নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টা করি না, আমি শুধু সৎ থাকতে চেষ্টা করি। মোবাইল: ০১৭১৮০২৩৭৫৯
অনস্ক্রীন পেশাদারদের জন্য কিছু অমূল্য টিপস - সময় থাকতে নিজেকে বাচান, নয়ত দেরী হলে আমার মতো কাদতে হবে। যারা দিনরাত শুধু কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন তাদের জন্য আজকের লেখা। আমার নিজের জীবন থেকে নেয়া।
১। হাসতে খেলতে ভুলে যাবেন না - সারাদিন শুধু কাজ নয়। মাঝে মধ্যে স্ক্রীন থেকে বেরিয়ে বাস্তব জীবনে বাস করতে শিখুন। হাসুন খেলুন। জীবন কত সুন্দর সেটা অনুভব করে দেখুন।
২। একটা রোবটও তো সারাদিন একটা বিশ্রাম ছাড়া কাজ করতে পারে। আমরা মানুষ তাই আমাদের জীবন যাপন রোবট থেকে উন্নত হওয়া উচিত।
৩। মাঝে মধ্যে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়ুন। নিজের বাইক না থাকলে বন্ধুর কাছ থেকে ধার নিন। সাই করে ছুটে চলুন ফাকা রাস্তা ধরে। শহর থেকে দূরে কোথাও গিয়ে এক কাপ চা খেয়ে আসুন।
৪। বাজারে এখন কোন মৌসুমী ফল আসছে সেটার খুজ নিন। সবার আগে মৌসুমী ফল আপনি খাওয়ার চেষ্টা করুন। মৌসুমী ফল এই মৌসুমে সকল রোগের প্রতিশেধক থাকে। এটা কখনই মিস করা যাবে না।
৫। সময় বাচাতে বড় বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে শপিং নয়। কাচা বাজারে গিয়ে তাজা সবজী কিনে নিয়ে আসুন। মজা করে তৃপ্তির সাথে খান। গায়ে কাদা মাটি লাগতে দিন। পরিশ্রমী হোন। গোসল করে আবার সুন্দর কাগড় পড়ে পরিপাটি হয়ে উঠুুন।
৬। নতুন একটি গল্প বা কবিতার বই কিনে নিয়ে আসুন। প্রতিদিন ১/২ পৃষ্টা করে পড়ুন। অথবা গীটারে প্রিয় সুরটা তুলে আনুন। গেয়ে উঠুন গলা খুলে। প্রিয় গানটির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলুন।
৭। হাটুন - প্রতিদিন ১ মাইল হলেও হাটুন। হাটতে হাটতে প্রিয় কবিতাটি আবৃতি করতে থাকুন। হাটতে হাটতে মাঝে মধ্যে স্পর্শ করুন আপনার চারপাশের প্রকৃতি। অনুভব করুন, এই প্রকৃতির একটি অংশ আপনি নিজেও।
৮। হালকা ব্যায়াম - প্রতিদিন হালকা ইয়োগা করুন। ১৫-২০ বার লম্বা ধম নিন। ভারী জিম করতে যাবেন না। ইয়োগা হালকা পেটে করুন। কিছু ইয়োগা আছে যা খাওয়ার পর করলে সহজে হজম হয় এবং শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে। কোয়ান্টাম মেথডের ইয়োগা বইটি কিনে নিজে নিজেই হালকা ইয়োগা শুরু করুন।
৯। নিজেকে গুছান - প্রতিদিন একটু একটু করে নিজেকে গুছিয়ে আনুন। প্রার্থনা করুন। প্রার্থনা মনকে প্রশান্ত করে। নতুন নতুন কাজের আইডিয়া ও সম্ভাবনার দোয়ার খুলে যাবে।
১০। কাজ করতে করতে ভুলে যাবেন না যে আপনার ঘুমানোর সময় হয়ে গেছে। ঘুম আপনাকে নতুন দিনের আরো বেশী কাজের জন্য প্রস্তুত করে তুলবে। সময় হলেই সব কাজ বন্ধ করে হালকা ঠান্ডা এক গ্লাস পানি পান করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
আমার কথা আমাদের কথা
ওয়েব ডেভেলাপার হিসেবে ফ্রিলেন্সিং যখন শুরু করি তখন ভেবেছিলাম, যাক এতোদিন পর একটি সেক্টরে আসলাম যেখানে কাজ করে আনন্দ পাব। কেননা, কাজে নতুনত্ত্ব আছে। সেই নতুনত্ত্বের ভেতরে এমনভাবে একাকার হয়ে গেলাম যে, সময় মতো খাওয়া দাওয়া করারও সুযোগ ছিল না। ধীরে ধীরে শরীরে অসুস্থততা বাসা বাধতে থাকে। প্রকৃতির এই এক নিয়ম বড়ই কঠিন। সে অনিয়ম প্রছন্দ করে না। আজ বুঝলাম, সবার আগে শরীরের সুস্থতা।
আজ তাই এই প্রতিজ্ঞা করছি, শরীরের উপর চাপ সৃষ্টি করে কোন কাজ নয়। সুস্থ শরীর সত্যিই স্রষ্টার এক অপার নিয়ামত। ৬/৭ দিন থেকে ব্লাড প্রেসার ডাউন হয়ে আছে। ব্লাড প্রেসার এতই কম যে, ঠিকভাবে রমজানের বাধ্যতামূলক আমলগুলো করতেও বেশ কষ্ট হচ্ছে। অথচ একটা সময় ছিল, রমজান আসলে আমার চেহারা আরো দীপ্তময় হয়ে উঠত। অশোকে আজ আমাকে বিষন্ন করে রেখেছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি আবারো সুস্থতার নিয়মের ভেতর আসতে চাই। আমরা সুস্থতা চাই কিন্তু সুস্থ থাকার যে নিয়ম তা ফলো করি না। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাকে ও আমার পরিবার পরিজনকে ক্ষমা ও কল্যান দান করেন। আমীন
১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫
ওবায়দুল হক বলেছেন: অনস্ক্রীন পেশাদারদের জন্য তো বলেই দিলাম.... ! যারা দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করেন। তাছাড়া এখানে বেসিক কিছু পরামর্শ দেয়া হয়েছে। যা সবারই পালন করা উচিত নিজ নিজ ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব। ধন্যবাদ আপনার মতামতের জন্য।
২| ১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০০
শায়মা বলেছেন: খুবই ভালো পোস্ট ও সঠিক কথাগুলি মনে হয়েছে আমারও!
১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৩
ওবায়দুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, শায়মা ..
৩| ১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০১
কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: আমার পেশা ওয়েব ডেভেলপার কিংবা ফ্রিলেন্সিং না হলেও ১০-৬ টা কম্পিউটার নিয়েই বসে থাকতে হয়। ছবির আপুর মত আমার ও এমন মাথা ধরে যায়
তবে আপনার কথাগুলো একদম বাস্তব এবং এমন টাই করা উচিত। কিছু সময় বের করা উচিত জীবনে রঙ লাগানোর জন্য।
১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১:০৫
ওবায়দুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ... কথার ফুলঝুরি..।
৪| ১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ২:১১
মেইই বলেছেন: অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া পরামর্শের জন্য থন্যবাদ।
২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১২
ওবায়দুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ
৫| ১৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: সবার আগে মৌসুমী ফল আপনি খাওয়ার চেষ্টা করুন। মানতে পারলাম না সবার আগে ওষুধ দিয়ে পাকানো ফল খেয়ে মরবো নাকি।
সুন্দর পোষ্ট ধন্যবাদ।
২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৮
ওবায়দুল হক বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। স্বপ্নতে না খুজে কাচা বাজারে খুজলে এখনো তাজা ফল পাওয়া যায়। কোথায় ভাল জিনিস পাওয়া যায় সেটা খুজে বের করুন।
৬| ১৯ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১
দিলের্ আড্ডা বলেছেন: সকল ভালো কথা বলা হয়ে গেছে এই পৃথীবিতে ....।এখন শুধু মানার অপেক্ষা।
২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:০৯
ওবায়দুল হক বলেছেন: মানার অপেক্ষা সবার জন্য নয়। অনেকেই মানছেন। আমি নিজে শুরু করেছি। আমাদের আশপাশে অনেকেই সুস্থ জীবন চর্চা করছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
৭| ১৯ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: আমি বলার আগেই তারেক মাহমুদ বলে দিয়েছেন। এখন মৌসুমী ফল মানে আতংক। এত লম্বা সময় কাজ না করে নামাজ পড়লে আরো মন ভালো থাকবে...
২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১১
ওবায়দুল হক বলেছেন: নামাজ আপনার মনকে সুস্থ রাখবে। আত্না বেচে থাকে এই দেহে। অসুস্থ শরীর নিয়ে নামাজও তো ঠিকভাবে করা যায় না। নামাজ ঠিকভাবে পড়ার জন্যই সুস্থ একটি দেহের প্রয়োজন। এটাও স্রষ্টার নিয়ামত।
৮| ১৯ শে মে, ২০১৮ রাত ৯:০৬
জাহিদ অনিক বলেছেন: হুম ! উপদেশ বেশ বেশ ! ভালো বলেছেন
২০ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:১২
ওবায়দুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ স্যার
৯| ২০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:০০
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যাব্দ সুন্দর পোষ্টের জন্য।
২০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২২
ওবায়দুল হক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ স্যার
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে মে, ২০১৮ দুপুর ১২:৫২
বিজন রয় বলেছেন: হা হা হা ......
মানুষের জীবন এক এক জনের এক এক রকম।
সবার জন্য সব কিছু প্রযোজ্য নয়।
তবু আপনার লেখায় ++++।