![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোথাও আমি ছিলাম না যখন, থাকবো না যখন কোথাও... তখনও আমি আছি অনেক দূরে কোথাও।
ঢেউগুলো যেন দূর, দূর, দূর হতে উড়ে আসা একরাশ শিমুল তুলো
আমি এক ধুনুরির ধনুক যেন, বুনে যাই নকশিকাঁথার বালুচর।
এখানে সব কিছু থেমে গেছে আজ; আছে শুধু সুরের এই নোনা লহরী,
এই সেই স্বপ্নের বালুকাবেলা; অরফিয়াসের সেই সুর নগরী।
পাখিগুলো যায় উড়ে উড়ে বহুদূর, দৃষ্টির শেষ সীমা ছাড়িয়েও দূর,
চোখ বুজে নিমিষেই চলে যাই আজ, পৃথিবীর শেষতম রেখা-সমুদূর।
কোন এক মাউরি শিল্পী হয়ে এঁকে যাই আঁকাবাঁকা পটের রেখা,
নেই কোন দুঃখ, কোন অভিমান; মন খুলে হৃদয়ে তাকিয়ে দেখা-
আমি আর নেই আজ আমার মাঝে, মিশে গেছি নীল এই সাগর জলে,
আছে শুধু অদ্ভুত এই আলোড়ন, ছেয়ে থাকা স্বপ্নিল নবজাগরণ।
------------------------------------------------
প্রথমবার যেবার সমুদ্রে গেলাম সেবার পানিতে খুব একটা নামি নাই, ভয় ছিল যদি ডুবে যাই। আমি আবার সাঁতার পারি না। মোটামুটি পাড়ে হাটাহাটি করে; বড়জোর হাটু পানিতে নেমেই পার করে দিয়েছিলাম। দ্বিতীয়বার গেলাম বেশকিছুদিন পর। আগের মতই হাটু পানিতে নেমেই স্যালুট করে ফেরত এসেছিলাম, পার্থক্য এই যে অনেক দীর্ঘ সময় পানির কাছাকাছি ছিলাম। ঐ পর্যন্তই। এরপর তৃতীয়বারও যাওয়া হল। ব্যাপারটা খুব বেশী বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে এই চিন্তা করে ভাবলাম যে এবার একটু ডুব দেয়ার চেষ্টা করবো, সাগরে গিয়ে পানিতে ঝাপাঝাপি না করা- খুব বাজে দেখায় ব্যাপারটা।
আমি সাগরের কাছে গেলাম- ধীরে ধীরে এগুচ্ছি, গভীরে। দুপাশে ছড়ানো হাতে পানির ঝাপটা এসে লাগছে, ঢেউ এর ধাক্কায় মাঝে মাঝে বেঁকে যাচ্ছি। একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি সামনে। আমার হাত এখন পানির নীচে চলে গেছে, ভারসাম্য রক্ষার জন্য উপরে উঠিয়ে নিলাম; পানি এখন প্রায় বুকের কাছাকাছি। ঢেউ যখন এসে আছড়ে পড়ছে আমার উপর- নিঃশ্বাস আটকে, চোখমুখ শক্ত করে বেসামাল হওয়া থেকে বাঁচাতে চাচ্ছি নিজেকে। আর যখন ঢেউ ফেরত যাচ্ছে এমন প্রবল টান, পায়ের নীচে বালি সরে যাচ্ছে, পা ধরে কেউ যেন টেনে নিয়ে যেতে চায়। হাতগুলো দুপাশে ছড়িয়ে পাখির মত উড়ার প্রয়াস যেন আমার; পুরা দেহে এক মাতাল তরঙ্গের অনুনাদ!
আমি একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি, শেষ কোন একরোখা যোদ্ধার মত, শেষবারের মত। ঠিক কখন, কিভাবে, কতটুকু জোরে এসে ঢেউটা আমাকে ধাক্কা দিয়েছিল, তা মনে নেই। মনে রাখার বোধ চালু হয়েছিল যে মুহূর্তে তখন আমি কোনদিকে ফিরে, পানির কতটা নীচে হাবুডুবু খাচ্ছি তাও অতটা খেয়াল নেই, প্রাণপণে শুধু কিছু একটা ধরার জন্য আনাড়ির মত হাত-পা নাড়াচ্ছি!
কতক্ষণ যুদ্ধ করেছিলাম জানি না, শেষমেশ যখন হাল ছেড়ে দিয়েছি, হাতে পিচ্ছিল বালির পরশ পেলাম সহসা। শেষ একটা ঢেউ এসে থাপ্পড় দিয়ে আমাকে ছুঁড়ে দিল তীরের দিকে। বিদ্ধস্ত এবং রণক্লান্ত আমি কোনমতে তীরে এসে চিতপটাং। আরও বেশ কিছুক্ষণ পর কিছুটা ধাতস্থ হয়ে চোখ খুলে তাকালাম।
যতদূর চোখ যায় নীল আকাশ!
যতটুক কানে আসে সাগরের গর্জন!
নিঃশ্বাসে ভারী মাতাল হাওয়া!
নোনা স্বাদে ভরা মুখ!
স্পর্শে একরাশ সমুদ্র!
দুপাশে হাত-পা ছড়িয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভিট্রুভিয়াস ম্যান এর মত আমার এই ট্রিলিয়ন সেলের জৈব সত্তায় এসে সমুদ্রের ঢেউ এর শেষ রেখাগুলো মিলে মিশে এক আশ্চর্য স্পন্দন তৈরি করছিল। এই কবিতাটির জন্ম হয় সম্ভবত তখন।
সমুদ্রময় তরঙ্গ
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০২
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ
নীচে একটা লিংক দেয়া আছে, খুব সুন্দর একটা মিউজিক। এই কথার পুরা আমেজ আসবে না ঐটা না শুনলে!
সময় করে শুনে দেখবেন।
২| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০০
জিসান শা ইকরাম বলেছেন:
হুম, বেশ ঢেউ নেয়া ভালো না
কথামালা খুব ভালো লেগেছে।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১০
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: হা হা
হুম, বেশি ঢেউ নিলে সমস্যাও আছে।
সম্ভাবনাময় তরুণের অকাল মৃত্যু - এই হেডিং এ পত্রিকার নিউজ হয়ে যাবার সম্ভাবনাও ছিল।
৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:০৬
মরুর পাখি বলেছেন: যতদূর চোখ যায় নীল আকাশ!
যতটুক কানে আসে সাগরের গর্জন!
নিঃশ্বাসে ভারী মাতাল হাওয়া!
নোনা স্বাদে ভরা মুখ!
স্পর্শে একরাশ সমুদ্র!
নিকতো একরাশ তরঙ্গ -- কিন্তু সাঁতার জানেন না, এইটা কেমন হল।
ভাল লাগলো লেখাটি।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১২:১৫
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম, সাঁতার জানা খুব জরুরী।
৪| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:০৬
সায়েম মুন বলেছেন: অনেক ভাললাগা রইলো।।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ সকাল ১১:১৭
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৫| ১৪ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪৯
ফাইরুজ বলেছেন: খুব ভালো লাগলো লেখাটা ।
১৪ ই মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৩১
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকুন সবসময়।
৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩০
জুন বলেছেন: এভাবেই কিন্ত সমুদ্র মানুষকে তার আকর্ষনীয় শক্তি দিয়ে টেনে নিয়ে যায় না ফিরতে পারার সুদুরতম গভীরতায় একরাশ। ভালোলেগেছে লেখা, তবে এই রিস্ক না নেয়াই ভালো।
১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২১
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢেউ আসলে যে লাফ দিয়ে কাটিয়ে দিতে হয় এই ব্যাপারটা তখন জানতাম না, এই জন্যই যত বিপদ। অবশ্য জোয়াড়ের সময় চাইলেও পানিতে ডুবা কঠিন। রিস্ক না নেয়াই ভাল।
৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সকাল রয় বলেছেন:
খুব ভালো লাগলো লেখাটা
১৫ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৩০
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
প্রথম আপনার মন্তব্য পেলাম, আবার আসবেন।
শুভেচ্ছা!
৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ২:১৪
সোমহেপি বলেছেন: ভাল লিখেছেন একরাশ তরঙ্গ।সাঁতার শিখে নেন।গাড়ির টায়ার বা সয়াবিনের ৫লিটারের ২টা কনটেইনার সুতা দিয়া বাইন্ধা নাইমা যান পানিতে।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:১৫
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখি সময় সুযোগ করে সয়াবিনের কন্টেইনার নিয়ে বেরিয়ে পড়ব।
৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪০
বীনা বলেছেন: "ঢেউগুলো যেন দূর, দূর, দূর হতে উড়ে আসা একরাশ শিমুল তুলো
আমি এক ধুনুরির ধনুক যেন, বুনে যাই নকশিকাঁথার বালুচর।
এখানে সব কিছু থেমে গেছে আজ; আছে শুধু সুরের এই নোনা লহরী,
এই সেই স্বপ্নের বালুকাবেলা; অরফিয়াসের সেই সুর নগরী।"
............. খুব ভালো লাগল........... দারুন সুরের মূর্ছনা..............
ভাল থাকবেন।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:২২
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
শুভেচ্ছা থাকলো অনেক..............
১০| ১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ১২:৪৪
বৃষ্টিধারা বলেছেন: ভালো লাগা রইল ।
১৬ ই মার্চ, ২০১১ দুপুর ২:৩৩
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ বৃষ্টিধারা।
শুভ কামনা থাকলো।
১১| ২০ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৫:৩৮
মোঃ জুলকার নাঈন বলেছেন: যতদূর চোখ যায় নীল আকাশ!
যতটুক কানে আসে সাগরের গর্জন!
নিঃশ্বাসে ভারী মাতাল হাওয়া!
নোনা স্বাদে ভরা মুখ!
স্পর্শে একরাশ সমুদ্র!
এই কয়েকলাইন আমার খুব ভাল লেগেছে।
তরঙ্গ তরঙ্গ লেখা -- খুব ভাল লাগলো।
২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৫
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ মোঃ জুলকার নাঈন মন্তব্যের জন্য।
ভালো থাকুন, শুভেচ্ছা।
১২| ২০ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৪১
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: চমৎকার হয়েছে তরু ভাই । কবিতা টা বেশ ভালো ছিল । যাই হোক আসেন না যে অনেক দিন ???
Click This Link
২১ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:৫৯
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: তরু ভাই!
কবিতা পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
১৩| ২২ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:৩২
রেজওয়ান তানিম বলেছেন: তরঙ্গ এর শর্ট ফর্ম, পছন্দ হয়নি ??
২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১২
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন:
হ্যাঁ ব্যাপক! তরঙ্গের শর্ট ফর্ম। c = λ × f
১৪| ২২ শে মার্চ, ২০১১ বিকাল ৪:৩৭
ফাহাদ চৌধুরী বলেছেন:
হুম!! এভাবেই আশ্চর্য সব স্পন্দন থেকে কবিতাদের জন্ম হয়!! ভাল লেগেছে কবিতা!!
মাউরি মানে কি?
২২ শে মার্চ, ২০১১ রাত ৯:১৬
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
মাউরি হল নিউজিল্যান্ড এর ট্রাইবাল জনগন।
১৫| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩১
আমি ২৪৪১১৩৯ থেকে বলছি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো।
১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৭
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: ধন্যবাদ, দুঃখিত অনেক দেরীতে জবাব দেয়ার জন্য
১৬| ০৫ ই জুন, ২০১১ সকাল ১১:০৯
সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: প্রতিটা ভয়ংকর কিছুর একটা ভয়ংকর সৌন্দর্যও আছে। বর্ণনাটাও কাব্যময় হয়ে উঠছে এখানে... ভীষণ সুন্দর!
১১ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:০৯
এক রাশ তরঙ্গ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ম্যাম। অনেকদিন ব্লগে আসা হয়নি, তাই দেরীতে জবাব দেয়ায় দুঃখিত।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:৫৩
শূণ্য উপত্যকা বলেছেন: চমৎকার কথাগুলো।+++++