নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই।যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।উপরের লাইন দুটো আমার অনেক পছন্দের, যদি আপনার কাঁধেও কাজটি পরে করে দিয়েন ভাই।

সময়ের গ্যাঁড়াকল

সময়য়ের তাড়নায় আজ আমি পড়ে আছি সময়য়ের গ্যাঁড়াকলে।

সময়ের গ্যাঁড়াকল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব শ্রমিক দিবস

০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

আজ মে দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস।আমরা কিন্তু সবাই শ্রমিক,আপনি পড়াশুনা শেষ করে চাকরি নিবেন আপনি কিন্তু শ্রমিকই তাই শ্রমিক শব্দটা ছোট করে দেখবেন না।



বিশ্বের বেশকিছু দেশে মে দিবসকে ‘লেবার ডে’ হিসাবেও পালন করা হয়। এ দিনটি সরকারীভাবে ছুটির দিন। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এইদিন পালিত হয় না। বলা হয়ে থাকে এই দিনের আগে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই কষ্টদায়ক জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত।



পহেলা মে বা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের দিন হিসেবে। শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের উক্ত গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছরের ১লা মে বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে “মে দিবস” বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস”। ১৮৯০ সালের ১৪ জুলাই অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসেও ১ মে শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিকশ্রেনী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে। রাশিয়াসহ পরবর্তীকালে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য্য অর্জন করে। জাতিসংঘে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসাবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা অরগানাইজেশন (আই .এল.ও) প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকারসমূহ স্বীকৃতি লাভ করে এবং সকল দেশে শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহবান জানায়।



শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় এত ঢাকঢোল পেটানো, এত আয়োজন হলেও সত্যিকার অর্থে কতটা মুক্তি পেয়েছে বিশ্বের খেটে খাওয়া, ঘাম ঝড়ানো শ্রমিক সম্প্রদায়- এ প্রশ্ন খুব বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে পৃথিবীবাসীর সামনে। ১০০ বছরের বেশী সময় পেরিয়ে গেলো শ্রমিকের মুক্তির নামে আচ্ছাসে পেটানো ঢোল। এতে ঢোলেরই যা ক্ষতি বৃদ্ধি হয়েছে। আজও শ্রমিক আঠারো ঘন্টা কাজ করে মরে কারখানার ধোঁয়া আর কালিতে। অল্প বয়সে রোগে ভূগে, জরাজীর্ন হয়ে ধুকে ধুকে মরে এই শ্রমিকেরা। জোড় করে বাধ্য করা হয় কাজ করতে। বিনিময়ে কি পায় তারা? কতটুকু পেলো মর্যাদা? প্রায় শতবছর আগে বাংলাদেশের ‘বিদ্রোহী কবি’ তাঁর কবিতায় বর্ণনা করে গিয়েছিলেন তৎকালীন শ্রমিকদের অবস্থা।



কুলি মজুর’ কবিতায় সখেঁদে বলেছিলেন:

“দেখিনু সেদিন রেলে,

কুলি বলে এক বাবু সাব তারে ঠেলে দিল নিচে ফেলে-

চোখ ফেটে এলো জল,

এমনি করে কি জগত জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?"



প্রশ্ন হলো কে এনে দিবে তাদের এই শুভদিন? যারা প্রকৃতপক্ষে মূল্যায়ন করবে তাদের- কোথায় তারা? কোন ব্যবস্থা দিবে তাদের মুক্তি, কে গাইবে শ্রমিকদের জন্য এই স্তবগান,

“হতুড়ি শাবল গাইতি চালিয়ে ভাঙ্গিল যারা পাহাড়,

পাহাড়-কাটা সে পথের দু-পাশে পড়িয়া যাদের হাড়,

তোমারে সেবিতে হইল যারা মজুর, মুটে ও কুলি,

তারাই মানুষ, তারাই দেবতা, গাহি তাদেরই গান,

তাদেরি ব্যথিত বক্ষে পা ফেলে আসে নব উত্থান।”?



কথা গুলোর ৫০ভাগ আমি লিখছি ৩০ভাগ সাজাইছি এর ২০ভাগ সংগ্রহ করছি।।

আপনারা হয়তো অনেকেই মনে করেন এতো বড় লিখা হয়তো পুরাটাই কপি-পেস্ট আসলে তা না কিন্তু সংগ্রহ করতে হয় কেননা সাল গুলা তো এর মনে থাকে না তাই এই সব জিনিষ গুলা জোগাড় করতে হয়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.