নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবাসে বয়স্ক বাংগালীদের সাথে ১ দিন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০০



দেশে যাওয়া-আসা, বিবিধ স্হানে চাকুরী করার কারণে, সমবয়স্ক বাংগালীদের সাথে আমার ঘনিষ্টতা তেমন গড়ে উঠেনি, আমি যাদের সাথে চলি ফিরি তাদের গড় বয়স ৬০ বছরের নীচে; সর্ব কনিষ্ঠজনের বয়স ৪৮ বছর। গত আগষ্ট মাসে ১ পার্কে ১৮ জনের একটা বয়স্ক গ্রুপের সাথে ৪/৫ ঘন্টা সময় কাটিয়েছি; ইহা এক ধরণের নতুন অভিজ্ঞতা ছিলো।

আমাদের গ্রুপের ১ জনের ( ব্যবসায়ী ) শ্বশুর শ্বাশুড়ি এসেছেন দেশ থেকে, উনার বাসায় দেখা হয়েছে; ১টি গ্রীক রেষ্টুরেন্টে বেশ লম্বা সময় আড্ডা দেয়া যায়, আমরা সেখানে একত্রিত হওয়ার চেষ্টা করলে মেহমানরা হালালের কথা বলে উহা নাকচ করে দেন; বরং পার্কে পিকনিক করতে চাইলেন। শহরের ১টি পার্কে পিকনিকের ব্যবস্হা করা হলো; বাচ্চারা বাদ; সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা অবধি। শহরের পার্কগুলোতে ভোরে গিয়ে টেবিল দখল করতে হয়, না'হয় ভালো যায়গা পাওয়া যায় না। ব্যবসায়ী ও গ্রুপের কনিষ্ঠজন গিয়ে সকাল ৮'টায় ৪ টেবিলের একটি স্পট পেয়েছেন।

আমি ৯'টায় গিয়ে উপস্হিত, নাস্তার অনেক আইটেম; কিন্তু এরা ২ জন ব্যতিত কেহ এখনো আসেনি। নাস্তার পর, স্পটের ভার আমাকে দিয়ে ২জনই তাদের স্ত্রীদের ও মেহমানদের আনতে গেলেন। সময় ১০টা, কারো দেখা নেই, আমি বারবার চা খেয়ে, হেঁটে হুঁটে সময় কাটাচ্ছিলাম। একজন তরুণ বাংগালী ছেলে এসে আমার সাথে পরিচয় করে জানালো যে, সে বেশ অসুবিধায় পড়েছে: সে ১৮ জনের একটা বাংগালী 'সিনিয়র সিটিজেন গ্রুপকে' পার্কে এনেছে, কোথায়ও যায়গা পাচ্ছে না। সে বুঝেছে যে, এই ৪টি টেবিল আমি ধরে রেখেছি, তাকে কিছু সময়ের জন্য ২/১ টা টেবিল দেয়া যায় কিনা! আমি ৩টি টেবিল দিয়ে দিলাম; আমাদের লোকজন আসতে দেরী হচ্ছে, এবং আমাদের জন্য ২০টির বেশী চেয়ার আনা হচ্ছে, আমরা ১৪ জনের মতো হবো।

ছেলেটি নিউইয়র্কে জন্ম-নেয়া, খুবই অমায়িক। সে গিয়ে বাস থেকে লোকদের নিয়ে এলো; পরে বুঝলাম ব্যবসাটা ছেলের বাবার, সে বাবাকে সাহায্য করছে। ছেলে সবার সাথে আমাকে পরিচয় করায়ে দিলো; সবাই মোটামুটি আমার কাছাকাছি বয়সের। এখানে যতটুকু চা-কফি, বেগল, খোঁয়াসো, পেষ্ট্রি ছিলো, সেগুলো সবাকে দিলাম। ছেলে ব্রেকফাষ্টের প্যাকেট এনেছিলো, সবাইকে খাবার দিয়ে, সে অন্য যায়গায় খালি টেবিল খুঁজতে গেলো; ২০ মিনিট টেবিল খুঁজে এসে, আমাকে বলে,
-আংকেল, আমি তো মনে করেছিলাম, ১০টার দিকে এলে যায়গা পাবো; এখন দেখছি কোথায়ও খালি টেবিল নেই! বাবা মন খারাপ করবেন।
-এখানেই থেকে যাও, আমাদের লোকজন চেয়ার আনবেন, খাবার রাখার জন্য ১টি টেবিল হলেই আমাদের চলবে।

ছেলে ধন্যবাদের পর ধন্যবাদ দিচ্ছে; লোকজনও খুব খুশী, আমি যায়গা ছেড়ে দিয়েছি। গ্রুপে ১ দম্পতি চট্টগ্রামের, তাঁরা ২ জন আমার সাথে আলাপ জুড়ে দিলেন; বাড়বকুন্ডে বড় ব্যবসা ছিলো; সব ফেলে একমাত্র মেয়ের এখানে চলে এসেছেন। মেয়ে ডাক্তার, উনাদের কিছু করতে হয় না, ১টা স্পেনিশ মেয়ে বাসার কাজকর্ম করে দেয়; দিনের বড় অংশ কাটে জ্যামাইকার ১ মসজিদে। মসজিদ ও ১জন ডাক্তার ( এদেশে এখনো প্রেকটিসের লাইসেন্স পাননি ) মিলে সিনিয়য়র সিটিজেন ডে-কেয়ার চলাচ্ছেন। প্রায় সবাই আমাকে উনাদের গ্রুপে জয়েন করার জন্য অনুরোধ করতে লাগলেন।

এদের সবাই ছেলেমেয়েদের কাছে এসেছেন, বিবিধ পেশার লোকজন; প্রায় সবাই গত ৫/৬ বছরের ভেতরে এই দেশে এসেছেন; দেশে ছেলেমেয়ে আছে, পরিবার আছে।

আমাদের লোকজন আসতে আসতে ১২ টা বাজলো; বসার যায়গা নিয়ে কোন অসুবিধা হয়নি, খাবারও ছিলো প্রচুর। উনাদের জন্যও বিরাণী এনেছিলো ছেলেটি, সাথে কিছু কুকি, কেইক ও ফলমুল। বয়স্কদের সবারই খুব ইচ্ছা, আমি যেন মসজিদের সিনিয়র সিটিজেন গ্রুপে যোগদান করি; আমি আগামী কোন এক সময়ের কথা বলে, কোনভাবে এড়িয়ে যাচ্ছিলাম।

আমি উনাদের সাথে আলাপ করে বুঝলাম যে, উনারা প্রতিদিন মসজিদে কম্পাউন্ডে ৬/৭ ঘন্টার বেশী সময় থাকেন; মসজিদের বেইসমেন্টে রেস্ট নেয়ার যায়গা আছে, ধর্মীয় আলোচনা, ইবাদত ইত্যাদি করে সময় কাটান; সামাজিক কোন কিছুতে নেই, পারিবারিক দায়িত্বও তেমন নেই, মনে হচ্ছে। সবই ভালো, তবে আমি এভাবে সময় কাটাতে পারবো বলে মনে হলো না।

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যখন কোন কাজ থাকে না, তখন ইবাদতের কাজে অনেকের বেশ কাটে। আর আপনার সময় বেশ কাটে ব্লগে থেকে। আপনাকে কি এখনো আয়-রোজগার করতে হয়?

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২২

সোনাগাজী বলেছেন:



না, আমি রিটায়ার্ড; গত ৬ মাস, ১ জন বন্ধুকে সাহায্য করছি, উনি ব্যবসায়ী, উনার হাঁটুতে সমস্যা, উনার হয়ে ব্যাংকে যেতে হয় সপ্তাহে কয়েকবার।

২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: আপনি লিখেছেন "২০ খুঁজে মিনিট এসে, আমাকে বলে,"

এই বাক্যাংশটুকুর মানে কি? সবিনয়ে জানতে চাই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ, ঠিক করে দিয়েছি। ছেলেটি পার্কের অন্য অংশে খালি টেবিল খুঁজতে গিয়েছিলো।

৩| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনার কী দেশে আসার ইচ্ছা নেই

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আসবো, আমার চোখের সমস্যাটা গরমে খুবই বেড়ে যায়, এখনো চিকিৎসা চলছে।

৪| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

শাহ আজিজ বলেছেন: আপনাদের আড্ডার আর কোন আলাপ বিস্তারিত বলেননি !

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



আমরা প্রায়ই এখানে সেখানে যাই, তাস খেলি, ক্যাসিনো ইত্যাদিতে যাওয়াআসা আছে, রাজনৈতিক কথা তুলে চীৎকার দেই; গ্রুপে ৩জন বিএনপি, ২জন আওয়ামী লীগার, ১ জন বামপন্হী আছেন; আমি বিএনপি ও আওয়ামী লীগবিরোধী, স্বঘোষিত সোসয়ালিষ্ট; দেশের বিবিধ উল্লেখযোগ্য দিবস ইত্যাদিতেও আড্ডা হয়।

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ব্যবসার দিকে লক্ষ্য করে আমরা লেবু চাষাবাদে গিয়েছি বছর পাঁচ হবে। পাহাড়ি টিলা অঞ্চল। আপনি লেবু বাগানে গেলে সারাদিন কেটে যাবে লোকজনের সাথে কথা বলে বলে। বাগানে কাজ করার সময় সকাল ০৮০০ থেকে দুপুর ১২:০০ টা এবং বিকাল আসরের নামাজের পর থেকে সন্ধ্যা সূর্য ডোবা পর্যন্ত।

প্রবাসে উন্নত জীবনের জন্য গিয়ে একাকি জীবন নিয়ে মানুষ যেই কষ্ট করেন তা ভাষায় লিখে শেষ করার না। কথা বলার মানুষ নেই, ভালো মন্দ জিগ্যাসা করার লোক নেই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৭

সোনাগাজী বলেছেন:



বাংগালী বয়স্করা আমেরিকার বয়স্ক জীবন সম্পর্কে না'জেনে আসছেন; ইহা ভালো অভিজ্ঞতা নয়; এঁরা তাল মিলাতে পারার কথা নয়, একাকী হয়ে যান।

আপনি ভালো কাজ বের করেছেন; আমারও খুবই ইচ্ছা ছিলো, চোখের সমস্যার কারণে সম্ভব নাও হতে পারে; তবুও হাল ছাড়িনি।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশীর জন্য নামাজ পড়ার দেশ হচ্ছে নিজের দেশ ও মক্কাহ মদিনা সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশীরা আমেরিকা গিয়ে সেকশন সেকশনে মসজিদে মসজিদে বাসা বাড়িতে ফ্লাটে ফ্লাটে যেভাবে নামাজের আয়োজন, ওয়াজ মাহফিল, দাওয়াত ইত্যাদি করে থাকেন এটি আমেরিকানরা কিভাবে দেখেন বা কি মনে করেন?

বিষয়টি আমি জানি তারপরও আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:


এখানে মস জিদ করতে শুধু ইচ্ছার দরকার, টাকা মানুষ ঢেলে দেয়; ফলে, মসজিদ ঢাকার সমান হয়ে যাবে শীঘ্রই। আমেরিকানরা অনেক শহরে নিজেদের চার্চ বিক্রয় করছে মুসলমানদের কাছে। কোন কারণে আমেরিকানরা মসজিদ থেকে মন্দির বেশী পছন্দ করে। মসজিদের উপর চোখ রাখছে আমেরিকার সরকার।

৭| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩২

খায়রুল আহসান বলেছেন: অপরের দুঃখ-কষ্টে আপনার এই সাহায্য প্রবণ মন মানসিকতাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি দরকারে সাহায্য নিই সব সময়; ফলে, কারো জন্য সহজ কিছু করতে হলে, আমি উহা করতে চেষ্টা করি

৮| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৭

শেরজা তপন বলেছেন: এক টিকেটে দুই ছবি। এক আড্ডার সাথে আরেকটা ফাউ উপভোগ করলেন। আপনি এত আড্ডাবাজ মানুষ জানা ছিল না!

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি মানুষের সাথে আড্ডা দিতে পছন্দ করি; লোকজনের সাথে পরিচয় আছে, বাইরে গেলে ভালো লাগে। অবশ্য ব্লগের সমস্যার মতো সমস্যাও হয়, অনেকে আমার কথাবার্তা পছন্দ করেন না; তবে, আমি ভালো শ্রোতা।

৯| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:০৫

মনিরা সুলতানা বলেছেন: মসজিদ কেন্দ্রিক এই আড্ডাটার কথা কিছুটা জানি, আমার মা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন আমাদের সাথে। এমন পারস্পারিক সহযোগিতাটুকু আসলেই প্রবাস জীবনের অবলম্বন।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১০

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার আম্মা কি প্রবাসে স্হায়ী?

১০| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:১৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: জি, বছরে একবার আসেন দেশে।

২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:




সেটা ভালো। অবশ্য মহিলারা নিজেদের পরিবার নিয়েই অনায়াসে ভালো থাকতে পারেন। পুরুষেরা তো বাহিরমুখী; অনেকেই কালচারেল, ভাষা ও বয়সের কারণে অনেক সময় একাকী হয়ে যান।

১১| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আমেরিকানরা ছুটির দিনে জঙ্গলে যায়, নদীতে যায়, পার্কে যায়।
বাঙ্গালী প্রবাসীরা ছুটির দিনে কারো বাসায়- সকলে একসাথে মিলে আড্ডা দেয়। এটা বেশ ভাল।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৫

সোনাগাজী বলেছেন:



এখন বাংগালীরাও বাইরে যাচ্ছে আস্তে আস্তে; ২য় জেনারেশন মোটামুটি আমেরিকান।

১২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



আপনার ভাবনায় সমস্যা আছে,ব্লগ ব্যাতীত পরিচিত এমন ভাবে কতভাগ মানুষ?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৮

সোনাগাজী বলেছেন:


আপু তানভীনের "সোভিয়েত" রাশিয়া পোষ্ট পড়েছেন? এমন কিছু নিয়ে লিখেছে, যারউপর কোন ধারণাই নেই।

১৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৮

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:



আপনার ভাবনায় সমস্যা আছে,ব্লগ ব্যাতীত পরিচিত এমন ভাবে কতভাগ মানুষ?

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:


৭০ ভাগ বাংগালীদের বিশ্ব, দেশ, জাতি, রাজনীতি, অর্থনীতি, ধর্ম, ইত্যাদি নিয়ে সমস্যা আছে। আমি প্রায় সময় চুপ করে থাকি

১৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:০১

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: পার্কে যেয়ে আড্ডা দেয়ার অভিজ্ঞতা একই, তবে আমি পার্কে হাঁটি, পারলে ফুটবলে দুচার লাথি দেই। চোখে inflammation এর কারণে আমারও স্ক্রিন টাইম কমাতে হচ্ছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমি এলাকার লোকজনের সাথে গেলে ফুটবল খেলি; আমার কাছে পার্ক আছে, সম্প্রতি যাওয়া হচ্ছে না।

১৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৯

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: পার্কের চেহারাটা খুব সহজেই ভেসে উঠলো।
ভাল থাকবেন।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি কোন শহরে থাক্বেন, ভুলে গেছি।

১৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:২৭

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: জাপানে ও মসজিদ বে ড়ে যাচ্ছে।
পাকিস্তানীরা আর বাঙ্গালীরাই এই মসজিদ গুলি বানাচ্ছে।
তবে বয়স্ক মানুষরা যদি ইবাদত করে ভাল থাকতে পারে সেটা ও খারাপ না।
ভাইয়া আপনার লেখা খুব ই ভাল লাগে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



ধন্যবাদ।

মুসলমানেরা অন্য দেশে গেলে, সেই দেশের কালচারকে "পাপ" ইত্যাদি বলে; ইহা সমস্যা হবে এক সময়।

১৭| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৬

কামাল১৮ বলেছেন: আমি পরতপক্ষে বাংলাদেশী লোকজন যে দিকে থাকে সেই দিকে যাই না।আমার আশেপাশে থাকে পূর্ব এশিয়া ভারত ও মধ্য এশিয়ার লোকজন।প্রথম প্রথম কয়েক দিন গিয়েছিলাম,ভালো লাগে না বলে যাওয়া হয় না।দেশী বা ধর্মীয় এগুলি আমার কাছে কোন গুরত্ব

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫৩

সোনাগাজী বলেছেন:



আমার পরিচিত স্হানীয় লোকজন আছে; তবে, তাদের সাথে লম্বা আড্ডা হয় না; লম্বা আড্ডা হয় বাংগালীদের সাথে, আমরা সহজেই অনেক সময় ১০/১২ ঘন্টা আড্ডা দিই।

১৮| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৩৯

কামাল১৮ বলেছেন: বহন করে না।লিখার আগেই মন্তব্য প্রকাশ করুনে টিপ প্রায় আর লেখা হলো না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



সামাজিকভাবে, আমাদের বেশীরভাগ বয়স্ক মানুষ ক্রমেই পেছনের সারিতে চলে যাচ্ছেন

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: আমি নিজে আড্ডাবাজ। আড্ডার গল্প পড়তে ও আড্ডা দিতে ও কাউকে আড্ডা দিতে দেখলে আমার বেশ লাগে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



আমেরিকাকঠিন দেশ, এখানে পরিচিত লোকজন না'থাকলে, মানুষ একা হয়ে যায়।

২০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

কালো যাদুকর বলেছেন: ভাল। আপনার উপকারটি ভাল লেগেছে। এরকম হলে, অনেক সময় টেবিল পাওয়া যায় না। বয়স্করা এই দেশে খুবই নিঃসংগ থাকে। নিউইর্য়কে একটু বেটার মনে হয়। সাউথে এরকম আড্ডা দিতে দেখিনি।

সামনেয় কয়েকদিন অনেক ঠান্ডা পড়বে , প্রস্ততী কেমন আপনাদের ওদিকে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪

সোনাগাজী বলেছেন:



নিউইয়র্ক শহরে ঠান্ডা পড়ে অনেক, ফেব্রুয়ারী ও মার্চ কঠিন সময়; তবে, অভ্যস্ত। সাউথে বাংগালী নিশ্চয় খুবই কম।

২১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০১

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: একটু ছবি-টবি দিতেন।আপনাকে দেখার অনেক দিনের শখ :D

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৮

সোনাগাজী বলেছেন:




বেশীরভাগ বয়স্ক বাংগালীর স্বাস্হ্য সমস্যা থাকে।

২২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- প্রবাসে বয়স্ক বাংগালীদের সাথে বসে সময় নষ্টকরা আপনার উচিৎ নয়।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৯

সোনাগাজী বলেছেন:




পশ্চিমের দেশগুলোতে বেশী বয়সে না'এলেই ভালো; মানুষ একা হয়ে যায়।

২৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৯

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার সময় কেটেছে।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



ওকে বলা যায়; আমি তাল মিলিয়ে চলতে চেষ্টা করি।

২৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২১

রাজীব নুর বলেছেন: শুনেছি আমেরিকাতে সবার গাড়ি আছে। কোথাও গেলে গাড়ি পার্ক করতে সমস্যা হয়। জায়গা পাওয়া যায় না।

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



নিউইয়র্ক শহরে ইহা বড় সমস্যা

২৫| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৬

রানার ব্লগ বলেছেন: এই আটপৌঢ় বাঙ্গালী বৃধ্যদের কাছ থেকে দুরেই থাকুন এরা অলস সুতারং আলস মস্তিষ্ক শয়তানের আস্তানা !!!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬

সোনাগাজী বলেছেন:



যাদের পারিবারিক অবস্হা ভালো, বেশী বয়সে পশ্চিমের দেশে এলে, একা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা

২৬| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: এখন থেকে এসব প্রোগ্রামে একটু বেশি করে যাবেন এবং ব্লগে সময় কম দেবেন। আপনার ছেলে মেয়েরা নিশ্চই বিয়ে স্বাদী করেছে। নাতি নাতনি নেই? তাদের সাথে সময় কাটালে আরো ভাল লাগবে।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:



বড় ছেলের ছেলে আছে ২টি।

আমি আসলে, সব সময় কিছু না কিছু করছি, অনেকের সাথে পরিচয় আছে, মোটামুৈ ব্যস্ত থাকি।

২৭| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩০

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: স্যার, আমি জার্মানির মিউনিখের এক শহরতলীতে থাকি আপাতত।

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪১

সোনাগাজী বলেছেন:



ভালো দেশে আছেন, আপনার নিজের ফিল্ডে ভালো করার চেষ্টা করেন; ক্যান্সার বাড়ছে অনেক কারণে।

২৮| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪২

রিম সাবরিনা জাহান সরকার বলেছেন: নিজের ফিল্ড বলে আর কিছু নেই যেহেতু গবেষনা করছি না। তবে ক্যান্সার নিয়ে লিখতে হচ্ছে প্রচুর মেডিক্যাল রাইটিং পেশার কারনে। আমার জন্যে দোয়া করবেন। মাথা খুব শার্প নয় বলে গবেষনা লাইনে সুবিধে করতে পারি নি। তাই বলে বিজ্ঞান থেকে সরে আশি নি, বরং তা নিয়েই আছি দিন-রাত।

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

সোনাগাজী বলেছেন:



অসুবিধা নেই, গ্রুপে থাকলে ও লিখতে গিয়ে, সর্বশেষ পরিস্হিতি সম্পর্কে অবশ্যই জানতে পারবেন।

২৯| ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমেরিকাতে অনেকের বাবা মা আসে দেশ থেকে, কয়েক মাস থেকে চলে যায়। তবে বয়স্করা একাকী অনুভব করে এখানে এসে।

আমি আগের যেই সিটিতে থাকতাম সেখানে ৭০-৮০ জন বাঙ্গালী ছিল, প্রায় প্রত্যেক সপ্তাহেই কারো না কারো বাসায় দাওয়াত লেগেই থাকত, অথবা দল বেদে পার্কে চলে যেতাম, সেখানে জঙ্গল থেকে লাঠি সোটা এনে আগুনে রান্না করতাম আমরা বড়রা আর আমাদের বাঙ্গালীদের বাচ্চারা একসাথে পাশে খেলত! সাউথে থেকে মজা আছে, বেশী শীত ভাল লাগে না, বাইরা বের হওয়া যায় না! তবে এখানে সম-বয়সী পাওয়া কঠিন!! তবে মিশতে, আড্ডা দিতে সমস্যা হয় না! আমার বর্তমান সিটিতে অনেক বাঙ্গালী আছে, ৪-৫ হাজারের মত হবে পরিবারসহ, এরা সবাই ইন্টেলে চাকরী করে তবে এরা ইন্টেলের আশেপাশে থাকে, আমি যেই ইউনিভার্সিটিতে চাকরী করি সেখানে হাতেগোনা কয়েকজন বাঙ্গালী চাকরী করে, তাই ঘুরেফিরে কয়েকজনই মাঝে মাঝে একজন আরেকজনের বাসায় যায় আড্ডা দেই!

অনেক বয়স্করা যারা একসময় আমেরিকায় থাকত তারা শুনছি দেশে থাকে অনেকে, কয়েক মাস পর পর আমেরিকায় আসে ঘুরতে, সরকারী সোস্যাল বেনিফিটের টাকা নিয়ে আবার দেশে চলে আসে!! ব্যাপারটার সত্যতা কেমন?

০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৮

সোনাগাজী বলেছেন:



কিছু বয়স্ক লোকজন যাওয়া-আসায় আছেন।
ইনটেল ইত্যাদিতে যারা চাকুরী করে, তাদের পরিবার দেশেও বেশ স্বচ্ছল ও শিক্ষিত হওয়ার সম্ভাবনা; এরা অবস্হা বুঝে আসা যাওয়াতে থাকেন। নিউইয়র্কে আছেন সব ধরণের মানুষ, এদের অনেকের বাবা মায়েরা বেশী শিক্ষিত নন; এই ধরণের লোকজন বেশী একা হয়ে যান এখানে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.