নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শুধুই মানুষ

সম্রাট ইজ বেস্ট

নিঃশব্দ সময় পেরিয়েছে ধাপে ধাপে মৌনতায়, কালে কালে কেটে গেছে অযুত নিকষ প্রহর; আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকা নিযুত স্পর্শের ঘ্রাণ, প্রতিদিন চুপিসারে বয়ে চলে বুকের ভেতর৷

সম্রাট ইজ বেস্ট › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসুন পরিচিত হই পৃথিবীর ঠান্ডা নরকের বাসিন্দাদের সাথে

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮



যদি জিজ্ঞেস করা হয় "এবারে শীতের তীব্রতা কেমন"? সবাই একবাক্যে বলবেন "তেমন একটা নেই"। গত বছর শীত যেখানে বিগত পঞ্চাশ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফেলেছিল সেখানে এ বছর শীত নেই বললেই চলে। গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়৷ ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সেই শীতের মধ্যে যারা কাজকর্ম করেছেন তারা বলতে পারবেন শীত কাকে বলে। তবে এ বছর দিনের বেলা তো শীতের কাপড় ছাড়াই দিব্যি চলাফেরা করা যাচ্ছে। রাতেও তেমন শীত অনুভূত হয় না। কিন্তু আমাদের অবস্থার সাথে পৃথিবীর একটি দুর্গম এলাকার কিছু মানুষের জীবনযাত্রা মেলাতে গেলে নিশ্চিত ভিরমি খাবেন। আমার বা আপনার মনে হতে পারে যে, শীত আর এমন কী জিনিস? যত শীতই আসুক কুছ পরোয়া নেই। কিন্তু পরোয়া না করতে চাইলেও কিছুটা চমকিত যে হবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই। তাহলে আর দেরি কেন? চলুন, মানুষ কতটুকু শীত সহ্য করতে পারে তার একটি সামান্য নমুনা দেখা যাক।

"ওই মিয়া কন"। আরে না না, এটার অর্থ কাউকে কিছু বলতে বলা নয়। আসলে শব্দটা হল "ওইমিয়াকন"। গ্রাম বাংলায় একটি কথা প্রচলিত আছে যে, “মাঘের শীতে বাঘেও ভয় পায়”। কথাটি মিথ্যা কিছু নয়। মাঘ মাসে আমরা কিছুতেই ঘর থেকে বের হতে চাই না। মন চায় সারাদিন লেপের নিচেই শুয়ে থাকি। এই অল্প শীতে যদি আমাদের এই অবস্থা হয়, তাহলে পৃথিবীর একটি বিশেষ স্থানের বাসিন্দাদের অবস্থা চিন্তা করুন; দুনিয়ার সবচেয়ে ঠাণ্ডা স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই জায়গার বাসিন্দাদের শীতে কী অবস্থা হয়?

এই শীতলতম স্থানটির নাম হচ্ছে ওইমিয়াকন। আধা গ্রাম আধা শহর। মাত্র পাঁচ শতাধিক লোকের জনপদ। সবেধন নীলমনি একটি মাত্র হোটেল; যেখানে গরম পানির ব্যবস্থা তো নেইই, মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে অতি প্রয়োজনীয় নিত্যদিনের প্রাকৃতিক কাজকর্ম সারার অত্যাবশ্যকীয় বস্তু বাথরুমও রয়েছে হোটেলের বাইরে। পৃথিবীর সবচেয়ে শীতল স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া এই আধা গ্রাম আধা শহরটার অবস্থান হল রাশিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রজাতন্ত্র শাখা ইয়াকুটিয়ায়। শীতকালে এই গ্রামের গড় তাপমাত্রা থাকে মাইনাস ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে একবার তা হিমাঙ্কের ৭১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নিচে নেমে গিয়েছিল। এখন পর্যন্ত এটাই মানুষ বসবাস করা কোনো অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সাইবেরিয়া অঞ্চলের এ এলাকাটির একটি ডাকনাম আছে, ‘স্ট্যালিনের মৃত্যু উপত্যকা'। এখানে ১২ মাসের মধ্যে ৯ মাসই শীত থাকে! সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয় ডিসেম্বর এবং জানুয়ারি মাসে। সে সময়ে দিন থাকে মাত্র ৩ ঘণ্টা। অনেকেই গ্রীনল্যান্ডকে সবচেয়ে শীতল স্থান বলে মনে করে থাকেন কিন্তু আসলে ওইমিয়াকনই হল মনুষ্য অধ্যুষিত সবচেয়ে শীতল স্থান। এর আগে ২০১৩ সালে মনুষ্য বসতিবিহীন পূর্ব এন্টার্কটিকাতে মাইনাস ৯৪ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

দুর্গম এই শহরের জীবনযাত্রা বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ২০১৬ সালে সেখানে যান নিউজিল্যান্ডের ফটোগ্রাফার আমোস চ্যাপেল। ওইমিয়াকনে এমনই ঠাণ্ডার প্রভাব যে চোখের পাঁপড়িতেও জমে যায় বরফ। ফুটন্ত গরম পানি ওপরের দিকে ছুড়ে দিলে তা আর পানি থাকে না; বরফের কণায় পরিণত হয়। আমোস চ্যাপেল ওইমিয়াকনে পাঁচ সপ্তাহ ছিলেন। সেখানে থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন তিনি। আমোস বলেন, ‘ঠাণ্ডায় আমার পা জমে যেত, যেন কেউ শক্ত করে ধরে রেখেছে। এমনকি মুখের লালা পর্যন্ত বরফ হয়ে যেত, আর আমার ঠোঁটে গুঁতো লাগতো। আমার ক্যামেরা চালানোই কষ্টসাধ্য ছিল”।

তিনি প্রায় ১০,০০০ মাইল ভ্রমণ করেছেন সাইবেরিয়ার একদম কোণায় অবস্থিত এই ছোট শহরটির ছবি তুলতে। এখানকার আবহাওয়া এতটাই খারাপ যে, এখানে কোনো প্লেন যেতে পারে না। গাড়িতে করে ৫৭৬ মাইল দূরে অবস্থিত পার্শ্ববর্তী শহর থেকে এখানে পৌঁছাতে সময় লাগে দুই দিন।

এই আধা গ্রাম আধা শহরে মনমত কোনো হোটেল না থাকলেও স্থানীয় অধিবাসিরা খুব বন্ধুত্বপূর্ণ। কেউ এখানে বেড়াতে এলে তাদেরকে নিজেদের ঘরেই থাকার জায়গা করে দেন এখানকার বাসিন্দারা। তাঁরা নিজেদের খাবারের জন্য পশু এবং মাছ শিকার করেন। কেউ কেউ আবার কৃষক রয়েছেন, তবে সেটি বছরে অল্প কিছু সময়ের জন্য। গরুগুলো শুধু গ্রীষ্মের সময়েই দুধ দেয় এবং সেটিকে হিমায়িত করে পুরো বছরের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। বেশি শীতের সময়ে সারাক্ষণই আগুন জ্বালিয়ে রাখতে হয়। এখানে নেই কোনো পানির ব্যবস্থা, কারণ পাইপে পানি বরফ হয়ে যায়। বরফ গলিয়েই খাওয়ার পানির ব্যবস্থা করেন এখানকার বাসিন্দারা। এত বৈরি আবহাওয়ায় টিকে থাকতে পেরে এখানকার লোকেরা খুব গর্বিত। এই স্থানে যারাই বেড়াতে যায়, তাদের নাম তালিকাভুক্ত করা হয় প্রমাণস্বরূপ যে, তারা দুনিয়ার সবচেয়ে শীতল স্থানের সাক্ষী হয়েছে। এখানকার অধিবাসীরা এখন ঠান্ডায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। তবে মাইনাস ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা নেমে গেলে তখন বন্ধ রাখা হয় এখানকার একমাত্র স্কুল।

প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে স্থানীয়দের বেশ কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে কলমের কালি জমে যাওয়া কিংবা একবার বন্ধ করার পর গাড়ি আবার চালু না হওয়া। এ ছাড়া ঠান্ডার কারণে ব্যাটারি দ্রুত তার কার্যক্ষমতা হারায়। সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, স্থানীয়দের কেউ মারা গেলে বরফের কারণে তাঁকে কবর দেওয়ার জায়গা পাওয়া যায় না। সে ক্ষেত্রে মৃতদেহভর্তি কফিন সমাধিস্থ করার আগে কবর খননের জন্য আগুন জ্বালিয়ে বরফযুক্ত মাটি কাটা হয়, যা করতে অন্তত তিন দিন সময় লাগে।

তবে এটাও ঠিক যে এই তাপমাত্রার করণেই ওইমিয়াকন স্থানটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু ভ্রমণবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘পোল অব কোল্ড’ বা ‘ঠান্ডার শেষ সীমানা’ সফরের জন্য নতুন ভ্রমণ পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

চলুন দেখে নেওয়া যাক আমোস চ্যাপেলের তোলা অসাধারণ ছবিগুলো; যেগুলোতে ফুটে উঠেছে ওইমিয়াকনের ৫০০ বাসিন্দার দৈনন্দিন জীবনের হালচাল।
দেখুন অবস্থা। ভুরু পর্যন্ত রেহাই পায়নি বরফের আদর থেকে
মাটি শক্ত হয়ে ঘরের ভেতর খননকাজ করা কষ্টসাধ্য হওয়ায় ওইমিয়াকনের বাসিন্দাদের ঘরের বাইরেই টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হয় © Amos Chaple
নিকোলাই পেত্রোভিচ নামক এই কৃষক শহরের কিনারায় উষ্ণ পানির ধারায় তার গরুদের পানি পান করাচ্ছেন © Amos Chapple
শহরের (নাকি গ্রামের) পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গরম পানির ধারা © Amos Chapple
ভারী বরফে ঢাকা একটি সেতুর উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন ওইমিয়াকনের এক নারী © Amos Chapple
গাড়ির ইঞ্জিন চালু রেখেই দোকানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন একজন ব্যক্তি। এখানকার লোকেরা গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে না, কারণ একবার বন্ধ হলে ঠাণ্ডায় জমে গিয়ে আবার চালু না-ও হতে পারে © Amos Chapple
পানি পান করে গরুরা ফিরে যাচ্ছে তাদের গোয়ালে © Amos Chapple
মাইনাস ৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে ওইমিয়াকনে যাওয়ার মহাসড়কের দৃশ্য © Amos Chapple

কারো গ্রীষ্মকালের জুতা বরফে শক্ত হয়ে অপেক্ষা করছে শীত শেষ হওয়ার © Amos Chapple

বরফে জমে থাকা এরকম বাড়ির দৃশ্য এখানকার খুব সাধারণ ঘটনা © Amos Chapple
ওইমিয়াকনের বিচ্ছিন্ন এই জনগোষ্ঠীর প্রয়োজনীয় মালামাল সরবরাহ করতে থাকে এখানকার এই একমাত্র দোকানটি © Amos Chapple
মশাল দিয়ে জমে যাওয়া ট্রাকের ইঞ্জিন গরম করছেন একজন ব্যক্তি © Amos Chapple
এখানকার বাজারে মাছ, মাংস সংরক্ষণের জন্য কোনো ফ্রিজের দরকার হয় না। শুকনো বায়ু নিশ্চিত করে যাতে মাছ এবং খরগোশ হিমায়িত এবং তাজা থাকে। ঠাণ্ডায় জমে জমি শক্ত হয়ে যাওয়ায় সবজির উৎপাদন হয় না। ফলে এখানকার মানুষদের মাছ এবং মাংসের উপরই বেশি নির্ভর করতে হয় © Amos Chapple

এখানকার ঘোড়ারা হয়েছে বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয়বস্তু, কারণ তারা খুব সহজেই পরিবেশের সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারে © Amos Chapple
মাইনাস ৫৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় বিপজ্জনক ঠাণ্ডা থেকে মুখকে রক্ষার জন্য হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছেন এক মহিলা। পিছনে ভ্লাদিমির লেনিনের ভাস্কর্য ঝাপসাভাবে দেখা যাচ্ছে © Amos Chapple
একজন খামারি তার গরুগুলোকে ঠাণ্ডার হাত থেকে বাঁচাতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত একটি ঘরে বেঁধে রাখে। এখানেই রাতে গরুরা ঘুমায় © Amos Chapple

কেমন লাগল আপনাদের এই হিম হিম পোস্টে ঢুকে বরফশীতল আব্হাওয়ার খানিকটা ঝাপটা পেয়ে? ও হ্যাঁ, বলতে ভুলে গেছি- পোস্টের প্রথমে দেওয়া নীলনয়নার ছবিটা কিন্তু আমার তোলা নয়, ওটাও আমোস চ্যাপেলেরই তোলা।

আরও জানতে চাইলে এই ভিডিওটা দেখতে পারেনঃ https://www.youtube.com/watch?v=iPQITWHpcKg

সূত্রঃ অন্তর্জাল। ছবিগুলো রোয়ার মিডিয়া থেকে নেয়া।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১৭

ম্যাড ফর সামু বলেছেন: ওইমিয়াকন- কইলাম। এক দেশের বুলি আরেক দেশের নাম, চমৎকার। আপনার সাথে এই হীম ঠান্ডা এলাকায় দ্রুত ভ্রমণ শেষ করলেও আমার সারা শরীর থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছে। এখনি ভারি শীতের পোষাক পরে নিয়ে কফি খেতে চললাম। ভালো থাকতে দিলো না ওইমিয়াকন- ছবির ভুরুতে আইস জমার দৃশ্যটা দেশে বেশ জোরেই হেসে ফেললাম। প্রকৃতি কি অদ্ভুত সুন্দর করে মেয়েটিকে সাজিয়ে দিয়েছে, দারুণ লাগছে দেখতে। =p~

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমার ব্লগে স্বাগতম! আপনার নিকটা একজনের সাথে প্রায়ই মিলে গিয়েছিল। কিন্তু পরে দেখলাম আপনি একটা শূন্য কম পেয়েছেন। :)

প্রথম মন্তব্যের জন্য গরম গরম শুভেচ্ছা নিন। বেশি ঠাণ্ডা লাগলে ফায়ারপ্লেসের ভেতর কিছুক্ষণ বসে আরাম করতে পারেন। আপনার কফি খাওয়ার কথা শুনে আমারও কেমন শীত শীত লাগছে। এক কাপ কফি পার্সেল করে পাঠিয়ে দিন। ;)

ভুরু দেখে সৌন্দর্য বিচার করার দিন শেষ। এখনকার বেশিরভাগ ভুরুই কৃত্রিম। :P

২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

হাসান রাজু বলেছেন: পড়ে টাণ্ডা টাণ্ডা লাগছে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনার শুধু ঠাণ্ডা লাগছে? আমার তো লিখতে গিয়েই হাত জমে বরফ হয়ে গিয়েছিল। :) পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২০

হাসান রাজু বলেছেন: ঠাণ্ডা :P

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৪২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: :-P

৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:২৫

বলেছেন: ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।

ঘোড়াগুলি তো পরিবেশরনসাথে খাপ খেয়ে নিতে পারে এটাই প্রকৃতির শিক্ষা।



১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্রকৃতিই ওদেরকে বৈরি আবহাওয়ায় টিকে থাকার শক্তি দিয়েছে। প্রকৃতির এমন জাস্টিস আছে বলেই সভ্যতা এখনও টিকে আছে।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ লতিফ ভাই। শুভকামনা।

৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৩৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সত্যি তাদের জন্য খুবই কষ্টের পৃথিবী, তারা পৃথিবীর অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তবুও তাদের সয়ে গেছে হয়তো। তবে, শুধু মাছ মাংস তাদের শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে রাখে এটাও তাদের বাঁচার একটা কৌশল হতে পারে সৃষ্টিকর্তার।
যাই হোক আমি মনে হয় দুইদিনের মধ্যেই জমে বরফ হয়ে শেষ হয়ে যাবো!

ভালো লাগলো নতুন বিস্ময়কর অদ্ভুত জাযগার সাথে পরিচিত হয়ে।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: নয়ন ভাই কেমন আছেন? আপনাকে অনেকদিন পর দেখলাম। সব খবর ভালো তো?

সত্যি তাদের জন্য খুবই কষ্টের পৃথিবী, তারা পৃথিবীর অনেক সুবিধা থেকে বঞ্চিত, তবুও তাদের সয়ে গেছে হয়তো। তবে, শুধু মাছ মাংস তাদের শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়িয়ে রাখে এটাও তাদের বাঁচার একটা কৌশল হতে পারে সৃষ্টিকর্তার।
যাই হোক আমি মনে হয় দুইদিনের মধ্যেই জমে বরফ হয়ে শেষ হয়ে যাবো!



আমারও তাই মনে হয়। সৃষ্টিকর্তার অনুগ্রহ ছাড়া কোন প্রাণিরই বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। তাদের এত কষ্টের জীবন দেখলে নিজেদেরকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হয়।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ নয়ন ভাই। শুভকামনা সতত।

৬| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: এটা নিয়ে আগেও পড়েছি। ডকুমেন্টারিও দেখেছি। আচ্ছা, গরুগুলো টিকে থাকে কীভাবে?

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:৫৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গরুগুলো যে কিভাবে টিকে থাকে তা নিয়ে আমারও বিস্ময়ের সীমা নেই। ঠাণ্ডায় যেখানে জমে লেনিনের মত স্ট্যাচু হয়ে যাওয়ার কথা সেখানে দিব্যি ওরা শীতের পোশাক ছাড়াই হাওয়া (পানি) খেয়ে বেড়াচ্ছে!
তবে সবচেয়ে বড় কথা হল, প্রকৃতিই ওদেরকে এমন সহনশীল করে তৈরী করেছে। এমন প্রতিকূল আবহাওয়ার বিরুদ্ধে ওদের বেঁচে থাকাটা প্রকৃতির বৈচিত্র্যতাই প্রমাণ করে।

আপনাকে আমার পোস্টে দেখে খুবই খুশি লাগল হামা ভাই। পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।


৭| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৮

বোকামানুষ বলেছেন: আগে কোথাও পড়েছিলাম কিছুটা আজকে আরও বিস্তারিত জানলাম আমারতো পড়েই ভয় লাগছে এরা থাকে কিভাবে এখানে :-/

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: প্রকৃতির এমন বৈরিতা ওদের সহনীয় হয়ে গেছে। তবে তারপরও ওদের জীবনযাত্রা এতটা কঠিন দেখে নিজেদেরকে অনেক সৌভাগ্যবান মনে হয়।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫০

জেনারেশন সুপারস্টার বলেছেন: গরুগুলোর খুব ঠান্ডা লাগার কথা।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুম! গরুদের ব্যাপারটা আমাকেও বেশ ভাবাচ্ছে।

৯| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: ওই মিয়া কি কমু! দাতে দাতে বাড়ি লাগতেছে তো!!!!!!!

ঠান্ডায় থুতু জইমে গেছে! কথা হবেনা, খালি গরম চাই গরম!
এক মুঠো উষ্ণতার কি যে দাম
ওইমিয়াকন না গেলে বুঝি কেউ বুঝবে না!

ওমর খৈয়াম যদি ওখানে জন্ম নিতেন হয়তো লিখতেন

আমাকে এক মুঠো ওম দাও
পুরো ওইমিয়াকন তোমার নামে লিখে দেবো ;)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:০৯

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ওই মিয়া কি কমু! দাতে দাতে বাড়ি লাগতেছে তো!!!!!!!

আরে বলেন কী ভৃগুদা! দাঁতের ফাঁকে বরফ ঢুকে পড়েনি বলতে চান!! বাড়ি খাওয়ার সুযোগ কোথায়? :)

ওমর খৈয়াম ওখানে জন্ম নিলে হাত বের করে কিছু লিখতে পারতেন কি না সন্দেহ। ;)


অনেক ধন্যবাদ ভৃগুদা। শুভকামনা সবসময়।

১০| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:০৭

সাইন বোর্ড বলেছেন: নিঃসন্দহে বলা যায় খুব কষ্টের জীবন ।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: এত কষ্ট করে যে ওরা কিভাবে বেঁচে আছে সেটা একরকম বিস্ময়!

১১| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এদের খুব বেশী বছর আর এতোটা কষ্ট করতে হবে না। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর কল্যানে এরাও আস্তে আস্তে ওয়ার্ম হবে।
আমাদের এখানে এখনও স্নো-ফল হয়নি, তাপমাত্রাও একেবারে সহনীয়, যা ডিসেম্বর-জানুয়ারী মাসে আমি আজ পর্যন্ত দেখি নাই!

দুই মেরুতেও এখন বরফের স্তর অনেকটাই পাতলা।

পোষ্ট খুব ভালো হয়েছে। শীঘ্রই ওখানে যাওয়ার প্ল্যান আছে? নীলনয়না আপনার অপেক্ষায় আছে মনে হয়!! ;)

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:১৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ব্যাপারটা জানা আছে। হয়ত তারাও আস্তে আস্তে ওয়ার্ম হবে। তারপরও যারা এতদিন ধরে ওখানে কষ্টকর জীবন ধারণ করে বেঁচে আছে তাদের জন্য একরাশ সহানুভূতি।

শীঘ্রই ওখানে যাওয়ার প্ল্যান আছে? নীলনয়না আপনার অপেক্ষায় আছে মনে হয়!! ;)

আরে না ভাই। ওখানে যাওয়ার কোন প্ল্যান নেই। আর নীলনয়নাও আমার জন্য অপেক্ষায় নেই। তবে আমাদের মন্ডল ভাইয়ের কথা বলতে পারছি না। তাঁর জন্য অপেক্ষায় থাকতেও পারে। :P আর আমার কপালে নীলনয়না নেই, অন্য নয়না আছে মনে হয়। =p~

১২| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৪

রাজীব নুর বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট।

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাজীব ভাই। আপনার পোস্টগুলোও খুবই চমৎকার হয়।

১৩| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:২১

জুন বলেছেন: বাপ্রে কি ঠান্ডা :| আমি একটু শীত কাতুরে তাই আপনার ছবি দেখেই ভয় পাইলাম ।
এই জন্যই রাশিয়া একসময় ভিন্ন মতাবল্মবীদের সাইবেরিয়ায় নির্বাসনে পাঠাতো ।
আপনার লেখায় প্লাস সম্রাট।
+

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৫

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ঠিক বলেছেন আপু, সাইবেরিয়ায় নির্বাসনের একটা সাজা রাশিয়াতে প্রচলিত আছে। আগে বিভিন্ন বইপত্রে সাইবেরিয়ায় নির্বাসনের ব্যাপারে পড়তাম কিন্তু সাইবেরিয়ার যে এমন অবস্থা তা সত্যিই জানা ছিল না।

পড়া ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভকামনা রইল।

১৪| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:০২

সুমন কর বলেছেন: উহ্........ঠান্ডা হয়ে জমে গেলাম !! আগেও পড়েছিলাম। ঘোড়াগুলো কিভাবে মানিয়ে নেয়, সত্যি বিস্ময়।
+।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: ঘোড়াগুলোর টিকে থাকাটা বিস্ময়কর বটে তবে আমি মনে করি এটা প্রকৃতিরই অবদান। তা না হলে ঘোড়াগুলোর এই ঠাণ্ডায় জমে স্রেফ বরফে পরিণত হওয়ার কথা।

অনেক অনেক ধন্যবাদ সুমনদা।

১৫| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:০৫

কাতিআশা বলেছেন: খুব ভাল লাগলো,,,একেবারে ঠান্ডা আইসক্রিমের মত!..যাওয়ার ইচ্ছা আছে, প্রচন্ড শীতের প্রতি আমার অবসেশন আছে..

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যাওয়ার ইচ্ছা আছে, প্রচন্ড শীতের প্রতি আমার অবসেশন আছে..


বলেন কী! শীত আমার দুই চোখের বিষ! গরম তাও সহ্য হয় কিন্তু শীত একেবারেই সহ্য করতে পারি না। বিশেষ করে রাতে গরম লেপের উষ্ণতা থেকে বের হয়ে বাথরুমে যাওয়ার কথা মনে হলেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। তবে আপনি চাইলে ওই ঠাণ্ডা নরকে যেতে পারেন কিন্তু আমি পারব না। এমনকি ওই নীলনয়নার আহবানেও না। :P :P

১৬| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:২২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: ইশশ খুব ইচ্ছে করছে সেখানে যেতে;
কেমন আইস আইস ভাব।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যেতে ইচ্ছে করলে যেতে পারেন আপু। তবে আমি এর মধ্যে নেই। ঠাণ্ডা আমার সহ্য হয় না। তবে ওখানে যাওয়ার পর ঠাণ্ডায় হাত-পা এবং মুখ নাড়াতে না পারলে কিন্তু আবার আমাকে দায়ি করতে পারবেন না। :)

১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৩৩

জাহিদ অনিক বলেছেন:

ভয়াবহ বাপার
ওখানে আমি গেলে মারা যাব নির্ঘাত

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমারও তাই ধারণা ভাই। আমি ওখানে পৌঁছুনোর আগেই মারা যেতে পারি।

১৮| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৪৩

নতুন নকিব বলেছেন:



এডভেঞ্চারপূর্ন জীবন ওদের। সৃষ্টির সুবিশাল রহস্যরাজি নিয়ে ভাবলে মহান স্রষ্টার প্রতি শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় মস্তক অবনত হয়ে আসে।

বরফের দেশের অভিজ্ঞতা অর্জন করা গেলে মন্দ হত না।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক কঠিন আর অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ জীবন। মনে হয় আমাদের জন্য নয়। মহান স্রষ্টা এই মহাবিশ্বে তাঁর কত যে কুদরতের আলামত রেখে দিয়েছেন তা চিন্তার অতীত।

বরফের দেশের অভিজ্ঞতা অর্জন করার জন্য বিশাল ঝুঁকি নিতে হবে। আপাতত অধমের তেমন ইচ্ছে নেই। :)

পড়া ও খুব সুন্দর মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ নকিব ভাই। শুভকামনা সবসময়।

১৯| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:৫০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ওরে বাবা ! এসব জায়গায় তো 'জিনিসপত্রও' জমিয়া যাইবে , জাতীয় সংগীতেও কাজ হইবে না !! :D

তবে মাইয়াগুলানও সব পর্দানশীল দেখিয়া ভালো লাগিল !! :P

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: 'জিনিসপত্রও' জমিয়া যায় কি না তাহা অনুমান করা শক্ত। কেননা, জনপদটির আবাদি নিশ্চয়ই বাড়িতেছে। :P তবে বাঙালিদের 'জিনিসপত্র' অতটা সংবেদনশীল না-ও হইতে পারে। আফটার অল "জাতীয় সংগীতেও কাজ হইবে না" বলিয়া একটি কথা বাঙালি সমাজে চালু রহিয়াছে। তাই বাঙালিদের এহেন দুঃসাহসিক অ্যাডভেঞ্চার হইতে বিরত থাকাই শ্রেয়। :P :P

মাইয়াগুলান কি পর্দানশীন নাকি ঠাণ্ডার অত্যাচারে পর্দানশীন হইয়াছে তাহাও ভাবিয়া দেখিতে হইবে।

বনের রাজাকে অধমের ব্লগে স্বাগতম!

২০| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
ওরে বাবা! বাংলাদেশে যেন এরকম না হয়।
++++++

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৪

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: না মাইদুল ভাই, বাংলাদেশে এমন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে, অন্তত আমাদের জীবদ্দশাতে তো নয়ই।

২১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

আরাফআহনাফ বলেছেন: আসুন পরিচিত হই - ওই মিয়া কন কী - ???
ওইমিয়াকন" এর মতো এমুন ঠান্ডার জায়গা পরিচয় করিয়ে দেয়ার কী দরকার ছিলো - এখন তো কেমুন জানি শীত শীত লাগতাছে :-B
কখনো সুযোগ পেলে যাওয়ার ইচ্ছে আছে -দেখি ওরা বান্গালীগো মতন অতিথিপরায়ন কিনা??!!!।

জাস্ট জোকস আ পার্ট -
সুন্দর ও তথ্যবহুল পোস্টে ধন্যবাদ ও ++++।

ভালো থাকুন।

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: যান যান, আপনাকে আটকাবো না। তবে বনের রাজার মন্তব্যটা আগে পড়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি। :P

২২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৭

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার জিনিস সামনে এনেছেন।

গরুগুলো ওখানে টিকে আছে কীভাবে এই নিয়ে বিস্তর গবেষণা করছি পড়ার পর থেকে। :D

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:১১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: হুম! গবেষণা শেষ হলে আমাকেও জানাবেন। আমিও জানতে চাই ঐ ব্যাটা গরুগুলো ওখানে টিকে আছে কিভাবে। বনের রাজার আশঙ্কা ভুল প্রমাণিত না হলে অচিরেই তাদের বিলুপ্তি ঘটার সমূহ সম্ভাবনা আছে। :P

২৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২০

ঢাকার লোক বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=iPQITWHpcKg

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১১:৪৭

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ ঢাকার লোক। মূলত এই ভিডিওটা দেখেই এ ব্যাপারে পোস্ট লেখার অনুপ্রেরণা পেয়েছিলাম। আর 'যেই চিন্তা সেই কাজ' হিসেবে নেটে ঘাঁটাঘাাঁটি করে পোস্টটা দাঁড় করাই। ভিডিও লিংকটা আমি আগেই দিতে পারতাম কিন্তু জানেন তো, পাঠকেরা ভিডিও লিংকে গিয়ে ভিডিও দেখতে তেমন একটা পছন্দ করেন না; তাই ভিডিও লিংক দিইনি। কিন্তু আপনি যেহেতু কমেন্ট আকারে দিয়েই দিয়েছেন তাই লিংকটা মূল পোস্টে যোগ করে দিলাম।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে।

২৪| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

প্রামানিক বলেছেন: ঠান্ডা নিয়ে চমৎকার পোষ্ট। ধন্যবাদ

১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০৮

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই। শুভকামনা সবসময়।

২৫| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৩

শিখা রহমান বলেছেন: পৃথিবীর শীতলতম স্থান নিয়ে লিখলেও লেখার প্রানবন্ত উষ্ণতা মন ছুঁয়ে গেলো। খুব সুন্দর করে বর্ণনা দিয়েছেন। তথ্যবহুল হলেও পড়তে একদমই একঘেঁয়ে লাগেনি।

ক্যালিফোর্নিয়ায় প্রশান্ত মহাসাগরের পারে সমুদ্রকন্যা যে ছোট্ট শহরে থাকি সেখানে সারা বছরই বসন্তের আবহাওয়া। শীতেও তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী ফারেনহাইটের নীচে নামে না। ভাবতেই অস্থির লাগছে যে এমন ঠান্ডায় মানুষগুলো থাকে। আমি ঠান্ডা একদমই পছন্দ করি না।

লেখাটার জন্য ভালোলাগা আর আপনাকে শুভকামনা। ভালো থাকুন ভালোবাসার উষ্ণতায় কবিসম্রাট।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: অনেক দেরি হল প্রতিউত্তর করতে। ব্লগে কিছুদিন আসা হয়নি। কেমন আছেন? বইমেলায় আপনার দুটি বই আসার খবর দেখলাম। অনেক খুশি হয়েছি। আপনাকে আমি শুরু থেকেই অনুরোধ করে আসছিলাম আপনার লেখাগুলোকে ছাপার অক্ষরে মলাটবন্দি করার জন্য। অবশেষে আমার আশা পূরণ হল। অাপনাকে অনেক অনেক অভিনন্দন!

ঠাণ্ডা নিয়ে পোস্ট দেয়ার পর এখন এখানে ঠাণ্ডা প্রায় বিদায় হতে চলেছে। তাই ও নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। এখন বরং আপনার বইগুলো নিয়েই আলোচনা সরগরম থাকুক। তবে আপনার মত ঠাণ্ডা আমারও অপছন্দ। ভাবতে ভালো লাগছে যে আপনি খুব ভালো একটি জায়গায় থাকেন। চির বসন্তের সেই জায়গার মত আপনার জীবনও যেন চির বসন্তময় থাকে।

আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। ভালো থাকুন।

২৬| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:০৮

রাফা বলেছেন: আপনি যখন পরিচয় করিয়ে দিলেেন আপনাকে নিয়েই ঘুড়তে যাই চলেন।ঠান্ডা আমার খুবই প্রিয় সিজন।গরু গুলো ভাল্লুক প্রজাতির।তাই শীত প্রুফ ।

ধন্যবাদ,স.ই.দ্যা best.

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৪০

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আরে বলেন কী! আমি ঠাণ্ডা সহ্যই করতে পারি না। আমাকে নিয়ে ঐ ঠাণ্ডায় ঘুরতে যাওয়ার কথা শুনেই শীতে হি হি করে কাঁপতে শুরু করেছি। মাফ চাই ভাই। ঠাণ্ডা আপনার প্রিয় সিজন হয়ে থাকলে আপনি সাইবেরিয়ায় একটা সফর দিতে পারেন। তবে আমাকে পাবেন না। উফ্! আপনার প্রস্তাব শুনে শীতে একেবারে জমে গেলাম রে বাবা!!

২৭| ১৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৩

কালীদাস বলেছেন: আমোস মিয়া ভাল একটা কাম করছে, আপনি শেয়ার করে আরও বড় সওয়াবের কাজ করেছেন :D থ্যাংকস, জানতাম তবে গ্রামের নামটা মনে থাকে না।

জানেন, আমার জীবনে অন্তত একবার সাইবেরিয়ায় যাওয়ার ইচ্ছা আছে শীতকালে। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারান্দায় রাখা পানির কাপে জমে থাকা বরফ দেখি আর ভাবি আমি রেডি ;) বাস্তবে পারব বলে মনে হয়না :((

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫১

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: আমোস মিয়া কাজটা ভালোই করেছে। তবে ভাই শীতকালে আপনার সাইবেরিয়া ভ্রমণের কথা শুনেই শরীরে হি হি ঠাণ্ডায় কাঁপ উঠে গেছে। আরে, বাস্তবে না পারার কী আছে? আপনি আমোস মিয়ার মত ওখানে গিয়ে কিছুদিন অবস্থান করে ওদের বর্তমান জীবনযাত্রা সম্পর্কে জ্ঞানার্জনের সাথে সাথে আরও কিছু ছবি তুলে নিয়ে আসুন। তারপর ব্লগে পোস্ট দিন। আমি নিশ্চিত, পোস্টটা সুপারহিট তো হবেই সাথে বোনাস হিসেবে পরেরবার সাইবেরিয়া ভ্রমণের জন্য রাফার মত অনেকেই জুটে যাবেন। :)

২৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:২৩

নীল মনি বলেছেন: দারুণ একটা পোস্ট।সব পড়লাম ও দেখলাম।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:২৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: পড়া ও মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল।

২৯| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ৯:৩০

করুণাধারা বলেছেন: ঠান্ডা থেকে দূরে থাকি সব সময়, কিন্তু এই ঠান্ডার পোস্ট থেকে দূরে থাকা গেল না। ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।

শীতকালের থেকে নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে, পহেলা বসন্তের শুভেচ্ছা জানাই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: দুঃখিত! নিজেরও এখন ব্লগে কম কম আসা হয় তারওপর আপনার মন্তব্যের নোটিফিকেশনও এসেছে দেরিতে। তাই প্রতিউত্তরেও দেরি হয়ে গেল।

আপনার মন্তব্য পাওয়া সবমসময়ই সৌভাগ্যের। দেরিতে হলেও পড়েছেন জেনে খুবই ভাল লাগছে। ঠাণ্ডা আমারও অপ্রিয়। গতবছর বেশি ঠাণ্ডার কয়েকদিন তো ঠাণ্ডাকে রীতিমত অভিশাপ দিয়েছি। কিন্তু এই জনপদের মানুষগুলো কত কষ্ট সহ্য করে থাকছে ভাবতেই তাদের প্রতি সহমর্মিতায় মনটা ছেয়ে যায়।

আপনার জন্য শুভকামনা অফুরান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.