নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কিছুটা প্রকাশিত বাকীটা অপ্রকাশিত
অজান্তেও তার পুরো নাম বলবো না। অচেনা মুসাফিরের মতো শুধু সত্যটা জ্বেলে দেবো অন্ধকারের জীবন পঞ্জিকায়। পরিচয়সূত্রে দূরপার কিংবা অদেখা, অজানা, অচেনা, অমেশা এক মানবচরিত্র ছিলো সে। পরিচয় কীভাবে হলো সে গল্পটার তল্পটি অন্য কোন একদিন বলার ইচ্ছে রাখি। আজ শুধু যে কথাটি বলার নয় সেটি বলবো।
পরিচয় প্রারম্ভে তার নাম বলেছিলো, “রাত্রী”। পরবর্তী দিনসময়ে জেনেছিলাম তার ডাকনাম “নিশি”। তো নিশিরাত্রী বা রাত্রীনিশি একদিন বললো, ‘কবিত্বহীন নামের কবি, শ্রীমান সকাল বাবু’ একটা কবিতা শোনাও দেখি। সে রাত্তিরে তাল-জোছনাহীনক্ষণে ভুজুং-ভাজুং মিশিয়ে কী বলেছিলাম তার সবটুকু আজ মনে নেই, শুধু এটুকু মনে আছে- “রাত্রী হলো সেই নিশি-কুটুম্ব! তার আগমন যতটা মধুর, তার’চে যাত্রা দৃশ্য আরও মধুর। আমি দুঃখ হলে, আজীবন রাত্রীকে চাইতাম সহচরী হিসেবে”।
মেয়েটা কবিতার কী বুঝলো জানিনা কিন্তু আমার পিছু পড়ে রইলো। দিন যায় কথা বাড়ে সাহস আরও কাছে এসে বিভ্রান্ত করে দিয়ে যায়। একদিন কথার চরকায় ঘূর্ণি খেয়ে বললো, আপনি যদি কাউকে খুব পছন্দ করেন, এই ধরেন গিয়ে ভালোবাসা-টাসা টাইপ আর কী, তাকে কিভাবে প্রপোজ করবেন?
আমি কিছুটা আন্দাজ করতে পারছিলাম। বিশ্বাস বেড়ে গেলে কথা এভাবেই বেরিয়ে আসে উড়ে উড়ে। আমি তার কাছ থেকে সময় নিলাম আটাশ ঘণ্টা। আদিকালের বা অতিপরিচিত বাক্য সম্ভার এড়িয়ে একটা কথামৃত সাজালাম। সে উচ্ছ্বাসিত সমস্ত কথামৃত গিলে নিলো। উনত্রিশ ঘণ্টা কেটে যাবার আগেই আমাকে সাময়িক অবাক করে দিয়ে সেই কথামৃত অনুসারে ভালোবাসতে আহ্বান জানিয়ে বসলো।
তারপর একবিন্দু সত্যি আর নব্বই বিন্দু মিথ্যে নিয়ে ভালোর বাসাবাসি শুরু হলো। সত্যিটা হলো সে সত্যিই ভালোবাসতে শুরু করে দিলো। মিথ্যেটা আমি। আমার কথায় কোন সত্যি বা ভরসা ছিলো না। আবার একটা মিথ্যে সম্পর্কের ভার বইবার বা তাকে ফিরিয়ে দেবার সাহস কোনটাই ছিলো না। শুধু ভাবছিলাম সে যেভাবে এসেছে, সেভাবেই যেন একদিন চলে যায়। ভাবলেই তো আর হয় না। আমার মুখ ফোটে না সত্যি। একবার ভাবলাম চরিত্রহীন হবার ভান করি আবার ভাবলাম বুঝিয়ে বলি কিন্তু তাতেও কাজ না হলে আমাকেই ছেড়ে যেতে হবে।
দিন যায়, কাকডাকা দিন!
সপ্তাহ যায়, এড়িয়ে যাওয়া দিন!
মাস যায়, কথা না রাখার মাস!
এভাবে চলতে-চলতে আমার উদাসীনতা সে ধরে ফেললো। তার চোখের আবেগ আমার কাছে আশ্চর্য ফুল হয়ে ধরা দিলো আর আমার অভিনয় তার কাছে প্রতারণা হয়ে আবিস্কৃত হলো। পরিশেষে রাত্রী যেমন এক জোছনাহীন রাত্তিরে এসেছিলো, তেমনি জোছনাহীন এক রাত্তিরে আমার মন্দবাসা মেনে নিতে না পেরে ডুবে গেলো।
_____________________________________
রচনাকাল-১৪অগ্রহায়ণ, উত্তরমেঘ, সুসংনগর
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২
সকাল রয় বলেছেন: ডুবছি, ভাসছি
আসা-যাওয়া
এইতো জীবন।
আপনাকে ধন্যবাদ।
২| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: সত্যিই কি সে ডুবে গেলো ?
নাকি অপূর্ব ভালোলাগাময় ভোরের প্রতিক্ষা !
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৫
সকাল রয় বলেছেন: সত্যিই সে ডুবে গিয়েছিলো এবং জীবন প্রথমবার সে শিখেছিলো কিভাবে মানুষকে ঘৃণা করতে হয়।
কিন্তু আমি কেন নিরুপায় ছিলাম সে গল্প আরেকদিন বলবো।
৩| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: তারপরে কী হয়েছিল নিশ্চয় পরের পর্বে জানবো তবে রয়কথা২ অসাধারণ লাগলো দাদা।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮
সকাল রয় বলেছেন: তার পরের পর্বে অন্য আরেকজনকে নিয়ে হাজির হবে। যেমন রয়কথা'র প্রথম পর্বে অন্য একজনকে নিয়ে লিখেছিলাম।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:২৫
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা রাত্রী !!!!!
ভুল দরজায় কড়া নেড়ে গেলো ।
আলাদা স্বাদ অনেকদিন পর ।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
সকাল রয় বলেছেন: হ্যা, ভুল দরজায়...
লেখকগন জীবনের অনেক সত্যি লুকিয়ে, কল্পনা মিশিয়ে তারপর লেখে আর আমি সত্যিটা সামনে জলটুকু ফেলে দিয়ে লিখি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৫| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮
ইমরাজ কবির মুন বলেছেন:
নিশি তো অপু তানভীর এর গল্পের নায়িকা।
দেইখেন আবার কপিরাইট মামলা যাতে না খান ||
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৩
সকাল রয় বলেছেন: হা হা হা
আমার গল্পের নিশি বারবার অবতীর্ণ হবে না।
৬| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: জল ফেলা সত্যি বলেই জলের মতন সহজ ও নির্মল !!!
শুভ কামনা !
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫
সকাল রয় বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৪
উম্মে সায়মা বলেছেন: আহা এমন ভুল ভালোবাসার আহ্বানে কত মন টুকরো টুকরো হয়ে যায়...
ভালো লেগেছে লেখা।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০৯
সকাল রয় বলেছেন: জীবনের সেই একটা ভুলের মাশুল দিয়ে যাচ্ছি জীবনভর।
অনেক অনেক ধন্যবাদ
৮| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:২৭
সুমন কর বলেছেন: আপনার উদাসীনতা কিন্তু পাঠকরাও ধরে ফেলবে.....লেখা ভালো লাগল।
৩০ শে নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:১৯
সকাল রয় বলেছেন: পাঠকের প্রতি আমি উদাসীন নই, তবে এগল্প যখনকার তখন আমি ব্লগে লিখতেই শুরু করিনি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৯| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সকাল রয় ,
বড় কঠিন করে দিয়ে গেলেন পাঠকের দিন-রাত্রি-মাস !
কিন্তু দেখেছেন কি , বরষার ফাঁকে জোছনার চোখ জলে ভরে থাকে ?
০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১৮
সকাল রয় বলেছেন: সত্য বড়ই কঠিণ!
আমি সেই সত্যটাকেই কম কথায় তুলে ধরেছি মাত্র!
©somewhere in net ltd.
১| ২৯ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩
জাহিদ অনিক বলেছেন:
ভালোবাসা মন্দবাসা ভাসা ডোবা ভালো লাগলো সকাল রয়।