক অবক্ষয় বা  রাজনৈতিক বিপর্যস্ততা বলা যাইতে পারে কি ? 

                দলের একজন সিনিঅর নেতা হিসাবে আপনার কি উচিৎ ছিলো না ইম্পিচমেন্টর বিলটির মুখোমুখী হয়ে দলের রাজনীতিতে পুনরায় নিজেকে সম্পৃক্ত করা । সংসদে ইম্পিচমেন্ট বিলটি উত্থাপিত হইলে সেই সুযোগ অবশ্যই গনতান্তিক ভাবে ফিরিয়া পাইবার সম্ভাবনা ছিলো । দলটি পারিবারিক রাজনৈতিক সংগঠন ছিলো না, একটি জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠন ছিলো । কোন ক্রমেই  আপনার ইচ্ছা থাকার পরেও পুনরায় বিএনপির রাজনীতি করা আপনার পক্ষে অসম্ভব কিছু ছিলো না । আপনার প্রেসিডেন্ট হওয়া পদটিকে যারা বিতর্কিত করেছিলো তাদের বিচার একদিন না একদিন হতই । 

দেশের সকল রাজনীতিবিদগন যা বলার বলুক কিন্তু আপনার পক্ষে সকলের ন্যয় অনায়াসে মন্তব্য করার কোন উপায় নাই । আপনার কথার প্রতিক্রিয়া এবং প্রভাবটা ভিন্ন । বাংলাদেশে আপনার বক্তব্যকে মর্যাদা প্রদানকারী নাগরিক দেশের সকলকেই ভাবলে ভুল হবে । আপনি বাংলাদেশের রাজনীতির প্রথম জেনারেশনের দল এবং মতের অপরিবর্তনকারী একমাত্র সিনিয় র নেতা হিসাবে বর্তমান ।

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আপনার এমন বক্তব্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবক্ষয়কে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সুস্থ্য ধারার রাজনীতিতে যাদের অরুচী, যাদের লক্ষ্য অর্জনে বাঁধা আসতে পারে তাদেরকে আরও উৎসাহীত করবে, যা একজন সিনিঅর রাজনীতিবিদের নিকট হইতে কোন ভাবেই কম্য নয় । যেখানে দেশের শ্বান্তিপ্রিয় জনগন, শিক্ষক, ছাত্র ছাত্রী, ব্যবসায়ী, শ্রমীক কর্মচারী, দিনমজুর কৃষক, চাকুরীজীবি সকলেই একটি অবাধ নিরপেক্ষ নিবর্াচনের দিকে তাকিয়ে আছে । দেশের অমংগল বয়ে আনে এমন গণতন্ত্র বিপর্যস্তকারী রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা কেউই চায় না । সকলেই সুস্থ্য ধারার রাজনীতি চায়, অশ্বান্তি চায় না । বিকল্প ধারা জনগনের সেই আশা আকঙ্খা পুরন করবে ।



পত্রিকার লিংক ঃ Click This Link

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.