নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত (সৌকপ)

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত

আমি আসলে কেউ নই ।

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত › বিস্তারিত পোস্টঃ

লিবারেলদের কন্ট্রোভার্সিয়াল অস্ত্র- বাক্বারাহ ২:২৫৬

০৭ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১১:৩১

উদাহরণ ১:
"ভাই, নামাজ পড়বেন না ? চলেন।"
"আরেহ, মনের নামাজই বড় নামাজ, ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই।"

উদাহরণ ২:
"আপু, বাইরে যাচ্ছো, কিন্তু তমার ড্রেস তো সতর ঢাকা না গুনাহ হবে তো। "
"আরেহ, মনের পর্দাই বড় পর্দা, ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই।"

উদাহরণ ৩:
"ভাই, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক তো ইসলামে নিষেধ। অনেক বড় গুণাহ।"
"আরেহ, প্রেমই সত্যি, প্রেমই শক্তি। তাছাড়া, ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই।"

উদাহরণ ৪:
"ভাই, আমাদেরকে তো অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপাসনার সময় সেখানে যাইতে নিষেধ করা হইছে।"
"আরেহ, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আর, ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই।"

উদাহরণ ৫:
"এই মোল্লারা লোভী, কুরবানী দিয়া অনেক টাকা নষ্ট হয়।"
"ভাই, সামর্থ্যবানদের জন্য কুরবানী করা তো ইবাদত। হুকুম আছে।।"
"আরেহ, গরীবদের দান করলেই হবে। ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই।"

এরকম অসংখ্য উদাহরণ পাওয়া যাবে, যারা ইসলামকে ঢিলা করতে করতে এমন অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়, যেখানে সব আমলই কোন রকম যেন নফল বলে বিবেচিত হয়। নামাজ পড়ি না, ঈমান আছে টাইপ এসকল ব্যক্তিদের একটা গো-টু উক্তি হলো, ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই। এদের মধ্যে বিরাট একটা সংখ্যা হলো, নিসুদ (নিজ সুবিধাবাদী দল), আরেকটা অংশ হইলো স্রেফ ছুপা ইসলামবিদ্বেষী। মানুষকে ভুলভাল বুঝায়ে সুঝায়ে বরকত্তাদের দিয়ে দেওয়া প্লানমাফিক ইসলামকে প্যাকেট করে ঘরের ভেতরে ঢুকাই দেওয়ার ইবাদাতে মশগুল। মহান শয়তানের পাশের চেয়ারটা তাদের জন্য বরাদ্দ হোক।

কিন্তু এই আয়াতের অর্থ কি ? অবশ্যই বড় বড় তাফসীরকারকদের কিতাব থেকে এই আয়াতের অনেক নিগূড় অর্থ , অনেক ফযীলত খুজে পাওয়া যাবে। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, কুরআন কেবলমাত্র মুসলিমদের উদ্দেশ্যে কথা বলে না। কুরআন অমুসলিমদের উদ্দেশ্যেও কথা বলে। আর যারা অমুসলিম, তারা বেশিরভাগই আমাদের বড় বড় উলামাগণকে এতোটা দাম দেয়য় না যে, তাফসীর পড়তে বসে যাবে। তাছাড়া যখন প্রথম কুরআন নাযিল হচ্ছিলো, তখন কিন্তু এমনভাবেই নাযিল হচ্ছিলো যে, মুসলিমেরা তিলাওয়াত করবে, এগুলো কুফফারদের কাণে ঢুকবে, তারা সেই শব্দ গুলো নিয়েই চিন্তা করবে। খুব কমই উদাহরণ আছে যে, বিদ্বেষপূর্ণ কুরাইশী এলিটরা মুসলিমদের এসে জিজ্ঞাসা করছে , এই আয়াতের ব্যাখ্যা কি? বরং টারা যা শুনোলও, ঐটা নিয়ে চিন্তা করাই হয়তো তাদের জন্য যথেষ্ট নসীহাহ/উপদেশ ছিলো। কুরআনের এই গুণ কালক্রমে কমে যায় নাই। একই আছে। কাজেই যখন কেউ নিউট্রাল মনোভাব নিয়ে একটা আয়াত পড়বেন , ব্যাসিক কমন সেন্স দিয়েই এর মূল অর্থ বুঝতে পারা সম্ভব। কিন্তু আমরা দেখেছি, কিভাবে অনেক সময় কনটেক্সট এর বাইরে থেকে কোন একটা বক্তব্যের অংশবিশেষ নিয়ে বক্তব্যকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে ভুলভাবে উপস্থাপন করা যায়, বক্তব্যের বা বক্তার ব্যপারে একটা মথ্যা ছবি অংকন করা যায়। ধর্মে জোরাজুরি নাই এর ক্ষেত্রে এই জিনিস একেবারে পাইকারি হারে ঘটেছে।

ধর্মের জোরাজুরি নাই, এইটা কোন আয়াত না, বরং একটা আয়াতের একটা অংশবিশেষ মাত্র। আমাদের বহুল পরিচিত যে আয়াতুল কুরসি (সূরা বাক্বারাহ, আয়াত ২৫৫), তার পরের আয়াতই এটি। আমরা আয়াত ২৫৬ ও ২৫৭ এর অর্থটা দেখি।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আয়াত ২৫৬: ধর্মের জন্য কোন জোর-জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় সুপথ প্রকাশ্যভাবে কুপথ থেকে পৃথক হয়েছে। সুতরাং যে তাগূতকে (অর্থাৎ, আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য বাতিল উপাস্যসমূহকে) অস্বীকার করবে ও আল্লাহকে বিশ্বাস করবে, নিশ্চয় সে এমন এক শক্ত হাতল ধরবে, যা কখনো ভাঙ্গার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।
আয়াত ২৫৭: আল্লাহ তাদের অভিভাবক যারা বিশ্বাস করে (মু’মিন)। তিনি তাদেরকে (কুফরীর) অন্ধকার থেকে (ঈমানের) আলোকে নিয়ে যান। আর যারা সত্য প্রত্যাখ্যান করে, তাদের অভিভাবক হল তাগূত (শয়তান সহ অন্যান্য উপাস্য)। এরা তাদেরকে (ঈমানের) আলোক থেকে (কুফরীর) অন্ধকারে নিয়ে যায়। এরাই দোযখের অধিবাসী, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।

প্রকাশ্য দিবালোকের মতন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, এখানে ধর্মে কোন জবরদস্তি নেই দিয়ে মূলত সত্য পথ ও মিথ্যা পথের পার্থক্য নিয়ে কথা হচ্ছে। আল্লাহ্‌ পাক বলছেন যে, সত্যা পথ মিথ্যা থেকে আলাদা হয়ে গেছে। ধর্মে কোন জোরাজুরি নাই, যার খুশি সত্য গ্রহণ করুক, যার খুশি মিথ্যা গ্রহণ করুক। তারপর আল্লাহ্‌ পাক বললেন, সত্য গ্রহণ করলে কি হবে আর মিথ্যা গ্রহণ করলে কি হবে। কিন্তু আপনার পথ আপনিই বেছে নিবেন। আর সাথে যে পথের শেষে যে ফলাফল অপেক্ষা করছে, সেটাও আপনিই বেছে নিলেন। কিন্তু যখন বেছে নিলেন, তখন সেই পথকে আর নিজের মতন করে ডিফাইন করতে পারবেন না। পথ আগে থেকেই তৈরি হয়ে আছে। সেই পথে চলা লাগবে। আপনার যে শক্তি আছে, সেই শক্তি অনুযায়ী আপনি আস্তে আস্তে এগোবেন, নয়তো দ্রুততার সাথে এগোবেন । আপনার শারীরিক আর মানসিক শক্তির উপর এটা নির্ভর করবে। কিন্তু ইসলামের মধ্যে পানি ঢেলে ফরযকে নফল, হালালকে হারাম আর হারামকে হালাল বানানোর অস্থ্র এই আয়াত নয়।

ইসলাম পালন কি কষ্টের? অবশ্যই কষ্ট আছে, কিন্তু মূলত নির্ভর করে আপনার মানসিকতার উপর। যদি আপনি সত্য পথকে নিজে থেকে বেছে নিয়ে থাকেন, তাহলে যে কষ্ট সেগুলো কদিনের সহজেই সয়ে যায়। সূর্যোদয়ের আগে ঘুম থেকে ওঠা, ঠান্ডা পানিতে ওযু করা, নিজের কষ্টার্জিত অর্থ থেকে গরীবদের দান করা, রোযারমাসে একটা লম্বা সময় কিছু পানাহার করতে না পারা, অবশ্যই এগুলো কষ্টের। কিন্তু আপনার আমার বাপ-দাদারা সূর্য ওঠার আগেই কিন্তু গরু নিয়ে ক্ষেত চষতে যেতেন। অনেক যায়গাতেই জেলেরা রাত জেগে মাছ ধরে। সেগুলো যেমন সয়ে যায়, তেমনি ফজরের নামাজও সয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ্‌। তাছাড়া চারপাশে কুফফারদের মৌজ-মাস্তির যে নোংরা প্রদর্শনী, তা মূলত মানবজাতির জৈবিকতাকে প্রমোট করে মানুষকে নিজেদের দলে ভিড়ানোর ধান্দা। অতঃপর দাসত্বের শৃঙ্খলে বন্দী করা। রোযাকে আমরা এতোদিন ভাবতাম, পানাহার থেকে বিরত থেকে গরীবদের কষ্ট বোঝার পথ। কিন্তু আজকের জমানায় দেখা যাচ্ছে, রোযা এই পশ্চিমা সেক্যুবাদীদের জৈবিকতার মিছিলের সামনেও ঢালস্বরূপ কাজ করে। নগ্নতা , র‍্যাডিকাল ক্যাপিটালিজম, হিপোক্রিটিকাল রাইটিয়াসনেস , সব কিছুর সামনেই রোজা ঢাল স্বরূপ। কেননা রোযা রাখলে আমরা সিম্পলি এই কাজগুলো করতে পারবো না। তা সে ফরয রোজাই হোক, আর নফল রোজাই হোক।

জিহাদ আমাদের উপর ফরয। ফিলিস্তিনের জিহাদও যেরকম ফরয, তেমনি নিজের ভাইকে , নিজেকে তাগুতের সামনে, শয়তানের গোষ্ঠীর আক্রমনের সামনে নিজেকে ডিফেন্ড করাও ফরয। আল্লাহ্‌ পাক আমাদেরকে এই পশত্ববাদীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করুন। এদের ব্রেইনওয়াশিং থেকেও নিজেকে রক্ষা করুন। সত্যকে আঁকড়ে ধরার তাওফীক দান করুন, আমীন।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:০৪

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



ব্লগে কি মক্তব চালু করলেন?

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:২৮

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ছি ছি, কি যে বলেন না ভায়া। মক্তব না তো। অ্যানালগ জীবনে যার উপরেই মেজাজ খারাপ হয়, ব্লগে এসে তারে সুশীল ভাষায় ঝাড়াঝাড়ি করি। :)

২| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:০৫

ধুলোপরা চিঠি বলেছেন:



ফিলিস্তিনের জ্বিহাদ যদি ফরজ হয়, চলে যান।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৩০

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: ২০১০ সালে মেলায় গিয়ে বাতাস-বন্দুক দিয়ে বেলুন ফুটাবার চেষ্টা করেছিলাম। তখন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমার উপযুক্ত পজিশন ফ্রন্ট লাইনে না। তবে আল্লাহ্‌ কবুল করলে কেন নয়।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নফস এবং শয়তানের প্ররোচনার বিরুদ্ধে জিহাদ প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ। তথাকথিত মডারেট মুসলিমরা ইসলামের ক্ষতি করছে। আসলে মডারেট মুসলিম টার্মটা বিধর্মীদের তৈরি করা। যাদের মনে বিধর্মী কর্তৃক ইসলামের নীতি বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতি ভালোবাসা বা সমর্থন আছে তারাই আসলে মডারেট মুসলিম। এরা বিধর্মীদের খুশি করতে গিয়ে অনেক ইসলামী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে। এরা অনেকটা মুনাফেকের মত।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৩১

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: জ্বি ভাই, আপনার সাথে এই ব্যপারে সম্পুর্ণ একমত। আমাদের লোভ, ক্ষমতালিপ্সা, গর্ব, আর ন্যায়নীতি বিহীন জৈবিক জীবনের প্রতি আকর্ষণ এসবের পেছনে রয়েছে।

সম্ভবত উমর (রা) এর ব্যপারে কথিত আছে, তিনি বলেছিলেন, ইসলামের বন্ধনগুলো একে একে ছিন্ন হয়ে যাবে তখন, যখন এমন প্রজন্ম আসবে যারা জাহিলিয়্যা এর ব্যপারে অজ্ঞ।

চ্যাটজিপিটির মতে, এটা কোন সহীহ রেওয়ায়াতে নেই, কিন্তু সেকেন্ডারী সোর্সগুলোতে আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এর সাথে একমত। যারা জাহিলিয়া চেনে না, দেখে নাই, তারা বুঝবে না, ইসলামের শক্ত ছায়া ছেড়ে তারা কাদের আশ্রয় নিচ্ছে, পদে পদে ভুল ডিসিশন নেবে, আর আমাদের ক্ষতি হবে। আল্লাহ্‌ আমাদের রক্ষা করুন, আমীন।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ১২:৪৬

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মে প্রচুর স্ববিরোধীতী আছে।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৬:৩৪

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আপনার এই মতটি যথেষ্ট গুরুত্ব রাখে। আপনি যদি দয়া করে এরকম কিছু উদাহরণ এক করে একটা পোস্ট করেন, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই উপকৃত হবে। কেননা, এগুলো আসলেই স্ববিরোধীতা যা হয়তো অনেক মানুষের চোখ এড়িয়ে গেছে, কিংবা এগুলো স্ববিরোধীতা নয়, বরং আপাত দৃষ্টিতে স্ববিরোধীতা মনে হয়। এগুলো আলোচনায় আসা উচিত।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:০০

Ruhin বলেছেন: আমি জানি এটা আপনি নিশ্চয়ই কোনো ফেসবুক থেকে কপি করছেন । যেখানে থেকেই করুন, যত কিছুই বলেন এ ব্যাপার টা ঘটেছে কালচারাল কারনে, ধর্মীয় কারনে না । কারন শুধু উড়না দিলে স্তর ঢাকা হয়না ,চুর‌ও ঢাকতে হবে ।কিন্তু সে বলেছিলো শুধু উড়না দিতে। তার মানে স্তর ডাকার কথা বলেনি, কালচারের কথা বলেছে । ভারত উপমহাদেশ ছাড়া আর কোনো দেশেই উড়নার প্রচলন নেই , ঐখানে নন হিজাবীরা কখনোই উড়না নামের কিছু পড়েনা। এমনকি হিজাবিরাও অধিকাংশ মাথায় তেনা পেচায়, বুক পর্যন্ত আনে না। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য, আরব বিশ্ব, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ব্রুনাই এ এসব বিষয় আমাদের মতো এত কট্টর ভাবে খালি উড়না না দিলেই অশালীন অশালীন মারায় না , কারন তাদের কালচারে এটা গ্রহনযোগ্য। তেমনি খোল চুলা রাখা ইসলামিক না হলেও শুধু উড়না দিলে তা শালীনতা বলা হয় । তখন কেউ কিছু খারাপ বলেনা,অথচ ইসলামে চূল ঢাকাও ফরজ। আবার অন্য দেশে শুধু লম্এবা পোশাক পড়িলেই তা শালীনতা ধরা হয় , উপমহাদেশের মতো উড়নার প্রচলন নেই। কিন্তু বাংলাদেশে উড়না পড়লেই হয় ,চুল খোলা থাকলেও তা শালীনতা ধরা হয়।
এ বিষয়টি‌ও ঠিক এরকম। সে সম্পূর্ন উপমহাদেশের কালচার অনুযায়ী কথা বলছে ,যদি ইসলামিক হিসেবে বলতো তাহলে সবার আগে বলতো চুল ঢাকতে। উড়নার প্রচলন একমাত্র ভারত উপমহাদেশে‌ই। এটার সাথে ধর্মের সম্পর্ক নেই।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২২

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আমার বউয়ের সামনে নিজের হাতে টাইপ করিয়াছি মশায়, কপি করিনি।
পর্দা, ওড়না, এগুলো নিয়ে বলার মতন অনেক লম্বা কথা আছে। তেমনি, আমাদের নজর নিচে রাখা, কার সাথে কথা বলা যাবে কি যাবে না, এগুলো নিয়াও লম্বা আলোচনা করা যায়। এখানে আলোচ্য বিষয় মূলত একটাই।

ধর্মে কোন জোর জবরদস্তি নাই, এটা দিয়ে ইসলামকে পাতলা করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা অনৈতিক। ধর্ম গ্রহণে কোন জোর জবরদস্তি নাই। কিন্তু ইসলাম গ্রহণ করলে ইসলামকে ইসলামের মতন করেই মানতে হবে। ইসলামের যা ফরজ তা পালনে জোর জবরদস্তি আছে। কেননা পালন না করলে শাস্তির ঘোষণা দেওয়া আছে। ইসলামকে পানি ঢেলে ডাইলুট করে অন্য কিছুতে পরিণত করার স্বাধীনতা বাক্বারাহ ২৫৬ আয়াত দেয় নাই ।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:০৮

Ruhin বলেছেন: এটা সম্পূর্ণ হয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের রক্ষনশীল সমাজব্যবস্থা ও মানসিকতার কারণে। ভারতীয় উপমহাদেশে উড়না না পাড়াকে অশালীন ধরা হয় যা অন্য কোথাও নেই । না আরব, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া না উত্তর পূর্ব এশিয়ায়, ঐসব দেশে শুধুমাত্র লম্বা পোশাক পড়লেই তা শালীনতা ধরা হয়। যদি সত্যি‌ই ইসলামিক কারনে বলতো তাহলে অবশ্যই চুল ঢাকতে বলতো। উড়না দিলে ভারতীয় উপমহাদেশের স্ট্যান্ডার্ডে " শালীনতা" রক্ষা হয় , কিন্তু ইসলামে এটা বেপর্দা‌ই ।

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ রাত ২:২৯

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আবারও বলতেছি, ওড়না নিয়ে কথা হচ্ছে না। এইজন্যই ৪-৫ টা উদাহরণ দিতে হয়েছে, যেন কেউ সাম্প্রতিক ইস্যুর সাথে সংযুক্ত করে এই আলোচনার সীমাকে সংকীর্ণ করে না ফেলে। আমি এটাও বিশ্বাস করি, ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতিতে ইসলামের ভিন্ন ভিন্ন রঙ হবে। ইন্দো-মালয়ে দেখুন, পারস্যে দেখুন, তুর্কীতে দেখুন, ফরজ ঠিক রেখে ইসলাম নানান রঙ ধারণ করেছে তার পোষাকে, খাবারে, আঞ্চলিক উৎসবে । আরবদের জোব্বা/ থোব , উত্তর-মধ্য আফ্রিকানদের রঙ বেরং এর লেবাস, ইন্দোমালয় এলাকার হুডীওয়ালা পাঞ্জাবী, সবই সুন্দর আর লোকালাইজড। কিন্তু কিছু রেড লাইন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওগুলোকে মেইন্টেইন করে সাংস্কৃতিক টাচ আনা খুবই সুন্দর। আনা হোক।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:০০

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


অস্ত্রগুলো সৌদিরা চিনে না?

০৮ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:৪৪

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: আমরা সৌদিকে মানি না। তাছাড়া এখানে এই আলোচ্য বিষযের সাথে সৌদির সংশ্লিষ্টতা কিকরে থাকতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়।

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

রাজীব নুর বলেছেন: গার্বেজ।

৯| ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ দুপুর ২:২১

Ruhin বলেছেন: সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত

আমি ধর্মের কথা বলেনি, ধর্মীয় পোশাকের সংজ্ঞা সব দেশেই এক । মেয়েদের পর্দা হলো সম্পূর্ণ শরীরের আবরনে যেন বুঝা না যায় , কার্ভ বুঝা না যায়, মাথার চুল খোলা না থাকা , এগুলো ইউরোপ, আমেরিকা, তুরস্ক,আজারভাইজান, আরব বিশ্ব, মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, জাপান, কোরিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া সবজায়গাতেই এক । কিন্তু আমি বলেছি কালচারাল গ্রহনযোগ্যতা ও ভ্যালুর কথা । কালচার ভ্যালু ও গ্রহনযোগ্যতা এক না সব অঞ্চলের । আর উড়না শুধু মুসলিমরা না,ভারত উপমহাদেশের সব মেয়েদের‌ই সংস্কৃতি , এমনকি এখনো অনেক হিন্দুরা উড়না পড়ে ।ভারত উপমহাদেশে শালীনতার সংজ্ঞায় উড়না দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এজন্য আপনাকে মানুষ উড়না না পড়ার জন্য কথা শুনায় , কিন্তু চুল খোলা রাখার জন্য খুব কমই কথা শুনাবে। অথচ চুল ঢাকাও ফরজ ইসলামে , কিন্তু চুল খোলা রাখলে কিছু বলেনা কারন এটা ভারত উপমহাদেশের কালচারের গ্রহনযোগ্য। আবার মধ্যপ্রাচ্যে আরব বিশ্বে কালচারাল, শালীনতার মাত্রা আলাদা, ঐখানে " উড়না দিয়ে বুক ঢাকার " কোনো রেওয়াজ নেই কালচারে । তুরস্ক, মিশরের ১৮৬০,৭০,৮০,৯০ এর অনেক ছবি ঘাটলেও দেখবেন ঐখানে অনেক মহিলা হিজাব পড়ত , কিন্তু ভারত উপমহাদেশের মতো উড়না পড়তো না বা অতিরিক্ত কাপড়ে বুক ঢাকতো না ,এটা পুরো আরব বিশ্ব, মধ্যপ্রাচ্য বা ইন্দোনেশিয়া,মালেয়শিয়া,ব্রূনাই এও সেম ,উড়নার প্রচলন নেই । আর ১৯১০-২০ এর পর তো মিশর, তুরস্ক, সিরিয়া, ইরান, লেবানন, জর্দানসহ প্রায় সব আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশে শর্ট স্কার্ট, মিনি স্কার্টের রেওয়াজ ছিল । বিকিনি ও । পুরোপুরি পশ্চিমা কালচারের ছিল । এখনো ঐসব দেশে গেলে দেখবেন যারা হিজাব পড়ে তারাও বাংলাদেশের মতো উড়না দেয়না বিশেষ করে উত্তর আফ্রিকার আরব, ইরাক, জর্দান, ইন্দোনেশিয়া, ব্রুনাই এ । আর যারা হিজাবী না তারা তো কখনোই উড়না,স্কার্ফের মতো কিছু পড়েইনা,কারন তাদের কালচারে ভারত উপমহাদেশের মতো উড়নার রীতি নেই। ভারত উপমহাদেশ বাদে অন্য সব অঞলে লম্বা ড্রেস পড়লেই তা শালীনতা বিবেচনা করা হয় মধ্যপ্রাচ্য,আরব বিশ্ব ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়। তারা যে শুধু মাথায় তেনা পেঁচায় ,বুকের কার্ভ ঢাকেনা,এটাও ইসলামিক না , আবার বাংলাদেশের যে প্রচলন উড়না পড়া শুধু,এটাও ইসলামিক না ,কারন চুল খোলা থাকে। অন্য জায়গায় কে বুকের উপর কি দিলো না দিলো এগুলো দেখেনা,কারন তাদের কালচারে এগুলো নেই ভারত উপমহাদেশের মতো। আপনি মরক্কোর মেয়েদের বা রাজপরিবারের ট্রেডিশনাল ড্রেস দেখেন , ঐখানে উড়না বা স্কার্ফ নেই , কিন্তু ঐখানের মানুষ কখনোই এ ড্রেস কে অশালীন বলেনা ,কারন তাদের কালচারে উড়না দিয়ে বুক ঢাকার প্রচলন নেই আমাদের মতো। কিন্তু সেটাও ইসলামিক না ,আবার আমাদের সেলোয়ার কামিজ উড়নাও পুরোপুরি ইসলামিক না ,কারন চুল খোলা থাকে, কিন্তু উড়না দিয়ে যদি কেউ চুল খোলা রাখে তাহলে‌ও কেউ কিছু বলেনা কারন ভারতীয় উপমহাদেশের কালচারে চুল খোলা রাখা অগ্রহণযোগ্য না । আবার অন্য দেশে আমাদের মতো এত ড্রেসের‌ প্রচলন নেই শাড়ি, সেলোয়ার কামিজ এর মতো। বিশেষ করে আরব , মধ্যপ্রাচ্যে । দেখবেন হয় তারা হিজাব পড়ে নয়তো পশ্চিমা পোশাক পড়ে । আমাদের উপমহাদেশের মেয়েদের মতো কালচারাল ড্রেস পড়েনা।

তাই এই বিষয়টা মূলত কালচারাল, ইসলামিক হলে মাথায় কাপড়ের কথাও থাকতো।

০৯ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৫:২৩

সৌর কলঙ্কে পর্যবসিত বলেছেন: এ ব্যপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। কেননা নারীদের পোশাক এর ব্যপারে আমার পড়াশোনা কম। আমার আলোচনা পোশাক নিয়ে ছিলোও না। তবে ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.