নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।
কংগ্রেস নিজকে মেরামত করা চেষ্টা করছে, নেহেরু পরিবারের বাহিরের একজনকে কংগ্রেসের সভাপতি করেছে; নতুন সভাপতির নাম, মল্লিকার্জুন খাড়গে, ৮০ বছর বয়সের অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। ইহা কংগ্রেসকে সাহায্য করবে? আসলে, ইহা খুব একটা সাহায্য করার কথা নয়; এখানে সামান্য একটা সমস্যা থেকে যাচ্ছে, এই লোক আজকের রামরাজ্যে একজন 'দলিত হিন্দু', নিম্নবর্নের হিন্দু। ভারতের মানুষ আজকে অন্য ধর্মের কিংবা নিম্নবর্ণের হিন্দুদেরকে বড় পদে দেখতে চাহে না, দলিতরা রামরাজ্যের জন্য ভালো নয়। কংগ্রেসের সব হিন্দু ভোটার ধর্ম নিরপেক্ষতায় বিশ্বাস করে না।
নেহেরু পরিবার থেকে কোন অনুপযুক্ত লোকজন রাজনীতিতে আসেনি; কংগ্রেস যেই কারণে পপুলারিটি হারায়েছে, তা' হচ্ছে অর্থনীতি; কংগ্রেস দরকারী পরিমাণ "চাকুরী সৃষ্টি" করতে ব্যর্থ হয়েছিলো। প্রয়োজনের তুলনায় কম চাকুরী সৃষ্টি করার পর, উহাতে "সবার জন্য সমান অধিকার" রাখাতে 'ধর্মীয় হিন্দুরা' অসুখী হয়েছে; সবার জন্য সমান সুযোগ ছিলো, কারণ, কংগ্রেস দেশের শাসনতন্ত্রে ভারতকে "ধর্ম নিরপেক্ষ" দেশ বানায়েছিলো।
উপমহাদেশের ধর্মীয়রা ভারত, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশে 'ধর্মনিরপেক্ষ' শব্দটা শুনতে চাহে না; তারা বলতে চায়, ধনদৌলত, চাকুরী, শিক্ষাদীক্ষা, চিকিৎসা সবই সৃষ্টিকর্তার দান; ধর্মনিরপেক্ষতা' মানে ধর্মের বিরোধীতা। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবই হয়, মিরিয়ামের পেটে যীশুরা আসে।
বিজেপি'র জয় হচ্ছে ধর্মীয় ঝড়ের ফল; চাকুরী পেলে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দাও, না'পেলে ধরে নিতে হবে, সৃষ্টিকর্তা চাচ্ছে না, অপেক্ষা করতে হবে। কংগ্রেস যদি সময় মতো চাকুরী সৃষ্টি করতে পারতো, মানুষকে গণেশ, কিংবা শিবের জন্য অপক্ষা করতে হতো না। বিজেপিও দরকারী পরিমাণ চাকুরী সৃষ্টি করতে পারছে না; কিন্তু তারা যেটুকু করছে, সেটা সমাজের ধর্মীয় অংশকে এখনো খুশী রাখছে; ইহাও সময়ের সাথে নিজের ভারে ভেংগে পড়বে; কিন্তু সময় নেবে।
কংগ্রেসকে অর্থনীতির রাজনীতি করতে হবে, চাকুরী সৃষ্টি করতে হবে; শিক্ষিত মানুষের জন্য নেহেরু পরিবার কোন সমস্যা নয়, সমস্যা হচ্ছে অর্থনীতি, চাকুরী; চাকুরী থাকলে ধর্মীয় রূপকথা রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়ে আবার মন্দিরে চলে যাবে।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
কংগ্রেস রাজনীতির দিক থেকে সঠিক ছিলো, কিন্তু অর্থনীতিতে পেছনে পড়েছিলো, চাকুরী সৃষ্টি করতে পারেনি। বিজেপি সেই সুযোগটা নিয়েছে। হিন্দুরা শিক্ষিত হয়েও ধর্ম পালন করে, এটা 'কুলীনতা'; ধর্ম পালন করলে 'উচু বর্ণের' পরিচয় কিংবা কাছাকাছি। এখন মুসলমানেরা চাকুরী পাচ্ছেনা, নিম্নবর্ণের লোকেরা চাকরী পাচ্ছে না, খৃষ্টানদের চাকুরীও কমেছে; তবে, মধ্যবিত্তরা এটাই চায়, তাদের জন্য চাকুরী মোটামুটি আছে।
২| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৯
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
উপমহাদেশে চাকুরী সৃষ্টির চল নেই,ধর্মীয় মনোভাবে বিশ্বাস করে উপোস থাকাও ভালো।
১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোনাগাজী বলেছেন:
খাইতে না'পেলে উপমহাদেশে বলে 'রিজিকে' নেই. ইংল্যান্ডে বলে, প্রাইম মিনিষ্টারকে সরাও। ৬ সপ্তাহের মাঝে নতুন প্রাইম মিনিষ্টারের 'রিজিক' খারাপ হয়ে গেছে।
৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৫৬
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
ধর্ম ভারত উপমহাদেশ সহ মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতির বড় অস্ত্র। হয়তো ধর্ম ধর্ম করে পৃথিবী একদিন ধ্বংস হবে।
২০ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:১৬
সোনাগাজী বলেছেন:
আফগানিস্তান, পাকিস্তান, ইরান, বাংলাদেশ, ইয়েমেন, ভারত, এরা ধর্ম ধর্ম করে জাতিকে যাযাবর বানায়ে ফেলেছে।
৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: সব কিছু নষ্টের মূলে আছে ধর্ম। ধর্ম মূলত আফিম। ধর্ম থেকে যে জাতি দূরে থাকবে, তাঁরা ভালো থাকবে। যারা ধর্মকে আকড়ে ধরবে, তাদের কপালে সারা বছর দুঃখ লেগে থাকবে।
২১ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৪:৫৯
সোনাগাজী বলেছেন:
বিশ্বে এখনো বেকুব মানুষের সংখ্যা বেশী।
৫| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ২:৫৯
কামাল৮০ বলেছেন: ভারতিয় উপমহাদেশেরএই তিন দেশে সমান্তরাল হারে ধর্মীয় মৌলবাদ বাড়ছে।এক সময় এই তিন দেশ থেকেই মৌলবাদ সেই সাথে নাম মাত্র ধর্ম থাকবে।
আসলেই অপেক্ষা করতে হবে।ঠিক সময়ের আগে কিছুই হবে না।
২৩ শে অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:০৫
সোনাগাজী বলেছেন:
ভারতে প্রকৃত শিক্ষিত ( মানসম্পন্ন ) মানুষ অনেক; ফলে তারা সমাধান খুঁজে পাবে; পাকিস্তানে ডুবে গেছে, বাংলাদেশও ডুববে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৫:২২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যদি ভারতীয়দের মধ্যে ধর্মভীরুতা বেড়ে যায়, তাহলে কংগ্রেসের আসার সম্ভাবনা কম। কিন্তু ভারতের হিন্দুরা এতটা ধর্মীয় ছিলনা কিছুদিন আগেও। এখন ওদের মধ্যে হিন্দুত্ব একটু বেশী বেশী। যে কারণে, সিনেমাতেও তারা ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অনেককে বয়কট করছে...