নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
সংবাদে হয়তো শুনছেন, সোমালিয়ার ২ মিলিয়ন মানুষ নিয়মিতভাবে খেতে পাচ্ছে না, গ্রামান্চলের মানুষ নিজেদের ঘরবাড়ী ছেড়ে শহরের পাশে এসে ডালপালা দিয়ে গরিলার মত ঘর তৈরি করে থাকছে; আশা করছে, বিদেশী রিলিফ পেয়ে দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচবে। শহরের পাশে ডলাপালা দিয়ে ঘর বেঁধে যারা থাকছে, ইহার বেশীরভাগই নারী, সবার গড়ে ৪/৫ জন সন্তান আছে। সবাই রিলিফ পাবে না, সবাই বাঁচবে না; বিশ্ব যেভাবে সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত, যেভাবে ইনফ্লেশানে ভুগছে, কত দেশকে সাহায্য করবে পশ্চিম? বাংলাদেশ সরকার কি কিছু পাঠাবে? মনে হয় না।
সেই ১৯৬০ সাল থেকেই শুনে আসছি, সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার মানুষ না'খেয়ে থাকে, কাঠের জন্য বনভুমি উজাড় করছে, চাষবাস করে না ঠিক মতো; এলাকাভিত্তিক ডাকাতদল আছে, ওদেরকে চাঁদা দিতে হয়, মানুষ মানুষকে মেরে ফেলে, কোন বিচার হয় না। বেশ কিছু বছর আরব সাগর দিয়ে যাবার সময় বড়বড় জাহাজ আটকে দিতো সামন্য কয়েকজন সোমালিয়ান জলদস্যু মিলে মিলে, মিলিয়ন ডলার আদায় করতো, কোথায় গেলো সেইসব টাকা পয়সা?
সরকারের লোকেরা শহরে বাস করে, তাদের পাকা ঘরবাড়ী আছে, এরা মোটামুটি ভালোই আছে; গ্রামের লোকদের অনেকই তাদের খড়কুটোর ঘরবাড়ী ছেড়ে চলে যায় অন্য এলাকায়, অন্য দেশে। এখন দক্ষিণ অন্চলের ডাকাতদের সমবেত করেছে আল-কায়েদা, এদের নাম দিয়েছে আল-শাবাব মুজাহেদিন, এখন এরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার ও মানুষের বিপক্ষে লড়ছে; গতকালের ডাকাত, আজকের মুজাহেদীন। আলশাবাবের ২০ হাজার লোকের কাছে অস্ত্র আছে, ওরা মানুষ থেকে চাঁদা নেয়, চাঁদা দিতে না'পারলে গরু-ছাগল, ছেলেমেয়েকে নিয়ে যায়।
দেশ অনাবৃষ্টিতে ভুগছে ১০/১১ বছর, গাছ-লতাপাতা-ঘাস কিছুই নেই; শুধু মানুষ যে না'খেয়ে মরছে তা'নয়, গরু-ছাগলও মরে গেছে অনেক। মানুষ গাছ কাটে, গাছ লাগায় না, গাছ না'থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে না। মানুষজন কোন ধরণের কাজ করতে চাহে না, রিলিফের জন্য অপেক্ষায় দিন চলে যায়। সরকারও বুঝে না যে, মানুষ কাজ না'করলে কিভাবে বাঁচবে? সরকার কয়েকজনকে 'স্পেশাল দুত' করে ইউরোপ ও আমেরিকা পাঠায়েছে রিলিফ আনার জন্য; হয়তো ইউক্রেনেও পাঠায়েছে কাউকে, ওখানে অনেক গম ও ভুট্টা পড়ে আছে, নষ্ট হচ্ছে।
চট্টগ্রাম এলাকায়, অনেক মানুষ কাজকর্ম ছেড়ে দিয়েছে, ভাই কিংবা ছেলে আছে আরব দেশে; তাই কাজ করতে হয় না, কাজ হলো হুন্ডিওয়ালার থেকে খোঁজ নেয়া, টাকা এসেছে কিনা! আমাদের সরকারও চায়, মানুষ কাজ কাজ করে সরকারকে বিরক্ত না'করুক, বাড়ীতে ঘুমাও, চা-দোকানে আড্ডা দাও, ছেলেকে আরব পাঠাও। আমি বছর পাঁচেক আগে সন্দ্বীপ গিয়েছিলাম, পুরো দ্বীপ দিনের ১০/১১টা অবধি ঘুমায়, প্রায় সবাই নাস্তা করে চা-দোকানে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৯
সোনাগাজী বলেছেন:
মহাশক্তিগুলো মহা হয়েছে কাজ করে; আজকের আমেরিকা সোমালিয়া থেকে তেল, হীরক ও লোহা চুরি করছে না।
২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:৫৮
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: সরকার এই মুহুর্তে আরেকবার ক্ষমতায় যেতে চায়। এর পর আরও উন্নয়নে কনসেনট্রেশান দিবে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩২
সোনাগাজী বলেছেন:
শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ধরে রাখতে হবে; তিনি মাথা খাটালে সঠিকভাবেই জয়ী হবেন, সঠিকভাবে জয়ী না'হলে, স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনও উনার বদনাম করবে।
উন্নয়ন বলতে যা বুঝায়, উহা ঘটবে না; উনার সরকারে উন্নয়ন ভাবনার "১ জন লোকও নেই"।
৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সরকার যখন জানে যে সরকার গঠন করতে মানুষের প্রয়োজন নেই তখন মানুষ নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেয়। গদিতে বসাতে যাদের ভুমিকা থাকে সরকার তাদের নিয়েই ভাবে।
মানুষ যখন রাজনীতি বিমুখ হয় তখন বুঝতে হবে জনগণ সরকারকে নিয়ে ভাবার প্রয়োজন বোধ করছে না। কারণ মানুষ সরকারকে ভয় পায়। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি হল 'ভিক্ষা চাই না মা কুত্তা সামলাও'। সোমালিয়া, ইথিওপিয়া এবং বাংলাদেশের জন্য একই কথা।
আফ্রিকার অনেক দেশের সাথে বাংলাদেশের অনেক মিল আছে। তবে এই মিলগুলি কল্যাণকর নয়। ডাকাত দিয়ে বিপ্লব করলে সেই বিপ্লব জনসমর্থন পায় না এবং স্থায়িত্ব পায় না। বাংলাদেশের সর্বহারা পার্টির মত অবস্থা হয়।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
আমি ভাবছি, দেশ ক্রমেই সোমালিয়া, আফগানিস্তান, ইয়েমেন, বার্মার মতো হয়ে যাবে; মানুষ শুধু পরিবার নিয়ে ভাববে, জাতি, দেশ, এসব ভুলে যাবে; ৫২ বছর লম্বা সময়, সব সরকার মানুষকে তাদের বাজার হিসেবে ব্যবহার করছে।
৪০ বিলিয়ন 'সেভিংস' শেষ হতে সময় লাগবে না।
৪| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০১
কামাল৮০ বলেছেন: জনগনের সরকার হলে এই সমস্যা থাকতো না।তখন সরকার জনগনের জন্য ভাবতো, জনগন সরকারের জন্য ভাবতো।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
আওয়ামী লীগের সরকার যদি জনগণের না'হয়, কাহাদের নিয়ে সরকার করলে জনগণের হবে?
৫| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩০
কামাল৮০ বলেছেন: যে দেশগুলোতে ধর্মীয় অনুশাসন বেশি সেই দেশগুলির অবস্থা দিন দিন করুণ কবে।বিশ বছরের ব্যবধানে ধর্মীয় অনুশাসন অনেক বেড়েছি আফগান হতে বেশি বাকি নাই।আপনার কি মনে হয় জনগন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর প্রতিকার করবে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৯
সোনাগাজী বলেছেন:
বেশীর ভাগই ধর্মের অভিনয় করছে দেখছি; বেদুইনদের সামাজিক ব্যবস্হা বিশ্বাস করার মতো বেকুব বাংগালী কমই আছে; তবে, জাতির নিজস্ব চরিত্র আধুনিক না'হওয়ায় মানুষ সঠিক পথ বের করতে পারছেন না। ড্রাগ, চুরি, অন্যায় ও নাগরিক অধিকারহীনতায় ভোগার কারণে ধার্মিকের অভিনয় করছেন বেশীরভাগ লোকজন।
৬| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৩৭
কামাল৮০ বলেছেন: সরকারে অনেক প্রতিক্রিয়াশীল আছে।আর প্রতিক্রিশীল কথনে জনগন হতে পারে না।তাদেরকে বাদদিয়ে জনগনের মধ্য থেকে সরকারে নিতে হবে।
০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:৪৬
সোনাগাজী বলেছেন:
ব্যুরোক্রসীর লোকেরা দেশকে কলোনীর মতো চালাচ্ছে! শেখ হাসিনার সরকারে আওয়ামী লীগের যেসব লোকজন আছে, তারা ব্যবসা করছে, সব সুযোগ দখলে রাখার চেষ্টা করছে, মানুষের জন্য কিছুই নেই।
শেখ হাসিনা নতুন করে দলকে সাজাচ্ছে না।
৭| ০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:১৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: শেখ হাসিনা দল থেকে এবার অব্যাহতি চেয়েছে
এবং কাউন্ছিল যাকে নির্ধারন করবে তাকে
দল চালাতে বলেছে !
..................................................................
আপনার পর্যবেক্ষণ কি বলে ???
০৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
দল থেকে কেহ সভাপতির পদ চাইলে, বাকীরা উহাকে দল থেকে বের করে দেবে। উনার দরকার দলকে সংগঠিত করা, সেজন্য তিনি আবদুর রাজ্জাক সাহেবকে পিএম বানায়ে, দলের পেছনে সময় দিয়ে, ইহাকে পরিস্কার ও শক্তিশালী করার দরকার।
৮| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৩:৩১
স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
দেশ নিয়ে ভাবিনা। ভাবলে যে সেক্টরে কাজ করি সেই উন্নয়নের বাঁধা গুলো সম্পর্কে লিখতাম। কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স নিয়ে কি পরিমাণ জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে সেটা নিয়ে প্রতিদিন ব্লগ লেখা যেতো।
আপনি সমস্ত জটিলতা শেষে কমেন্ট করতে পারছেন দেখে ভালো লাগছে।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:০৬
সোনাগাজী বলেছেন:
জাপানীরা, কানাডিয়ানরা, সুইডিসরা কাজ করে,জটিলতার সৃষ্টি করে না; সেজন্য সেসব জাতি সুখে আছে।
৯| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৫
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
এসির ঠাণ্ডায় খুব বেশি ঘুম পায়। ঢাকায় এই অবস্থা।
০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনার কমেন্ট আমি পুরোপুরি বুঝিনি।
শেখ হাসিনা, উনার সরকার ও প্রশাসন মানুষ থেকে সম্পর্ণভাবে দুরে সরে গেছে; ইহাতে আমাদের জাতীয় ঐক্য, জাতীয় উৎসাহ পুরোপুরি অকেজো হয়ে গেছে; আমরা সোমালিয়া, ইথিওপিয়ার মানুষের মত বাস করছি।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৫
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: বিশ্বের যেকোন প্রভাব এখন সব দেশেই পড়ে ।
...................................................................
যেসব দেশ অভাবে আছে তা মহাশক্তিশালী দেশের কারসাজি ,
ইচ্ছে করলেই তা সমাধান করতে পারে , কিন্ত অভিঙ্জতা বলে
এসব চলমান রাখাই দুষ্ট দেশের কাজ ।
নাহলে স্বার্থ কোথায় ? কিছু দেবার ছলে যা কিছু সম্পদ তা লুটার ব্যবস্হা হবে কি করে ?