![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবনের সুখ দুঃখ দুই-ই যখন সমান ভাবে মেনে নিতে শেখে মানুষ তখন সে মানুষ আর মানুষ থাকে না । হয়ে ওঠে জীবন্ত কাব্য । আমিও কাব্য হয়ে উঠেছি.....তুমি চাইলেই আমার পাঠক হতে পার ।
সদালাপী সেই মেয়েটার চোখ
চঞ্চল হয়ে ছোটে, দৃষ্টি উৎসুক স্রোতে
পেতে চায় প্রশ্রয় নিজের বিপরীতে
তোমরা যেখানে বেঁধে ফেলেছো
মনের ভেতর শান্ত রমণীর ছবি
যাকে আস্রয় করে জেগে ওঠা
কবিতা , আর কবি,
তার খোঁজ মেলে সেই চোখের দিঘীতে।
সেখানে পৌঁছাতে সময় নিও না হাতে।
বেশি দেড়ি হলে আর পারবে না পৌঁছাতে ।
কামনা জাগায় না সে চোখ,
জাগায় বুকের ভেতর চিনচিন করা মায়া।
ক্লান্ত অথচ বেশ প্রসন্নতা ভর করা,
সেই চোখ ছুয়ে যায় অসম্ভব মায়ায়।
খুব সাদরে আমন্ত্রন জানায়
ভেতরে ক্লান্ত মায়া কাটাতে ,
একটু শিতল পরশ খুঁজতে ,
তার কাছে গিয়ে বসতে।
আর চোখে চোখে জানায়
শিতল দৃষ্টি বিনিময়ের উষ্ণ আমন্ত্রণ ।
কি ভাবছো ?
সেই আমন্ত্রণ তোমার চোখে আশ্রয় খুঁজে বেড়ায় ?
না, এখন আর অন্ধ বিশ্বাসীর মত আশ্রয় পেতে চায় না সে চোখ।
কারন সেই তীক্ষ্ণ চোখ খুব গভীর পর্যবেক্ষণ করেছে,
যেখানে পেতেছে আশ্রয় কিংবা দিয়েছে প্রশ্রয়
ঠিক যেভাবে,
দুডানায় ভর করে উড়ে যায় চিল, চোখে নেই সংশয়,
যখন প্রণয়ের গভীরে মরে চোখ
আর বাঁচার অভিলাষ কাঁদে প্রাণে।
নিয়মের বাইরে সব ছিঁড়ে গেছে আচমকা টানে ।
শেষ কবে বেঁচে ওঠা স্মৃতি চোখের ভেতর কাঁদে।
কোন এক ঝড় থামা বেদনার গাঢ় রাতে,
যেখানে সমুদ্র ভেসেছিল এই দুচোখে
আজ বুঝি সবটায় চাঁদ হয়ে জলে ওঠে পূর্ণিমা শোকে ।
নিয়মের বাইরে কিছুই হয়না, এ কথা বলবে তো?
সেই কথা অস্বীকার করে না এই দুই চোখ।
আর কেনই বা করবে ?
সেই চোখ দুটো দেখেছে অবাক বিস্ময়ে এই সমুদ্র কে।
যাকে একমাত্র আশ্রয় করে বেড়ে ওঠা জেলেদের সংসার।
সেই আশ্রয় দাতাই কেঁড়ে নেয় ওর জীবন ।
যে সাপ আশ্রয় করে পরিচয় হয় সাপুরেটার,
সেই সাপের দংশনেই বিনাশ।
তাই এই দুচোখের দীর্ঘশ্বাস......
আর চাইবোনা আশ্রয় কিংবা প্রশ্রয়।
তবু এই দুচোখে কি এমন মায়া ফাঁদে আবার ?
তবে কি এবার আশ্রম হয়ে উঠেছে সেই চোখ ?
যেখানে মিলবে আশ্রয় ?
প্রশ্নটা শারীরিক নয়, মানবিক।
আর কবি বলেছেন,
"মানবিক বৃত্তির জন্য যা কিছু প্রাপনীয়
কিনে নিতে হবে রক্তের দামে ।"
©somewhere in net ltd.