নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষাই দরিদ্রদের জন্য সম্পদ।

সোনাগাজী

একমাত্র সোস্যালিষ্ট অর্থনীতি বাংগালী জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করবে।

সোনাগাজী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাজার কসাই, নেতানিয়াহুকে বাইডেন কি কিছুটা কন্ট্রোলে এনেছে?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:২২



আমি লাইভে গাজার পুর্ব বর্ডারে সেই পরিমান ট্যাংক, সাঁজোয়া গাড়ী, বুলডজার, আর্টিলারীর গাড়ী দেখেছিলাম গত কয়েকদিন, আজকে ভোরে কম দেখেছি; এগুলোকে কি টেলিভিশন ক্যামেরার ফোকাস থেকে সরানো হয়েছে ( বর্ডারের আরো কাছাকাছি নেয়া হয়েছে? ), নাকি বর্ডার থেকে দুরে নেয়া হয়েছে বুঝা যাচ্ছে না। হামাস দেখলাম আজকেও রকেট ছুঁড়েছে; এদের মাথায় কি বানরের মগজ কিনা বলা মুশকিল!

মনে হয়, বাইডেন বর্তমান বিশ্ব পরিস্হিতির আলোকে ইসরায়েলের ভবিষ্যত কিছুটা অনুমান করতে পেরেছে; হামাস ধরার নামে গাজাকে কবরস্হানে পরিণত করেছে নেতানিয়াহু; বাইডেন ইহার পরিণাম অনুমান করতে পারছে! বারবার গাজায় ভয়ংকর হত্যাকান্ড ঘটায়ে নেতানিয়াহু ইসরায়েল ও আমেরিকাকে ভয়ংকর খারাপ পজিশনে নিয়ে গেছে। গাজার হত্যাকান্ডের জন্য আমেরিকাও দায়ী; একা ইসরায়েল এইভাবে হত্যাকান্ড চালানোর সাহস করতো না।

হামাস নিশ্চয় ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা নিয়ে কিছু করার মতো দক্ষ নয়, এরা অশিক্ষিত ও সন্ত্রাসী, এদের হাতে ফিলিস্তিন কোনদিনও স্বাধীন হবে না; হলে, দেশটি লেবানন, কিংবা ইয়েমেনের মতো হবে। এরা ইসাসির আরাফাতের সর্বশেষ চেষ্টাকে ভন্ডুল করেছিলো ও ২০০৭ সালে ফাতাহ'র ৭০০/৮০০ মানুষকে হত্যা করেছিলো; ওদের কার্যকলাপের ফলে গাজা ২ বার করবস্হানে পরিণত হলো।

বাইডেন চেষ্টা করছে আমেরিকার মুখ রক্ষা করতে, কতটুকু সম্ভব হবে, তা' আগামী ২/১ সপ্তাহের মাঝে বুঝা যাবে। আমেরিকার ছাত্র সমাজ ও তরুণরা চোখ বন্ধ করে নেতানিয়াহুকে আর সাপোর্ট করছে না; আগামীতে এরা যখন ক্ষমতায় যাবে, ইসরায়েল দরকারী সাপোর্টও পাবে না, হয়তো।

গতকাল থেকে ইসরায়েলী জেনারেলরা ও আমেরিকান অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলরা কেমন যেন নরম সুরে কথা বলছে; বাইডেন নেতানিয়াহুকে গত রাতে টেলিফোনে বলেছে, ভেতরে যাবার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো না'করতে।



মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আমেরিকার বুদ্ধিতে ইসরাইল শোডাউন করছে, মূল টার্গেট ইরান। আমেরিকা-ইসরাইল খুব করে চাচ্ছে ইরান এ যুদ্ধে জড়িয়ে পরুক। ইরান যদি এখন খুব বেশি উচ্চবাচ্চ্য করে তাহলে ইরানের অবস্থাও ইরাক, লিবিয়ার মত হবে। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে ইরান খুব ভালোই ভয় পেয়েছে, মাঝে মাঝে মিউ মিউ করে দুই একটা বিবৃতি দিচ্ছে মাত্র।

যে সকল দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সাপোর্ট করেছ তাদের কোন রাইট নেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে কথা বলার এদের আস্কারা পেয়েই মূলত আমেরিকা-ইসরাইল গজায় হমলা চালাতে উৎসাহী হয়েছে। বিশ্ববাসী যদি এক হয়ে পুতিনকে থামাতে পারতো তাহলে আজ গাজায় কোন হামলার ঘটনা ঘটতো না।

যারাই ইউক্রেনে রাশিয়ার গণহত্যাকে সমর্থণ করেছে তাদের পরিণতি ভালো হবে না, খুব সম্ভবত শুরুটা হবে ইরানকে দিয়েই।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি বলছেন যে, গাজায় ২ সপ্তাহে সাড়্বে ৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা ও গাজাকে মাটিতে মিশায়েছে ইরানকে যুদ্ধে জড়াতে? ইরান কিভাবে গাজায় আসবে?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

সোনাগাজী বলেছেন:




ইরাক, লিবিয়া ( গোত্র ) ও সিরিয়ার সমস্যা ছিলো সুন্নী-শিয়া; ইরানে সেই সমস্যা নেই; ফলে, ইরানকে কি করে ওদের মতো করবে?

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০০

আমি নই বলেছেন: পশ্চিমারা চাচ্ছেইনা সমাধান হোক। যদি আমেরিকা এবং সব দেশ মিলে ৬৭ এর ম্যাপটা বাস্তবায়ন করে চীনের প্রাচীরের মত প্রাচীর দিয়ে দুইটা দেশ আলাদা করে দিতে পারত তাইলে হয়ত সমস্যাটা মিটে যেত।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৪

সোনাগাজী বলেছেন:


ফিলিস্তিনীদের ফিলিস্তিন দিলে, ওরা নেবে বলে মনে হয় না।

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

হামাসকে সম্পুর্ন নিরস্ত্র না করা পর্যন্ত ইসরাইলি অভিযান বন্ধ করা ঠিক হবে না।
হামাছি হামলা - এটাকে স্বাধীনতা যুদ্ধ বলা যায় না। শ্রেফ ইসরাইলকে হামলার আমন্ত্রন। ইহা উষ্কানিমুলক রকেট মারা খেলা নামক জঙ্গি হামলা।
আর ইসরাইলিদের জঙ্গি সন্ত্রাস নির্মুল অভিযান, অসম যুদ্ধ। এটাও নিন্দনিয়। তবে -

নারী শিশুদের চিপায় নিরাপদ থেকে রকেট মারা খেলা সম্পুর্ন বন্ধ করতে হবে।
হামাস কে আমি জঙ্গিই বলবো। ইসলামি জেহাদও বহিরাগত জঙ্গি।
উভয় গ্রুপই মিশর ও মিসরের সিনাই থেকে বিতারিত জঙ্গি দল, পরে লেবানন ও লিবিয়াতে যেয়ে না সুবিধা করতে পেরে পরে গাজাতে আস্তানা গেড়েছে। হাসাসের সন্ত্রাসের ভয়ে সব নির্বাচনে ভোট হামাসের ঘরে যায়।

হামাছি রকেট ছোড়া মানেই পালটা বিমান হামলার আমন্ত্রন, এটা মোটেই যুদ্ধ নয়। যে কেউ বুঝবে।
স্পষ্টই আমন্ত্রন। পালটা ভয়াবহ বিমান হামলার আমন্ত্রন, আর নারী শিশু মারা গেলেই অনুভুতির খেলা, আরো বেশী অর্থ সাহায্য, অর্থ দিয়ে বিলাশবহুল জীবন, দুবাইতে মৌজ করা।
গাজায় কোন উৎপাদন নেই রপ্তানী নেই অর্থনীতি নেই, তেমন উপার্জনও নেই, কিন্তু সবার হাতে অফুরন্ত টাকা, বিশাল বিশাল বিলাস বহুল এপার্টমেন্ট বহুতল বিল্ডিং রাস্তায় অজস্র চকচকে নতুন বিএমডাব্লু মার্সিডিস লেক্সাস। এত চাকচিক্য মেইনল্যান্ড ফিলিস্তিনে (পশ্চিমতীরের) নেই। এমনকি পার্শবর্তি মিসর বা জর্ডনে নেই। এই দুর্মুল্যের বাজারে হামাছিরা এত টাকা কোথা থেকে পায়? এত বিলাশিতা কিসের?

সকল প্রতিবেশী আরব দেশকে সংগে নিয়ে গাজাকে সম্পুর্ন নিরস্ত্র করতে হবে। সকল ভুগর্ভস্ত টানেল ধ্বসিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজনে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী নিয়োজিত করা লাগবে। করতেই হবে। প্রয়জনে তাবুতে থাকবে।
কিন্তু বন্ধ করতে হবে নারী শিশু মৃত্যুর অনুভুতির খেলা,
বন্ধ করতে হবে নারী শিশুদের চিপায় নিরাপদ থেকে রকেট মারার খেলা।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৭

সোনাগাজী বলেছেন:



সেটা নিয়ে বাইডেন ভাবছে; কিন্তু সে অতুকু সময় পাবে কিনা, বলা মুশকিল।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩২

আমি নই বলেছেন: @জোকার বৈশাখী, ওয়েস্ট ব্যাংকেতো হামাস নেই ওখানে আপনার প্রভুরা হত্যা করে কেন?

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৩৭

সোনাগাজী বলেছেন:



ওখানে হামাস ছিলো, চুপ ছিলো; এখন ফিলিস্তিন না'হলে হামাস থাকবে ফাতাহ/পিএলও থাকবে না।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আরব বিশ্ব এবং মুসলিম বিশ্ব নিশ্চিতভাবে তাদের আবেগ প্রকাশ করে মৃত ফিলিস্তিনিদের প্রতি মুহূর্তে, তারপর তারা সুন্দরভাবে তাদের জীবন চালিয়ে যায় এবং পরবর্তী সময়ের জন্য অপেক্ষা করে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



আরবদের মাথায় প্রতিশোধ, কোরান, হাদিস থাকায়, তারা সঠিক সমাধান বের করতে পারে না।

৬| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৯

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি বলছেন যে, গাজায় ২ সপ্তাহে সাড়্বে ৫ হাজার মানুষকে হত্যা করা ও গাজাকে মাটিতে মিশায়েছে ইরানকে যুদ্ধে জড়াতে? ইরান কিভাবে গাজায় আসবে?

- আমি ঠিক জানিনা তাবে আমার কাছে তাই মনে হচ্ছে, তাছাড়া বিবিধ কারণেই আমেরিকার এখন বিশ্বে শক্তি প্রদর্শণ করা জরুরী হয়ে পড়েছিলো। মধ্যপ্রাচ্চ্য থেকে আমেরিকা খুব শীঘ্রই যাচ্ছে না। এসব বিষয়ে বিস্তারিত লিখে পোস্ট করা অনেক সময়ের ব্যাপার তাই মাঝে মাঝে টুকটাক কিছু কমেন্ট করি আপনার পোস্টে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:০৯

সোনাগাজী বলেছেন:




আমেরিকা ইউক্রেনে মহাসমস্যায়, ইউক্রেন জয়ী হতে পারবে না; সামনে আসছে চীনের সাথে সমস্যা; চীন যদি তাইওয়ান দখল করে, ব্যবসা বাণিজ্যে ভাটা পড়বে; তাই, বাইডেন চাচ্ছে, ইসরায়েল সমস্যা থেকে মুক্ত হতে। আপনি কি ভাবছেন, লিখেন।

৭| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৫৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ইরাক, লিবিয়া ( গোত্র ) ও সিরিয়ার সমস্যা ছিলো সুন্নী-শিয়া; ইরানে সেই সমস্যা নেই; ফলে, ইরানকে কি করে ওদের মতো করবে? - ইরানে রাজনৈতিক সমস্যা রয়েছে বিরোধী পক্ষ শক্তি সঞ্চয় করছে এবং তাদের যথেষ্ট জনসমর্থণও রয়েছে।

আমার ব্যক্তিগত মত হচ্ছে- ১: ইরানকে আমেরিকান ব্লকে আসতে হবে। ২: না হয় রাশিয়ার সঙ্গ ত্যাগ করতে হবে ৩: তা নাহলে ইরাকের পরিণতি বরণ করতে হবে।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:১২

সোনাগাজী বলেছেন:



ইরানের লোকজন আরবদের কাছাকাছি, ওরা আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব করবে না; এমন কি বর্তমান সরকার-বিরোধীরাও। ওরা শিয়া, ওরা অনেকটা ইহুদীদের মতো, যা করবে, সেটা নিয়ে লেগে থাকবে।

আপনি অন্যভাবে দেখে থাকলে লেখেন।

৮| ২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:১১

কামাল১৮ বলেছেন: যে যেই ভাবে প্রবাভিত সে সেই ভাবে লিখছে।বিষয়গুলো চলমান।ধারণা করা কঠিন।তবে হামাসকে ছাড়া ঠিক হবে না।একেবারে ধ্বংস না করতে পারলেও আইএস মতো করতে হবে।এদের ধ্বংস ছাড়া শান্তি অসম্ভব।বাংলাদেশকে নিয়ে লিখুন।

২৫ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৭:৩২

সোনাগাজী বলেছেন:


গাজায় ৮০ হাজার মানুষের নাম আছে হামাস হিসেবে; ওদের ৮০ হাজার পরিবার আছে; এজন্য ইসরায়েল এইভাবে বোমা ফেলেছে। ইসরায়েল জেনে শুনে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। ২ সপ্তাহ মানুষ মারার পর, আমেরিকা ভাবছে যে, ইসরায়েল নিজকে বিপদ সীমানার মাঝে নিয়ে গেছে।

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৪২

শ্রাবণধারা বলেছেন: না, গাজার কসাই নেতানিয়াহুকে বাইডেন কোন রকম কন্ট্রোল করার চেষ্টাই করছেন না। আপনি যেটাকে কন্ট্রোল বলে ভাবছেন সেটা আসলে হামাসের হাতে বন্দী হওয়া আমেরিকান নাগরিকদের উদ্ধারের জন্য শেষ চেষ্টা।

ইসরাইল এখন কসাইয়ের চাইতেও উন্মত্ত ও হিতাহিত জ্ঞানশূন্য। আমার সাম্প্রতিক সময়ের পর্যবেক্ষণ হলো ইসরাইল খুব শীঘ্রই গ্রাউন্ড এটাকে যাবে এবং হামাসকে সম্পুর্ণ ভাবে ধ্বংস না করা পর্যন্ত থামবে না। আর এটা করতে গিয়ে কত হাজার বা কত লক্ষ সাধারণ ফিলিস্তিনিকে তারা মেরে ফেলবে সেটার একটা ধারণা হয়ত আপনি ভালো বলতে পারবেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:


বাইডেন চাচ্ছে বন্দীদের মুক্ত করতে; ফলে, ইহাতে কাতার, মিশর ও সৌদী যুক্ত হয়েছে; এই দেশগুলো গাজার ৩ হাজার শিশুর মৃত্যু ও ৩ হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু নিয়ে আলাপ করছে নিশ্চয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.