নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুতের মাছ

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:৫৩



এটি একটি দরিদ্র মায়ের কাহিনী, যিনি বাচ্চার জন্য একটি বড় মাছ ধরার চেষ্টা করছিলেন মাঝ রাতে; আবার ভয়ও পাচ্ছিলেন, মাছের সাথে ভুত আছে কিনা।

রাত এগারোটার দিকে পড়ালেখা শেষ করে ঘুমাতে যাচ্ছি; হাতমুখ ধোয়ার জন্য খামারের পুকুরের ঘাটে যাবার সময় চাঁদের আধা আলো-আঁধারীতে মাঠের পুর্ব প্রান্তে অবস্হিত একটা খাটির ( মাছ ধরার জন্য তৈরি ছোট কুয়া ) পাড়ে একটা বাচ্চা চোখে পড়লো! এত রাতে ওখানে একা বাচ্চা? আমার চোখের কারণে আমি একটু উল্টাপাল্টাও দেখতাম মাঝে মাঝে, মাঝে মাঝে চাঁদ ২টা দেখি। ঘাসে শুয়ে দেখলাম, ঠিকই বাচ্চা, দাঁড়িয়ে আছে। আমি রওয়ানা দিলাম। বাচ্চার কাছাকাছি যেতে, বাচ্চা আমাকে দেখে খাটির ভেতর নেমে গেছে; একটু পরে দেখি, একজন নারী খাটি থেকে বেরিয়ে এলেন; আমি জিজ্ঞাসা করলাম,
-কে?
-আমি পশ্চিম পাড়ার নবী'র মা।
-আপনি এতো রাতে, কোন অসুবিধা?
-ভাই, আমি খাটিতে একটি বড় মাছ দেখেছিলাম, সেটা ধরতে চেষ্টা করছি। বাচ্চাটা মাছের জন্য কাঁদে, কিনতে তো পারি না।

বৈশাখের শেষের দিক, খাটি গত ৩ মাস শুকনো ছিলো, তলায় কিছু ঘাসও জন্মেছে, মাছ এলো কোথা থেকে? গতকাল মাঝরাতে প্রায় ঘন্টাখানেক বৃষ্টি হয়েছে; দুরে কোথায়ও কালবৈশাখীর ঝড় হয়েছিলো, মনে হয়; আমাদের এলাকায় তেমন বাতাস হয়নি, কিন্তু বজ্রসহ বৃষ্টি হয়েছে; তাতে খাটিতে কিছু পানি জমেছে। আজকে মাঠঘাট সব শুকনো; ওখানে মাছ এলো কোথা থেকে?

মহিলার হাতপায়ে কাদা, কাপড়ও ভিজে গেছে অনেকটা; মহিলাটি বড় দু:খী, একটা বাচ্চাসহ স্বামী তাড়িয়ে দিয়েছে; বয়স্ক মায়ের সাথে থাকেন,বাবা নেই; পুর্ব পাড়ার মেম্বার বাড়ীতে সপ্তাহে ২/১ দিন গৃহস্হালী কাজ করেন; এখন শুকনোর দিন, মাঠের মাঝ দিয়ে যাওয়া আসা করেন। খাটিটাও মেম্বার বাড়ীর অন্য একটা পরিবারের। মহিলা বললেন,
-ছোটভাই, মাছটা ধরতে পারবা? আমি কিছুতেই ধরতে পারছি না; কাছে গেলে সরে যায়।

আমি পানির কাছে নামলাম, ফুটখানেক পানি হবে, ঘোলা, মাছ দেখা যাচ্ছে না; আমি পা দিয়ে পানি নাড়া দিতে দেখি বিশাল ১ মাছ এই স্বল্প পানিতে ঘুরপাক খাচ্ছে; আলো কম হলেও, তবুও আমি বুঝলাম, ইহা বিশাল গজার মাছ হবে। গতরাতের বৃষ্টির সময় পাশের কোন পুকুর থেকে উঠে এসেছে। আমি জীবনে এত বড় গজার দেখিনি।

-বু'জান, ইহা বিশাল মাছ; পানি কম হলেও ইহাকে হাতে ধরা অসম্ভব হবে, খুবই শক্তিশালী মাছ। আমি খামার থেকে জাল নিয়ে আসি, জাল দিয়ে জড়াতে হবে; আপনি কেয়াকাঁটার আড়ালে বসে থাকেন; দুর থেকে কেহ দেখলে, সন্দেহ করে এদিকে আসতে পারে।

আমি জাল ও একটি কাঠের মুগুর নিয়ে ফিরে এলাম; জালে জড়ায়ে টেনে শুকনাতে তুললাম; ইহা যেভাবে লাফায় দেখতে ভয়ই লাগে; আমি মুগুর দিয়ে মাথায় কয়েকবার আঘাত করলাম, ঠিক মতো লাগছেনা। নবীর মা বলেন,
-এটা কি মাছ, নাকি ভুত টুত কিছু একটা?
-না ভুত নয়, ইহা খুবই শক্তিশালী গজার মাছ!
-এখানে আসলো কি করে?
-গত রাতে বৃষ্টির সময় কোন পুকুর থেকে বের হয়েছে, গড়ায়ে ঢালুর দিকে এসে এখানে পানি পেয়েছে।
-আমার ভয় লাগছে।

আমি মুগুর দিয়ে কয়রকবার মাথায় আঘাত করে অবশেষে মাছকে কন্ট্রলে আনলাম; দেখলাম ২০/২২ সের হবে; মহিলা নেবেন কি করে? উনাদের উঠান অবধি দিয়ে এলাম। উনী বললেন,
-কেটে তোমার জন্য কিছু মাছ নিয়ে আসবো।
-দরকার নেই; আপনি ইহাকে কেটে যতটুকু পারেন রান্না করেন। বাকীটুকু পাতিলে লবন মাখিয়ে রাখেন, দিনে রোদে শুকায়ে নিয়েন; লবন না দিলে পঁচে যাবে।



মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬

শাহ আজিজ বলেছেন: ----------------------- ভুত গেল কৈ ??

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করতো, বড় গজার মাছে ভুত থাকে; আসলে,গজার পুকুরে বেশী বড় হলে, মানুষকে কামড় দেয়ার চেষ্টা করতো।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৯

শাহ আজিজ বলেছেন: আমাদের খুলনার বাড়িতে পুকুর ছিল , সেখানে কোন গজাল মাছ ছাড়ত না , কেন বলতে পারবনা , আমরা গজাল মাছ খেতাম না ।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



রাতে শুকনোর মাঝে গড়ায়ে ইহা পুকুর পরিবর্তন করতে পারে; অনেক কুসংস্কার আছে ইহাকে নিয়ে।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের বাড়ির এক মহিলা, কাজুলি নাম, বাচ্চাদের জন্য মাছ চিপ দিয়ে অন্যের পুকুর থেকে মাছ চুরি করতে আমি কয়েকবার দেখেছি কিন্তু আমি না দেখার ভান করতাম। আমি জানতাম তার বাচ্চাদের মাছ খাওয়ানোর মত পয়সা তার কাছে নেই। আপনার মতো গুছিয়ে লিখতে পারিনা, পারলে সেটাও একটা করুন জীবনের গল্প হতো।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৩

সোনাগাজী বলেছেন:



গুছিয়ে লেখা সমস্যা নয়, অনেকে এসব নিয়ে লেখার কথা ভাবেন না। তবে, এগুলো আমাদের সমাজের চিত্র।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এই মহিলা মাছ দেখেছিলেন সন্ধ্যায়, অন্যদের খাটি হওয়ায়, মাঝরাতে ধরতে গিয়েছিলেন।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


গজার মাছটা দারিদ্রতায় কিছুটা সুখ দেখিয়েছে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



তখন মাঠেঘাটে মাছ ছিলো, একটু চেষ্টা করলে মাছ ধরা সম্ভব ছিলো।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আপনিতো বিশাল সাহসী মানুষ!!
না কি গল্প লিখছেন?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:




সামুতে এখনো গল্প লিখিনি।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: আমি হলে ভূতের ভোজন ভেবে সাত পরগণা দূরে দৌড়ে যেতাম!

(আমার আব্বা মাছ শাকির করতেন। ভূতের গল্প জড়িত আছে গজারের সাথে)

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



সাধারণত, গজার জালে ধরা পড়ে না, তাই অনেক কুসংস্কার আছে।

৭| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৪

ইসিয়াক বলেছেন: গজার, শৈল,বোয়াল এগুলোকে রাক্ষসী মাছ বলে আমাদের এলাকায়। সাধারণত পুকুর তৈরির সময় এদের নির্মূল করা হয় কারণ এরা পোনা মাছের শত্রু। পুকুরের চারা পোনা খেয়ে ধ্বংস করে। তবে গজার আর বোয়াল মাছ তেমন না দেখা গেলেও শৈল মাছ টিকে আছে বহাল তবিয়তে। সব পুকুরে পাওয়া যায়।
আমাদের এলাকায় বিলে আগে প্রচুর রাণী মাছ( ট্যাংরা,দেশি পুটি,গুতেল,রয়না,খোলসা,তারা গচি,পাকাল,বাইন, শিং,মাগুর, কৈ, টাকি সহ ইত্যাদি) পাওয়া যেত মধ্যে বেশ কিছু বছর ধানের জমি ভারতীয় অতি ক্ষতিকর কীটনাশক এনড্রিন প্রয়োগের ফলে রানী মাছ একেবারেই পাওয়া যেত না। এখন বেশ কবছর কীটনাশক এন্ড্রিন প্রয়োগ না করার ফলে আবার রানী মাছ পাওয়া যাচ্ছে। আসলে রানী মাছের স্বাদই আলাদা।বাজারে অবশ্য চাষের রানী মাছ পাওয়া যায়। সেগুলো খেতে জঘন্য।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১১

সোনাগাজী বলেছেন:




এনড্রিন মাছ শেষ করেছে, ক্যান্সার নিয়ে এসেছে গ্রামে।

৮| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোনাগাজী,



গজার মাছের সাথে ভুতের একটা ভালো সম্পর্কের কথা আগেকালের মানুষদের বিশ্বাসের মধ্যে কিলবিল করতো। ছোট্টবেলায় আমরাও গজার মাছের লাফানি দেখে ভয় পেতুম, যদিও ভুতে বিশ্বাস ছিলোনা। আমাদের বরিশালে অবশ্য এটাকে "গজাল" মাছ বলা হয়।

সুন্দর কাহিনী বাস্তবের।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:১৪

সোনাগাজী বলেছেন:



একটা কারণ ছিলো, আমাদের একালার হিন্দুরা, কালিভোগে গজার মাছ দিতো; কালিভোগ হলো, আতপ চালের ভাত ও গজার মাছ ভাজী মাঝরাতে কালিঘরের সামনে রাখা।

৯| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২

এম ডি মুসা বলেছেন: রোজা মাসে বিশাল সাওয়াবরে কাজ করলেন, বৃষ্টি মাঝে শোল গাজর উঠে ঠিক আছে, মহিলা মাছ কিনতে পারে না
তার ভাগ্যে ছিলো, যাইহোক গল্প নয় বাস্তব জানিনা
অসহায় দের সাহায্য করা উচিত মাঝে মাঝে

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমাদের যেটুকু সম্পদ আছে, এই জাতিতে অসহায় মানুষ থাকার কথা নয়; সেক্রেটারিয়েট আমাদের জাতিকে অসহায় করে রেখেছে।

১০| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৮:০২

বিজন রয় বলেছেন: গজার ( গজাল ) মাচ দেখলে আমার ভয় করে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



কালিভোগ টোগ তো দেননি; কালি'মা ঘাড় মচকাবে একদিন।

১১| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:২৫

বিজন রয় বলেছেন: ভোগে বিশ্বাস করেন নাকি?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ৯:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



কালিতেই বিশ্বাস করি না, ভোগ দিয়ে কি হবে?

১২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: গল্প, শেষ হয়েও হইলোনা শেষ!
শেষটায় কি হলো, খেতে পেরেছিলো
সব মাছ? বাচ্চাটা খুশিতো?

২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



তারা অনেকদিন খেয়েছিলো সেই মাছ; মহিলাটা জীবনে শান্তি পাননি; ছেলেটা দিন মুজুর হয়েছে।

১৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:২৯

গরল বলেছেন: একজন অসহায় মানুষের অনেক বড় উপকার করেছিলেন, উনি হয়ত মাছটা ধরতে পারত না আর উনার ছেলে মেয়েরা হয়ত মাছ খেতে পারত না আপনি সাহায্য না করলে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



গ্রামে এগুলো সাধারণ ব্যাপার ছিলো এক সময়; এখন মানুষ বদলে গেছে।

১৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:০৫

শ্রাবণধারা বলেছেন: ছোট্ট একটা ঘটনা অথচ কত কিছু জড়ানো - অভাব, একাকী জীবন চালানোর ঝক্কি, সন্তানের প্রতি মমতা, তাকে মাছ ভাত খাওয়ানোর আকুতি, গজার মাছের সাথে ভুত কতকিছু।

তবে যেহেতু বিশাল একটা মাছ পরিশেষে নবীর মা পেয়েছেন, তাই এটা একটা সুখকর আনন্দের ঘটনা। সব নবীর মায়েরাই এমন করে বিশাল ২০/২২ সের মাছ পাক এই কামনা করি।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



গত ৫২ বছরে এক শ্রেনীর মানুষের জীবনে তেমন ভালো কিছু ঘটেনি; সরকার জানে না যে, এরাও আমাদের জাতির অংশ।

১৫| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ ভোর ৫:২৯

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চট্টগ্রামে একটা ধারণা প্রচলিত আছে। ভুত নাকি মাছ খায়। ঘটনা কী সইত্য?

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৭:২১

সোনাগাজী বলেছেন:




ভুত নেই; যা নেই, উহা মাছ খাবে কি করে?

১৬| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:১৯

জুন বলেছেন: আপনার এই লেখাটি আমি আগে পড়েছি মনে হয়। আহারে বাংলার দুখিনী নারী রাত বিরেতে ভুতের ভয় জয় করে খাবারের খোজে ফেরে। ভালো লাগা রইলো।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:



না, এই ঘটনাটি আগে লিখিনি; আমি আমাদের গ্রামের মেয়েদের ভয়ংকর কষ্টকর জীবন নিয়ে আরো লিখেছি, কোনটার কাছাকাছি হওয়ায়, আপনার কাছে পরিচিত মনে হচ্ছে। আমার জানা মতে, ৯০ ভাগ নারী সুখের মুখ দেখেনি।

১৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:০৭

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ত্রিশাল বা ময়মনসিংহ থেকে যখন মাঝেমধ্যে বাড়ি যেতাম, আমার মা ছিপ ফেলে আমাদের পুকুর থেকে তেলাপিয়া/সরপুঁটি ধরতেন। আমাকে আস্ত মাছ ভাজা করে খাওয়াতেন। মিস করি সেসব দিন। এই গরিব মায়ের সাথে আমার মায়ের মিল আছে।

৩০ শে এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার শৈশবে শতে ৮০ জন মাতা দরিদ্র ছিলেন, এখন শতকরা ৫০ জনের বেশী; খুব একটা বদলায়নি।

১৮| ০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৯

কৃষ্ণপক্ষের বোষ্টমী বলেছেন: অভাগিনীর তবে কপাল ফিরিল। কয়েকদিন ছেলের পাতে মাছ তুলিয়া দিবে, ছেলে পরম তৃপ্তিতে ভাত মাখাইয়া খাইবে, অভাগিনী তা দেখিয়াই তৃপ্ত হইবে.... মন্দ কি! অভাগিনীর তাতেই সুখ। অল্প বৃষ্টিতে যদি এমন সুখ মেলে তবে এমন বৃষ্টি আবার ঝরুক।

০৬ ই মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



এ ছিলো সোনার বাংলা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.