নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত বড় কবি কেন দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পেলেন না?

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৪০



বাংগালীরা পড়তে ও লিখতে জানতেন না, যারা সামান্য লেখাপড়া জানতেন, তাঁদের বড় অংশ ছিলেন দরিদ্র, যাদের সামর্থ ছিলো, তারা বই কিনতো না; এই কারণে, কবির তেমন আয় ছিলো না। তখনকার সব স্বচ্ছল বাংগালী যদি উনার ১'টি বই কিনতেন, কবির হাতে চলার মতো পয়সা থাকতো।

শেখ সাহেব জীবনে যেসব কাজের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন, সেগুলোর মাঝে সবচেয়ে বড় কাজটি হলো, আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলামকে (১৮৯৯ - ১৯৭৬) কলিকাতার দরিদ্র জীবন থেকে মুক্ত করে ঢাকায় নিয়ে আসা; কবির বাকী জীবনটা কিছুটা প্রশান্তির ছিলো। আমাদের জাতির ২ মহাকবির মাঝে একজনের অবস্হা থেকে আপনারা বুঝতে পারছেন, ১২০ বছর আগে বাংগালীদের অবস্হা কেমন ছিলো; ইহার মাঝে আমাদের বর্তমান অবস্হারও ব্যাখ্যা আছে।

নজরুল ইসলাম দরিদ্র পরিবারের সন্তান ছিলেন; দারিদ্রতার কারণেই পড়ালেখা ফেলে যুদ্ধে গেলেন সামান্য বেতনে। ১ম বিশ্বযু্দ্ধ থেকে ফেরার পর, জীবনের সামান্য অংশ তিনি একটু ভালো অবস্হায় ছিলেন, এরপর তিনি আসলে আগের থেকেও ভয়ানক রকম অসহায় অবস্হায় ছিলেন; উনি দারিদ্রতা থেকে মুক্তি পাবার জন্য অনেক চেষ্টা করেও মুক্ত হতে পারেননি; কবি সব সময় দারিদ্রতার বিপক্ষে লিখেছিলেন, কিন্তু বাংলার নিরক্ষর দরিদ্ররা উনার কবিতাগুলো কখনো পড়ার সুযোগ পাননি; আজো, বাংলাদেশের ৫০ ভাগ মানুষ হয়তো জানেন না যে, কবি সাধারণ মানুষের অধিকারের জন্য লিখেছিলেন।

ব্লগের লোকজন উনাকে বুঝার কথা; অসুস্হ হওয়ার আগ অবধি (১৯৪১ সাল) উনাকে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা উনাকে ততকালীন সময়ের যৌবনের প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মনে হয়, উনার স্ত্রীর অসুস্হতা (১৯৩৯ সাল ) উনাকে অসহায় করে তোলে; সময়টাও খারাপ ছিলো, কলোনীর শাসকেরা ২য় বিশ্বযুদ্ধে জড়িত; উনার আয়ের পথ ছিলো না, পাশে দাঁড়ানোর মতো লোকজনও তেমন ছিলো না।

কবি ভারতের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন; নিজের লেখায়, কবিতায়, বক্তব্যে তিনি কলোনিয়েল সিষ্টেমের বিরোধীতা করায়, উনাকে জেলে যেতে হয়েছিলো। ৭০'এর বাংগালীরা উনার মতো স্বাধীনচেতা ছিলেন, আমাদের জাতি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছিলেন, স্বাধীনতা অর্জন করেছেন; কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও অর্ধেক মানুষ কবি থেকেও দরিদ্র। শেখও এই জাতিকে দারিদ্রতা থেকে বের করতে পারেননি; কবির ইতিহাস ও জাতির ইতিহাস, এক বিশাল দারিদ্রতার ইতিহাস।




মন্তব্য ৪৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৫

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আপনি এই তথ্য গুলো কথায় পেলেন। কপি পেস্ট অভিযোগ তুললে কি করবেন ?

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১০

সোনাগাজী বলেছেন:


১৭৮টি মালটি নিক আমাকে আক্রমণ করেছিলো; কিন্তু কপেষ্ট মেষ্ট এগুলো তখন তাদের মাথায় আসেনি; তারা আবিস্কার করেছিলো, "ব্যক্তি আক্রমণ"।

২| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: নজরুলের ভিন্ন একটি দিক পরিষ্কার ভাবে তুলে ধেরছেন অতি অল্প কথায়। এর জন্যই আপনার লেখা আমি পছন্দ করি। অহেতুক লেখা বড় করেন না। + রইলো।

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১১

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, আমাদের ব্লগের ২/৩ জন কবিও বেশ আর্থিক সমস্যার মাঝ দিয়ে যাচ্ছেন।

৩| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৪

গরল বলেছেন: খুবই সত্য কথা বলেছেন, অনেক কবিই অনেক কিছু করেছেন কিন্তু নজরুল কেন জানি অসচ্ছল রয়ে গেল এটা আমি আজও বুঝতে পারি না। বঙ্গবন্ধু সঠিক কাজটি করেছিলেন।

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৯

সোনাগাজী বলেছেন:



এটাই ছিলো শেখ সাহেবের সবচেয়ে বড় কাজ। তিনি আরেকটি কাজ করতে পারতেন, প্রত্যেক স্বচ্চল আওয়ামী লীগারকে কবির 'সন্চিতা' কিনতে বললে কাজ হতো।

৪| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৫

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
নামই যার দুখু সে সুখ পাবে কোথায়।
বাপ মা হয়তো বুঝতে পেরেছিলেন
তার জীবন কাটবে দুঃখে দুঃখে তাই
না দিলেন তার দুখু মিয়া!

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২২

সোনাগাজী বলেছেন:


সেই সময় বাংগালীদের কিছুই ছিলো না, ছিলো শুরু দু:খ। এখনো বাংগালীদের কিছুই নেই, আছে শুধু অসততা

৫| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৩

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: জানা যায় ওনি কিছু টা বেহিসেবী ছিলেন। আয় রোজকার যা হতো দেদারসে খরচ করতেন। একটু হিসেব করে চললে এতটা দুরবস্থায় পড়তেন না। ওনার স্ত্রী ওনার জন্য অনেক করেছেন।
বঙ্গবন্ধুর প্রতি বাঙালি চির কৃতজ্ঞ হয়ে থাকবে এ কারণে যে বাঙালির এ মহান কবিকে ওনি যথাযথ মূল্যায়ন করেছিলেন।

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার সাথে মিল ছিলো।

৬| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৩৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার সাথে মিল ছিলো।
তা যা বলেছেন। কবির সঙ্গে আরও অনেক বিষয়ের সাথে আমার মিল। ওনার শিক্ষা হয় নি, আমারও হয় না।

২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



কবি বৃটিশের হয়ে হলেও যুদ্ধ করেছেন, আপনি যুদ্ধে এখনো নামেননি, এখানে গরমিল।

৭| ২৫ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৫৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



কেউ কোনোদিন চাকুরীর অফার করেনি, পরিচিত হবার পর???

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০৪

সোনাগাজী বলেছেন:


শেরে বাংলা উনাকে পত্রিকা বের করতে সাহায্য করেছিলেন; পরে ২ জনের মাঝে কোন একটা ভুল বুঝাবুঝির পর, শেরে বাংলা দুরে সরে যান। এরপর ভালো কিছু ঘটেনি।

৮| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: লেখক বলেছেন:


১৭৮টি মালটি নিক আমাকে আক্রমণ করেছিলো; কিন্তু কপেষ্ট মেষ্ট এগুলো তখন তাদের মাথায় আসেনি; তারা আবিস্কার করেছিলো, "ব্যক্তি আক্রমণ"

২-৪ জন জামাত ব্লগে এক্টিভ হয় মাঝে মাঝে চুপা রূপে। যারা এগুলো করছে তাদের মধ্যে ৪ জন কে আমরা সম্প্রতি অনুমান করতে পারসি। আরো কয়েকজন আছে। এরা কারা ভবিষ্যতে বুঝতে পারতে সমস্যা হবেনা।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:



ব্লগ নিয়ে চিন্তিত হয়ে কি করবেন, ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা ঐ পথে হাঁটছে; ঢাকা ইউনিভার্সিটির ডাকসুর সভাপতি হয়ে গিয়েছিলো মুক্তযুদ্ধ-বিরোধী লোক।

৯| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:০৮

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখক বলেছেন: কবি বৃটিশের হয়ে হলেও যুদ্ধ করেছেন, আপনি যুদ্ধে এখনো নামেননি, এখানে গরমিল। ঠিক আছে। তবে কবি বাঙালি পল্টনে যোগ দিয়েছিলেন কিন্তু সরাসরি যুদ্ধ করতে হয় নি। পরবর্তীতে ওই পল্টন বাতিল করা হয়। কবিকে আমরা বৃটিশবিরোধী হিসেবেই জানি।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



যুদ্ধে সবাইকে যুদ্ধ করতে হয় না; সব সৈনককে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়, কিংবা যুদ্ধরতদের সাহায্য লাইনে কাজ করতে হয়।

দেখছেন, দারিদ্রতা মানুষকে কোন অবস্হার মাঝে নিতে পারে! কবি বৃটিশকে পছন্দ না'করলেও ওদের হয়ে যুদ্ধে যেতে বাধ্য হন।

১০| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:১২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: হুম নুরুর কিছু হলে ফেসবুকে কান্নার রোল উঠে।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:


ইহা আফগানী সিনড্রোম।

১১| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:

কবির সাথে ভূল বুঝাবুঝি,শেরে বাংলার দুরে সরে যাওয়া - একটু ব্যাখ্যা চাই।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:


ঘটনাটার পেছনের কারণ ইত্যাদি আমি জানি না; কবিপত্নী অসুস্হ হলে, চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার ছিলো; কবি টাকা যোগাড় করতে পারছিলেন না, শেরে বাংলা কিছু টাকা দেয়ার কথা ছিলো, সেটা নাকি উনি দেননি। কবি উনার গানের স্বত্ব বিক্রয় ও বইয়ের রয়েলটি ময়েলটি থেকে থেকে হাজার খানেক টাকাও যোগাড় করতে পারেননি; ইহা ছিলো ভয়ানক অবস্হা।

১২| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৩৬

রাজীব নুর বলেছেন: শেখ মুজিব কবিকে ঢাকায় আনেন নি। তবে কবি ঢাকা আসার পর দেখতে গিয়েছিলেন এবং সমস্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছিলেন।

৭১ শেখ মুজিব তখন কারাগারে। তাজউদ্দীন আহমেদ এবং উনার স্ত্রী কলকাতায় কবিকে দেখতে যান। তখন কবি অনেক অসুস্থ। তাজউদ্দীন তাকে কথা দেন, যুদ্ধ শেষ হলেই তাকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:




সেটাই হতে পারে; কিন্তু ১৯৭২ সালে আওয়ামী লীগ তাজউদ্দিন সাহেবের নাম উচ্চারণ করেনি, সব বাহবা দিয়েছে শেখ সাহবেকে।

১৩| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: কিছু কিছু মানুষ আছে, জীবিত থাকা অবস্থায় যত না সম্মান পান মৃত্যুর পর তার চার গুণ বেশি সম্মান পান। নজরুল তাদের মধ্যে একজন।

সেই আমলে যদি এখনকার মতো এত এত মিডিয়া থাকতো। এত এত ধনী থাকতো। তাহলে নজরুল কে অভাব নিয়ে জীবন পার করতে হতো না। টিভিতে একটা এড করলে রাতারাতি কবি ধনী হয়ে যেতেন।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:


সারা ভারতই তখন পেছনে; তবে, কলিকাতা ছিলো কষ্টের শহর।

১৪| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: গরল বলেছেন: খুবই সত্য কথা বলেছেন, অনেক কবিই অনেক কিছু করেছেন কিন্তু নজরুল কেন জানি অসচ্ছল রয়ে গেল এটা আমি আজও বুঝতে পারি না। বঙ্গবন্ধু সঠিক কাজটি করেছিলেন।

কবি জীবনানন্দের জীবনও অভাবে অভাবে কেটেছে।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১২:৫৬

সোনাগাজী বলেছেন:


কবি জীবনানন্দের কাহিনী আরো করুণ।

১৫| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১:১৩

রোবোট বলেছেন: শবদটা দারিদ্রতা নয়, দারিদ্র্য বা দরিদ্রতা। উনার নয়, ওনার বা ওঁর। আরেকটা কথা, কথ্য ভাষায় লিখলে ই্হা-উহা না লিখে এটা-ওটা লিখতে পারেন।

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ১:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:




ধন্যবাদ

১৬| ২৬ শে মে, ২০২২ ভোর ৪:১১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



এ প্রশ্নের জবাব কবি নীজেই দিয়ে গেছেন তাঁর দারিদ্র কবিতায়
যথা
হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্‌।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান
কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,
বীণা মোর শাপে তব হ’ল তরবার!
দুঃসহ দাহনে তব হে দর্পী তাপস,
অম্লান স্বর্ণেরে মোর করিলে বিরস,
অকালে শুকালে মোর রূপ রস প্রাণ!
শীর্ণ করপুট ভরি’ সুন্দরের দান
যতবার নিতে যাই-হে বুভুক্ষু তুমি
অগ্রে আসি’ কর পান! শূন্য মরুভূমি
হেরি মম কল্পলোক। আমার নয়ন
আমারি সুন্দরে করে অগ্নি বরিষণ!


দরিদ্র এই কবির দরিদ্রগাথা নিয়ে সুন্দর পোষ্ট ।

দারিদ্রকে ধারণ করে অন্যায় ও অসাম্যের
বিরোদ্ধে কবির ক্ষুরদার লেখনী এখনো
সমানভাবে প্রযোজ্য ।

এই গনমুখী দরিদ্র কবির প্রতি রইল
শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ভালবাসা ।

২৬ শে মে, ২০২২ ভোর ৫:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


১৯৪১ সাল থেকে আজ ২০২২ সাল, জাতির বড় অংশ আজো দরিদ্র; জাতির ৫০ ভাগ উনার কবিতার কথা জানেও না।

১৭| ২৬ শে মে, ২০২২ ভোর ৫:৪৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: পেশা হিসেবে সাহিত্য সবসময়েই অর্থনৈতিকভাবে লাভবান ছিল না, অতীতে যেমন বর্তমানেও সেই অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি! লেখালেখি করে হুমায়ূন আহমেদ ছাড়া তেমন কেউ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হয়নি আমাদের এখানে!

২৬ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



যেই জাতি পড়তে ও লিখতে জানতো না, সেই জাতির কবির দুর্দশা হওয়াই স্বাভাবিক।

১৮| ২৬ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৫০

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: জন্ম থেকেই দারিদ্রতা ওনাকে কষ্ট দিয়েছে।

২৬ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:



শুনছি, মোল্লারাও নাকি উনাকে চাপে রেখেছিলেন!

১৯| ২৬ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:৪৭

রানার ব্লগ বলেছেন: যে জাতি জ্ঞ্যান লাভ করে ওয়াজ মাহাফিল থেকে সেই জাতির সাহিত্যিক কবি এরা দুর্দশায় থাকবে না তো কারা থাকবে। হুমায়ন আহ্মেদ কে মোল্লারা হনুমান আহ্মেদ বলে ডাকতো জাফর ইকবাল কে ষাঢ় বলে ডাকে কারন কি জানেন এরা দুই জনই রাজাকারদের ঘৃনা জানিয়েছে। যে জাতির কাছে বই মানে মোকছেদুল মুমিনুন নামের গাজাখুরি বই তাদের দেশের কবি সাহিত্যিক না খেয়ে মরবে এটাই স্বাভাবিক ।

২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:



২ বার স্বাধীনতা পেলো জাতি, কিন্তু জাতিকে পড়ার সুযোগ দিলো না ব্যুরোক্রেটরা; দারিদ্রতা, বেকারত্ব, সমাজে অনাচার, ইত্যাদি হচ্ছে, অশিক্ষার ফসল।

২০| ২৬ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:২৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: লেখালেখিকে পেশা হিসাবে না নিয়ে অবসর জীবন যাপনের কাজ হিসাবে নিলে সমস্যা হয় না।

২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:


যাঁদের লেখার হাত আছ, তাঁরা যদি লখাকে প্রপেশান হিসবে নেন, ভাষা উন্নত হয়, মানুষ নিজেদের সংস্কৃতিকে ও বিশ্বক বুঝার সুযোগ পায়।

২১| ২৬ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:১৯

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: কবি মসজিদে আজান দিয়েছেন , গজল লিখেছেন , হামদ নাত রচনা করেছেন , শ্যামা সংগীত লিখেছেন , ঈদের গান লিখছেন।
আবার তার লেখা কুসংস্কারচ্ছন্ন ধর্মের বিপক্ষেও গেছে।
এই সব কিছুই কি দারিদ্রর কারণ বলে মনে করেন? জানা যায় শ্যামা সংগীত উনি বিক্রি করেছেন। হামদ নাতের ক্ষেত্রেও কি তাই ?
দারিদ্রতা কি একজন কবির মূল প্রতিভাকে বাধাঁ গ্রস্থ করেছেন ? প্রশ্ন গুলো কিন্তু আমার মাথায় আসে।

সাজানো গোছানো , বেশি কথা না বাড়ানো চমৎকার একটা পোস্ট পড়লাম প্রিয় কবিকে নিয়ে।

২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

সোনাগাজী বলেছেন:




দারিদ্রতা মানুষের প্রতিভাকে বিকশিত হতে দেয় না, ও জীবনটাক দুরূহ করে তোলে।

২২| ২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪৩

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: লেখক বলেছেন:
দারিদ্রতা মানুষের প্রতিভাকে বিকশিত হতে দেয় না, ও জীবনটাক দুরূহ করে তোলে।


আমি এটাই বলতে চেয়েছি।

২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৩:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:



দারিদ্রতার কুফল নিয়ে আপনার ধারণা সঠিক

২৩| ২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:১৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: তবে এটা সত্য ,
পরিস্থিতি উল্টো হলে আমরা হয়তো এই নজরুল কে পেতাম না।
দারিদ্রতা উনাকে অন্য রকম করে ভাবিয়েছে। নিবিড় ভাবে জীবন কে অনুভব করেছেন। তার প্রতিটা লেখা মিথ্যা মনে হয়নি কখনো। সব কিছুই উনার মন থেকে লেখা।

২৬ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৪৫

সোনাগাজী বলেছেন:



উনি মহাকবি ছিলেন, মানুষ ও সমাজকে নিয়ে লিখেছেন; দারিদ্রতা উনার জীবনকে কষ্টকর করে তুলেছিলো, দারিদ্রতার কোন ভালোদিক আমি দেখছি না।

২৪| ২৬ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


ব্রিটিশরা থাকাকালীন কবির দরিদ্র থাকার কারণ বুঝতে পারলাম।

কিন্তু, ভারতে থাকাকালীন কি তিনি দরিদ্র ছিলেন? যদি থেকে থাকেন, এর কারণ কি?

২৬ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৪৯

সোনাগাজী বলেছেন:


ততকালীন সময়ে এনট্রেন্স অবধি পড়লে ভালো চাকুরী পাওয়া যেতো; কিন্তু তিনি ব্রিটিশ-বিরোধী হওয়াতে কোথায় চাকুরী পাননি। কলিকাতায় উনার খরচ চলছিলো, কিন্তু উহাতে ভালোভাবে থাকা হতো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.