নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত
♣
দত্ত ভার্সেস দত্ত (Dutta Vs Dutta)♣
-ভারতীয় বাংলা ছবি।
ছবিটির পরিচালনায় রয়েছেন : অঞ্জন দত্ত
প্রযোজনা : পূর্ণেন্দু রায় ও মীনাক্ষী রায়
চিত্রনাট্য ও সংলাপে: অঞ্জন দত্ত ও রূপা গঙ্গোপাধ্যায়
সঙ্গীত : নীল দত্ত
অভিনয় করেছেন : রণোদীপ বসু, রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, অঞ্জন দত্ত, অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়, পর্নো মিত্র, দীপঙ্কর দে, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, রীতা কয়রাল, শংকর চক্রবর্তী, মানসী সিংহ, শুভাশিস মুখোপাধ্যায়, অরিন্দম শীল প্রমুখ।
_______________________________________
অঞ্জন দত্ত নামটা শুনলেই চোখে ভেসে উঠে ছেলেবেলাকার ছেলেকথার সেইসব গায়কী মানুষটির কথা যার বেশ কিছু গান এখনো মানুষের মনে বেজে উঠে। সেই অঞ্জন দত্ত তার নিজের জীবন কথা নিয়ে তৈরি করেছেন এবং নিজের পরিচালনায় করা সিনেমা- দত্ত ভার্সেস দত্ত। সিনেমাটি মুক্তি পায় ২০১২ সালের শেষের দিকে।
কাহিনী সংক্ষেপ:
স্বপ্নের দার্জিলিং। সেন্টপৌল স্কুল ছেড়ে রনদীপ দত্তকে শুধুমাত্র স্কুলের মাইনে বাকী পড়ার কারনে ফিরতে হয় কলকাতায় তার শুরু নতুন করে জীবন। বাবা উকিল, জুয়ারী, মা এ্যালকোহলে আসক্ত, কাকা পাগল, জেঠা-জেঠির দৈনন্দিন কলহাস সব মিলিয়ে অন্য এক জীবন। বোন নন্দিনী বাবার দূরসম্পর্কের ভাইয়ের সাথে পালিয়ে যায়, যার সাথে কিনা রনদীপ দত্তের মায়ের প্রথাগত নিয়মের বাইরের সম্পর্ক। রনদীপ দত্তের বাবার সাথে আলো আঁধারির শরীরে সম্পর্কে জড়িয়ে গেছিল রুনু মাসি ঠিক এরকমই পারিবারিক কেচ্ছা আর কলহ আর জমে থাকা স্বপ্নের অকাল মৃত্যু নিয়েই সিনেমাটা এগিয়েছে।
বনেদী পরিবারের মধ্যে অহংকারের যে একটা পতন সেটা সিনেমার শেষ অংশে দেখা যায়। একরাত কারাভোগের মধ্যে রনদীপের জুয়ারী বাবার কথা বন্ধ হয়ে যায়। সিনেমার শেষ অংশে রনদীপ দত্তের বিরাট পরিবর্তন, থিয়েটারে যোগ দেয়া ওর বাবার সেরাইভ্যাল অ্যাটাক মায়ের দুরে চলে যাওয়া ও শেষ পর্যন্ত সিনেমার অভিনেতা হয়ে যায় রনদীপ দত্ত।
সিনেমার প্রতিটি দৃশ্যায়ন বেশ সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে উঠার চেষ্টা করা হয়েছে কোথাও কোথাও দারুন সফলতা পেয়েছে। অঞ্জন দত্তের বয়ানে ছবিটা অন্যরকম এক আকর্ষন সৃষ্টি করেছে। অঞ্জন দত্তের কৈশোরিক জীবনের অভিনয়ে রনদীপ দত্তের অভিনয় বেশ উপভোগ্য, কিশোর বয়সের প্রেম, কাঙ্খিত স্বপ্নগুলোর অদৃশ্য পলায়ন, সেই সাথে সিনেমার মধ্য সময়ে নন্দিতাকে ভালোবেসে প্রত্যাহৃত হওয়া সব মিলিযে সিনেমাটা বেশ জমে উঠে। অঞ্জন দত্তের জীবনের সেরা একটি সৃষ্টি হতে পারে এই দত্ত ভার্সেস দত্ত। ৭০ দশকের কলকাতার সেই রুপ, নকশাল আন্দোলন, বিটলস, পুরোনা গাড়ি সব মিলিয়ে বাংলা সিনেমা যেন লুতুপুতু প্রেম-কাহানীর গপ্পো থেকে বেড়িয়ে এসেছে মনে হয়।
দত্ত ভার্সেস দত্ত মাত্র তিনটি গান নিয়ে ১ঘন্টা ৫৭মিনিট দৈর্ঘ্যায়িত হয়েছে। খুব সাধারণ ঘরানায় গানগুলো। রবীন্দ্র সংগীত একটি- ভালোবেসে নিভৃত যতনে, রুপঙ্কর বাগচী এবং সমলতা আচার্য চৌধুরী কন্ঠে দারুন হয়েছে আর নীল দত্তের গাওয়া Somewhere” আর তবু যদি তুমি গানটির জন্যে রুপঙ্কর বাগচীর কন্ঠই সেরা।
অভিনয়ে কয়েকজন নতুন হলেও সিনেমা দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই।
_______________________________________
সিনেমার গান ডাউনলোড লিংক
_______________________________________
সিনেমার একটি গানের লিরিক
তবু যদি তুমি আসতে চাও
খোলা আছে আমার দু-হাত,
জেনো এখানে নেই কোনো হিসেব
শুধু আছে নীল আকাশ |
আছে লাগাম ছেড়া স্বপ্ন, বুকের ভেতর,
আছে বেপরোয়া বোতাম বিহীন শার্ট,
আছে হারিয়ে যাওয়ার নেশা নাকে মুখে,
ভুলে গিয়ে রোজকার দোকান বাজার-হাট,
আছে রাস্তা একটা চলার, আছে অনেক কথা বলার,
আছে পকেট কিন্তু পকেট গড়ের মাঠ |
তবু যদি তুমি আসতে চাও
খোলা আছে আমার দু-হাত,
যেনো এখানে নেই কোনো হিসেব
শুধু আছে নীল আকাশ |
ভালো, যদি তুমি বাসতে চাও
নিজেকে আজ নিজের মতন,
ভেবে রেখে দিয়ে পিছুটান
চলে এস চলে এস |
নেই এখানে ভবিষত্যের ভাবনা,
নেই কোনো সম্পর্কের দাবি দাওয়া,
শুধু সুখ দুখেরই শরিক হতে পারিই
নেই অন্য কোনো চাওয়া পাওয়া,
শুধু রাস্তা আছে চলার, আছে সত্যি কথা বলার,
আছে পকেট কিন্তু পকেট গড়ের মাঠ |
তবু যদি তুমি আসতে চাও
খোলা আছে আমার দু-হাত,
যেনো এখানে নেই কোনো হিসেব
শুধু আছে নীল আকাশ |
ভালো, যদি তুমি বাসতে চাও
নিজেকে আজ নিজের মতন,
ভেবে রেখে দিয়ে পিছুটান
চলে এস চলে এস |
______________________________________
।।।।।।। মুভিটি কম মেগায় ডাউন লোড করার লিংক।।।।।।।।।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সকাল রয় বলেছেন:
দেখে নিন ছবি। গানগুলো হেব্বি
আর কিছু কিছু সংলাপ আছে যা আসলেই ভাবায়...
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:০২
আলম দীপ্র বলেছেন: এতো সুন্দর কেন রিভিউ !
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯
সকাল রয় বলেছেন:
ব্লগে রিভিউর ব্যাপারে আমি একেবারে দুর্বল
________________________
রিভিউ লিখতে গিয়ে গল্প লিখে ফেলি।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫
প্রবাসী পাঠক বলেছেন: সময় করে মুভিটা দেখব। আপনার আগের দেয়া মুভিটা দেখেছি। থানা থেকে আসছি মুভিটা সত্যিই চমৎকার। থানা থেকে আসছি এই মুভিটা কি উত্তম কুমারও করেছিলেন নাকি সকাল দা? ইউটিউবে উত্তম কুমারের একটা ক্লিপ দেখলাম এই মুভির।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫১
সকাল রয় বলেছেন:
থানা থেকে আসছি বেশ কজন করেছে। উত্তম দা্ ও করেছিলো। এটা দেখবেন । দেখলে মাথায় কিছু গল্প আসবে।
ধন্যবাদ দাদা
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫২
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: দু তিনবার দেখছি। খুব ভালো মুভি।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫২
সকাল রয় বলেছেন:
আবার দেখবেন। অন্তত ডায়নার ব্যাপারটা
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৫৮
আবু শাকিল বলেছেন: মুভি দেখা হয়ে গেছে।
ভাল মুভি।
১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৫৩
সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ
ভাই
৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:০০
ডি মুন বলেছেন:
আমার প্রিয় একটা মুভি
++++++++++++
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদা
৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৬
রাবেয়া রব্বানি বলেছেন: আপনের মাথা কেরোসিন আপনে আরো কবার দেখেন । নন্দিনী বাবার দূর সম্পর্কের ভাই এর সাথে পালায় নি। তার নতুন করে পাড়ার বামপন্থী ছেলের সাথে প্রেম হয় তার সাথেই পালায়।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৯
সকাল রয় বলেছেন:
আপা ঠিকই কয়াছেন আমার মাথায় কেরাসিন.....
তবে আসল প্রেম ফেলে, বামপন্থিদের সাথে প্রেম কেন করে মেয়েরা। ঠিক বুঝিনা
৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১২:২৪
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অঞ্জনদা'র গান ম্যুভি কোনটাই মিস করি না। এই ম্যুভিটাও অনেক ভাল লেগেছে। গানগুলোও সুন্দর। তবে দাদার "চলো Lets go" টাই আমার কাছে এখন পর্যন্ত সেরা লেগেছে। না দেখে থাকলে দেখে নিতে পারেন। হতাশ হবেন না আশা করি।
ভাল থাকুন, শুভেচ্ছা রইল
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৪২
সকাল রয় বলেছেন:
দেখেছি তো ছবিটা হেব্বি লাগছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:১১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সুন্দর রিভিউ।
মুভিটা দেখার আগ্রহ প্রকাশ করছি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৪
সকাল রয় বলেছেন:
দেখবেন ভালো না লাগলে আরেকটা লিখবো।
১০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:৫০
হাসান মাহবুব বলেছেন: অঞ্জন দত্তকে সিনেমার চেয়ে গানেই ভালো লাগে বেশি।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩২
সকাল রয় বলেছেন: গান আমাকে সেই ছেলেবেলায় আকৃষ্ট করেছিলো।
ধন্যবাদ হাসান ভাই
১১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৮:৩৯
অন্ধবিন্দু বলেছেন:
সকাল রয়,
লুতুপুতু প্রেম-কাহানীর গপ্পো থেকে বেড়িয়ে আসার চেষ্টা প্রায়ই দেখছি তবে সিনেমা বানাতে যে পয়সাও লাগে ... (আমাদের কি দোষ)
রিভিউ পড়লাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
সকাল রয় বলেছেন:
পয়সা থাকলে আমি অবশ্য এতদিনে সিনেমা বানিয়ে ফেলতাম।
ধন্যবাদ __বিন্দু
১২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৩৪
কলমের কালি শেষ বলেছেন: রিভিও বেশ লেগেছে ।
১৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৩৪
সকাল রয় বলেছেন:
ধন্যবাদ কলম বাবু
১৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৩০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: কত ছবি দেখেরে... !!!
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
সকাল রয় বলেছেন:
হুম দেখিতে হইবে
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ দুপুর ২:১৩
সকাল রয় বলেছেন:
হুম দেখিতে হইবে
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মামুন রশিদ বলেছেন: ছবিটা দেখার ইচ্ছে আছে, তাই কাহিনী পড়লাম না । লিংকের জন্য ধন্যবাদ কবি